Ajker Patrika

নিজের ১১টি বাড়িতে চলছে নির্মাণকাজ, শব্দের চোটে অতিষ্ঠ প্রতিবেশীদের হেডফোন দিলেন জাকারবার্গ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৬: ৪২
পালো অল্টোর এজউড ড্রাইভ ও হ্যামিল্টন অ্যাভিনিউতে অন্তত ১১টি বাড়ি কিনেছেন জাকারবার্গ। ছবি: ফরচুন
পালো অল্টোর এজউড ড্রাইভ ও হ্যামিল্টন অ্যাভিনিউতে অন্তত ১১টি বাড়ি কিনেছেন জাকারবার্গ। ছবি: ফরচুন

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার পালো আল্টোর ক্রিসেন্ট পার্ক এলাকায় নিজের বাসভবন সম্প্রসারণ ও সংস্কারের কাজ করছেন বিলিয়নিয়ার ও মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ। দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট শব্দদূষণ প্রতিবেশীদের মধ্যে তীব্র বিরক্তি ছড়িয়েছে। এই ঝামেলা সামাল দিতে এবং মনোমালিন্য প্রশমনে জাকারবার্গ তার প্রতিবেশীদের নয়েজ ক্যান্সেলিং হেডফোন উপহার দিয়েছেন। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

গত ১৪ বছরে পালো আল্টোর এজউড ড্রাইভ ও হ্যামিল্টন অ্যাভিনিউতে অন্তত ১১টি বাড়ি কিনেছেন জাকারবার্গ, যার পেছনে ব্যয় হয়েছে ১১ কোটি ডলারের বেশি। একসময় আইনজীবী, ব্যবসায়ী ও স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপকদের বসবাসের জন্য পরিচিত এই শান্ত এলাকা এখন রূপ নিয়েছে নির্মাণযন্ত্র, নজরদারি ক্যামেরা ও নিয়মিত জাঁকজমকপূর্ণ পার্টির এক ব্যস্ত এলাকায়।

প্রতিবেশীদের অভিযোগ, অনেক বাড়িই খালি পড়ে আছে, যা এমন এক এলাকায় বাসস্থানসংকটের সময় আরও বিতর্ক তৈরি করেছে। কিছু বাড়ি, অতিথিশালা, বাগান, পিকলবল কোর্ট, হাইড্রোফ্লোরযুক্ত সুইমিং পুল এবং কিছু সময়ের জন্য জাকারবার্গের সন্তান ও আরও কয়েকজনের জন্য গোপন স্কুলে পরিণত হয়েছিল। তবে এ ধরনের ব্যবহার স্থানীয় জোনিং আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ছাড়া, জাকারবার্গ তার এই ‘প্রাঙ্গণের’ নিচে প্রায় ৭ হাজার বর্গফুটের একটি ‘বেসমেন্ট’ তৈরি করেছেন, যা এলাকাবাসীর চোখে অনেকটা ‘বাংকার’ বা ‘বিলিয়নিয়ারের ব্যাট কেভ’-এর মতো। একইভাবে হাওয়াইয়ের কাউয়াই দ্বীপে তার আরেকটি সম্পত্তিতে তিনি ৫ হাজার বর্গফুটের একটি আন্ডারগ্রাউন্ড কাঠামো নির্মাণ করেছেন। তবে তিনি একে ‘ডুমসডে বাংকার’ বলতে নারাজ।

প্রতিবেশীদের অভিযোগ, বিগত আট বছর ধরে চলা অবিরাম নির্মাণকাজের কারণে তারা প্রতিনিয়ত রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা, ধুলোবালু ও কোলাহলে বিরক্ত হচ্ছেন। এ অবস্থায়, জাকারবার্গের পক্ষ থেকে হেডফোনের পাশাপাশি স্পার্কলিং ওয়াইন ও ক্রিসপি ক্রিম ডোনাটসও উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে। তবে তা সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি।

এ প্রসঙ্গে ফরচুন ম্যাগাজিনকে জাকারবার্গের মুখপাত্র জানান, ‘মার্ক, প্রিসিলা ও তাদের সন্তানরা গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পালো আল্টোকে নিজেদের বাড়ি হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তারা এই সম্প্রদায়ের অংশ হতে পেরে গর্বিত এবং প্রতিবেশীদের অসুবিধা এড়াতে স্থানীয় নিয়মের চেয়েও বেশি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন।’

‍জাকারবার্গের সম্পত্তিসংক্রান্ত বিতর্ক এবারই প্রথম নয়। ২০১৬ সালে চারটি বাড়ি ভেঙে ছোট ছোট বাড়ি ও বড় বেসমেন্ট নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। তবে এই নির্মাণের জন্য অনুমতি দেয়নি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এরপর তিনি ধাপে ধাপে কাজটি করেন, যাতে কোনো বড় পরিকল্পনার মতো অনুমোদনের দরকার না পড়ে। এ নিয়ে শহরের কাউন্সিল ও স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কারণ তাদের মতে, এতে করে জোনিং আইনের ফাঁকফোকর ব্যবহার করা হয়েছে এবং শহর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নিষ্ক্রিয় থেকেছে।

জাকারবার্গের সম্পত্তির পরিসর কেবল ক্যালিফোর্নিয়ায় সীমাবদ্ধ নয়। হাওয়াইয়ের কাউয়াই দ্বীপে তার রয়েছে ২ হাজার ৩০০ একরের একটি বিশাল এস্টেট, যেটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এ ছাড়া লেক তাহো ও ওয়াশিংটন ডিসিতেও তার বিলাসবহুল বাসভবন রয়েছে।

এ বিষয়ে মেটা কোনো মন্তব্য দেয়নি।

তথ্যসূত্র: ফরচুন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে লতিফ সিদ্দিকী অবরুদ্ধ, নেওয়া হলো পুলিশি হেফাজতে

রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র পরিদর্শনের পর যা জানাল আইএইএর বিশেষজ্ঞ দল

আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী, ঢাবি শিক্ষক কার্জনসহ ১১ জন ডিবি হেফাজতে

নির্বাচনের আগে কোনো বৈধ অস্ত্র ফেরত দেবে না সরকার

নির্বাচন জড়িয়ে যাচ্ছে অনৈক্যের জালে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত