বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণে সশস্ত্র বাহিনী বেতন কমিটি, ২০২৫ গঠন করেছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. ফয়জুর রহমানকে সভাপতি করে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ৯ সদস্যের এই কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘প্রধান উপদেষ্টা প্রীত হয়ে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের জন্য (বেসামরিক কর্মকর্তা/কর্মচারী ব্যতীত) ‘সশস্ত্র বাহিনী বেতন কমিটি, ২০২৫’ নামে একটি বেতন কমিটি গঠনের জন্য সদয় অনুমোদন প্রদান করেছেন।’
কমিটিকে জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫-এর সঙ্গে সমন্বয় এবং নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে কাজ করতে বলা হয়েছে।
আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের সুপারিশের ২৫ কপি বই আকারে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে জমা দিতে বলা হয়েছে।
সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খানকে সভাপতি করে গত ২৭ জুলাই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণে ‘জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫’ গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বেতন কমিটিতে মেজর জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ, রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. জহির উদ্দিন, এয়ার ভাইস মার্শাল রুসাদ দীন আছাদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং চ ছা মং, এয়ার কমডোর জামিল উদ্দিন আহম্মদ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মিলিয়া শারমিন এবং ক্যাপ্টেন মো. তৌহিদ সাগরকে সদস্য করা হয়েছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিশাদুল ইসলাম খানকে কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কমিটিকে সশস্ত্র বাহিনীর আওতাভুক্ত সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের (এমওডিসি এবং ধর্মীয় পরামর্শদানকারী কর্মকর্তাসহ) বর্তমান বেতন-ভাতা, অবসর ভাতা ও পারিবারিক অবসর ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনা করে সময়োপযোগী ও যথোপযুক্ত বেতনকাঠামো নির্ধারণে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
এই কমিটিকে বিশেষায়িত চাকরিধারীদের বেতনকাঠামো নির্ধারণ; বেতন-ভাতার ওপর আরোপযোগ্য কর (আয়কর) জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃক সরাসরি পরিশোধ করার ক্ষেত্রে বেতনকাঠামো স্থিরীকরণ; বেতনবহির্ভূত অন্যান্য সুবিধা যেমন—বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, যাতায়াত, আপ্যায়ন, প্রেষণ, কার্যভার, মহার্ঘ, উৎসব এবং শ্রান্তি বিনোদন ভাতা নিরূপণ করতে বলা হয়েছে।
কমিটিকে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন সমন্বয়ের পদ্ধতি নিরূপণ; যথোপযুক্ত বা সময়োপযোগী পেনশনসহ অবসর সুবিধা নির্ধারণ; কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মান নিরূপণ বা মূল্যায়ন করে বেতন-ভাতা কাঠামোয় প্রতিফলন; সরাসরি সেবা (টেলিফোন, গাড়ি, মোবাইল ফোন ইত্যাদি) সংক্রান্ত প্রাধিকার আর্থিক সুবিধায় নগদায়ন এবং রেশন সুবিধা যৌক্তিকীকরণের সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া উচ্চতর গ্রেড ও ইনক্রিমেন্ট প্রাপ্তিতে বেতনক্রম নিরীক্ষায় কোনো অসংগতি পরিলক্ষিত হলে তা দূরীকরণের সুপারিশ; বেতনক্রমের বিদ্যমান অসংগতি পুনঃপরীক্ষাপূর্বক বাহিনীগুলোর মধ্যে বিরাজমান বেতন-ভাতার বৈষম্য (যদি থাকে) দূরীকরণের সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
বেতন কমিটিকে বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে জীবনবেগী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকরির বিষয়ে পদমর্যাদা ও পদবিন্যাস নির্ধারণ; বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট গুচ্ছভুক্ত করার পদ্ধতি নিরূপণ; উচ্চতর স্তরে পদায়ন করতে গিয়ে প্রতিযোগিতার সুযোগ নির্ধারণ; জীবনবেগী চাকরিতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতার গুরুত্ব নিরূপণ করতে বলা হয়েছে।
পিতা-মাতাসহ অনূর্ধ্ব ছয়জনের একটি পরিবারের জীবনযাত্রার ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে কমিশনকে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া অনূর্ধ্ব দুই সন্তানের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়; দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সরকারের সম্পদ পরিস্থিতি, প্রশাসনিক ও নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য সম্পদের প্রয়োজনীয়তা; সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের অবস্থা; দারিদ্র্য নিরসনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সম্পদ জোগান ক্রমান্বয়ে স্বনির্ভরতা অর্জনের উপায়; মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ; কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা ও কর্মোদ্যোগ বাড়িয়ে সেবার মান উন্নয়ন; দেশের মৌলিক নীতিমালার সঙ্গে প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিশেষ সম্পর্ক; জীবনযাত্রার ব্যয়ভার ও মান; জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫-এর প্রস্তাবিত স্কেলের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা; মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তা আকৃষ্ট করার প্রয়োজনীয়তা; সশস্ত্র বাহিনীর অতীত কীর্তি ও ভাবমূর্তি; শান্তি ও যুদ্ধকালে দেশ ও জাতির প্রতি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য; প্রশিক্ষণ ও চাকরিকালে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিপৎসংকুল অবস্থা, কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগী জীবন; পরিবার হতে বিচ্ছিন্ন থেকে জীবনের সর্বোৎকৃষ্ট সময় চাকরিতে ব্যয়; চাকরিজীবনে শারীরিক ও মানসিক যোগ্যতার আদর্শ মান বজায় রাখা; দায়িত্ব ও কর্তব্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করণার্থে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকা; তুলনামূলক কম দীর্ঘ চাকরির কারণে অল্প বয়সে চাকরি হতে অবসর গ্রহণ; যুদ্ধাবস্থা ছাড়াও যেকোনো দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা মোকাবিলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্তব্য পালনের বিষয়গুলো কমিটিকে বিবেচনায় রাখতে বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কমিটি সুপারিশ প্রণয়নের ক্ষেত্রে নিজস্ব নীতি ও পদ্ধতি অনুসরণ করবে। প্রয়োজনবোধে দেশের যে কোনো সংস্থার কাছে যে কোনো তথ্য চাইতে পারবে এবং যে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার সহায়তা নিতে পারবে।
এ ছাড়া কমিটি প্রয়োজনবোধে তিন বাহিনীর জন্য পৃথক পৃথক তিনটি সাব-কমিটি গঠন করে তাদের সুপারিশ বিবেচনা করতে পারবে। সশস্ত্র বাহিনীর যে কোনো সদস্যকে প্রয়োজনে এই কমিটি বা সাব-কমিটির সঙ্গে সংযোজন করতে পারবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণে সশস্ত্র বাহিনী বেতন কমিটি, ২০২৫ গঠন করেছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. ফয়জুর রহমানকে সভাপতি করে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ৯ সদস্যের এই কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘প্রধান উপদেষ্টা প্রীত হয়ে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের জন্য (বেসামরিক কর্মকর্তা/কর্মচারী ব্যতীত) ‘সশস্ত্র বাহিনী বেতন কমিটি, ২০২৫’ নামে একটি বেতন কমিটি গঠনের জন্য সদয় অনুমোদন প্রদান করেছেন।’
কমিটিকে জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫-এর সঙ্গে সমন্বয় এবং নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে কাজ করতে বলা হয়েছে।
আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের সুপারিশের ২৫ কপি বই আকারে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে জমা দিতে বলা হয়েছে।
সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খানকে সভাপতি করে গত ২৭ জুলাই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণে ‘জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫’ গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বেতন কমিটিতে মেজর জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ, রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. জহির উদ্দিন, এয়ার ভাইস মার্শাল রুসাদ দীন আছাদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং চ ছা মং, এয়ার কমডোর জামিল উদ্দিন আহম্মদ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মিলিয়া শারমিন এবং ক্যাপ্টেন মো. তৌহিদ সাগরকে সদস্য করা হয়েছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিশাদুল ইসলাম খানকে কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কমিটিকে সশস্ত্র বাহিনীর আওতাভুক্ত সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের (এমওডিসি এবং ধর্মীয় পরামর্শদানকারী কর্মকর্তাসহ) বর্তমান বেতন-ভাতা, অবসর ভাতা ও পারিবারিক অবসর ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনা করে সময়োপযোগী ও যথোপযুক্ত বেতনকাঠামো নির্ধারণে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
এই কমিটিকে বিশেষায়িত চাকরিধারীদের বেতনকাঠামো নির্ধারণ; বেতন-ভাতার ওপর আরোপযোগ্য কর (আয়কর) জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃক সরাসরি পরিশোধ করার ক্ষেত্রে বেতনকাঠামো স্থিরীকরণ; বেতনবহির্ভূত অন্যান্য সুবিধা যেমন—বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, যাতায়াত, আপ্যায়ন, প্রেষণ, কার্যভার, মহার্ঘ, উৎসব এবং শ্রান্তি বিনোদন ভাতা নিরূপণ করতে বলা হয়েছে।
কমিটিকে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন সমন্বয়ের পদ্ধতি নিরূপণ; যথোপযুক্ত বা সময়োপযোগী পেনশনসহ অবসর সুবিধা নির্ধারণ; কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মান নিরূপণ বা মূল্যায়ন করে বেতন-ভাতা কাঠামোয় প্রতিফলন; সরাসরি সেবা (টেলিফোন, গাড়ি, মোবাইল ফোন ইত্যাদি) সংক্রান্ত প্রাধিকার আর্থিক সুবিধায় নগদায়ন এবং রেশন সুবিধা যৌক্তিকীকরণের সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া উচ্চতর গ্রেড ও ইনক্রিমেন্ট প্রাপ্তিতে বেতনক্রম নিরীক্ষায় কোনো অসংগতি পরিলক্ষিত হলে তা দূরীকরণের সুপারিশ; বেতনক্রমের বিদ্যমান অসংগতি পুনঃপরীক্ষাপূর্বক বাহিনীগুলোর মধ্যে বিরাজমান বেতন-ভাতার বৈষম্য (যদি থাকে) দূরীকরণের সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
বেতন কমিটিকে বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে জীবনবেগী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকরির বিষয়ে পদমর্যাদা ও পদবিন্যাস নির্ধারণ; বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট গুচ্ছভুক্ত করার পদ্ধতি নিরূপণ; উচ্চতর স্তরে পদায়ন করতে গিয়ে প্রতিযোগিতার সুযোগ নির্ধারণ; জীবনবেগী চাকরিতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতার গুরুত্ব নিরূপণ করতে বলা হয়েছে।
পিতা-মাতাসহ অনূর্ধ্ব ছয়জনের একটি পরিবারের জীবনযাত্রার ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে কমিশনকে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া অনূর্ধ্ব দুই সন্তানের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়; দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সরকারের সম্পদ পরিস্থিতি, প্রশাসনিক ও নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য সম্পদের প্রয়োজনীয়তা; সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের অবস্থা; দারিদ্র্য নিরসনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সম্পদ জোগান ক্রমান্বয়ে স্বনির্ভরতা অর্জনের উপায়; মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ; কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা ও কর্মোদ্যোগ বাড়িয়ে সেবার মান উন্নয়ন; দেশের মৌলিক নীতিমালার সঙ্গে প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিশেষ সম্পর্ক; জীবনযাত্রার ব্যয়ভার ও মান; জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫-এর প্রস্তাবিত স্কেলের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা; মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তা আকৃষ্ট করার প্রয়োজনীয়তা; সশস্ত্র বাহিনীর অতীত কীর্তি ও ভাবমূর্তি; শান্তি ও যুদ্ধকালে দেশ ও জাতির প্রতি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য; প্রশিক্ষণ ও চাকরিকালে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিপৎসংকুল অবস্থা, কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগী জীবন; পরিবার হতে বিচ্ছিন্ন থেকে জীবনের সর্বোৎকৃষ্ট সময় চাকরিতে ব্যয়; চাকরিজীবনে শারীরিক ও মানসিক যোগ্যতার আদর্শ মান বজায় রাখা; দায়িত্ব ও কর্তব্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করণার্থে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকা; তুলনামূলক কম দীর্ঘ চাকরির কারণে অল্প বয়সে চাকরি হতে অবসর গ্রহণ; যুদ্ধাবস্থা ছাড়াও যেকোনো দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা মোকাবিলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্তব্য পালনের বিষয়গুলো কমিটিকে বিবেচনায় রাখতে বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কমিটি সুপারিশ প্রণয়নের ক্ষেত্রে নিজস্ব নীতি ও পদ্ধতি অনুসরণ করবে। প্রয়োজনবোধে দেশের যে কোনো সংস্থার কাছে যে কোনো তথ্য চাইতে পারবে এবং যে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার সহায়তা নিতে পারবে।
এ ছাড়া কমিটি প্রয়োজনবোধে তিন বাহিনীর জন্য পৃথক পৃথক তিনটি সাব-কমিটি গঠন করে তাদের সুপারিশ বিবেচনা করতে পারবে। সশস্ত্র বাহিনীর যে কোনো সদস্যকে প্রয়োজনে এই কমিটি বা সাব-কমিটির সঙ্গে সংযোজন করতে পারবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণে সশস্ত্র বাহিনী বেতন কমিটি, ২০২৫ গঠন করেছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. ফয়জুর রহমানকে সভাপতি করে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ৯ সদস্যের এই কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘প্রধান উপদেষ্টা প্রীত হয়ে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের জন্য (বেসামরিক কর্মকর্তা/কর্মচারী ব্যতীত) ‘সশস্ত্র বাহিনী বেতন কমিটি, ২০২৫’ নামে একটি বেতন কমিটি গঠনের জন্য সদয় অনুমোদন প্রদান করেছেন।’
কমিটিকে জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫-এর সঙ্গে সমন্বয় এবং নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে কাজ করতে বলা হয়েছে।
আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের সুপারিশের ২৫ কপি বই আকারে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে জমা দিতে বলা হয়েছে।
সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খানকে সভাপতি করে গত ২৭ জুলাই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণে ‘জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫’ গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বেতন কমিটিতে মেজর জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ, রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. জহির উদ্দিন, এয়ার ভাইস মার্শাল রুসাদ দীন আছাদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং চ ছা মং, এয়ার কমডোর জামিল উদ্দিন আহম্মদ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মিলিয়া শারমিন এবং ক্যাপ্টেন মো. তৌহিদ সাগরকে সদস্য করা হয়েছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিশাদুল ইসলাম খানকে কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কমিটিকে সশস্ত্র বাহিনীর আওতাভুক্ত সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের (এমওডিসি এবং ধর্মীয় পরামর্শদানকারী কর্মকর্তাসহ) বর্তমান বেতন-ভাতা, অবসর ভাতা ও পারিবারিক অবসর ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনা করে সময়োপযোগী ও যথোপযুক্ত বেতনকাঠামো নির্ধারণে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
এই কমিটিকে বিশেষায়িত চাকরিধারীদের বেতনকাঠামো নির্ধারণ; বেতন-ভাতার ওপর আরোপযোগ্য কর (আয়কর) জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃক সরাসরি পরিশোধ করার ক্ষেত্রে বেতনকাঠামো স্থিরীকরণ; বেতনবহির্ভূত অন্যান্য সুবিধা যেমন—বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, যাতায়াত, আপ্যায়ন, প্রেষণ, কার্যভার, মহার্ঘ, উৎসব এবং শ্রান্তি বিনোদন ভাতা নিরূপণ করতে বলা হয়েছে।
কমিটিকে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন সমন্বয়ের পদ্ধতি নিরূপণ; যথোপযুক্ত বা সময়োপযোগী পেনশনসহ অবসর সুবিধা নির্ধারণ; কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মান নিরূপণ বা মূল্যায়ন করে বেতন-ভাতা কাঠামোয় প্রতিফলন; সরাসরি সেবা (টেলিফোন, গাড়ি, মোবাইল ফোন ইত্যাদি) সংক্রান্ত প্রাধিকার আর্থিক সুবিধায় নগদায়ন এবং রেশন সুবিধা যৌক্তিকীকরণের সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া উচ্চতর গ্রেড ও ইনক্রিমেন্ট প্রাপ্তিতে বেতনক্রম নিরীক্ষায় কোনো অসংগতি পরিলক্ষিত হলে তা দূরীকরণের সুপারিশ; বেতনক্রমের বিদ্যমান অসংগতি পুনঃপরীক্ষাপূর্বক বাহিনীগুলোর মধ্যে বিরাজমান বেতন-ভাতার বৈষম্য (যদি থাকে) দূরীকরণের সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
বেতন কমিটিকে বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে জীবনবেগী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকরির বিষয়ে পদমর্যাদা ও পদবিন্যাস নির্ধারণ; বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট গুচ্ছভুক্ত করার পদ্ধতি নিরূপণ; উচ্চতর স্তরে পদায়ন করতে গিয়ে প্রতিযোগিতার সুযোগ নির্ধারণ; জীবনবেগী চাকরিতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতার গুরুত্ব নিরূপণ করতে বলা হয়েছে।
পিতা-মাতাসহ অনূর্ধ্ব ছয়জনের একটি পরিবারের জীবনযাত্রার ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে কমিশনকে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া অনূর্ধ্ব দুই সন্তানের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়; দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সরকারের সম্পদ পরিস্থিতি, প্রশাসনিক ও নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য সম্পদের প্রয়োজনীয়তা; সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের অবস্থা; দারিদ্র্য নিরসনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সম্পদ জোগান ক্রমান্বয়ে স্বনির্ভরতা অর্জনের উপায়; মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ; কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা ও কর্মোদ্যোগ বাড়িয়ে সেবার মান উন্নয়ন; দেশের মৌলিক নীতিমালার সঙ্গে প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিশেষ সম্পর্ক; জীবনযাত্রার ব্যয়ভার ও মান; জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫-এর প্রস্তাবিত স্কেলের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা; মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তা আকৃষ্ট করার প্রয়োজনীয়তা; সশস্ত্র বাহিনীর অতীত কীর্তি ও ভাবমূর্তি; শান্তি ও যুদ্ধকালে দেশ ও জাতির প্রতি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য; প্রশিক্ষণ ও চাকরিকালে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিপৎসংকুল অবস্থা, কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগী জীবন; পরিবার হতে বিচ্ছিন্ন থেকে জীবনের সর্বোৎকৃষ্ট সময় চাকরিতে ব্যয়; চাকরিজীবনে শারীরিক ও মানসিক যোগ্যতার আদর্শ মান বজায় রাখা; দায়িত্ব ও কর্তব্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করণার্থে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকা; তুলনামূলক কম দীর্ঘ চাকরির কারণে অল্প বয়সে চাকরি হতে অবসর গ্রহণ; যুদ্ধাবস্থা ছাড়াও যেকোনো দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা মোকাবিলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্তব্য পালনের বিষয়গুলো কমিটিকে বিবেচনায় রাখতে বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কমিটি সুপারিশ প্রণয়নের ক্ষেত্রে নিজস্ব নীতি ও পদ্ধতি অনুসরণ করবে। প্রয়োজনবোধে দেশের যে কোনো সংস্থার কাছে যে কোনো তথ্য চাইতে পারবে এবং যে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার সহায়তা নিতে পারবে।
এ ছাড়া কমিটি প্রয়োজনবোধে তিন বাহিনীর জন্য পৃথক পৃথক তিনটি সাব-কমিটি গঠন করে তাদের সুপারিশ বিবেচনা করতে পারবে। সশস্ত্র বাহিনীর যে কোনো সদস্যকে প্রয়োজনে এই কমিটি বা সাব-কমিটির সঙ্গে সংযোজন করতে পারবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণে সশস্ত্র বাহিনী বেতন কমিটি, ২০২৫ গঠন করেছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. ফয়জুর রহমানকে সভাপতি করে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ৯ সদস্যের এই কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘প্রধান উপদেষ্টা প্রীত হয়ে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের জন্য (বেসামরিক কর্মকর্তা/কর্মচারী ব্যতীত) ‘সশস্ত্র বাহিনী বেতন কমিটি, ২০২৫’ নামে একটি বেতন কমিটি গঠনের জন্য সদয় অনুমোদন প্রদান করেছেন।’
কমিটিকে জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫-এর সঙ্গে সমন্বয় এবং নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে কাজ করতে বলা হয়েছে।
আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের সুপারিশের ২৫ কপি বই আকারে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে জমা দিতে বলা হয়েছে।
সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খানকে সভাপতি করে গত ২৭ জুলাই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণে ‘জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫’ গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বেতন কমিটিতে মেজর জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ, রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. জহির উদ্দিন, এয়ার ভাইস মার্শাল রুসাদ দীন আছাদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং চ ছা মং, এয়ার কমডোর জামিল উদ্দিন আহম্মদ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মিলিয়া শারমিন এবং ক্যাপ্টেন মো. তৌহিদ সাগরকে সদস্য করা হয়েছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিশাদুল ইসলাম খানকে কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কমিটিকে সশস্ত্র বাহিনীর আওতাভুক্ত সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের (এমওডিসি এবং ধর্মীয় পরামর্শদানকারী কর্মকর্তাসহ) বর্তমান বেতন-ভাতা, অবসর ভাতা ও পারিবারিক অবসর ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনা করে সময়োপযোগী ও যথোপযুক্ত বেতনকাঠামো নির্ধারণে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
এই কমিটিকে বিশেষায়িত চাকরিধারীদের বেতনকাঠামো নির্ধারণ; বেতন-ভাতার ওপর আরোপযোগ্য কর (আয়কর) জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃক সরাসরি পরিশোধ করার ক্ষেত্রে বেতনকাঠামো স্থিরীকরণ; বেতনবহির্ভূত অন্যান্য সুবিধা যেমন—বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, যাতায়াত, আপ্যায়ন, প্রেষণ, কার্যভার, মহার্ঘ, উৎসব এবং শ্রান্তি বিনোদন ভাতা নিরূপণ করতে বলা হয়েছে।
কমিটিকে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন সমন্বয়ের পদ্ধতি নিরূপণ; যথোপযুক্ত বা সময়োপযোগী পেনশনসহ অবসর সুবিধা নির্ধারণ; কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মান নিরূপণ বা মূল্যায়ন করে বেতন-ভাতা কাঠামোয় প্রতিফলন; সরাসরি সেবা (টেলিফোন, গাড়ি, মোবাইল ফোন ইত্যাদি) সংক্রান্ত প্রাধিকার আর্থিক সুবিধায় নগদায়ন এবং রেশন সুবিধা যৌক্তিকীকরণের সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া উচ্চতর গ্রেড ও ইনক্রিমেন্ট প্রাপ্তিতে বেতনক্রম নিরীক্ষায় কোনো অসংগতি পরিলক্ষিত হলে তা দূরীকরণের সুপারিশ; বেতনক্রমের বিদ্যমান অসংগতি পুনঃপরীক্ষাপূর্বক বাহিনীগুলোর মধ্যে বিরাজমান বেতন-ভাতার বৈষম্য (যদি থাকে) দূরীকরণের সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
বেতন কমিটিকে বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে জীবনবেগী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকরির বিষয়ে পদমর্যাদা ও পদবিন্যাস নির্ধারণ; বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট গুচ্ছভুক্ত করার পদ্ধতি নিরূপণ; উচ্চতর স্তরে পদায়ন করতে গিয়ে প্রতিযোগিতার সুযোগ নির্ধারণ; জীবনবেগী চাকরিতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতার গুরুত্ব নিরূপণ করতে বলা হয়েছে।
পিতা-মাতাসহ অনূর্ধ্ব ছয়জনের একটি পরিবারের জীবনযাত্রার ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে কমিশনকে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া অনূর্ধ্ব দুই সন্তানের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়; দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সরকারের সম্পদ পরিস্থিতি, প্রশাসনিক ও নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য সম্পদের প্রয়োজনীয়তা; সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের অবস্থা; দারিদ্র্য নিরসনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সম্পদ জোগান ক্রমান্বয়ে স্বনির্ভরতা অর্জনের উপায়; মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ; কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা ও কর্মোদ্যোগ বাড়িয়ে সেবার মান উন্নয়ন; দেশের মৌলিক নীতিমালার সঙ্গে প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিশেষ সম্পর্ক; জীবনযাত্রার ব্যয়ভার ও মান; জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫-এর প্রস্তাবিত স্কেলের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা; মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তা আকৃষ্ট করার প্রয়োজনীয়তা; সশস্ত্র বাহিনীর অতীত কীর্তি ও ভাবমূর্তি; শান্তি ও যুদ্ধকালে দেশ ও জাতির প্রতি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য; প্রশিক্ষণ ও চাকরিকালে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিপৎসংকুল অবস্থা, কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগী জীবন; পরিবার হতে বিচ্ছিন্ন থেকে জীবনের সর্বোৎকৃষ্ট সময় চাকরিতে ব্যয়; চাকরিজীবনে শারীরিক ও মানসিক যোগ্যতার আদর্শ মান বজায় রাখা; দায়িত্ব ও কর্তব্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করণার্থে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকা; তুলনামূলক কম দীর্ঘ চাকরির কারণে অল্প বয়সে চাকরি হতে অবসর গ্রহণ; যুদ্ধাবস্থা ছাড়াও যেকোনো দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা মোকাবিলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্তব্য পালনের বিষয়গুলো কমিটিকে বিবেচনায় রাখতে বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কমিটি সুপারিশ প্রণয়নের ক্ষেত্রে নিজস্ব নীতি ও পদ্ধতি অনুসরণ করবে। প্রয়োজনবোধে দেশের যে কোনো সংস্থার কাছে যে কোনো তথ্য চাইতে পারবে এবং যে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার সহায়তা নিতে পারবে।
এ ছাড়া কমিটি প্রয়োজনবোধে তিন বাহিনীর জন্য পৃথক পৃথক তিনটি সাব-কমিটি গঠন করে তাদের সুপারিশ বিবেচনা করতে পারবে। সশস্ত্র বাহিনীর যে কোনো সদস্যকে প্রয়োজনে এই কমিটি বা সাব-কমিটির সঙ্গে সংযোজন করতে পারবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
৩ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এমনটি জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে।
সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২ হাজার ৫০০ ক্লাস্টারে সমসংখ্যক শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি সচিব কমিটির সুপারিশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
সচিব কমিটি মনে করে, প্রকল্পটির পরিকল্পনায় ত্রুটি ছিল। এত অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না এবং এতে বৈষম্যের সৃষ্টি হবে। সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশেই প্রস্তাবিত নিয়োগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ক্লাস্টারভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলে একই শিক্ষককে ২০টির বেশি বিদ্যালয়ে যুগপৎভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এর ফলে তাঁর পক্ষে কর্মঘণ্টা ম্যানেজ করা সম্ভব হবে না বলে সচিব কমিটি মনে করে।
পরে অর্থের সংস্থান সাপেক্ষে সব স্কুলে এ রকম নতুন বিষয়ের শিক্ষকের পদ সৃজন ও সেসব পদে নিয়োগদানের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে কমিটি অভিমত ব্যক্ত করেছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এমনটি জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে।
সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২ হাজার ৫০০ ক্লাস্টারে সমসংখ্যক শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি সচিব কমিটির সুপারিশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
সচিব কমিটি মনে করে, প্রকল্পটির পরিকল্পনায় ত্রুটি ছিল। এত অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না এবং এতে বৈষম্যের সৃষ্টি হবে। সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশেই প্রস্তাবিত নিয়োগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ক্লাস্টারভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলে একই শিক্ষককে ২০টির বেশি বিদ্যালয়ে যুগপৎভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এর ফলে তাঁর পক্ষে কর্মঘণ্টা ম্যানেজ করা সম্ভব হবে না বলে সচিব কমিটি মনে করে।
পরে অর্থের সংস্থান সাপেক্ষে সব স্কুলে এ রকম নতুন বিষয়ের শিক্ষকের পদ সৃজন ও সেসব পদে নিয়োগদানের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে কমিটি অভিমত ব্যক্ত করেছে।

সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে সশস্ত্র বাহিনী বেতন কমিটি, ২০২৫ গঠন করেছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. ফয়জুর রহমানকে সভাপতি করে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ নয় সদস্যের এই কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২২ আগস্ট ২০২৫
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
৩ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে ফুল কোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় তাঁদের পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদোন্নতির জন্য প্যানেলে ছিলেন– অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদের জন্য ৩৪৫ জন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২০৭ এবং সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫৫১ জন। সব মিলিয়ে পদোন্নতির প্যানেলে ১ হাজার ১০৩ জন বিচারিক কর্মকর্তার নাম থাকলেও নানা কারণে বেশ কয়েকজনের নাম অনুমোদন হয়নি।
২০২৬ সালের সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডারও ফুল কোর্ট সভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তবে সরকারি ক্যালেন্ডার এখনো প্রকাশিত না হওয়ায় তা অনুমোদিত হয়নি।
সম্প্রতি ১ হাজার ১০৩ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়। পদোন্নতির প্যানেলে ছিল কয়েকজন বিতর্কিত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার নাম, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান চলমান।
বিচারকদের পদোন্নতি যেভাবে হয়
সব মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতির জন্য ডিপিসি (বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি) থাকে। ওই কমিটি পদোন্নতির প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে এক দিনেই প্যানেলের সবার পদোন্নতির জিও জারি করা হয়।
তবে বিচারকদের ক্ষেত্রে প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়। বাছাই কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ওঠে। সভায় অনুমোদন পাওয়ার পর তা আবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে ওই প্যানেল আইন মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত থাকে এবং পদ খালি হওয়ার পর সময়ে সময়ে জিও জারি করা হয়।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা ২০০৭ অনুযায়ী, সিনিয়র সহকারী জজ পদে পদোন্নতির জন্য সহকারী জজদের এই পদে চার বছর দায়িত্ব পালনের শর্ত পূরণ করতে হয়। সিনিয়র সহকারী জজদের যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর, যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর এবং অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছরের শর্ত পূরণ করতে হয়। তবে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হয় না। অনেকেই বছরের পর বছর প্যানেলভুক্ত হয়ে থাকেন।

সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে ফুল কোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় তাঁদের পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদোন্নতির জন্য প্যানেলে ছিলেন– অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদের জন্য ৩৪৫ জন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২০৭ এবং সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫৫১ জন। সব মিলিয়ে পদোন্নতির প্যানেলে ১ হাজার ১০৩ জন বিচারিক কর্মকর্তার নাম থাকলেও নানা কারণে বেশ কয়েকজনের নাম অনুমোদন হয়নি।
২০২৬ সালের সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডারও ফুল কোর্ট সভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তবে সরকারি ক্যালেন্ডার এখনো প্রকাশিত না হওয়ায় তা অনুমোদিত হয়নি।
সম্প্রতি ১ হাজার ১০৩ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়। পদোন্নতির প্যানেলে ছিল কয়েকজন বিতর্কিত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার নাম, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান চলমান।
বিচারকদের পদোন্নতি যেভাবে হয়
সব মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতির জন্য ডিপিসি (বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি) থাকে। ওই কমিটি পদোন্নতির প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে এক দিনেই প্যানেলের সবার পদোন্নতির জিও জারি করা হয়।
তবে বিচারকদের ক্ষেত্রে প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়। বাছাই কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ওঠে। সভায় অনুমোদন পাওয়ার পর তা আবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে ওই প্যানেল আইন মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত থাকে এবং পদ খালি হওয়ার পর সময়ে সময়ে জিও জারি করা হয়।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা ২০০৭ অনুযায়ী, সিনিয়র সহকারী জজ পদে পদোন্নতির জন্য সহকারী জজদের এই পদে চার বছর দায়িত্ব পালনের শর্ত পূরণ করতে হয়। সিনিয়র সহকারী জজদের যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর, যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর এবং অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছরের শর্ত পূরণ করতে হয়। তবে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হয় না। অনেকেই বছরের পর বছর প্যানেলভুক্ত হয়ে থাকেন।

সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে সশস্ত্র বাহিনী বেতন কমিটি, ২০২৫ গঠন করেছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. ফয়জুর রহমানকে সভাপতি করে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ নয় সদস্যের এই কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২২ আগস্ট ২০২৫
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর স্ত্রী নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও ৪৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার দুদকের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, অভিযুক্ত নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
এ ছাড়া ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত নুরজাহান বেগমের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের একটি হিসাবে ৪৩ কোটি ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৮০৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করেছে দুদক।
এ তথ্য আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যাচাই করা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এর আগেও অবৈধ সম্পদ অর্জন, ফেনী ও ঢাকায় নামে-বেনামে জমি ও ভবন ক্রয় এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে একাধিক তদন্ত চলছে।
সূত্রটি আরও জানায়, দুদকে পাঠানো সম্পদ বিবরণীতে ঘোষিত তথ্য ও বাস্তব সম্পদের মধ্যে বিশাল অমিল পাওয়া যায়। এর ধারাবাহিকতায় নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফেনী-২ আসন থেকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নিজাম উদ্দিন হাজারী। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দখলদারত্বের অভিযোগ রয়েছে।

ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর স্ত্রী নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও ৪৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার দুদকের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, অভিযুক্ত নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
এ ছাড়া ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত নুরজাহান বেগমের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের একটি হিসাবে ৪৩ কোটি ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৮০৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করেছে দুদক।
এ তথ্য আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যাচাই করা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এর আগেও অবৈধ সম্পদ অর্জন, ফেনী ও ঢাকায় নামে-বেনামে জমি ও ভবন ক্রয় এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে একাধিক তদন্ত চলছে।
সূত্রটি আরও জানায়, দুদকে পাঠানো সম্পদ বিবরণীতে ঘোষিত তথ্য ও বাস্তব সম্পদের মধ্যে বিশাল অমিল পাওয়া যায়। এর ধারাবাহিকতায় নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফেনী-২ আসন থেকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নিজাম উদ্দিন হাজারী। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দখলদারত্বের অভিযোগ রয়েছে।

সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে সশস্ত্র বাহিনী বেতন কমিটি, ২০২৫ গঠন করেছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. ফয়জুর রহমানকে সভাপতি করে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ নয় সদস্যের এই কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২২ আগস্ট ২০২৫
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
৩ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১০১ জন। সব মিলিয়ে এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ৯২৩ জনে। তাদের মধ্যে ২৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে মশাবাহিত এ রোগে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় একজন মারা গেছে। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে সর্বোচ্চ ২৪১ জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৭৫ জন, রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে ২০৮, বরিশালে ১৫১, খুলনায় ৫৯, চট্টগ্রামে ১২৫, রাজশাহীতে ৪৫, ময়মনসিংহে ৭৫, রংপুরে ১৯ ও সিলেটে তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
গত অক্টোবর মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২২ হাজার ৫২০ জন, যা এই বছরের এক মাসে সর্বোচ্চ। একই সময়ে ৮০ জন মারা গেছে, যা এ বছরে একক মাসের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন ভর্তি হয়েছিল এবং ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে সাত, মে মাসে তিন, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১ ও আগস্টে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মার্চ মাসে কোনো মৃত্যু হয়নি।
চলতি মাসের চার দিনে ৪ হাজার ৬১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে আর মারা গেছে ১৪ জন চিকিৎসাধীন রোগী।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আর মারা গেছে ১ হাজার ৭০৫ জন।
২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১ জন, ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২, ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯, ২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১০১ জন। সব মিলিয়ে এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ৯২৩ জনে। তাদের মধ্যে ২৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে মশাবাহিত এ রোগে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় একজন মারা গেছে। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে সর্বোচ্চ ২৪১ জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৭৫ জন, রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে ২০৮, বরিশালে ১৫১, খুলনায় ৫৯, চট্টগ্রামে ১২৫, রাজশাহীতে ৪৫, ময়মনসিংহে ৭৫, রংপুরে ১৯ ও সিলেটে তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
গত অক্টোবর মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২২ হাজার ৫২০ জন, যা এই বছরের এক মাসে সর্বোচ্চ। একই সময়ে ৮০ জন মারা গেছে, যা এ বছরে একক মাসের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন ভর্তি হয়েছিল এবং ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে সাত, মে মাসে তিন, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১ ও আগস্টে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মার্চ মাসে কোনো মৃত্যু হয়নি।
চলতি মাসের চার দিনে ৪ হাজার ৬১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে আর মারা গেছে ১৪ জন চিকিৎসাধীন রোগী।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আর মারা গেছে ১ হাজার ৭০৫ জন।
২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১ জন, ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২, ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯, ২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে সশস্ত্র বাহিনী বেতন কমিটি, ২০২৫ গঠন করেছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. ফয়জুর রহমানকে সভাপতি করে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ নয় সদস্যের এই কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
২২ আগস্ট ২০২৫
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
৩ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৪ ঘণ্টা আগে