সম্পাদকীয়
সবাই যেন বেশ খুশি! প্রিয় ঢাকাসহ সব আগের রূপে! বিষয়টা এমন যে, জ্যামের শহরে জ্যাম না থাকলে কি চলে? এই শহরে জ্যাম থাকবে, কোলাহল, হুইহুল্লোড়, বেড়ানো, আড্ডা, শপিং–এসব না থাকলে ঢাকাকে ঢাকাই মনে হয় না! তাই লকডাউন তুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সবাই ঝাঁকের কইয়ের মতো বেরিয়ে পড়েছেন রাস্তায়, গলিতে, মার্কেটে–সর্বত্র। এটাই তো ঢাকা।
খবরে জানা যায়, প্রায় ১৯ দিনের টানা লকডাউন শেষে বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় রাজধানীসহ সারা দেশ ফিরে গেছে তার আগের রূপে। স্বাভাবিক নিয়মে চলছে গণপরিবহন। বাধা ছাড়াই ঢাকায় ফিরছে মানুষ। ট্রেন ও গণপরিবহনে আসনসংখ্যার চেয়ে বেশি যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। লঞ্চের ডেকের অবস্থাও একই। কোথাও নেই স্বাস্থ্যবিধি। গণপরিবহনের অনেক চালক, হেলপার, যাত্রীরাও সবাই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। মার্কেটে, বাজারে, দোকানে উপচে পড়া ভিড়। সবাই যেন হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। দোকানে দোকানে চায়ের আড্ডায় তরুণ-তরুণীদের সরব উপস্থিতি। বেড়ানোর জায়গাগুলোয়ও ভিড়।
প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে কি করোনা শেষ হয়ে গেছে? লকডাউনের সঙ্গে সঙ্গে করোনাও চলে গেছে? না, এমনটি মনে করার কোনো কারণ নেই। তথ্য বলছে, করোনা সংক্রমণের হার এখনো বিপৎসীমার ওপরে আছে। এখনো মৃত্যু দিনে গড়ে আড়াই শর মতো। আর যেভাবে মানুষ স্বাভাবিক সময়ের মতো বের হচ্ছে, আগামী দুই সপ্তাহ পর সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে–এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
সবকিছু খুলে দেওয়া মানে কি সবকিছু স্বাভাবিক? তা তো নয়। একটি ছোট অর্থনীতির দেশ। সবকিছু দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ থাকলে এর চাপ এই অর্থনীতি সইতে পারে না। অসংখ্য মানুষকে না খেয়ে থাকতে হয়। আয় বন্ধ হয়ে অনেকের জীবন বিপন্ন হয়। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় ধ্বংসের মুখে পড়ে। তাই সরকার খুলে দিয়েছে সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেদের অপরিহার্য কাজগুলো করতে পারে।
কিন্তু সবকিছু খুলে দেওয়ার প্রথম দিনেই যা দেখা গেল, তা রীতিমতো ভয়ংকর। অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বের হয়েছেন। অনেকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। যেহেতু করোনার সংক্রমণ এখনো বিপজ্জনক অবস্থায় আছে। মানুষ মরছে। তাই সবকিছু খুলে দিলেও স্বাভাবিক সময়ের মতো আচরণ করা উচিত নয়। সবারই বুঝতে হবে, অনেককে জীবিকার প্রয়োজনে বের হতে হচ্ছে। যাঁরা বের হচ্ছেন, তাঁরা অবশ্যই শতভাগ নিয়মনীতি মেনে বের হবেন। কারখানা, অফিস, মার্কেট–সর্বত্র একইভাবে সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে সবাইকে।
আর যাঁদের বের হওয়ার প্রয়োজন নেই। যাঁরা চাকরি, ব্যবসা বা কোনো ধরনের কাজে যুক্ত নন, তাঁরা কেন বের হবেন? কেন পার্ক, খেলার মাঠ, গলির চায়ের দোকানে ভিড় করবেন, আড্ডা দেবেন? দেড় বছর ধরে নিশ্চয় সবাই জেনে গেছেন স্বাস্থ্যবিধি কী, কেন তা মানতে হবে? তারপরও ঠিকমতো এর চর্চা হচ্ছে না। সবাই হুজুগে বের হচ্ছেন, আনন্দ করছেন। সবারই আরও সতর্ক হওয়া উচিত। গড্ডলিকায় গা না ভাসিয়ে যাঁদের না বের হলেই নয়, শুধু তারাই বের হন, অন্যরা ঘরে থাকুন।
সবাই যেন বেশ খুশি! প্রিয় ঢাকাসহ সব আগের রূপে! বিষয়টা এমন যে, জ্যামের শহরে জ্যাম না থাকলে কি চলে? এই শহরে জ্যাম থাকবে, কোলাহল, হুইহুল্লোড়, বেড়ানো, আড্ডা, শপিং–এসব না থাকলে ঢাকাকে ঢাকাই মনে হয় না! তাই লকডাউন তুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সবাই ঝাঁকের কইয়ের মতো বেরিয়ে পড়েছেন রাস্তায়, গলিতে, মার্কেটে–সর্বত্র। এটাই তো ঢাকা।
খবরে জানা যায়, প্রায় ১৯ দিনের টানা লকডাউন শেষে বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় রাজধানীসহ সারা দেশ ফিরে গেছে তার আগের রূপে। স্বাভাবিক নিয়মে চলছে গণপরিবহন। বাধা ছাড়াই ঢাকায় ফিরছে মানুষ। ট্রেন ও গণপরিবহনে আসনসংখ্যার চেয়ে বেশি যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। লঞ্চের ডেকের অবস্থাও একই। কোথাও নেই স্বাস্থ্যবিধি। গণপরিবহনের অনেক চালক, হেলপার, যাত্রীরাও সবাই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। মার্কেটে, বাজারে, দোকানে উপচে পড়া ভিড়। সবাই যেন হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। দোকানে দোকানে চায়ের আড্ডায় তরুণ-তরুণীদের সরব উপস্থিতি। বেড়ানোর জায়গাগুলোয়ও ভিড়।
প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে কি করোনা শেষ হয়ে গেছে? লকডাউনের সঙ্গে সঙ্গে করোনাও চলে গেছে? না, এমনটি মনে করার কোনো কারণ নেই। তথ্য বলছে, করোনা সংক্রমণের হার এখনো বিপৎসীমার ওপরে আছে। এখনো মৃত্যু দিনে গড়ে আড়াই শর মতো। আর যেভাবে মানুষ স্বাভাবিক সময়ের মতো বের হচ্ছে, আগামী দুই সপ্তাহ পর সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে–এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
সবকিছু খুলে দেওয়া মানে কি সবকিছু স্বাভাবিক? তা তো নয়। একটি ছোট অর্থনীতির দেশ। সবকিছু দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ থাকলে এর চাপ এই অর্থনীতি সইতে পারে না। অসংখ্য মানুষকে না খেয়ে থাকতে হয়। আয় বন্ধ হয়ে অনেকের জীবন বিপন্ন হয়। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় ধ্বংসের মুখে পড়ে। তাই সরকার খুলে দিয়েছে সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেদের অপরিহার্য কাজগুলো করতে পারে।
কিন্তু সবকিছু খুলে দেওয়ার প্রথম দিনেই যা দেখা গেল, তা রীতিমতো ভয়ংকর। অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বের হয়েছেন। অনেকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। যেহেতু করোনার সংক্রমণ এখনো বিপজ্জনক অবস্থায় আছে। মানুষ মরছে। তাই সবকিছু খুলে দিলেও স্বাভাবিক সময়ের মতো আচরণ করা উচিত নয়। সবারই বুঝতে হবে, অনেককে জীবিকার প্রয়োজনে বের হতে হচ্ছে। যাঁরা বের হচ্ছেন, তাঁরা অবশ্যই শতভাগ নিয়মনীতি মেনে বের হবেন। কারখানা, অফিস, মার্কেট–সর্বত্র একইভাবে সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে সবাইকে।
আর যাঁদের বের হওয়ার প্রয়োজন নেই। যাঁরা চাকরি, ব্যবসা বা কোনো ধরনের কাজে যুক্ত নন, তাঁরা কেন বের হবেন? কেন পার্ক, খেলার মাঠ, গলির চায়ের দোকানে ভিড় করবেন, আড্ডা দেবেন? দেড় বছর ধরে নিশ্চয় সবাই জেনে গেছেন স্বাস্থ্যবিধি কী, কেন তা মানতে হবে? তারপরও ঠিকমতো এর চর্চা হচ্ছে না। সবাই হুজুগে বের হচ্ছেন, আনন্দ করছেন। সবারই আরও সতর্ক হওয়া উচিত। গড্ডলিকায় গা না ভাসিয়ে যাঁদের না বের হলেই নয়, শুধু তারাই বের হন, অন্যরা ঘরে থাকুন।
আশা-নিরাশা নিয়ে যুগে যুগে জ্ঞানী-গুণী, মহাজনদের মুখনিঃসৃত বাণী আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে বিষম-বিভ্রমের মধ্যে ফেলে রেখেছে। কারণ, তাঁদের কেউ বলেছেন ‘ধন্য আশা কুহকিনি/তোমার মায়ায়, অসার সংসারচক্র ঘোরে নিরবধি, দাঁড়াইত স্থিরভাবে, চলিত না হায়; মন্ত্রবলে তুমি চক্র না ঘুরাতে যদি...’।
১৮ ঘণ্টা আগেশিক্ষা শুধু একটি মৌলিক অধিকার নয়, এটি ব্যক্তি ও জাতির ক্ষমতায়নের সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো একটি তরুণ ও জনবহুল দেশে, যেখানে জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ ২৫ বছরের নিচে, সেখানে শিক্ষায় বিনিয়োগ কেবল মানবিক দায়িত্ব নয়, এটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি।
১৯ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, কৃষিপণ্য, সীমান্ত বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য দেশব্যাপী পরিচিত। দুঃখজনক হলেও সত্য, দীর্ঘদিন ধরে এ জনপদ উন্নয়ন-বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। বিশেষ করে দেশের যোগাযোগব্যবস্থায় রেলপথের ক্ষেত্রেও এ জেলা থেকে সরাসরি রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত আন্তনগর ট্রেনের সংখ্যা সীমিত।
১৯ ঘণ্টা আগেপ্রতিটি শিশুর আছে ভালোবাসা, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার অধিকার। তারা যাতে হাসিমুখে, স্বপ্নভরা চোখে পৃথিবীকে চিনতে পারে—সেই অধিকার সুরক্ষিত রাখা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। অথচ বাস্তবতায় ভিন্ন চিত্রই দেখা যায়। আজও সমাজের মধ্যে অসংখ্য শিশু তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।
১৯ ঘণ্টা আগে