Ajker Patrika

ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব

সরকারি-আধা সরকারি-স্বায়ত্তশাসিত সব প্রতিষ্ঠানের দপ্তর থাকবে সমন্বিত ভবনে

  • ভূমির কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।
  • এটি হলে অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় ও ভূমি অধিগ্রহণের খরচ কমবে।
  • ভূমির কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত হবে। সেবা-প্রত্যাশীদের কষ্ট কমবে।
  • চিকিৎসকদের জন্য সংখ্যাতিরিক্ত আরও ১,৮৫৩ পদ সৃষ্টির প্রস্তাব।
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা
আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১৬: ৫২
সরকারি-আধা সরকারি-স্বায়ত্তশাসিত সব প্রতিষ্ঠানের দপ্তর থাকবে সমন্বিত ভবনে

সরকারি দপ্তরগুলো যে যার মতো অফিস ভবন নির্মাণ করায় একদিকে আবাদি-অনাবাদি জমি কমছে, অন্যদিকে বাড়ছে ভূমি অধিগ্রহণের ব্যয়। এসব এড়াতে সারা দেশে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিসের জন্য একই স্থানে সমন্বিত অফিস ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে ভূমির কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে। অবকাঠামো তৈরি এবং ভূমি অধিগ্রহণের খরচ কমবে। সরকারি সেবা পেতে মানুষকে এক ভবন থেকে আরেক ভবনে দৌড়াতে হবে না।

উপজেলা, জেলা, বিভাগ এবং ঢাকায় কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সরকারি, আধা সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিসের জন্য একই স্থানে পরিকল্পিতভাবে সমন্বিত অফিস ভবন নির্মাণের প্রস্তাব ২৪ আগস্ট প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় উত্থাপনের কথা রয়েছে। সভায় চিকিৎসকদের জন্য তৃতীয় ধাপে আরও ১ হাজার ৮৫৩টি সংখ্যাতিরিক্ত পদ এবং জাতীয় বেতন কমিশনের ৫২টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাবও অনুমোদনের জন্য তোলার কথা। সভায় সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রিপরিষদের সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ।

অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, যত্রতত্র বসতভিটা নির্মাণ, অপরিকল্পিত অবকাঠামো উন্নয়ন, জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে দিন দিন কৃষিজমিসহ অন্যান্য জমির পরিমাণ কমছে। রাষ্ট্রীয় উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের প্রয়োজনেও কৃষি-অকৃষিজ জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে।

স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ম্যানুয়ালে বলা হয়েছে, অধিগ্রহণ প্রস্তাবে মূল্যবান জমি থাকলে তা যথাসম্ভব বাদ দিয়ে তার পরিবর্তে অনাবাদি, পতিত বা কম মূল্যবান জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা করতে হবে। এ ছাড়া ঘনবসতি, শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য এলাকা এবং শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যবহৃত সম্পত্তিও অধিগ্রহণের জন্য যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে।

২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় কৃষি ব্যবহার কমিটির সভায় মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বহুতল কমপ্লেক্স ভবন বা গুচ্ছাকারে এক বা একাধিক বহুতল ভবন নির্মাণের মাধ্যমে একই মন্ত্রণালয় বা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস বা আবাসিক ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা মানা হয়নি। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নিজেদের কার্যালয় স্থাপনের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন নিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ প্রস্তাব দাখিল করছে।

সূত্র জানায়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের সভাপতিত্বে গত ১ জুন কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এরপর সিদ্ধান্ত হয়, জমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি অফিসের জন্য পৃথক ভবন নির্মাণ না করে সমন্বিত ভবন নির্মাণ করে বিভিন্ন দপ্তরের কার্যালয় একই ছাতার নিচে আনার বিষয়ে কার্যক্রম নিতে কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির সুপারিশ প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটিতে পাঠানো হবে। এরপর ভূমি মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রস্তাব তৈরি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠায়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, সরকারি দপ্তরগুলোর জন্য সমন্বিত অফিস ভবন নির্মাণের প্রস্তাব প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটিতে অনুমোদন পেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি নিতে হবে। এরপর সরকার নির্বাহী আদেশে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভূমির কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমরা এই প্রস্তাব করেছি। একেক অফিস একেক জায়গায় হলে কেউ বেশি জায়গায় অফিস করে। আবার অনেকে জায়গা নিয়ে সঠিকভাবে ব্যবহার করে না। অনেক সময় প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জমি অধিগ্রহণ করা হয়। পরে ওই জায়গা সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর নিজেদের বলে দাবি করে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সব জায়গাই সরকারের। অনেক জায়গা অব্যবহৃত পড়ে থাকে, কিছু জায়গা অন্যরা দখল করে। অনেক সময় ব্যয় নির্বাহে ইজারাও দেয়। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সব অফিস এক জায়গায় থাকলে অল্প ভূমিতে সবার সংস্থান হবে।’

চিকিৎসকদের জন্য আরও ১,৮৫৩ পদ

স্থায়ী পদ না থাকায় অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক পদে চিকিৎসকদের পদোন্নতি দিতে তৃতীয় পর্যায়ে আরও ১ হাজার ৮৫৩টি সংখ্যাতিরিক্ত (সুপারনিউমারারি) পদ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে সরকার।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পদের অভাবে পদোন্নতির সুযোগ না থাকায় স্বাস্থ্য ক্যাডারে বিপুলসংখ্যক চিকিৎসককে মেডিকেল অফিসারের পদ থেকে অবসরে যেতে হচ্ছে। সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপকের স্থায়ী পদ কম থাকায় মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসা শিক্ষা এবং সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ জন্য অধ্যাপকের ১৮৭ টি, সহযোগী অধ্যাপকের ৪০৪টি এবং সহকারী অধ্যাপকের ১ হাজার ২৬২টি পদসহ রাজস্ব খাতে ১ হাজার ৮৫৩টি পদ অস্থায়ীভাবে সৃষ্টির প্রস্তাব করা হয়েছে।

অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ এক বছরের জন্য ১ হাজার ৮৫৩টি সংখ্যাতিরিক্ত পদ সৃষ্টিতে সম্মতি দিয়ে এসব পদের বেতন স্কেলও নির্ধারণ করে দিয়েছে।

চিকিৎসকদের জন্য গত ২৭ এপ্রিল প্রথম ধাপে ৩ হাজার ৩০ টি, ২৫ মে দ্বিতীয় ধাপে ২ হাজার ৫৯টি সংখ্যাতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করেছে সরকার। তৃতীয় ধাপ মিলিয়ে চিকিৎসকেরা ৬ হাজার ৯৪২টি সংখ্যাতিরিক্ত পদ পাচ্ছেন।

স্থায়ী পদ কম থাকায় সংখ্যাতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করে প্রশাসন এবং পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিচ্ছে সরকার। এখন স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারাও এই সুবিধা পাচ্ছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিভিন্ন শ্রেণিতে চিকিৎসকদের জন্য ৩৬ হাজার ৯২১টি ক্যাডার পদ রয়েছে। এর মধ্যে সহকারী অধ্যাপকের ৩ হাজার ৫৯ টি, সহযোগী অধ্যাপকের ১ হাজার ৯৬০ ও অধ্যাপকের ১ হাজার ৫৯টি পদ রয়েছে।

প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির ২৪ আগস্টের সভায় জাতীয় ভূ-স্থানিক তথ্য-উপাত্ত অবকাঠামো নীতিমালা, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (কর্মকর্তা-কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের অধীন রেলওয়ে হিসাব বিভাগের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালাসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব পাসের জন্য উত্থাপনের কথা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বোরো ধানের মৌসুম: সেচ মৌসুমে জ্বালানিতে টান

  • যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা
  • বিপিসির নথি বলছে, আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি আছে
 আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
বোরো ধানের মৌসুম: সেচ মৌসুমে জ্বালানিতে টান

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।

বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।

বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।

এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।

নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।

পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।

তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজবাড়ীতে গণপিটুনিতে অমৃত মন্ডল নিহতের ঘটনা সাম্প্রদায়িক হামলা নয়: প্রেস উইং

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজবাড়ীতে গণপিটুনিতে অমৃত মন্ডল নিহতের ঘটনা সাম্প্রদায়িক হামলা নয়: প্রেস উইং

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।

পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।

সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের আগমনে রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে: প্রেস সচিব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’

তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বড়দিনে বঙ্গভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন রাষ্ট্রপতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত