সম্পাদকীয়
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে তিনি অতীতে দায়িত্ব পালনে ঘাটতির কারণে মানুষের মনে ভোটের প্রতি যে অনাস্থা তৈরি হয়েছে, সে বিষয়টিও তুলে ধরেছেন। এই সাহসী ও স্বতঃস্ফূর্ত স্বীকারোক্তি ইতিবাচক। কারণ, সমস্যার মূল কারণ চিহ্নিত করা গেলেই কেবল তার সমাধান সম্ভব।
গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হলো জনগণের ভোটাধিকার। কিন্তু কয়েক বছর ধরে দেশের মানুষ ভোটবিমুখ হয়ে পড়েছিল। সিইসি নিজেও উল্লেখ করেছেন, মানুষ এখন ভোটের দিন আরামে ঘুমাতে পছন্দ করে। কারণ, তাদের মনে এই ধারণা জন্মেছে যে তারা কেন্দ্রে না গেলেও ভোট তো অন্য কেউ দিয়ে দেবে। এই মানসিকতা একটি সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়। মানুষের এই হতাশা ও অনাস্থা দূর করে তাদের ভোটকেন্দ্রে ফিরিয়ে আনা নির্বাচন কমিশনের এক বিরাট দায়িত্ব।
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সিইসি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা বলেছেন। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন এবং পোলিং ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিয়ে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করার কথা বলেছেন, যেখানে ভোটাররা নির্ভয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। একই সঙ্গে অতীতের নির্বাচনে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের যথাসম্ভব বাদ দেওয়ার যে চিন্তা তিনি করছেন, তা একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। এটি স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তবে এই সময়ের প্রেক্ষাপটে আরও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার। এই ডিজিটাল যুগে মিথ্যা তথ্য বা ‘ফেক নিউজ’ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং তা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। নির্বাচন কমিশনকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তিগতভাবে আরও শক্তিশালী হতে হবে।
শুধু নির্বাচন কমিশন বা প্রশাসন নয়, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। দেশের প্রত্যেক নাগরিক, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহনশীলতা ফিরে আসা দরকার। গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। গণমাধ্যম শুধু স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করলেই হবে না, তাদের দলীয় প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে কাজ করতে হবে। সাধারণ মানুষকেও তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের গুরুত্ব উপলব্ধি করাতে ব্যাপক প্রচারকাজ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে, যা ভোটারদের আস্থা ফেরানোর জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে।
দেশের মানুষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সম্মিলিত চেষ্টায় একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব। আমরাও সেই আশাবাদ ব্যক্ত করি। জনগণের হারানো আস্থা ফিরিয়ে আনা হোক নির্বাচন কমিশনের এবারের সবচেয়ে বড় সাফল্যের মাপকাঠি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে তিনি অতীতে দায়িত্ব পালনে ঘাটতির কারণে মানুষের মনে ভোটের প্রতি যে অনাস্থা তৈরি হয়েছে, সে বিষয়টিও তুলে ধরেছেন। এই সাহসী ও স্বতঃস্ফূর্ত স্বীকারোক্তি ইতিবাচক। কারণ, সমস্যার মূল কারণ চিহ্নিত করা গেলেই কেবল তার সমাধান সম্ভব।
গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হলো জনগণের ভোটাধিকার। কিন্তু কয়েক বছর ধরে দেশের মানুষ ভোটবিমুখ হয়ে পড়েছিল। সিইসি নিজেও উল্লেখ করেছেন, মানুষ এখন ভোটের দিন আরামে ঘুমাতে পছন্দ করে। কারণ, তাদের মনে এই ধারণা জন্মেছে যে তারা কেন্দ্রে না গেলেও ভোট তো অন্য কেউ দিয়ে দেবে। এই মানসিকতা একটি সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়। মানুষের এই হতাশা ও অনাস্থা দূর করে তাদের ভোটকেন্দ্রে ফিরিয়ে আনা নির্বাচন কমিশনের এক বিরাট দায়িত্ব।
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সিইসি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা বলেছেন। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন এবং পোলিং ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিয়ে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করার কথা বলেছেন, যেখানে ভোটাররা নির্ভয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। একই সঙ্গে অতীতের নির্বাচনে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের যথাসম্ভব বাদ দেওয়ার যে চিন্তা তিনি করছেন, তা একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। এটি স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তবে এই সময়ের প্রেক্ষাপটে আরও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার। এই ডিজিটাল যুগে মিথ্যা তথ্য বা ‘ফেক নিউজ’ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং তা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। নির্বাচন কমিশনকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তিগতভাবে আরও শক্তিশালী হতে হবে।
শুধু নির্বাচন কমিশন বা প্রশাসন নয়, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। দেশের প্রত্যেক নাগরিক, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহনশীলতা ফিরে আসা দরকার। গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। গণমাধ্যম শুধু স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করলেই হবে না, তাদের দলীয় প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে কাজ করতে হবে। সাধারণ মানুষকেও তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের গুরুত্ব উপলব্ধি করাতে ব্যাপক প্রচারকাজ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে, যা ভোটারদের আস্থা ফেরানোর জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে।
দেশের মানুষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সম্মিলিত চেষ্টায় একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব। আমরাও সেই আশাবাদ ব্যক্ত করি। জনগণের হারানো আস্থা ফিরিয়ে আনা হোক নির্বাচন কমিশনের এবারের সবচেয়ে বড় সাফল্যের মাপকাঠি।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
৪ ঘণ্টা আগেগত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
৪ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১ দিন আগেদেশে নারী জাগরণ অভূতপূর্ব। এটা বলে বোঝানোর দরকার পড়ে না। বীরকন্যা প্রীতিলতা, বেগম রোকেয়া থেকে জাহানারা ইমামে এর উজ্জ্বলতা ছড়িয়ে রয়েছে। বাংলাদেশ শাসিত হয়েছে নারীর অধীনে। এরশাদের পতনের পর সরাসরি সামরিক শাসনের অবসান হলে খালেদা জিয়া দেশ শাসনে আসেন।
১ দিন আগে