সম্পাদকীয়
‘লন্ড্রিম্যান’ আবদুর রহমানকে নিয়ে যে খবরটি বেরিয়েছে মঙ্গলবারের আজকের পত্রিকায়, সেটি নানা কারণেই দৃষ্টি আকর্ষণ করার মতো। ঘুরেফিরে করোনাই এখানে মূল খলনায়ক, কিন্তু করোনার গ্রাস আবদুর রহমানকে অন্যভাবে ছুঁয়েছে। এই দুঃসময়ে কিন্ডারগার্টেন বন্ধ, কাজ নেই হাতে। তাই তিনি নেমে পড়েছেন কাজে। ছোট্ট একটা দোকান করেছেন, যার নাম দিয়েছেন ‘লন্ড্রিম্যান’। তাঁর অদম্য ইচ্ছাশক্তি দোকানটাকে দিয়েছে প্রাণ।
ঢাকার নিকটবর্তী দোহারের জয়পাড়া ভোকেশনাল রোড মোড়ের এই দোকান এখন হতাশ মানুষের অনুপ্রেরণার জানালা হতে পারে। হতে পারে পুরোনো, প্রচলিত বাক্য—‘কোনো কাজই ছোট নয়’ এর সাক্ষাৎ উদাহরণ। মধুপ্রভাতি কিন্ডারগার্টেনের ধর্মীয় শিক্ষক কেন এমন কাজ করবেন—এ রকম প্রশ্ন যে একেবারেই ওঠেনি, তা নয়। খোদ পরিবারের পক্ষ থেকেই ছিল আপত্তি। কিন্তু নিজের কাজের ইচ্ছাকে ভরাডুবি হতে দেননি আবদুর রহমান। গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি লন্ড্রিম্যান।
কত কারণেই না জীবনের গতিপথে পরিবর্তন আসে। কখনো তা নিয়ে যায় সাফল্যের শিখরে, কখনো তা ছুড়ে ফেলে দেয় নিঃস্বতার গহ্বরে। বড় ধরনের বিপর্যয় এলেই কেবল নতুন নতুন ঘটনা আর গল্পের জন্ম হতে থাকে, যার কিছু কিছু একেবারেই আনকোরা। পরিবর্তনগুলোরও থাকে নানা দিক। যেকোনো দুর্দশার পর দেখা যায়, কালোবাজারি বেড়ে যায়, আসে স্বজনপ্রীতি। কোনো কিছু কেনার সারিতে দাঁড়ায় মানুষ, অন্যদিকে এই পণ্যই কালোবাজারির মাধ্যমে পৌঁছে যায় অবস্থাপন্ন মানুষের হাতে। যেকোনো যুদ্ধ শেষে এ ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হয় মানুষ। বিশ্বসাহিত্যে এ ধরনের ঘটনার দেখা পাওয়া যাবে অনেক। তবে আবদুর রহমানের যুদ্ধটা করোনার সময়ে।
করোনাও এল যুদ্ধেরই মতো। এ এমন এক শত্রু, যার সঙ্গে সামনাসামনি লড়াই চলে না। অগোচরে তা ঢুকে পড়ে শরীরে, সে যুদ্ধে জয়ী হতে গিয়ে কেউ কেউ নিঃস্ব হয়, হাসপাতালকেই দিয়ে দিতে হয় জীবনের সমস্ত ব্যাংক ব্যালেন্স, তার পরও সেই যুদ্ধে জয়ী হওয়ার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এই সময়ে কত মানুষই তো চাকরি হারাল, কত মানুষ বেছে নিল তুলনামূলকভাবে সস্তা দরের কাজ। কেউ কেউ লজ্জায় মানুষের কাছে হাত পাততে না পেরে হারিয়ে গেল দৃষ্টিসীমা থেকে। গোটা বিশ্বই ভুগল এই অনিশ্চয়তায়।
লন্ড্রিম্যানকে নিয়ে কিছু আপ্তবাক্য আওড়ানো যেত, কিন্তু সেই পথ না মাড়ানোর একটাই কারণ, মানুষটার এই পরিশ্রম, তার কর্মযোগী মনোভাবের শক্তিকে সামান্য সম্পাদকীয়তে বাহ্বা দিলে তা তাঁর টুপিতে সাফল্যের পালক যোগ করবে না। আমরা কেবল বলতে চাইলাম, নিজের স্থবির সময়টাকে কাজের মাধ্যমে অদম্য করে তোলার এই যে চেষ্টা, সেটা কারও স্বীকৃতির অপেক্ষা করে না। সেটা এমনিতেই স্বয়ংপ্রকাশ, সেই আনন্দটাই আমরা নিলাম।
স্কুল, কিন্ডারগার্টেন খুলে যাচ্ছে অচিরেই। আবার ক্লাসরুমে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াবেন আবদুর রহমান। তাহলে কি জীবনের এই অমূল্য প্রাপ্তিকে বিদায় করবেন তিনি? না, করবেন না। কিন্ডারগার্টেনের কাজ সেরে এখানে এসেই বসবেন তিনি। কাজ করবেন। আরও কিছু ব্যবসার মালামালও রাখছেন দোকানে। বাঁচার এই যে আনন্দটা পাচ্ছেন তিনি, সেটাই আমাদের কথার মূল সুর।
‘লন্ড্রিম্যান’ আবদুর রহমানকে নিয়ে যে খবরটি বেরিয়েছে মঙ্গলবারের আজকের পত্রিকায়, সেটি নানা কারণেই দৃষ্টি আকর্ষণ করার মতো। ঘুরেফিরে করোনাই এখানে মূল খলনায়ক, কিন্তু করোনার গ্রাস আবদুর রহমানকে অন্যভাবে ছুঁয়েছে। এই দুঃসময়ে কিন্ডারগার্টেন বন্ধ, কাজ নেই হাতে। তাই তিনি নেমে পড়েছেন কাজে। ছোট্ট একটা দোকান করেছেন, যার নাম দিয়েছেন ‘লন্ড্রিম্যান’। তাঁর অদম্য ইচ্ছাশক্তি দোকানটাকে দিয়েছে প্রাণ।
ঢাকার নিকটবর্তী দোহারের জয়পাড়া ভোকেশনাল রোড মোড়ের এই দোকান এখন হতাশ মানুষের অনুপ্রেরণার জানালা হতে পারে। হতে পারে পুরোনো, প্রচলিত বাক্য—‘কোনো কাজই ছোট নয়’ এর সাক্ষাৎ উদাহরণ। মধুপ্রভাতি কিন্ডারগার্টেনের ধর্মীয় শিক্ষক কেন এমন কাজ করবেন—এ রকম প্রশ্ন যে একেবারেই ওঠেনি, তা নয়। খোদ পরিবারের পক্ষ থেকেই ছিল আপত্তি। কিন্তু নিজের কাজের ইচ্ছাকে ভরাডুবি হতে দেননি আবদুর রহমান। গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি লন্ড্রিম্যান।
কত কারণেই না জীবনের গতিপথে পরিবর্তন আসে। কখনো তা নিয়ে যায় সাফল্যের শিখরে, কখনো তা ছুড়ে ফেলে দেয় নিঃস্বতার গহ্বরে। বড় ধরনের বিপর্যয় এলেই কেবল নতুন নতুন ঘটনা আর গল্পের জন্ম হতে থাকে, যার কিছু কিছু একেবারেই আনকোরা। পরিবর্তনগুলোরও থাকে নানা দিক। যেকোনো দুর্দশার পর দেখা যায়, কালোবাজারি বেড়ে যায়, আসে স্বজনপ্রীতি। কোনো কিছু কেনার সারিতে দাঁড়ায় মানুষ, অন্যদিকে এই পণ্যই কালোবাজারির মাধ্যমে পৌঁছে যায় অবস্থাপন্ন মানুষের হাতে। যেকোনো যুদ্ধ শেষে এ ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হয় মানুষ। বিশ্বসাহিত্যে এ ধরনের ঘটনার দেখা পাওয়া যাবে অনেক। তবে আবদুর রহমানের যুদ্ধটা করোনার সময়ে।
করোনাও এল যুদ্ধেরই মতো। এ এমন এক শত্রু, যার সঙ্গে সামনাসামনি লড়াই চলে না। অগোচরে তা ঢুকে পড়ে শরীরে, সে যুদ্ধে জয়ী হতে গিয়ে কেউ কেউ নিঃস্ব হয়, হাসপাতালকেই দিয়ে দিতে হয় জীবনের সমস্ত ব্যাংক ব্যালেন্স, তার পরও সেই যুদ্ধে জয়ী হওয়ার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এই সময়ে কত মানুষই তো চাকরি হারাল, কত মানুষ বেছে নিল তুলনামূলকভাবে সস্তা দরের কাজ। কেউ কেউ লজ্জায় মানুষের কাছে হাত পাততে না পেরে হারিয়ে গেল দৃষ্টিসীমা থেকে। গোটা বিশ্বই ভুগল এই অনিশ্চয়তায়।
লন্ড্রিম্যানকে নিয়ে কিছু আপ্তবাক্য আওড়ানো যেত, কিন্তু সেই পথ না মাড়ানোর একটাই কারণ, মানুষটার এই পরিশ্রম, তার কর্মযোগী মনোভাবের শক্তিকে সামান্য সম্পাদকীয়তে বাহ্বা দিলে তা তাঁর টুপিতে সাফল্যের পালক যোগ করবে না। আমরা কেবল বলতে চাইলাম, নিজের স্থবির সময়টাকে কাজের মাধ্যমে অদম্য করে তোলার এই যে চেষ্টা, সেটা কারও স্বীকৃতির অপেক্ষা করে না। সেটা এমনিতেই স্বয়ংপ্রকাশ, সেই আনন্দটাই আমরা নিলাম।
স্কুল, কিন্ডারগার্টেন খুলে যাচ্ছে অচিরেই। আবার ক্লাসরুমে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াবেন আবদুর রহমান। তাহলে কি জীবনের এই অমূল্য প্রাপ্তিকে বিদায় করবেন তিনি? না, করবেন না। কিন্ডারগার্টেনের কাজ সেরে এখানে এসেই বসবেন তিনি। কাজ করবেন। আরও কিছু ব্যবসার মালামালও রাখছেন দোকানে। বাঁচার এই যে আনন্দটা পাচ্ছেন তিনি, সেটাই আমাদের কথার মূল সুর।
আশা-নিরাশা নিয়ে যুগে যুগে জ্ঞানী-গুণী, মহাজনদের মুখনিঃসৃত বাণী আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে বিষম-বিভ্রমের মধ্যে ফেলে রেখেছে। কারণ, তাঁদের কেউ বলেছেন ‘ধন্য আশা কুহকিনি/তোমার মায়ায়, অসার সংসারচক্র ঘোরে নিরবধি, দাঁড়াইত স্থিরভাবে, চলিত না হায়; মন্ত্রবলে তুমি চক্র না ঘুরাতে যদি...’।
৯ ঘণ্টা আগেশিক্ষা শুধু একটি মৌলিক অধিকার নয়, এটি ব্যক্তি ও জাতির ক্ষমতায়নের সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো একটি তরুণ ও জনবহুল দেশে, যেখানে জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ ২৫ বছরের নিচে, সেখানে শিক্ষায় বিনিয়োগ কেবল মানবিক দায়িত্ব নয়, এটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি।
৯ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, কৃষিপণ্য, সীমান্ত বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য দেশব্যাপী পরিচিত। দুঃখজনক হলেও সত্য, দীর্ঘদিন ধরে এ জনপদ উন্নয়ন-বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। বিশেষ করে দেশের যোগাযোগব্যবস্থায় রেলপথের ক্ষেত্রেও এ জেলা থেকে সরাসরি রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত আন্তনগর ট্রেনের সংখ্যা সীমিত।
১০ ঘণ্টা আগেপ্রতিটি শিশুর আছে ভালোবাসা, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার অধিকার। তারা যাতে হাসিমুখে, স্বপ্নভরা চোখে পৃথিবীকে চিনতে পারে—সেই অধিকার সুরক্ষিত রাখা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। অথচ বাস্তবতায় ভিন্ন চিত্রই দেখা যায়। আজও সমাজের মধ্যে অসংখ্য শিশু তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।
১০ ঘণ্টা আগে