সম্পাদকীয়
মুক্তিযুদ্ধে বীর প্রতীক উপাধি পেয়েছেন যিনি, তাঁকে একজন চিকিৎসক না-ও চিনতে পারেন। কিন্তু এ কারণে তাঁর ছেলের চিকিৎসাসেবা দেবেন না স্রেফ অফিস টাইমে আসেননি বলে, এটাএক উদ্ভট যুক্তি!
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে গত শনিবার ভোরে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। বীর প্রতীক আব্দুল মজিদ মারা গেছেন, তাঁর ছেলে মেসবাউল গণি সুমন অজ্ঞান হয়ে গেছেন, তাঁর চিকিৎসা দরকার। উপায়ান্তর না দেখে কমপ্লেক্সের আরএমওর কোয়ার্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। এরপরই আরএমও দুর্ব্যবহার করেন রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে। হতে পারে, অত ভোরে নিজ কোয়ার্টারে হঠাৎ করে বাইরের মানুষ দেখে মেজাজ ঠিক রাখতে পারেননি আরএমও সিফাত আরা সামরিন। কিন্তু একজন দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে এরপর যে ব্যবহার করেছেন, তা ভদ্রোচিত নয়।
মুক্তিযুদ্ধের একজন স্বীকৃত বীরকে তিনি হয়তো ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান করেননি, কিন্তু এ কথা তো সত্য, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটা অশুভ প্রচারণা চলছে এ দেশে দিনের পর দিন। নিজেরা দেশের জন্য কোনো ত্যাগ স্বীকার না করেই স্বাধীন দেশের সুফলটুকু পাচ্ছেন, কিন্তু দোষারোপ করে যাচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের—এ রকম মানুষের সংখ্যা এ দেশে বাড়ছে। এর একটা বড় কারণ, যে অঙ্গীকার নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সে অঙ্গীকারগুলো পূরণ করা হয়নি। বাঙালির জাতীয় জীবনে মুক্তিযুদ্ধের মতো এত বড় ঘটনা আর একটিও নেই। সেই মুক্তিযুদ্ধকে যে যার মতো ব্যবহার করতে চেয়েছে। এবং এ কথা বলা অন্যায় হবে না, দেশ স্বাধীন হওয়ার সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই দেশকে আবার ‘মিনি পাকিস্তান’ বানানোর ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গিয়েছিল, যা অনেকাংশেই সফল হয়েছে। এ রকম প্রেক্ষাপটে দেশপ্রেমের জায়গায় মানুষের মনে সুবিধাবাদ জায়গা করে নিতেই পারে। চারদিকে যখন সবকিছু ভেঙে পড়ছে, তখন ‘কে দেবে ধিক্কার কাকে’?
বীর প্রতীক মুক্তিযোদ্ধাকে চেনেন না বলা হলে আসলে বলা হয়, তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে খুব একটা আগ্রহী নন। দেশের ভাবমূর্তি ধরে না রাখার ক্ষেত্রে এটা সম্মিলিত ব্যর্থতার ফল।
আরেকটি বিষয় হলো, চিকিৎসাসেবা। কে না জানে, একজন চিকিৎসককে হিপোক্রেটিসের শপথ নিতে হয়। একজন রোগী, তিনি যে-ই হোন না কেন, তাঁর সেবা করার অঙ্গীকার করেই চিকিৎসক হতে হয়। কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগটি কেন সে সময় ছিল চিকিৎসকহীন, সেটার জবাব চাওয়ার পাশাপাশি আরএমওর কাছ থেকে সংযত ব্যবহারের প্রত্যাশা করা কোনো বাড়তি চাওয়া নয়।
ক্ষমতা মানুষকে অন্ধ করে তুলতে পারে, সে কথা আরএমও বোঝেন কি না, জানি না। কিন্তু তিনি সংযমী হয়ে কথা বললে বা কাজ করলে শুধু তিনিই নন, উপকৃত হবে গোটা এলাকার মানুষ। দেশকে ভালোবাসা আর মানুষকে ভালোবাসার মাধ্যমেই তো তিনি তাঁর কর্মস্থলে অবদান রাখবেন, সে কথা ভুলে গেলে চলবে কেন? শিষ্টাচার শব্দটা কি ব্যবহারিক জীবন থেকে হারিয়েই গেল?
মুক্তিযুদ্ধে বীর প্রতীক উপাধি পেয়েছেন যিনি, তাঁকে একজন চিকিৎসক না-ও চিনতে পারেন। কিন্তু এ কারণে তাঁর ছেলের চিকিৎসাসেবা দেবেন না স্রেফ অফিস টাইমে আসেননি বলে, এটাএক উদ্ভট যুক্তি!
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে গত শনিবার ভোরে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। বীর প্রতীক আব্দুল মজিদ মারা গেছেন, তাঁর ছেলে মেসবাউল গণি সুমন অজ্ঞান হয়ে গেছেন, তাঁর চিকিৎসা দরকার। উপায়ান্তর না দেখে কমপ্লেক্সের আরএমওর কোয়ার্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। এরপরই আরএমও দুর্ব্যবহার করেন রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে। হতে পারে, অত ভোরে নিজ কোয়ার্টারে হঠাৎ করে বাইরের মানুষ দেখে মেজাজ ঠিক রাখতে পারেননি আরএমও সিফাত আরা সামরিন। কিন্তু একজন দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে এরপর যে ব্যবহার করেছেন, তা ভদ্রোচিত নয়।
মুক্তিযুদ্ধের একজন স্বীকৃত বীরকে তিনি হয়তো ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান করেননি, কিন্তু এ কথা তো সত্য, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটা অশুভ প্রচারণা চলছে এ দেশে দিনের পর দিন। নিজেরা দেশের জন্য কোনো ত্যাগ স্বীকার না করেই স্বাধীন দেশের সুফলটুকু পাচ্ছেন, কিন্তু দোষারোপ করে যাচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের—এ রকম মানুষের সংখ্যা এ দেশে বাড়ছে। এর একটা বড় কারণ, যে অঙ্গীকার নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সে অঙ্গীকারগুলো পূরণ করা হয়নি। বাঙালির জাতীয় জীবনে মুক্তিযুদ্ধের মতো এত বড় ঘটনা আর একটিও নেই। সেই মুক্তিযুদ্ধকে যে যার মতো ব্যবহার করতে চেয়েছে। এবং এ কথা বলা অন্যায় হবে না, দেশ স্বাধীন হওয়ার সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই দেশকে আবার ‘মিনি পাকিস্তান’ বানানোর ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গিয়েছিল, যা অনেকাংশেই সফল হয়েছে। এ রকম প্রেক্ষাপটে দেশপ্রেমের জায়গায় মানুষের মনে সুবিধাবাদ জায়গা করে নিতেই পারে। চারদিকে যখন সবকিছু ভেঙে পড়ছে, তখন ‘কে দেবে ধিক্কার কাকে’?
বীর প্রতীক মুক্তিযোদ্ধাকে চেনেন না বলা হলে আসলে বলা হয়, তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে খুব একটা আগ্রহী নন। দেশের ভাবমূর্তি ধরে না রাখার ক্ষেত্রে এটা সম্মিলিত ব্যর্থতার ফল।
আরেকটি বিষয় হলো, চিকিৎসাসেবা। কে না জানে, একজন চিকিৎসককে হিপোক্রেটিসের শপথ নিতে হয়। একজন রোগী, তিনি যে-ই হোন না কেন, তাঁর সেবা করার অঙ্গীকার করেই চিকিৎসক হতে হয়। কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগটি কেন সে সময় ছিল চিকিৎসকহীন, সেটার জবাব চাওয়ার পাশাপাশি আরএমওর কাছ থেকে সংযত ব্যবহারের প্রত্যাশা করা কোনো বাড়তি চাওয়া নয়।
ক্ষমতা মানুষকে অন্ধ করে তুলতে পারে, সে কথা আরএমও বোঝেন কি না, জানি না। কিন্তু তিনি সংযমী হয়ে কথা বললে বা কাজ করলে শুধু তিনিই নন, উপকৃত হবে গোটা এলাকার মানুষ। দেশকে ভালোবাসা আর মানুষকে ভালোবাসার মাধ্যমেই তো তিনি তাঁর কর্মস্থলে অবদান রাখবেন, সে কথা ভুলে গেলে চলবে কেন? শিষ্টাচার শব্দটা কি ব্যবহারিক জীবন থেকে হারিয়েই গেল?
১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৩ মে পালিত হয় বিশ্ব মুক্তগণমাধ্যম দিবস। এই দিনটিতে সাংবাদিকেরা আত্ম-উপলব্ধির দিন হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে তাঁদের নিরাপত্তা ও পেশাগত দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করে থাকেন।
৭ ঘণ্টা আগেদেশের রাজনীতি ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। সংস্কার এবং নির্বাচনের বিষয় তো আছেই। নির্বাচনের মধ্যেও এখন পর্যন্ত রয়েছে স্থানীয় সরকার, গণপরিষদ এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রশ্ন। এরই মধ্যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে সম্ভাব্য জোট গঠন কিংবা সমঝোতার সম্ভাবনা নিয়ে...
৭ ঘণ্টা আগেমেয়েটি কি বাবার কাছেই যাওয়ার জন্য ব্যাকুল ছিল? নাকি বাবার স্মৃতি মনে গেঁথেই নতুন জীবন গড়তে চেয়েছিল? এসব প্রশ্নের আর উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে না মেয়েটির কাছে। কেননা আত্মহননের পর মেয়েটি আর মনের কথা বলতে পারবে না। মৃত্যুর আগে এমনিতেও চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল সে। জুলাই আন্দোলনে শহীদ বাবার কবর জিয়ারত করে বাড়ি...
৭ ঘণ্টা আগেরাখাইনে প্রস্তাবিত মানবিক করিডর বাস্তবায়নের আড়ালে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থ এবং চীন-ভারতের প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশকে জটিল ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানে ফেলতে পারে। এটি শুধু সীমান্ত নয়, বরং দেশের নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক ভারসাম্যকেও হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
২ দিন আগে