সম্পাদকীয়
সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া ও ইছামতী নদী থেকে চিংড়ির পোনা সংগ্রহের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। নদী থেকে এভাবে পোনা মাছ ধরা নিষিদ্ধ। কিন্তু তাদের দৈনিক আয় সামান্য হলেও বিকল্প কর্মসংস্থানের অভাবে তারা এ কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। মৎস্য কর্মকর্তারা বিকল্প জীবিকার কথা বলেছেন। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় ২৭ এপ্রিল একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রশ্ন হলো, রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো উদ্যোগ কেন দেখা যায় না এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য?
সংবাদটি স্পষ্ট করে তুলেছে একটি গভীর সংকটকে। একদিকে জীবিকার তাগিদে মানুষ বাধ্য হচ্ছে আইন অমান্য করতে, অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে নির্বিচারে পোনা সংগ্রহের কারণে। ঘন জালের ব্যবহারে কেবল চিংড়ি পোনা নয়, বহু প্রজাতির জলজ প্রাণীর জীবন ধ্বংস হচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদীর স্বাভাবিক বাস্তুসংস্থান। জোয়ারের সময় নারী-পুরুষনির্বিশেষে নদীতে নেমে পোনা ধরে প্রতিটি ৪-৫ টাকায় বিক্রি করার চিত্র দারিদ্র্যের এক করুণ প্রতিচ্ছবি। দীর্ঘদিনের এই পেশা তাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সামান্য আয়ে তাদের জীবন চলে না। তাই সরকারের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আকুতি তারা জানিয়েছে।
বৃদ্ধ আজমল হুদা ৪০ বছর ধরে এ পেশায় যুক্ত আছেন। আগে প্রচুর পোনা ধরতে পারতেন। কিন্তু এখন আর সেভাবে পান না। তাই যতটুকুই পান ততটুকু পোনা ধরেই জীবন নির্বাহ করতে বাধ্য হচ্ছেন। সখিনা খাতুনের মতো নারীরা সকাল-সন্ধ্যা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেও মাত্র ১০০ টাকা উপার্জন করেন, যা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন। এই চিত্র একদিকে যেমন মৎস্য সম্পদের ক্রমেই নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়, তেমনি এই জনগোষ্ঠীর অসহায় অবস্থাকেও প্রকট করে তোলে।
সরকারের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী হতদরিদ্রদের জন্য নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। তবে সাতক্ষীরার এই বিপুলসংখ্যক মানুষ কেন সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত, তা একটি বড় প্রশ্ন। আবদুল গফুরের মতো মানুষেরা একসময়ে খাদ্য বা অর্থ সহায়তার কার্ড পেলেও পরবর্তী সময়ে সহায়তা না পেয়ে হতাশ। এখন যখন উপার্জনের পথ সীমিত হয়ে এসেছে, তখন সরকারি সহযোগিতা তাঁদের জন্য আশার আলো হতে পারত।
মাছচাষিরা স্বীকার করছেন যে নদী থেকে আহরিত পোনা খুবই পুষ্টিকর ও মানসম্মত। পোনার সংকটকালে এটি তাঁদের জন্য ভরসার উৎস। তবে একটি বিষয় মনে রাখা জরুরি, স্বল্পমেয়াদি লাভের জন্য পোনা ধরে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করা উচিত নয়। চিংড়ি পোনা ধরতে গিয়ে ৪০ ধরনের জলজ পোনা নিধনের ফলে পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়ছে।
এই মানুষগুলোকে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যে আনা গেলে একদিকে যেমন তারা উপকৃত হবে, তেমনই মাছের প্রাকৃতিক উৎসও নিরাপদ থাকবে। এ পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও রাষ্ট্রীয়ভাবে করতে হবে। আর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে পোনা ধরা বন্ধ করতে হবে। কেবল আইনি নিষেধাজ্ঞা জারি করে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে না।
সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া ও ইছামতী নদী থেকে চিংড়ির পোনা সংগ্রহের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। নদী থেকে এভাবে পোনা মাছ ধরা নিষিদ্ধ। কিন্তু তাদের দৈনিক আয় সামান্য হলেও বিকল্প কর্মসংস্থানের অভাবে তারা এ কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। মৎস্য কর্মকর্তারা বিকল্প জীবিকার কথা বলেছেন। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় ২৭ এপ্রিল একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রশ্ন হলো, রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো উদ্যোগ কেন দেখা যায় না এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য?
সংবাদটি স্পষ্ট করে তুলেছে একটি গভীর সংকটকে। একদিকে জীবিকার তাগিদে মানুষ বাধ্য হচ্ছে আইন অমান্য করতে, অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে নির্বিচারে পোনা সংগ্রহের কারণে। ঘন জালের ব্যবহারে কেবল চিংড়ি পোনা নয়, বহু প্রজাতির জলজ প্রাণীর জীবন ধ্বংস হচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদীর স্বাভাবিক বাস্তুসংস্থান। জোয়ারের সময় নারী-পুরুষনির্বিশেষে নদীতে নেমে পোনা ধরে প্রতিটি ৪-৫ টাকায় বিক্রি করার চিত্র দারিদ্র্যের এক করুণ প্রতিচ্ছবি। দীর্ঘদিনের এই পেশা তাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সামান্য আয়ে তাদের জীবন চলে না। তাই সরকারের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আকুতি তারা জানিয়েছে।
বৃদ্ধ আজমল হুদা ৪০ বছর ধরে এ পেশায় যুক্ত আছেন। আগে প্রচুর পোনা ধরতে পারতেন। কিন্তু এখন আর সেভাবে পান না। তাই যতটুকুই পান ততটুকু পোনা ধরেই জীবন নির্বাহ করতে বাধ্য হচ্ছেন। সখিনা খাতুনের মতো নারীরা সকাল-সন্ধ্যা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেও মাত্র ১০০ টাকা উপার্জন করেন, যা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন। এই চিত্র একদিকে যেমন মৎস্য সম্পদের ক্রমেই নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়, তেমনি এই জনগোষ্ঠীর অসহায় অবস্থাকেও প্রকট করে তোলে।
সরকারের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী হতদরিদ্রদের জন্য নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। তবে সাতক্ষীরার এই বিপুলসংখ্যক মানুষ কেন সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত, তা একটি বড় প্রশ্ন। আবদুল গফুরের মতো মানুষেরা একসময়ে খাদ্য বা অর্থ সহায়তার কার্ড পেলেও পরবর্তী সময়ে সহায়তা না পেয়ে হতাশ। এখন যখন উপার্জনের পথ সীমিত হয়ে এসেছে, তখন সরকারি সহযোগিতা তাঁদের জন্য আশার আলো হতে পারত।
মাছচাষিরা স্বীকার করছেন যে নদী থেকে আহরিত পোনা খুবই পুষ্টিকর ও মানসম্মত। পোনার সংকটকালে এটি তাঁদের জন্য ভরসার উৎস। তবে একটি বিষয় মনে রাখা জরুরি, স্বল্পমেয়াদি লাভের জন্য পোনা ধরে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করা উচিত নয়। চিংড়ি পোনা ধরতে গিয়ে ৪০ ধরনের জলজ পোনা নিধনের ফলে পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়ছে।
এই মানুষগুলোকে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যে আনা গেলে একদিকে যেমন তারা উপকৃত হবে, তেমনই মাছের প্রাকৃতিক উৎসও নিরাপদ থাকবে। এ পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও রাষ্ট্রীয়ভাবে করতে হবে। আর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে পোনা ধরা বন্ধ করতে হবে। কেবল আইনি নিষেধাজ্ঞা জারি করে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে না।
লেখার শিরোনাম দেখেই যদি কেউ ভেবে থাকেন, এখানে অমূল্য রতন পেয়ে যাবেন, তাহলে ভুল করবেন। ফেব্রুয়ারি আর এপ্রিল নিয়ে এমন এক গাড্ডায় পড়েছে নির্বাচন যে, কোনো ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করার শক্তি কারও নেই। বিএনপির হাতে মুলা ধরিয়ে দিয়ে এই সরকারই আরও অনেক দিন ক্ষমতায় থাকার বাসনা পোষণ করছে কি না...
৩ ঘণ্টা আগেবিশ্বে পরিবেশদূষণকারী হিসেবে ১৫টি প্রধান দূষক চিহ্নিত করা হয়েছে। পয়লা নম্বরে আছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। বিশ্বব্যাপী পরিবেশদূষণে ৫ নম্বর দূষণকারী এখন প্লাস্টিক। দূষণের মাত্রা অনুযায়ী এই অবস্থান নির্ধারিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত ‘সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে (সিপিএস) ২০২৫’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন আমাদের সামনে একটি হতাশাজনক বাস্তবতা তুলে ধরেছে।
৩ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত সভা এখন অতীত বিষয়। ওই সভার পর দেশের রাজনীতিতে অনেক কিছুই সমন্বয় হয়ে গেছে এবং এখনো হয়ে যাচ্ছে। রাজনীতি একটি দ্রুত অগ্রসরমাণ বিষয়। তার কয়েক দিনও এক জায়গায় অবস্থানের সুযোগ নেই।
১ দিন আগে