সম্পাদকীয়
লকডাউন চলার সময় একজন চিকিৎসকের গাড়ি থামিয়ে তাঁর সঙ্গে বাগ্বিত-ায় জড়িয়ে পড়েন একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ কর্মকর্তা। পুরো ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণ করে তা গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। একটি ছোট ঘটনাকে অহেতুক বড় করে পেশাজীবীদের মধ্যে বিবাদ তৈরি করা একেবারেই অনভিপ্রেত। ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন পেশাজীবীই নিজ নিজ পেশা ও মর্যাদার প্রতি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মনে করার কারণ আছে। তিনজনই কমবেশি ভুল পথে হেঁটেছেন। সহজ সমাধানের চেয়ে জটিলতা বাড়াতে চেয়েছেন। এমন কি পিতৃপরিচয় উল্লেখ করে ‘ক্ষমতা' দেখানো এবং পরস্পরের প্রতি ভাষা ব্যবহারেও শালীনতা, শিক্ষা ও সুরুচির পরিচয় দিতে পারেননি।
বিষয়টি কারও কারও কাছে ডাক্তার বনাম পুলিশ—কার ক্ষমতা বেশি—এই আলোচনায় গিয়ে পৌঁছেছে। বিষয়টি আসলে কোনোভাবেই এই পেশা বনাম সেই পেশা নয়। আমরা এখন একটা খারাপ সময় অতিক্রম করছি। এখন পেশায় পেশায় নয়, লড়াইটা চলছে করোনা বনাম মানুষের মধ্যে—এই মূল লড়াইয়ের সঙ্গে আরও লড়াই চলে আসছে—জীবিকার লড়াই, শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার লড়াই। এই মহামারি রণে সবাই সবার প্রতি সহমর্মিতা নিয়ে পথে নামতে হবে (যাদের জরুরি দরকার), অন্যরা ঘরে থাকতে হবে। এই দুঃসময়ে কৃত্রিম বিভাজন তৈরি করে, উসকে দিয়ে বা শুধু তামাশাবশত অংশগ্রহণ করে মূল শত্রু করোনার বিরুদ্ধে লড়াইটাকে দুর্বল করা কোনোভাবেই উচিত কাজ হবে না। কোথাও কোনো সমস্যা বা অসঙ্গতি দেখা দিলে নিজ নিজ পেশার/সার্ভিসের নেতৃত্ব তড়িৎ পদক্ষেপ নিয়ে জটিলতা নিরসন করা দরকার।
সবাই মিলে এই অদৃশ্য এক প্রবল জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিততে হবে। করোনার শুরু থেকে পুলিশ যেভাবে সেবা দিয়েছে তার কোনো বৈশ্বিক তুলনা নজরে পড়ে না; আবার ডাক্তার, নার্স ও সাপোর্ট স্টাফরাও পুরো লড়াইটা সামনে থেকে লড়েছেন— উভয় পেশার অনেকে মৃত্যুও বরণ করেছেন। এই অবস্থায় আমাদের কারও ভূমিকা যেন কৃত্রিম বিভাজনে কোনোভাবেই সহায়তা না করে । নানা খাতে তলানিতে থাকা দেশটাকে টেনে তুলতে অসম্ভব পরিশ্রম করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। তাঁর নেতৃত্বে সারা দেশের মানুষ আজ অনেক খাতে সফল। আমরা আরও সফল হব। মাথাপিছু আয়ের সঙ্গে মাথাপিছু মানবতাও বাড়াতে হবে; ধর্ম, অঞ্চল, পেশা, দল-উপদলভেদে ঘৃণার কবর দিতে হবে; মানুষকে কেবলই মানুষ পরিচয়টা সামনে এনে এই মারি মোকাবিলায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। চলমান করোনাবিরোধী লড়াইটা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে, প্রত্যেককে প্রত্যেকের জায়গা থেকে লড়তে হবে। পেশাগত বিদ্বেষ পরিহার করে একে অপরের সহযোগী হওয়ার মনোভাব জোরদার করতে হবে। ধৈর্য্য ও সহনশীলতা বাড়াতে হবে। মানবিক আচরণে অভ্যস্ত হতে হবে । সহানুভূতিশীল হতে হবে। ঠুনকো অজুহাতে নতুন সমস্যা তৈরি করার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
লকডাউন চলার সময় একজন চিকিৎসকের গাড়ি থামিয়ে তাঁর সঙ্গে বাগ্বিত-ায় জড়িয়ে পড়েন একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ কর্মকর্তা। পুরো ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণ করে তা গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। একটি ছোট ঘটনাকে অহেতুক বড় করে পেশাজীবীদের মধ্যে বিবাদ তৈরি করা একেবারেই অনভিপ্রেত। ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন পেশাজীবীই নিজ নিজ পেশা ও মর্যাদার প্রতি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মনে করার কারণ আছে। তিনজনই কমবেশি ভুল পথে হেঁটেছেন। সহজ সমাধানের চেয়ে জটিলতা বাড়াতে চেয়েছেন। এমন কি পিতৃপরিচয় উল্লেখ করে ‘ক্ষমতা' দেখানো এবং পরস্পরের প্রতি ভাষা ব্যবহারেও শালীনতা, শিক্ষা ও সুরুচির পরিচয় দিতে পারেননি।
বিষয়টি কারও কারও কাছে ডাক্তার বনাম পুলিশ—কার ক্ষমতা বেশি—এই আলোচনায় গিয়ে পৌঁছেছে। বিষয়টি আসলে কোনোভাবেই এই পেশা বনাম সেই পেশা নয়। আমরা এখন একটা খারাপ সময় অতিক্রম করছি। এখন পেশায় পেশায় নয়, লড়াইটা চলছে করোনা বনাম মানুষের মধ্যে—এই মূল লড়াইয়ের সঙ্গে আরও লড়াই চলে আসছে—জীবিকার লড়াই, শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার লড়াই। এই মহামারি রণে সবাই সবার প্রতি সহমর্মিতা নিয়ে পথে নামতে হবে (যাদের জরুরি দরকার), অন্যরা ঘরে থাকতে হবে। এই দুঃসময়ে কৃত্রিম বিভাজন তৈরি করে, উসকে দিয়ে বা শুধু তামাশাবশত অংশগ্রহণ করে মূল শত্রু করোনার বিরুদ্ধে লড়াইটাকে দুর্বল করা কোনোভাবেই উচিত কাজ হবে না। কোথাও কোনো সমস্যা বা অসঙ্গতি দেখা দিলে নিজ নিজ পেশার/সার্ভিসের নেতৃত্ব তড়িৎ পদক্ষেপ নিয়ে জটিলতা নিরসন করা দরকার।
সবাই মিলে এই অদৃশ্য এক প্রবল জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিততে হবে। করোনার শুরু থেকে পুলিশ যেভাবে সেবা দিয়েছে তার কোনো বৈশ্বিক তুলনা নজরে পড়ে না; আবার ডাক্তার, নার্স ও সাপোর্ট স্টাফরাও পুরো লড়াইটা সামনে থেকে লড়েছেন— উভয় পেশার অনেকে মৃত্যুও বরণ করেছেন। এই অবস্থায় আমাদের কারও ভূমিকা যেন কৃত্রিম বিভাজনে কোনোভাবেই সহায়তা না করে । নানা খাতে তলানিতে থাকা দেশটাকে টেনে তুলতে অসম্ভব পরিশ্রম করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। তাঁর নেতৃত্বে সারা দেশের মানুষ আজ অনেক খাতে সফল। আমরা আরও সফল হব। মাথাপিছু আয়ের সঙ্গে মাথাপিছু মানবতাও বাড়াতে হবে; ধর্ম, অঞ্চল, পেশা, দল-উপদলভেদে ঘৃণার কবর দিতে হবে; মানুষকে কেবলই মানুষ পরিচয়টা সামনে এনে এই মারি মোকাবিলায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। চলমান করোনাবিরোধী লড়াইটা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে, প্রত্যেককে প্রত্যেকের জায়গা থেকে লড়তে হবে। পেশাগত বিদ্বেষ পরিহার করে একে অপরের সহযোগী হওয়ার মনোভাব জোরদার করতে হবে। ধৈর্য্য ও সহনশীলতা বাড়াতে হবে। মানবিক আচরণে অভ্যস্ত হতে হবে । সহানুভূতিশীল হতে হবে। ঠুনকো অজুহাতে নতুন সমস্যা তৈরি করার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
মব ভায়োলেন্স তথা উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ সহিংসতাই যেন কথিত নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের পথ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মব সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না করে উল্টো এর সাফাই গাওয়ায় এমন ধারণার উদ্রেক হওয়াটা কি খুব অস্বাভাবিক? মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের...
৮ ঘণ্টা আগেউত্তেজনা একটি রোগ। এটি সংক্রামকও বটে। হঠাৎ করে আমাদের দেশ ও সমাজে উত্তেজনা এত বেড়েছে যে শান্তিতে থাকা যাচ্ছে না। আমরা বাস করি দেশের বাইরে অথচ এই দূরদেশেও সে উত্তেজনার আঁচ দেখতে পাচ্ছি। যত দিন যাচ্ছে, নিজেদের ভেতর অশান্তি আর গন্ডগোল যেন বেড়েই চলেছে। এর নিরসন কোথায় বা কীভাবে তা সম্ভব...
৮ ঘণ্টা আগেবর্তমান সময়ে ঢাকা মহানগরীসহ যেকোনো শহর এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংখ্যা যেভাবে জ্যামিতিক হারে বাড়ছে, তাতে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব পায়ে চালিত রিকশাকে জাদুঘরে দেখতে যাওয়ার সময় চলে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে তর্ক বা বিতর্কে যাওয়া যেতেই পারে, তবে আমার লেখার উদ্দেশ্য এর কোনোটিই...
৮ ঘণ্টা আগেশুনলে মনে হয় রসিকতা। কিন্তু বাস্তবটা এতটাই তিক্ত যে চোখ কপালে ওঠে। গাজীপুরের শ্রীপুরে এক্স সিরামিকস লিমিটেড নামের একটি কারখানা, যাদের বিরুদ্ধে নদী দখল ও দূষণের একাধিক অভিযোগ প্রমাণসহ রয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের নথিতে, তারা কিনা পেয়েছে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন...
৮ ঘণ্টা আগে