Ajker Patrika

তৈমুরের কবরের পাশে অঝোরে কাঁদলেন মির্জা ফখরুল

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১: ৫৯
তৈমুরের কবরের পাশে অঝোরে কাঁদলেন মির্জা ফখরুল

ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির প্রয়াত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. তৈমুর রহমানের কবর জিয়ারতের সময় কেঁদে ফেলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার বিকেল ৩টায় সদর উপজেলার রুহিয়া সালেহীয়া দারুসুন্নাত ফাজিল মাদ্রাসা সংলগ্ন কবরস্থানে সদ্য প্রয়াত বিএনপির জেলা সভাপতির কবর জিয়ারত করেন তিনি। 

এ সময় সদ্য প্রয়াত নেতার স্মৃতিচারণ করে ফখরুল বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান ছিলেন একজন গণমানুষের নেতা। তিনি অসহায় নিপীড়িত মানুষের অধিকারের জন্য সব সময় সংগ্রাম করেছেন। এ লড়াই করতে গিয়ে তিনি মারা গেলেন। যখন তিনি অসুস্থ হলেন-সংবাদটি আমি কারাগারে বন্দী অবস্থায় জানতে পারি। তিনি চিকিৎসা নিতে গেলেন ভারতে। এ সময় আমার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন। কিন্তু ফিরে এলেন, তবে লাশ হয়ে।’ এ কথা বলতেই তিনি অঝোরে কেঁদে ফেলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

বিএনপি মহাসচিব দলীয় সভাপতির কবর জিয়ারত শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় বলেন, ‘সারা দেশের মানুষ আজ এক ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে আছেন। মানুষের অধিকার বলতে কিছু নেই, গণতন্ত্র বলতে কিছু নেই, মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এসব প্রতিষ্ঠা করতে লড়াই-সংগ্রাম করছি। তারেক রহমানের নেতৃত্বে অবশ্যই এ সংগ্রামে দেশের মানুষ জয়ী হবেন।’ 

উপস্থিত দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রশাসন আপনাদের নির্যাতন করে। আপনারা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন, এখনো হচ্ছেন। বিভিন্ন মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে হয়। তারপরও আপনারা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছেন।’ 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দমন-পীড়নকারী এ ফ্যাসিবাদী ক্ষমতাসীনদের অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। এসব নির্যাতনের কারণে মানুষ হয়তো প্রতিরোধ সৃষ্টি করে উঠতে পারছে না, কিন্তু একদিন দেখবেন ঠিকই এ মানুষই দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে দাঁড়াবেন। পৃথিবীতে কোনো দিন স্বৈরাচারী-ফ্যাসিবাদী সরকার টিকতে পারেনি। হিটলারের মতো ফ্যাসিবাদী ধ্বংস হয়ে গেছে। সে পুরোনো যুগের ফেরাউন, নমরুদ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। মানুষের পক্ষে না দাঁড়ালে, তাঁদের কল্যাণে কাজ না করলে, কেউ কোনো দিন ক্ষমা পায় না। এই স্বৈরাচারী সরকারও কোনো দিন ক্ষমা পাবে না।’ 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন—জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েস প্রমুখ। 

এরপর তিনি বিকেল ৫টায় ঠাকুরগাঁও পৌর কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত ইফতার মাহফিলে যোগ দেন। 

ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল বলেন, ‘চরম ফ্যাসিবাদী পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। আজকে যেটা প্রয়োজন, সেটা হলো জাতীয় ঐক্য। সমস্ত জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করবে। এটাই আজকে আমাদের মুক্তির একমাত্র পথ। এখানে কোনো ব্যক্তি বা দল বড় কথা নয়। আজকে আমাদের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করাই সবচেয়ে বড় বিষয়।’ 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সংবিধানের নিয়মে কোনো কাজ বর্তমানে পালন করা হয় না। সকলে অবশ্যই লক্ষ্য করেছেন-গোটা দেশ এখন দুর্নীতিতে সয়লাব হয়ে গেছে। আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রগুলোর প্রত্যেকটিকে দলীয়করণ করা হয়েছে। যার ফলে আজকে মানুষ একটা অসহায় অবস্থার মধ্যে আছে। তিনি আইনের শাসন থেকে বঞ্চিত। বিচার ব্যবস্থায় দলীয়করণ করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দলীয়। সার্বিকভাবে সমস্ত রাষ্ট্রকে একটা দলীয় রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। নির্বাচনকে একটা প্রহসনে পরিণত করেছে। নির্বাচনকে সবাই এখন বলে-ডামি নির্বাচন হয়েছে। তারা নিজেরাই এ নির্বাচন করেছে। বিরোধী দল এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপি নেতা তৈমুরের কবরের পাশে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অঝোরে কাঁদলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকাসংবিধান ও জনগণের অধিকার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৭১ সালের যে স্বাধীনতার চেতনা, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা, সেটা প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা সংগ্রাম করেছি, লড়াই করেছি। গত প্রায় ২ যুগ ধরে আমাদের দেশে সংবিধানকে কাটছাঁট করে মানুষের অধিকার, ভোটের অধিকার, অন্নের অধিকার, বস্ত্রের অধিকার, তার বেঁচে থাকার অধিকার এবং মুক্ত পরিবেশে কথা বলার অধিকারকে কেরে নেওয়া হয়েছে। আজকে শাসকগোষ্ঠী এই আওয়ামী লীগ অতীতে যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন সমস্ত দলগুলোকে বন্ধ করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল। আজকে আবার একই কায়দায় বাংলাদেশের একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে চলেছে। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে লড়াই করছি, সংগ্রাম করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকেই গণতন্ত্র ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে: মির্জা ফখরুল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন নিবেদন করেন মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন নিবেদন করেন মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ধ্বংস করতে এখনো কিছু গোষ্ঠী নানা রকম ষড়যন্ত্র করছে। আজ শুক্রবার সকালে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জিয়া উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন রকম অপচেষ্টা ও চক্রান্ত চলছে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য। তাই ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরের মতো সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।

জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বাংলাদেশের সমৃদ্ধির কথা স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাঁর রাষ্ট্র পরিচালনা মাত্র চার বছর মধ্যে বাংলাদেশে একদিকে, রাজনৈতিক অবস্থার, অন্যদিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার আমূল সংস্কার সাধন করেন। একদলীয় বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। অন্যদিকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করেন, জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করেন এবং একই সঙ্গে মুক্ত বাজার অর্থনীতি চালু করেন। সুখী ও সমৃদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নিশ্চিতকরণের জন্য তিনি যে ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন পরবর্তীকালে তার ওপর ভিত্তি করেই দেশ সেই দিকে এগিয়ে যায়। সে জন্য আজকের দিনটি শুধু বিএনপির কাছে নয়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মানুষের কাছে অত্যন্ত একটা গুরুত্বপূর্ণ।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদেরকে সেই পথেই পরিচালিত করে যে পথে সত্যিকারই গণতান্ত্রিক ও একটা সমৃদ্ধ রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারব। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত, বিচারের অধিকার নিশ্চিত করতে পারব। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’

এর আগে সকাল ১০টার দিকে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির নেতা কর্মীরা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন; চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান; সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী; যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন ও আব্দুস সালাম আজাদ এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি না করার আহ্বান বিএনপির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

জুলাই জাতীয় সনদের ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলোর আইনানুগ বাস্তবায়ন এবং যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। একইসঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনরকম বাধা সৃষ্টি না করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির এই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। এদিন দিবাগত রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়, 'বিএনপি দৃঢ়ভাবে মনে করে যে, দীর্ঘ আলোচনায় উপনীত ঐকমত্য কে বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ থাকবে এবং কোনমতেই নিত্য নতুন প্রশ্ন উত্থাপন কিম্বা সংকট সৃষ্ট করে গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আয়োজিতব্য নির্বচন অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি করবে না।'

বিবৃতিতে আরও বলা হয, 'জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘ ও বিস্তারিত আলোচনা শেষে কতিপয় বিষয়ে নোট অব ডিসেন্টসহ যে সকল বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং গত ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঐতিহাসিক আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে স্বাক্ষরিত হয়েছে, আমরা তার অংশীদার হিসাবে সনদে বর্ণিত সকল বিষয়কে ধারণ করি এবং দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী তা বাস্তবায়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ। সর্বসম্মতভাবে গৃহিত জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে নতুন প্রশ্ন কিম্বা সংকট সৃষ্টির সকল অপপ্রয়াসের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী জনগণের শক্তিকে ধারন করে বিএনপি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ ১৬ বছরের অবিরাম লড়াই ও ২০২৪ সালের জুলাই-আগষ্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের সীমাহীন ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে।'

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপি মহাসচিবকে ফোন করে বলেছিলাম, আমরা একটু আলোচনায় বসি: জামায়াত নেতা তাহের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২৩: ০৪
জামায়াতের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ফাইল ছবি
জামায়াতের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ফাইল ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের বিষয়ে সমঝোতার জন্য আলোচনায় বসতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির এই নেতাকে ফোন করেন তিনি।

আজ সন্ধ্যায় ফোন করার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন জামায়াত নেতা তাহের।

সৈয়দ তাহের বলেন, ‘আমিই বিএনপির মহাসচিবকে ফোন করেছিলাম। ওনাকে বলেছিলাম, আমরা একটু আলোচনায় বসি।’ জবাবে উনি বলেছেন জানাবেন।

গত সোমবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে দলগুলোকে সাত দিনের মধ্যে একমত হয়ে সরকারকে জানাতে অনুরোধ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় জামায়াতের পক্ষ থেকে বিএনপিকে আলোচনার জন্য আহ্বান করা হয় এবং আজ ফোনকল করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘যাঁরা নিজেদের লোক হত্যা করেন, তাঁরা ক্ষমতায় গেলে মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে না’

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জ শহরে আজ বৃহস্পতিবার পাঁচ দফা দাবিতে গণসমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। ছবি: আজকের পত্রিকা
মুন্সিগঞ্জ শহরে আজ বৃহস্পতিবার পাঁচ দফা দাবিতে গণসমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই খুনাখুনি শুরু করেছে। নিজেদের মধ্যে নিজেরাই খুনাখুনি করছে। যাঁরা নিজেদের লোককে নিজেরা হত্যা করেন, সেই দল যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে এই দেশের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে না।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জ শহরের পুরোনো কাচারি এলাকার ডিসি পার্ক-সংলগ্ন প্রধান সড়কে ইসলামী আন্দোলনের জেলা শাখার গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জুলাই সনদের ভিত্তিতে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে এ সমাবেশ হয়।

ফয়জুল করীম আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ অতীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ—দুই দলকেই ক্ষমতায় এনেছে। একাধিকবার তারা পরীক্ষায় ফেল করেছে। দেশের মানুষ তাদের কর্মকাণ্ড দেখেছে। তাদের কাছে সমাধান নেই।’

ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সাহেব ভালো মানুষ ছিলেন, এই গুণকীর্তনের কারণে দেশের মানুষ ১৯৯১ ও ২০০১ সালে খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় এনেছিল; থাকতে পারেননি। আবার শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের গুণকীর্তনের কারণে ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছিলেন। কী উপহার দিয়েছেন, তা দেশবাসী জানে।’

ফয়জুল করীম বলেন, ‘দুই দল মিলে দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। শুধু ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বিএনপি তিনবার বিশ্বে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সব দলকে পরীক্ষা করা হয়েছে, শুধু ইসলামকে পরীক্ষা করা হয়নি। ইসলামী আন্দোলনকে একবার পরীক্ষা করে দেখুন।’

গণসমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুফতি শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত