সম্পাদকীয়
এক চরম দুঃসময়ের মুখোমুখি এখন আমরা প্রায় সবাই। করোনাভাইরাসের কারণে পৃথিবীব্যাপী মানুষের ওপর নেমে এসেছে এক ভয়াবহ দুর্যোগ। এক বছরের
বেশি সময় ধরে চলা করোনা মহামারি দ্বিতীয় দফায় কোনো কোনো দেশে বিপুল শক্তি নিয়ে হামলা চালিয়ে নাস্তানাবুদ করে দিয়েছে অসংখ্য মানুষের জীবন ও জীবিকা।
বাংলাদেশেও চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। সংক্রমণ প্রতিরোধে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা কার্যকর করা যাচ্ছে না মূলত মানুষের অসহযোগিতার কারণে। মানুষ জীবন বাঁচাতে কী করবে বুঝে উঠতে পারছে না। যাঁরা আয়-রোজগার হারিয়েছেন, তাঁরা এর মধ্যেই দিশাহারা অবস্থায় পড়েছেন।
করোনা থেকে জীবন বাঁচাতে গিয়ে না খেয়ে মরতে হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন অনেকের মুখে। লকডাউন কঠোর বা নমনীয় যা-ই হোক না কেন, এটা ঠিক যে অসংখ্য মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। দুমুঠো খাবার জোগাড় করা অনেকের জন্য সাধ্যাতীত হয়ে পড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে নানা রকম আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবে অনেকেই কোনো ধরনের ত্রাণ সহায়তা না পেয়ে ধার-দেনা করে কোনো রকমে দিন পার করছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যে রেওয়াজ চালু আছে, এবার তা-ও সেভাবে দেখা যাচ্ছে না।
তবে ভালো খবর একেবারে যে নেই, তা নয়। দরিদ্র মানুষের মুখে সামান্য খাবার তুলে দেওয়ার দু-একটি উদ্যোগের কথা সংবাদপত্র এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে, যা প্রশংসনীয় এবং উৎসাহব্যঞ্জক। এ ধরনের খবর বেশি বেশি প্রচার হওয়া দরকার, অন্যদের একই রকম কাজে উদ্বুদ্ধ করার জন্য। যাঁদের সামর্থ্য আছে, কিছু হলেও উদ্বৃত্ত আছে—তাঁরা যদি যাঁদের একেবারে কিছু নেই, তাঁদের পাশে দাঁড়ান, তাহলে উপকার হয়। বগুড়ায় কিছু তরুণ উদ্যোগ নিয়ে নিরন্ন মানুষের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
মানিকগঞ্জ থেকেও এ রকম একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগের খবর আমরা জেনেছি। মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় জেলা ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা চালু করেছেন ‘শ্রমজীবী ক্যান্টিন’।
এলাকার কর্মহীন ৭০ জন মানুষের মধ্যে এই ক্যান্টিন থেকে খাদ্য বিতরণ করার মধ্য দিয়ে এই কাজের শুরু হয়েছে। মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় প্রতিদিন ভিন্ন স্থানে খাবার বিতরণ করা হবে জানানো হয়েছে।
মানিকগঞ্জের মতো দেশের অন্য জায়গায়ও এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে মানুষের উপকার হবে। সবকিছুতে শুধু সরকারের মুখের দিকে চেয়ে না থেকে ব্যক্তিগত ও সামাজিক উদ্যোগের সমন্বয়েও কিছু মানুষের জীবন রক্ষা করা যেতে পারে।
এক চরম দুঃসময়ের মুখোমুখি এখন আমরা প্রায় সবাই। করোনাভাইরাসের কারণে পৃথিবীব্যাপী মানুষের ওপর নেমে এসেছে এক ভয়াবহ দুর্যোগ। এক বছরের
বেশি সময় ধরে চলা করোনা মহামারি দ্বিতীয় দফায় কোনো কোনো দেশে বিপুল শক্তি নিয়ে হামলা চালিয়ে নাস্তানাবুদ করে দিয়েছে অসংখ্য মানুষের জীবন ও জীবিকা।
বাংলাদেশেও চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। সংক্রমণ প্রতিরোধে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা কার্যকর করা যাচ্ছে না মূলত মানুষের অসহযোগিতার কারণে। মানুষ জীবন বাঁচাতে কী করবে বুঝে উঠতে পারছে না। যাঁরা আয়-রোজগার হারিয়েছেন, তাঁরা এর মধ্যেই দিশাহারা অবস্থায় পড়েছেন।
করোনা থেকে জীবন বাঁচাতে গিয়ে না খেয়ে মরতে হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন অনেকের মুখে। লকডাউন কঠোর বা নমনীয় যা-ই হোক না কেন, এটা ঠিক যে অসংখ্য মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। দুমুঠো খাবার জোগাড় করা অনেকের জন্য সাধ্যাতীত হয়ে পড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে নানা রকম আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবে অনেকেই কোনো ধরনের ত্রাণ সহায়তা না পেয়ে ধার-দেনা করে কোনো রকমে দিন পার করছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যে রেওয়াজ চালু আছে, এবার তা-ও সেভাবে দেখা যাচ্ছে না।
তবে ভালো খবর একেবারে যে নেই, তা নয়। দরিদ্র মানুষের মুখে সামান্য খাবার তুলে দেওয়ার দু-একটি উদ্যোগের কথা সংবাদপত্র এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে, যা প্রশংসনীয় এবং উৎসাহব্যঞ্জক। এ ধরনের খবর বেশি বেশি প্রচার হওয়া দরকার, অন্যদের একই রকম কাজে উদ্বুদ্ধ করার জন্য। যাঁদের সামর্থ্য আছে, কিছু হলেও উদ্বৃত্ত আছে—তাঁরা যদি যাঁদের একেবারে কিছু নেই, তাঁদের পাশে দাঁড়ান, তাহলে উপকার হয়। বগুড়ায় কিছু তরুণ উদ্যোগ নিয়ে নিরন্ন মানুষের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
মানিকগঞ্জ থেকেও এ রকম একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগের খবর আমরা জেনেছি। মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় জেলা ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা চালু করেছেন ‘শ্রমজীবী ক্যান্টিন’।
এলাকার কর্মহীন ৭০ জন মানুষের মধ্যে এই ক্যান্টিন থেকে খাদ্য বিতরণ করার মধ্য দিয়ে এই কাজের শুরু হয়েছে। মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় প্রতিদিন ভিন্ন স্থানে খাবার বিতরণ করা হবে জানানো হয়েছে।
মানিকগঞ্জের মতো দেশের অন্য জায়গায়ও এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে মানুষের উপকার হবে। সবকিছুতে শুধু সরকারের মুখের দিকে চেয়ে না থেকে ব্যক্তিগত ও সামাজিক উদ্যোগের সমন্বয়েও কিছু মানুষের জীবন রক্ষা করা যেতে পারে।
মব ভায়োলেন্স তথা উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ সহিংসতাই যেন কথিত নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের পথ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মব সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না করে উল্টো এর সাফাই গাওয়ায় এমন ধারণার উদ্রেক হওয়াটা কি খুব অস্বাভাবিক? মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের...
২ ঘণ্টা আগেউত্তেজনা একটি রোগ। এটি সংক্রামকও বটে। হঠাৎ করে আমাদের দেশ ও সমাজে উত্তেজনা এত বেড়েছে যে শান্তিতে থাকা যাচ্ছে না। আমরা বাস করি দেশের বাইরে অথচ এই দূরদেশেও সে উত্তেজনার আঁচ দেখতে পাচ্ছি। যত দিন যাচ্ছে, নিজেদের ভেতর অশান্তি আর গন্ডগোল যেন বেড়েই চলেছে। এর নিরসন কোথায় বা কীভাবে তা সম্ভব...
২ ঘণ্টা আগেবর্তমান সময়ে ঢাকা মহানগরীসহ যেকোনো শহর এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংখ্যা যেভাবে জ্যামিতিক হারে বাড়ছে, তাতে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব পায়ে চালিত রিকশাকে জাদুঘরে দেখতে যাওয়ার সময় চলে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে তর্ক বা বিতর্কে যাওয়া যেতেই পারে, তবে আমার লেখার উদ্দেশ্য এর কোনোটিই...
২ ঘণ্টা আগেশুনলে মনে হয় রসিকতা। কিন্তু বাস্তবটা এতটাই তিক্ত যে চোখ কপালে ওঠে। গাজীপুরের শ্রীপুরে এক্স সিরামিকস লিমিটেড নামের একটি কারখানা, যাদের বিরুদ্ধে নদী দখল ও দূষণের একাধিক অভিযোগ প্রমাণসহ রয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের নথিতে, তারা কিনা পেয়েছে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন...
২ ঘণ্টা আগে