আনিকা জীনাত
অনেকবার অনেকভাবে জেনেছি। লাভ হয়নি। এখনো কয়েক ঘণ্টা ফেসবুকে না থাকলে মনে হয় কী যেন ‘মিস’ হয়ে যাচ্ছে। আমি নিশ্চিত, কম-বেশি সবার এই অনুভূতি হয়।
আজ আবারও জানলাম। খুব বেশি নতুন তথ্য জেনেছি তা নয়। তবে ভয় পেয়েছি এবং এই ভয় ছড়িয়ে দিতেই লিখছি।
কম-বেশি সবাই জানি, ফেসবুকসহ সব সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের ডেটা নিয়ে ‘টার্গেটেড’ বিজ্ঞাপন দেখায়। পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখতে কারোরই আপত্তি থাকে না। কারণ, বহু হিসাব-নিকাশ করেই এই বিজ্ঞাপনগুলো দেখানো হয়।
তবে বিজ্ঞাপন দেখানোর প্রক্রিয়াটা আমাদের ধারণার চেয়ে হাজার গুণ বেশি জটিল। প্রথমে কম্পিউটারকে শেখানো হয় আমরা কী পছন্দ করি। সে অনুযায়ী পোস্ট দেখানো হয়। যেমন, কেউ যদি গুচি ব্র্যান্ডের ভক্ত হয়, তাঁকে নিশ্চিতভাবে ‘সব্যসাচী ইন্সপায়ার্ড’ শাড়ির বিজ্ঞাপন দেখানো হয় না।
ফেসবুক তো জানে কার কী পছন্দ এবং সে অনুযায়ী শুধু বিজ্ঞাপন নয়, নিউজ ও পোস্টও দেখানো হয়। যে ব্যক্তি ট্রাম্পের সাপোর্টার, সে তাঁর ব্যাপারে পজিটিভ নিউজই দেখবে। যে ব্যক্তি ভুয়া খবরে ক্লিক বেশি করে, সে পানি খেয়ে করোনাভাইরাস তাড়ানোর উপায় লেখা পোস্টই দেখবে। কারণ, ভিন্ন কিছু দেখালে তাতে তার মনোযোগ থাকবে না। আর মনোযোগ না থাকলে সে ফেসবুক থেকে বের হয়ে যাবে। এতে বিজ্ঞাপন দেখানোর সুযোগ নষ্ট হবে ফেসবুকের।
মোটকথা, যে যা দেখতে পছন্দ করবে, তাঁকে তাই দেখিয়ে ধরে রাখা হবে। একটি পোস্ট সে কতক্ষণ ধরে দেখছে, সেটারও হিসাব রাখে ফেসবুক।
নব্বইয়ের দশকে মানুষ একে অন্যের মতের প্রতিবাদ করত। এখন মতের অমিল হলেই গালি দেয়। কারণ, তারা যা দেখে এর বাইরে কিছু বিশ্বাস করে না। আর তারা তাই দেখে, যা অ্যালগরিদম তাদের দেখায়। এতে উগ্রবাদ যে বাড়ছে, তা ফেসবুককর্মীরা ভালো করেই জানেন।
মার্ক জাকারবার্গ নিজের বাচ্চাদের ক্লোজআপ ছবি দেন না। দিলেও এমনভাবে দেন, যাতে চেহারা কেউ চিনতে না পারে। শুধু জাকারবার্গ নন, সুন্দর পিচাইয়ের ছেলেমেয়ের ছবি কেউ দেখেছেন? জেফ বেজসের?
না। কাউকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকার উপদেশ দিচ্ছি না। তবে আমরা কোন জালে মাকড়সা হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি, তা অন্তত সবার জানা দরকার। ফেসবুক, গুগল, টুইটার, পিন্টারেস্টের উঁচু পদে চাকরি করা অবস্থায় অনেক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। অনৈতিকভাবে মানুষের মনোজগৎ নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারটি তারা মেনে নিতে পারেননি। তাদের বক্তব্য জানতে দ্য সোশ্যাল ডিলেমা তথ্যচিত্রটি দেখা যেতে পারে।
অনেকবার অনেকভাবে জেনেছি। লাভ হয়নি। এখনো কয়েক ঘণ্টা ফেসবুকে না থাকলে মনে হয় কী যেন ‘মিস’ হয়ে যাচ্ছে। আমি নিশ্চিত, কম-বেশি সবার এই অনুভূতি হয়।
আজ আবারও জানলাম। খুব বেশি নতুন তথ্য জেনেছি তা নয়। তবে ভয় পেয়েছি এবং এই ভয় ছড়িয়ে দিতেই লিখছি।
কম-বেশি সবাই জানি, ফেসবুকসহ সব সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের ডেটা নিয়ে ‘টার্গেটেড’ বিজ্ঞাপন দেখায়। পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখতে কারোরই আপত্তি থাকে না। কারণ, বহু হিসাব-নিকাশ করেই এই বিজ্ঞাপনগুলো দেখানো হয়।
তবে বিজ্ঞাপন দেখানোর প্রক্রিয়াটা আমাদের ধারণার চেয়ে হাজার গুণ বেশি জটিল। প্রথমে কম্পিউটারকে শেখানো হয় আমরা কী পছন্দ করি। সে অনুযায়ী পোস্ট দেখানো হয়। যেমন, কেউ যদি গুচি ব্র্যান্ডের ভক্ত হয়, তাঁকে নিশ্চিতভাবে ‘সব্যসাচী ইন্সপায়ার্ড’ শাড়ির বিজ্ঞাপন দেখানো হয় না।
ফেসবুক তো জানে কার কী পছন্দ এবং সে অনুযায়ী শুধু বিজ্ঞাপন নয়, নিউজ ও পোস্টও দেখানো হয়। যে ব্যক্তি ট্রাম্পের সাপোর্টার, সে তাঁর ব্যাপারে পজিটিভ নিউজই দেখবে। যে ব্যক্তি ভুয়া খবরে ক্লিক বেশি করে, সে পানি খেয়ে করোনাভাইরাস তাড়ানোর উপায় লেখা পোস্টই দেখবে। কারণ, ভিন্ন কিছু দেখালে তাতে তার মনোযোগ থাকবে না। আর মনোযোগ না থাকলে সে ফেসবুক থেকে বের হয়ে যাবে। এতে বিজ্ঞাপন দেখানোর সুযোগ নষ্ট হবে ফেসবুকের।
মোটকথা, যে যা দেখতে পছন্দ করবে, তাঁকে তাই দেখিয়ে ধরে রাখা হবে। একটি পোস্ট সে কতক্ষণ ধরে দেখছে, সেটারও হিসাব রাখে ফেসবুক।
নব্বইয়ের দশকে মানুষ একে অন্যের মতের প্রতিবাদ করত। এখন মতের অমিল হলেই গালি দেয়। কারণ, তারা যা দেখে এর বাইরে কিছু বিশ্বাস করে না। আর তারা তাই দেখে, যা অ্যালগরিদম তাদের দেখায়। এতে উগ্রবাদ যে বাড়ছে, তা ফেসবুককর্মীরা ভালো করেই জানেন।
মার্ক জাকারবার্গ নিজের বাচ্চাদের ক্লোজআপ ছবি দেন না। দিলেও এমনভাবে দেন, যাতে চেহারা কেউ চিনতে না পারে। শুধু জাকারবার্গ নন, সুন্দর পিচাইয়ের ছেলেমেয়ের ছবি কেউ দেখেছেন? জেফ বেজসের?
না। কাউকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকার উপদেশ দিচ্ছি না। তবে আমরা কোন জালে মাকড়সা হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি, তা অন্তত সবার জানা দরকার। ফেসবুক, গুগল, টুইটার, পিন্টারেস্টের উঁচু পদে চাকরি করা অবস্থায় অনেক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। অনৈতিকভাবে মানুষের মনোজগৎ নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারটি তারা মেনে নিতে পারেননি। তাদের বক্তব্য জানতে দ্য সোশ্যাল ডিলেমা তথ্যচিত্রটি দেখা যেতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্বয়ং একাধিকবার বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন এমন এক আবহে অনুষ্ঠিত হবে যে তা শুধু দেশে নয়, সারা পৃথিবীতে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সর্বজনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এটা তাঁর নিজের এবং অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে
২০ ঘণ্টা আগেসোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫। আস্থা আছে কি না, স্বপ্রণোদিত হয়ে যাচাই করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বাইরু। সংসদে ১৯৪ জন সংসদ সদস্য তাঁর ওপর আস্থা জানিয়ে ভোট দিলেও ৩৬৪ জন তাঁকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ফ্রান্সের আইনপ্রণেতা হচ্ছেন মোট ৫৭৭ জন। ফলে মাত্র ৯ মাস ক্ষমতায়
২০ ঘণ্টা আগেসময় এখন অদ্ভুত এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। মানুষ তার হাজার বছরের ইতিহাসে অনেক বিপ্লবের সাক্ষী হয়েছে—কৃষি, শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি। প্রতিটি বিপ্লব আমাদের জীবনধারায় গভীর পরিবর্তন এনেছে, কেউ কেউ পেছনে পড়ে গেছে, কেউ সামনের সারিতে উঠে এসেছে। কিন্তু এইবার যা আসছে, তা হয়তো আর কাউকে কেবল পেছনেই ফেলবে না; বরং মানুষক
২০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে ১৯৭২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কীটনাশক ব্যবহারের পরিমাণ প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে। আজকের পত্রিকায় ১০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ‘সেন্টার ফর অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড বায়োসায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল’ (ক্যাবি) আয়োজিত এক কর্মশালায় এই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে।
২০ ঘণ্টা আগে