সম্পাদকীয়
বাজেটের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। আসছে ৩ জুন সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট পেশ করবেন। এবারের বাজেটটি যখন দেওয়া হবে, তখন দেশ একটি ক্রান্তিকাল পার করছে। বলা যায় গেল এক বছরের বেশি সময় ধরে চলছে এ ক্রান্তিকাল। করোনাভাইরাস মহামারি সবকিছু অচল করে দিয়েছে।
বিশেষ এ পরিস্থিতিতে দেশ চলছে অবরুদ্ধ অবস্থায়। মানুষ যতটা বাইরে না বেরোলে নয়, তেমনভাবে বের হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি চলছে কাজ চালানোর মতো। তাই আসছে বাজেটে এই বিশেষ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সেদিকে নজর থাকবে সবার।
তবে আমরা মনে করি, এবারের বাজেটে অবশ্যই বিশেষ বিশেষ খাতে নজর দেওয়ার রূপরেখা থাকতে হবে। সরকারি গুণগত বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। যাতে করে মানুষের কাজের সুযোগ হয়। বিপুলসংখ্যক মানুষ কাজ হারিয়েছে এ করোনাকালে। বেসরকারি খাত হচ্ছে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। অসংখ্য ব্যক্তি উদ্যোগ বসে পড়েছে। সেবা খাতের নাজুক অবস্থা। বিশেষ করে পর্যটন খাত স্থবির। হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, এয়ারলাইনসসহ এ ধরনের অসংখ্য উপখাত স্তব্ধ হয়ে গেছে। লাখো মানুষ বেকার হয়েছে। এসব খাত থেকে সরকারও কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না। তাই বাজেটে এসব খাত যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তার জন্য কিছু বিশেষ পদক্ষেপ থাকা চাই। অসংখ্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দেউলিয়া হয়েছে। সাধারণ উদ্যোক্তা পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে।
অনেকে ব্যাংকঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছে। তাদের উদ্ধারের কর্মসূচি থাকতে হবে বাজেটে। মোটা দাগে অর্থনীতিতে টাকার প্রবাহ বাড়াতে হবে। জানি এর ফলে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়বে। তবু আমরা মনে করি, অর্থনীতি চাঙা করতে হবে। এর মধ্যেই আমরা জানি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন হয়েছে। এর আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। টাকার অঙ্কে তা গেল এডিপির চেয়ে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা বেশি। এটা একটা ভালো দিক। এটা যদি সরকার দক্ষতার সঙ্গে খরচ করে তবে অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চার করবে।
তবে অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। এর আগে আমরা দেখেছি, এডিপি বাস্তবায়ন পরিস্থিতি ভালো নয়। শেষ সময়ে কাগুজে বাস্তবায়ন হয়। সরকারি অর্থের অপচয় হয়। এ বৃত্ত ভাঙতে হবে। অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাদ দিয়ে করোনা-পরবর্তী মানুষের উপকার হয়, সত্যিকার অর্থে সে রকম প্রকল্পে বরাদ্দর টাকা সতর্কতার সঙ্গে খরচ করতে হবে। আমরা এও জানি, আসছে বাজেটে সরকার রেকর্ড ৬ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা খরচের পরিকল্পনা করেছে। এটা ভালো চিন্তা। যদিও রাজস্ব আয়ের নাজুক পরিস্থিতি রয়েছে। সরকার এ জন্য হয়তো বেশি ধার করবে। তবে মনে রাখতে হবে, ধার করলেও যেন ব্যাংকব্যবস্থা বসে না যায়, বেসরকারি খাত যাতে ঠিকমতো ঋণ পায়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। বেশি মনোযোগ দিতে হবে স্বল্পসুদে বিদেশি ঋণ ও সহায়তার ওপর।
দেশে অনেকগুলো মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। এগুলো চালু রাখতে হবে, যাতে সময়মতো শেষ হয়। তাহলে তা যোগাযোগব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনবে। দেশি–বিদেশি বিনিয়োগ ত্বরান্বিত হবে। বড় বাজেট দিলেই হবে না। আমরা মনে করি, সরকারি বরাদ্দের একটি টাকাও যেন অপচয় না হয় আসছে বাজেটে। এদিকে কড়া নজরদারি রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, সরকার ঘাটতি বাজেট করছে মানুষের উপকারের জন্য, যাতে মানুষ কাজ পায়, কিছু করে খেতে পারে। এ চাওয়া যেন নষ্ট নয়। প্রয়োজনের বাইরে যেন টাকা খরচ না হয়, আর লুটপাট, দুর্নীতি যেন দমন করা হয়।
এ লক্ষ্যে সরকারকে তৎপর থাকতে হবে। তাহলেই আমরা মনে করি বড় বাজেটের উদ্দেশ্য সফল হবে।
বাজেটের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। আসছে ৩ জুন সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট পেশ করবেন। এবারের বাজেটটি যখন দেওয়া হবে, তখন দেশ একটি ক্রান্তিকাল পার করছে। বলা যায় গেল এক বছরের বেশি সময় ধরে চলছে এ ক্রান্তিকাল। করোনাভাইরাস মহামারি সবকিছু অচল করে দিয়েছে।
বিশেষ এ পরিস্থিতিতে দেশ চলছে অবরুদ্ধ অবস্থায়। মানুষ যতটা বাইরে না বেরোলে নয়, তেমনভাবে বের হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি চলছে কাজ চালানোর মতো। তাই আসছে বাজেটে এই বিশেষ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সেদিকে নজর থাকবে সবার।
তবে আমরা মনে করি, এবারের বাজেটে অবশ্যই বিশেষ বিশেষ খাতে নজর দেওয়ার রূপরেখা থাকতে হবে। সরকারি গুণগত বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। যাতে করে মানুষের কাজের সুযোগ হয়। বিপুলসংখ্যক মানুষ কাজ হারিয়েছে এ করোনাকালে। বেসরকারি খাত হচ্ছে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। অসংখ্য ব্যক্তি উদ্যোগ বসে পড়েছে। সেবা খাতের নাজুক অবস্থা। বিশেষ করে পর্যটন খাত স্থবির। হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, এয়ারলাইনসসহ এ ধরনের অসংখ্য উপখাত স্তব্ধ হয়ে গেছে। লাখো মানুষ বেকার হয়েছে। এসব খাত থেকে সরকারও কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না। তাই বাজেটে এসব খাত যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তার জন্য কিছু বিশেষ পদক্ষেপ থাকা চাই। অসংখ্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দেউলিয়া হয়েছে। সাধারণ উদ্যোক্তা পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে।
অনেকে ব্যাংকঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছে। তাদের উদ্ধারের কর্মসূচি থাকতে হবে বাজেটে। মোটা দাগে অর্থনীতিতে টাকার প্রবাহ বাড়াতে হবে। জানি এর ফলে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়বে। তবু আমরা মনে করি, অর্থনীতি চাঙা করতে হবে। এর মধ্যেই আমরা জানি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন হয়েছে। এর আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। টাকার অঙ্কে তা গেল এডিপির চেয়ে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা বেশি। এটা একটা ভালো দিক। এটা যদি সরকার দক্ষতার সঙ্গে খরচ করে তবে অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চার করবে।
তবে অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। এর আগে আমরা দেখেছি, এডিপি বাস্তবায়ন পরিস্থিতি ভালো নয়। শেষ সময়ে কাগুজে বাস্তবায়ন হয়। সরকারি অর্থের অপচয় হয়। এ বৃত্ত ভাঙতে হবে। অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাদ দিয়ে করোনা-পরবর্তী মানুষের উপকার হয়, সত্যিকার অর্থে সে রকম প্রকল্পে বরাদ্দর টাকা সতর্কতার সঙ্গে খরচ করতে হবে। আমরা এও জানি, আসছে বাজেটে সরকার রেকর্ড ৬ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা খরচের পরিকল্পনা করেছে। এটা ভালো চিন্তা। যদিও রাজস্ব আয়ের নাজুক পরিস্থিতি রয়েছে। সরকার এ জন্য হয়তো বেশি ধার করবে। তবে মনে রাখতে হবে, ধার করলেও যেন ব্যাংকব্যবস্থা বসে না যায়, বেসরকারি খাত যাতে ঠিকমতো ঋণ পায়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। বেশি মনোযোগ দিতে হবে স্বল্পসুদে বিদেশি ঋণ ও সহায়তার ওপর।
দেশে অনেকগুলো মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। এগুলো চালু রাখতে হবে, যাতে সময়মতো শেষ হয়। তাহলে তা যোগাযোগব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনবে। দেশি–বিদেশি বিনিয়োগ ত্বরান্বিত হবে। বড় বাজেট দিলেই হবে না। আমরা মনে করি, সরকারি বরাদ্দের একটি টাকাও যেন অপচয় না হয় আসছে বাজেটে। এদিকে কড়া নজরদারি রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, সরকার ঘাটতি বাজেট করছে মানুষের উপকারের জন্য, যাতে মানুষ কাজ পায়, কিছু করে খেতে পারে। এ চাওয়া যেন নষ্ট নয়। প্রয়োজনের বাইরে যেন টাকা খরচ না হয়, আর লুটপাট, দুর্নীতি যেন দমন করা হয়।
এ লক্ষ্যে সরকারকে তৎপর থাকতে হবে। তাহলেই আমরা মনে করি বড় বাজেটের উদ্দেশ্য সফল হবে।
বিতর্ক যাঁর নিত্যসঙ্গী, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্যবসায়ী থেকে রাষ্ট্রনায়ক বনে যাওয়া আশি ছুঁই ছুঁই এই ব্যক্তি এমন সব কর্মকাণ্ড করছেন, যেগুলো মার্কিন প্রেসিডেন্টদের চর্চিত ধ্রুপদি সংস্কৃতির সঙ্গে বেমানান। ট্রাম্প এমন অনেক নীতি গ্রহণ করছেন, যেগুলো যুক্তরাষ্ট্র বা তাঁর ঘোষিত লক্ষ্যের
১১ ঘণ্টা আগেদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠাপানির জলাভূমি টাঙ্গুয়ার হাওর। আয়তন ১২৬ বর্গকিলোমিটার। হাওরের অবস্থান সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর ও তাহিরপুর উপজেলায়। এই হাওর শুধু মিঠাপানির জলাভূমিই নয়; নয়নাভিরাম এবং জীববৈচিত্র্যের অন্যতম আধার। এ ছাড়া হাজার হাজার মানুষের জীবিকার উৎসস্থল এই হাওর।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে মাছ ধরতে জেলেরা এখন প্রাচীন পদ্ধতি আর ব্যবহার করছেন না। প্রায়ই দেখা যাচ্ছে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকারের খবর। জেলেরা এক ধরনের অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড বা গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ শিকার করছেন। এই ট্যাবলেট অত্যন্ত ক্ষতিকর। কেননা, এটি পানিতে ফেললে জলে থাকা সব মাছ তো মারা যায়ই, সঙ্গে মাটির নিচের মাছগুলোও
১১ ঘণ্টা আগেচুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড়ে ধরা—এই প্রবাদকে সত্যে পরিণত করেছেন জনৈক চোর। মাওলানা ভাসানী সেতুর সড়কবাতির তার চুরি করার পর এবার তিনি চুরি করেছেন শতাধিক রিফ্লেক্টর লাইট। পাঠক, আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে ২৫ আগস্ট, সোমবার আমরা গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুর তার চুরির প্রতিবেদন
১১ ঘণ্টা আগে