সম্পাদকীয়
বাংলাদেশে নদীভাঙন কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়; বরং বলা যায়, নিয়মিত ঘটনা। অসংখ্য নদীর দেশে ভাঙন কোথাও না-কোথাও ঘটে চলে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে ভাঙন প্রবল আকার ধারণ করে। গত কয়েক দিনে আজকের পত্রিকায় বেশ কয়েকটি জেলায় নদীভাঙনের খবর ছাপা হয়েছে। ভাঙন মানে শত শত মানুষের কান্না-হাহাকার, সর্বস্ব হারানোর দুঃখ-যন্ত্রণা।
নদী ভাঙে, আবার গড়েও। তবে ভাঙনে সর্বনাশ ঘটে, আর গড়ার কাজটি সম্পন্ন হয় ধীরে ধীরে, এমনকি বছরের পর বছর অপেক্ষার পর। ‘এ-কূল ভাঙে ও-কূল গড়ে/এই তো নদীর খেলা/এই তো নদীর খেলা/সকালবেলা আমির রে ভাই, ফকির সন্ধ্যা বেলা’। ভাঙনের খবর পড়লে এই গানের কথা কার না মনে পড়ে!
গত কয়েক দিনের কিছু ভাঙনের খবর: গত তিন মাসে নদীভাঙনে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের ২০০ পরিবারের বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। তিস্তা নদী ওই পরিবারগুলোকে পথে বসিয়েছে।
তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় সন্ধ্যা, সুগন্ধা ও আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করায় বিপন্ন হয়ে পড়েছে অনেক মানুষের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ভোলা জেলার তেঁতুলিয়ায় মেঘনার ভাঙনে বসতবাড়ি, দোকানপাট, কৃষিজমি, মাছঘাটা হারিয়ে দিশেহারা শত শত মানুষ।
মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ, শরীয়তপুরে পদ্মা ও কীর্তিনাশার ভাঙনেও সব হারিয়ে মানুষ বেঁচে থাকার লড়াই করছেন। মুন্সিগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী থেকেও ভাঙনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক তথ্যে জানা যায়, বাংলাদেশে অতি ভাঙনপ্রবণ এলাকা রয়েছে তিন শতাধিক। গত চার দশকের বেশি সময়ে কমবেশি এক লাখ হেক্টর ভূমি ভাঙনের কারণে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কোনো একটি জেলার চেয়ে বেশি ভূমি গ্রাস করেছে নদী। কিন্তু এই সময়ে কী পরিমাণ জমি চরে জেগে উঠেছে এবং মানুষের কাজে লাগছে, তার হিসাব আছে কি না জানা নেই।
কোথাও ভাঙন দেখা দিলে তড়িঘড়ি বিপুল অর্থ ব্যয়ে বালুর বস্তা, ব্লক, বালুভর্তি জিও ব্যাগ, জিও টিউব ফেলা হয়। এতে খুব কাজ হয় না। উল্টো এভাবে অপরিকল্পিত, অস্থায়ী এবং অকার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে কোটি কোটি টাকার অপচয় হয়। ভাঙনরোধে বাংলাদেশে একচোখা নীতি নেওয়ার অভিযোগও আছে। ভাঙনরোধে বালুর বস্তা ফেলা বা বাঁধ নির্মাণের জন্য অর্থ খরচ কম হয় তা কিন্তু নয়। বাঁধ তৈরি, নদী খননকাজে একটি বড় দুর্নীতির চক্র গড়ে ওঠার অভিযোগও নতুন নয়। ঠিকাদারদের কাজের তদারকি থাকে না। মোটা বালু ব্যবহারের কথা বলে চিকন বালু ব্যবহার করা হয়।
যে পরিমাণ বস্তা ফেলার কথা, ফেলা হয় তার চেয়ে কম। অবহেলা, দুর্নীতি, পরিকল্পনাহীনতার ফাঁদে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করেও ঠেকানো যায় না ভাঙন। নদী ভাঙে, ভাঙে মানুষের কপাল। অথচ পরিকল্পিতভাবে ভাঙনরোধের ব্যবস্থা নেওয়া হলে, কাজগুলো ঠিকভাবে হলে মানুষ এই দুর্দশা থেকে বেরিয়ে আসতে পারত।
বাংলাদেশে নদীভাঙন কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়; বরং বলা যায়, নিয়মিত ঘটনা। অসংখ্য নদীর দেশে ভাঙন কোথাও না-কোথাও ঘটে চলে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে ভাঙন প্রবল আকার ধারণ করে। গত কয়েক দিনে আজকের পত্রিকায় বেশ কয়েকটি জেলায় নদীভাঙনের খবর ছাপা হয়েছে। ভাঙন মানে শত শত মানুষের কান্না-হাহাকার, সর্বস্ব হারানোর দুঃখ-যন্ত্রণা।
নদী ভাঙে, আবার গড়েও। তবে ভাঙনে সর্বনাশ ঘটে, আর গড়ার কাজটি সম্পন্ন হয় ধীরে ধীরে, এমনকি বছরের পর বছর অপেক্ষার পর। ‘এ-কূল ভাঙে ও-কূল গড়ে/এই তো নদীর খেলা/এই তো নদীর খেলা/সকালবেলা আমির রে ভাই, ফকির সন্ধ্যা বেলা’। ভাঙনের খবর পড়লে এই গানের কথা কার না মনে পড়ে!
গত কয়েক দিনের কিছু ভাঙনের খবর: গত তিন মাসে নদীভাঙনে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের ২০০ পরিবারের বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। তিস্তা নদী ওই পরিবারগুলোকে পথে বসিয়েছে।
তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় সন্ধ্যা, সুগন্ধা ও আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করায় বিপন্ন হয়ে পড়েছে অনেক মানুষের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ভোলা জেলার তেঁতুলিয়ায় মেঘনার ভাঙনে বসতবাড়ি, দোকানপাট, কৃষিজমি, মাছঘাটা হারিয়ে দিশেহারা শত শত মানুষ।
মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ, শরীয়তপুরে পদ্মা ও কীর্তিনাশার ভাঙনেও সব হারিয়ে মানুষ বেঁচে থাকার লড়াই করছেন। মুন্সিগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী থেকেও ভাঙনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক তথ্যে জানা যায়, বাংলাদেশে অতি ভাঙনপ্রবণ এলাকা রয়েছে তিন শতাধিক। গত চার দশকের বেশি সময়ে কমবেশি এক লাখ হেক্টর ভূমি ভাঙনের কারণে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কোনো একটি জেলার চেয়ে বেশি ভূমি গ্রাস করেছে নদী। কিন্তু এই সময়ে কী পরিমাণ জমি চরে জেগে উঠেছে এবং মানুষের কাজে লাগছে, তার হিসাব আছে কি না জানা নেই।
কোথাও ভাঙন দেখা দিলে তড়িঘড়ি বিপুল অর্থ ব্যয়ে বালুর বস্তা, ব্লক, বালুভর্তি জিও ব্যাগ, জিও টিউব ফেলা হয়। এতে খুব কাজ হয় না। উল্টো এভাবে অপরিকল্পিত, অস্থায়ী এবং অকার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে কোটি কোটি টাকার অপচয় হয়। ভাঙনরোধে বাংলাদেশে একচোখা নীতি নেওয়ার অভিযোগও আছে। ভাঙনরোধে বালুর বস্তা ফেলা বা বাঁধ নির্মাণের জন্য অর্থ খরচ কম হয় তা কিন্তু নয়। বাঁধ তৈরি, নদী খননকাজে একটি বড় দুর্নীতির চক্র গড়ে ওঠার অভিযোগও নতুন নয়। ঠিকাদারদের কাজের তদারকি থাকে না। মোটা বালু ব্যবহারের কথা বলে চিকন বালু ব্যবহার করা হয়।
যে পরিমাণ বস্তা ফেলার কথা, ফেলা হয় তার চেয়ে কম। অবহেলা, দুর্নীতি, পরিকল্পনাহীনতার ফাঁদে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করেও ঠেকানো যায় না ভাঙন। নদী ভাঙে, ভাঙে মানুষের কপাল। অথচ পরিকল্পিতভাবে ভাঙনরোধের ব্যবস্থা নেওয়া হলে, কাজগুলো ঠিকভাবে হলে মানুষ এই দুর্দশা থেকে বেরিয়ে আসতে পারত।
আশা-নিরাশা নিয়ে যুগে যুগে জ্ঞানী-গুণী, মহাজনদের মুখনিঃসৃত বাণী আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে বিষম-বিভ্রমের মধ্যে ফেলে রেখেছে। কারণ, তাঁদের কেউ বলেছেন ‘ধন্য আশা কুহকিনি/তোমার মায়ায়, অসার সংসারচক্র ঘোরে নিরবধি, দাঁড়াইত স্থিরভাবে, চলিত না হায়; মন্ত্রবলে তুমি চক্র না ঘুরাতে যদি...’।
১৩ ঘণ্টা আগেশিক্ষা শুধু একটি মৌলিক অধিকার নয়, এটি ব্যক্তি ও জাতির ক্ষমতায়নের সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো একটি তরুণ ও জনবহুল দেশে, যেখানে জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ ২৫ বছরের নিচে, সেখানে শিক্ষায় বিনিয়োগ কেবল মানবিক দায়িত্ব নয়, এটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি।
১৩ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, কৃষিপণ্য, সীমান্ত বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য দেশব্যাপী পরিচিত। দুঃখজনক হলেও সত্য, দীর্ঘদিন ধরে এ জনপদ উন্নয়ন-বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। বিশেষ করে দেশের যোগাযোগব্যবস্থায় রেলপথের ক্ষেত্রেও এ জেলা থেকে সরাসরি রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত আন্তনগর ট্রেনের সংখ্যা সীমিত।
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রতিটি শিশুর আছে ভালোবাসা, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার অধিকার। তারা যাতে হাসিমুখে, স্বপ্নভরা চোখে পৃথিবীকে চিনতে পারে—সেই অধিকার সুরক্ষিত রাখা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। অথচ বাস্তবতায় ভিন্ন চিত্রই দেখা যায়। আজও সমাজের মধ্যে অসংখ্য শিশু তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।
১৩ ঘণ্টা আগে