আহমেদ শমসের
আজ ১৪ জুন। কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, আমাদের প্রিয় মানুষ সেলিনা আপার জন্মদিন। ১৯৪৭ সালের আজকের দিনে জন্ম, মানে ৭৫ বছরে পা রাখলেন তিনি। তাঁর শিক্ষাজীবন কেটেছে বগুড়া ও রাজশাহীতে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ পাস করেছেন।
ছাত্রজীবন থেকেই তিনি লেখালেখি শুরু করেন। তারপর থেকে চলছে অব্যাহতভাবে। তিনি অনেক উপন্যাস লিখেছেন। লিখেছেন শিশুতোষ রচনা। সামাজিক বা সমসাময়িক বিষয় নিয়েও সংবাদপত্রে নিয়মিত লেখেন।
অনেক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও সক্রিয়ভাবে জড়িত। বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কারসহ অনেক সম্মাননা পেয়েছেন। বাংলা একাডেমির পরিচালক এবং শিশু একাডেমির চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন।
তাঁর লেখা অন্তত দুটি উপন্যাসের চলচ্চিত্র রূপ দেওয়া হয়েছে: হাঙর নদী গ্রেনেড এবং পোকামাকড়ের ঘরবসতি। যাপিত জীবন, নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনিসহ অনেক পাঠকপ্রিয় উপন্যাসের তিনি রচয়িতা। ছিটমহল নিয়ে বাংলা সাহিত্যে তাঁর প্রথম উপন্যাস ভূমি ও কুসুম। তাঁর কয়েকটি উপন্যাস বিদেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। সৃষ্টির আনন্দে মেতে আছেন এখনো নিরলসভাবে। নানা বিষয়ে অসংখ্য সম্পাদনা গ্রন্থের সঙ্গে তিনি নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন, আছেন।
লেখকের সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রসঙ্গে তিনি মনে করেন, শিল্পের জন্য শিল্প, এটা তো কতকাল আগেই বর্জিত হয়েছে। শিল্পের সামগ্রিক দায়বদ্ধতা সৃজনশীল মানুষের গভীরতম বোধ, তাকে রূপায়িত করা দরকার। কেউ যদি এড়াতে চান, তো এড়াবেন। সেটা তাঁর স্বাধীনতা। তিনি মনে করেন, সমাজের বহুমাত্রিক সংকট সাহিত্যের প্রধান দিক। বাংলাদেশের সাহিত্য এমন নানামুখী ধারায় রচিত হচ্ছে। নবীন-প্রবীণ লেখকরা শিল্পের ভূমিকায় সৃষ্টিশীলতাকে প্রধান করে দেখেন। লেখকরা এই মৌলিক বিবেচনা থেকে দূরে থাকেন না।
ছোটখাটো গড়নের হাসিখুশি এই মানুষটির সান্নিধ্যে যিনি এসেছেন, তিনিই জানেন, মানুষকে আপন করে নেওয়ার কী এক জাদুকরি প্রভাব মিষ্টভাষী সেলিনা আপার মধ্যে সদাসক্রিয়।
তিনি যখন কথা বলেন তখন শুনতে ইচ্ছে করে। তাঁর বিনয় তাঁকে এক আলাদা স্নিগ্ধতা দিয়েছে।
জন্মদিনে সুস্বাস্থ্য ও সৃজনশীল দীর্ঘ জীবন কামনা করি।
শুভ জন্মদিন, সেলিনা আপা।
আজ ১৪ জুন। কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, আমাদের প্রিয় মানুষ সেলিনা আপার জন্মদিন। ১৯৪৭ সালের আজকের দিনে জন্ম, মানে ৭৫ বছরে পা রাখলেন তিনি। তাঁর শিক্ষাজীবন কেটেছে বগুড়া ও রাজশাহীতে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ পাস করেছেন।
ছাত্রজীবন থেকেই তিনি লেখালেখি শুরু করেন। তারপর থেকে চলছে অব্যাহতভাবে। তিনি অনেক উপন্যাস লিখেছেন। লিখেছেন শিশুতোষ রচনা। সামাজিক বা সমসাময়িক বিষয় নিয়েও সংবাদপত্রে নিয়মিত লেখেন।
অনেক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও সক্রিয়ভাবে জড়িত। বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কারসহ অনেক সম্মাননা পেয়েছেন। বাংলা একাডেমির পরিচালক এবং শিশু একাডেমির চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন।
তাঁর লেখা অন্তত দুটি উপন্যাসের চলচ্চিত্র রূপ দেওয়া হয়েছে: হাঙর নদী গ্রেনেড এবং পোকামাকড়ের ঘরবসতি। যাপিত জীবন, নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনিসহ অনেক পাঠকপ্রিয় উপন্যাসের তিনি রচয়িতা। ছিটমহল নিয়ে বাংলা সাহিত্যে তাঁর প্রথম উপন্যাস ভূমি ও কুসুম। তাঁর কয়েকটি উপন্যাস বিদেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। সৃষ্টির আনন্দে মেতে আছেন এখনো নিরলসভাবে। নানা বিষয়ে অসংখ্য সম্পাদনা গ্রন্থের সঙ্গে তিনি নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন, আছেন।
লেখকের সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রসঙ্গে তিনি মনে করেন, শিল্পের জন্য শিল্প, এটা তো কতকাল আগেই বর্জিত হয়েছে। শিল্পের সামগ্রিক দায়বদ্ধতা সৃজনশীল মানুষের গভীরতম বোধ, তাকে রূপায়িত করা দরকার। কেউ যদি এড়াতে চান, তো এড়াবেন। সেটা তাঁর স্বাধীনতা। তিনি মনে করেন, সমাজের বহুমাত্রিক সংকট সাহিত্যের প্রধান দিক। বাংলাদেশের সাহিত্য এমন নানামুখী ধারায় রচিত হচ্ছে। নবীন-প্রবীণ লেখকরা শিল্পের ভূমিকায় সৃষ্টিশীলতাকে প্রধান করে দেখেন। লেখকরা এই মৌলিক বিবেচনা থেকে দূরে থাকেন না।
ছোটখাটো গড়নের হাসিখুশি এই মানুষটির সান্নিধ্যে যিনি এসেছেন, তিনিই জানেন, মানুষকে আপন করে নেওয়ার কী এক জাদুকরি প্রভাব মিষ্টভাষী সেলিনা আপার মধ্যে সদাসক্রিয়।
তিনি যখন কথা বলেন তখন শুনতে ইচ্ছে করে। তাঁর বিনয় তাঁকে এক আলাদা স্নিগ্ধতা দিয়েছে।
জন্মদিনে সুস্বাস্থ্য ও সৃজনশীল দীর্ঘ জীবন কামনা করি।
শুভ জন্মদিন, সেলিনা আপা।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্বয়ং একাধিকবার বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন এমন এক আবহে অনুষ্ঠিত হবে যে তা শুধু দেশে নয়, সারা পৃথিবীতে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সর্বজনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এটা তাঁর নিজের এবং অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে
১ দিন আগেসোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫। আস্থা আছে কি না, স্বপ্রণোদিত হয়ে যাচাই করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বাইরু। সংসদে ১৯৪ জন সংসদ সদস্য তাঁর ওপর আস্থা জানিয়ে ভোট দিলেও ৩৬৪ জন তাঁকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ফ্রান্সের আইনপ্রণেতা হচ্ছেন মোট ৫৭৭ জন। ফলে মাত্র ৯ মাস ক্ষমতায়
১ দিন আগেসময় এখন অদ্ভুত এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। মানুষ তার হাজার বছরের ইতিহাসে অনেক বিপ্লবের সাক্ষী হয়েছে—কৃষি, শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি। প্রতিটি বিপ্লব আমাদের জীবনধারায় গভীর পরিবর্তন এনেছে, কেউ কেউ পেছনে পড়ে গেছে, কেউ সামনের সারিতে উঠে এসেছে। কিন্তু এইবার যা আসছে, তা হয়তো আর কাউকে কেবল পেছনেই ফেলবে না; বরং মানুষক
১ দিন আগেবাংলাদেশে ১৯৭২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কীটনাশক ব্যবহারের পরিমাণ প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে। আজকের পত্রিকায় ১০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ‘সেন্টার ফর অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড বায়োসায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল’ (ক্যাবি) আয়োজিত এক কর্মশালায় এই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে।
১ দিন আগে