সম্পাদকীয়
চাহিদা বাড়লে ব্যবসায়ীদের একটা অংশ ভীষণ আনন্দে থাকেন। কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে সেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। দাম বাড়ার অজুহাত হিসেবে বলেন, সরবরাহ কম। প্রয়োজন থাকায় মানুষ দামের দিকটা বিবেচনা না করে কিনতে শুরু করে। আর তখন মুনাফার পাহাড়ে বসে এই ব্যবসায়ীরা গোঁফে তেল দেন।
প্যারাসিটামলের সংকট দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে কেউ কেউ। এ বিষয়ে কথা বলার আগে বলে নেওয়া দরকার, এ সময়টায় কাঁচ মরিচও হঠাৎ করে বড্ড ঝাল হয়ে উঠেছে। মাঝে মাঝেই পেঁয়াজ তার দম্ভ প্রদর্শন করে। চালও কখনো কখনো বেয়াড়া রকম ব্যবহার করতে থাকে। এ সবকিছুই যে নিয়ম মেনে হয়, তা নয়। এর পেছনে থাকে একশ্রেণির মানুষ, যাদের ‘সিন্ডিকেট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বাজার মনিটর করার দায়িত্বে যাঁরা আছেন, তাঁদের খুব একটা সোচ্চার হতে দেখা যায় না। কিছুদিন খবরের কাগজ বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নানাজনকে চিহ্নিত করা হয় ঠিকই, কিন্তু তারপর তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না, সেটা আর আমজনতা জানতে পারে না। মূলত খেটে খাওয়া মানুষ বাড়তি মূল্যে প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার সময় হিমশিম খায়। সুযোগ পেলে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করা ছাড়া এই আমজনতার আসলে কোনো শক্তি নেই। যাঁদের সে শক্তি আছে, তাঁদের কেউ কেউ সেই অপশক্তির সঙ্গে আপস করেন বলে শোনা যায়।
খাদ্য বা ভোজ্যপণ্যের সঙ্গে ওষুধের একটা বড় পার্থক্য আছে। ওষুধ স্বাস্থ্যরক্ষার অনিবার্য উপাদান। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে জনগণকে ওষুধ কিনতে বাধ্য করা একটা বড় অপরাধ। আমরা দেখেছি, ওষুধে যে উপাদানগুলো থাকার কথা, সেগুলো না দিয়ে ভিন্ন কিছু মোড়কে ভরে ব্যবসা করার ঘটনাও। এ ধরনের আচরণ কেবল অমানুষেরাই করতে পারে। আমাদের সমাজে এ রকম অমানুষের সংখ্যা কম নয়। সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা সিরিজের ‘যত কাণ্ড কাঠমান্ডুতে’ নামের গোয়েন্দা উপন্যাসে ভেজাল ওষুধের প্রসঙ্গটা খুবই কড়াভাবে এসেছে।
যারা এই ভেজাল ওষুধের ব্যবসা করে, তাদের কোনোভাবেই রেহাই দেওয়া যেন না হয়, সে বিষয়টি উপন্যাসে পরিষ্কারভাবে উঠে এসেছে। তেমনি, ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরির ব্যাপারটাও গুরুতর অপরাধ। মৌসুম পরিবর্তনের সময় মৌসুমি অসুখ বাড়ে। বর্তমানে কোভিড-১৯ এবং ডেঙ্গু জ্বরের প্রায় অপ্রতিরোধ্য গতির কারণ যোগ হয়ে প্যারাসিটামল-জাতীয় ওষুধের চাহিদা বেড়েছে। এখন তা নিয়েই চলছে অসৎ বাণিজ্য।
এই ‘বাণিজ্যের’ জন্য কারা দায়ী? ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান? পাইকারি বিক্রেতা? খোলাবাজারের দোকান? এটা চিহ্নিত করা খুব কঠিন কাজ নয়। চাহিদা বাড়লে সরবরাহ ঠিক রাখার প্রক্রিয়া চালু আছে কি না, সেটাই তো বিবেচ্য বিষয়। যদি উৎপাদনকারী ওষুধের দাম না বাড়িয়ে থাকেন, তাহলে কেন এবং কোথায় বাড়ছে, সেটা জানা কিন্তু কঠিন কিছু নয়। এসব মনিটর করার কথা যাঁদের, তাঁরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমালে এই অনাচার ও অপরাধ ঘটতেই থাকবে। তাঁদের ঘুম থেকে ওঠানো দরকার। সংশ্লিষ্ট কেউ কি সে কাজটি করবে?
চাহিদা বাড়লে ব্যবসায়ীদের একটা অংশ ভীষণ আনন্দে থাকেন। কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে সেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। দাম বাড়ার অজুহাত হিসেবে বলেন, সরবরাহ কম। প্রয়োজন থাকায় মানুষ দামের দিকটা বিবেচনা না করে কিনতে শুরু করে। আর তখন মুনাফার পাহাড়ে বসে এই ব্যবসায়ীরা গোঁফে তেল দেন।
প্যারাসিটামলের সংকট দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে কেউ কেউ। এ বিষয়ে কথা বলার আগে বলে নেওয়া দরকার, এ সময়টায় কাঁচ মরিচও হঠাৎ করে বড্ড ঝাল হয়ে উঠেছে। মাঝে মাঝেই পেঁয়াজ তার দম্ভ প্রদর্শন করে। চালও কখনো কখনো বেয়াড়া রকম ব্যবহার করতে থাকে। এ সবকিছুই যে নিয়ম মেনে হয়, তা নয়। এর পেছনে থাকে একশ্রেণির মানুষ, যাদের ‘সিন্ডিকেট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বাজার মনিটর করার দায়িত্বে যাঁরা আছেন, তাঁদের খুব একটা সোচ্চার হতে দেখা যায় না। কিছুদিন খবরের কাগজ বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নানাজনকে চিহ্নিত করা হয় ঠিকই, কিন্তু তারপর তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না, সেটা আর আমজনতা জানতে পারে না। মূলত খেটে খাওয়া মানুষ বাড়তি মূল্যে প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার সময় হিমশিম খায়। সুযোগ পেলে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করা ছাড়া এই আমজনতার আসলে কোনো শক্তি নেই। যাঁদের সে শক্তি আছে, তাঁদের কেউ কেউ সেই অপশক্তির সঙ্গে আপস করেন বলে শোনা যায়।
খাদ্য বা ভোজ্যপণ্যের সঙ্গে ওষুধের একটা বড় পার্থক্য আছে। ওষুধ স্বাস্থ্যরক্ষার অনিবার্য উপাদান। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে জনগণকে ওষুধ কিনতে বাধ্য করা একটা বড় অপরাধ। আমরা দেখেছি, ওষুধে যে উপাদানগুলো থাকার কথা, সেগুলো না দিয়ে ভিন্ন কিছু মোড়কে ভরে ব্যবসা করার ঘটনাও। এ ধরনের আচরণ কেবল অমানুষেরাই করতে পারে। আমাদের সমাজে এ রকম অমানুষের সংখ্যা কম নয়। সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা সিরিজের ‘যত কাণ্ড কাঠমান্ডুতে’ নামের গোয়েন্দা উপন্যাসে ভেজাল ওষুধের প্রসঙ্গটা খুবই কড়াভাবে এসেছে।
যারা এই ভেজাল ওষুধের ব্যবসা করে, তাদের কোনোভাবেই রেহাই দেওয়া যেন না হয়, সে বিষয়টি উপন্যাসে পরিষ্কারভাবে উঠে এসেছে। তেমনি, ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরির ব্যাপারটাও গুরুতর অপরাধ। মৌসুম পরিবর্তনের সময় মৌসুমি অসুখ বাড়ে। বর্তমানে কোভিড-১৯ এবং ডেঙ্গু জ্বরের প্রায় অপ্রতিরোধ্য গতির কারণ যোগ হয়ে প্যারাসিটামল-জাতীয় ওষুধের চাহিদা বেড়েছে। এখন তা নিয়েই চলছে অসৎ বাণিজ্য।
এই ‘বাণিজ্যের’ জন্য কারা দায়ী? ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান? পাইকারি বিক্রেতা? খোলাবাজারের দোকান? এটা চিহ্নিত করা খুব কঠিন কাজ নয়। চাহিদা বাড়লে সরবরাহ ঠিক রাখার প্রক্রিয়া চালু আছে কি না, সেটাই তো বিবেচ্য বিষয়। যদি উৎপাদনকারী ওষুধের দাম না বাড়িয়ে থাকেন, তাহলে কেন এবং কোথায় বাড়ছে, সেটা জানা কিন্তু কঠিন কিছু নয়। এসব মনিটর করার কথা যাঁদের, তাঁরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমালে এই অনাচার ও অপরাধ ঘটতেই থাকবে। তাঁদের ঘুম থেকে ওঠানো দরকার। সংশ্লিষ্ট কেউ কি সে কাজটি করবে?
বাংলাদেশে এখন আমের মৌসুম। এ সময়টায় কৃষকের চোখে-মুখে থাকে আশার আলো। সারা বছরের পরিশ্রমে ফলানো ফসল বিক্রি করে একটু স্বস্তির নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে কিছু ভুল ধারণা ও অজ্ঞতার কারণে ‘কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো’ অভিযোগে টন টন আম প্রশাসনের হাতে জব্দ ও ধ্বংস হচ্ছে। সম্প্রতি সাতক্ষীরায় প্রায়
৩ ঘণ্টা আগেআপনি, রবীন্দ্রনাথ, রাষ্ট্রে বিশ্বাস করতেন না; বিশ্বাস করতেন সমাজে। ভারতবর্ষে সমাজই বড়, রাষ্ট্র এখানে একটি উৎপাতবিশেষ—এ আপনার ধারণার অন্তর্গত ছিল। রাষ্ট্র ছিল বাইরের। সমাজ আমাদের নিজস্ব। সমাজকে আমরা নিজের মতো গড়ে তুলব—এই আস্থা আপনার ছিল।
১৭ ঘণ্টা আগে১৯৪৭ সালের ভারত দেশ বিভাগের বিভীষিকা যাঁরা প্রত্যক্ষ করেছেন, সেই প্রজন্ম দ্রুত বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আজ ভারত ও পাকিস্তান দুপাশের সীমান্তে এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা। এর মূল কারণই হলো, যাঁরা এই উন্মাদনা প্রত্যক্ষ করেছিলেন কিংবা সরাসরি এতে জড়িত ছিলেন, তাঁরা পরে এ নিয়ে অনুশোচনা ও আফসোস করেছেন।
১৭ ঘণ্টা আগেট্রাম্প নিজে ঘোষণা করেছিলেন, রিপাবলিকান পার্টি অর্থাৎ ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকলে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ হতো না। যুদ্ধের প্রায় তিন বছর পরে ক্ষমতায় রিপাবলিকান পার্টি, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের আগে থেকেই সারা বিশ্ব মনে করেছিল তিনি ক্ষমতা নেওয়ার পরপরই যুদ্ধের ইতি ঘটবে।
১৭ ঘণ্টা আগে