রফি হক
‘বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল
পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান
বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল
পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান.... ’
এই গানটি অনেক দিন কোথাও বাজতে শুনি না। কোনো অনুষ্ঠানেও আজকাল আর গাওয়া হয় না! এই গান ছোটবেলায় যখন শুনতাম গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠত। চোখে জল আসত। স্কুলে স্কাউটিং করতাম। ইউনিফর্ম পরে আমিও এই গানের সঙ্গে গলা মিলিয়েছি আরও অনেক বালকের সঙ্গে। ভাবুন আমাদের একাত্তর। ভাবুন মুক্তিযুদ্ধের কাল।
এক–একটা আন্দোলন আসে। সমস্ত দেশকে, জাতিকে নাড়িয়ে দিয়ে চলে যায়। কিছু কিছু নাটক, কিছু কিছু কবিতা আমাদের বুকের ভেতর গেঁথে যায়। কখনো বা গান। সারাক্ষণ রক্তের মধ্যে গুনগুন করতে থাকে। বাংলার মাটি বাংলার জল—এ রকমের এক তোলপাড় করা গান আমরা আর শুনি না?
মন্ত্রের মতো গান। ‘পুণ্য হউক, পুণ্য হউক’ অথবা ‘সত্য হউক, সত্য হউক’ বারবার উচ্চারণের ফলে আমাদের মধ্যবিত্ত জীবনে কোথাও একটা আশা জেগে ওঠে। খুব ভেতরকার একটা আশা। তুমি, আমি, আমরা কোথাও মিলতে চাই। না হলে আমরা গান শুনি কেন? কবিতা পড়ি কেন? নাটক দেখতে যাই কেন? সিনেমা দেখতে যাই কেন? আর্ট এক্সিবিশন দেখতে যাই কেন? বর্ষবরণ, মঙ্গল শোভাযাত্রায় যাই কেন? পয়লা বৈশাখে রমনার বটমূলে যাই কেন? শহীদ মিনারে যাই কেন? কবিতা লিখি কেন? ছবি আঁকি কেন? কেনই বা শিশুকে ভালোবাসি? কেন প্রেমে পড়ি? ভালোবাসি? কোথাও এক হতে চাই, মিলে যেতে চাই বলে!
আজকের এই মধ্যবিত্ত সমাজে, জীবনযাপনে খুঁটিনাটি নিয়ে কেবলই বিচ্ছেদ, মুখ দেখাদেখি বন্ধ, ছাড়াছাড়ি স্বামী-স্ত্রীতে, বন্ধুতে–বন্ধুতে, আত্মীয়স্বজনে। দেখুন রবীন্দ্রনাথের এই গানটির মধ্যে এক হওয়ার মন্ত্র এত সহজ বিশ্বাসে, এত জোরের সঙ্গে বলা আছে যাতে, যে মেলামেশা জীবনে কখনো সম্ভব হলো না, বন্ধু পরিজনের সঙ্গে, যে বিচ্ছেদ পার হওয়া বাস্তবে কখনো হবে না—তারা যেন রবীন্দ্রনাথের লেখা এই স্তবের মধ্যে এসে সত্যি সত্যি সম্ভব হয়ে উঠল।
মিলেমিশে থাকবার যে বাসনা সংসারের সবার মধ্যেই ছিল, কিন্তু যে থাকাটা হলো না, হয়নি, সেটাই যেন গানের ভেতর দিয়ে জেগে উঠল। আর তখনই সমস্ত পৃথিবীটা স্বচ্ছ ও ভালোবাসাময় মনে হলো। এই হলো সেই সৌন্দর্য, যার সামনে এলে চোখে জল আসে। গায়ে কাঁটা দেয়।
কিন্তু গানটি আর শুনি না। স্কুলের টেক্সট বুকেও আর নেই। কেননা গানটির প্রতিটি স্তবের শেষ লাইনে আছে—‘সত্য হউক হে ভগবান।।’ আমরা এসবের ঊর্ধ্বে কবে উঠতে পারব? না কি আদৌ পারব না আর?
‘বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন, বাঙালির ঘরে যত ভাই বোন—
এক হউক, এক হউক, এক হউক হে ভগবান ॥’
‘বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল
পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান
বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল
পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান.... ’
এই গানটি অনেক দিন কোথাও বাজতে শুনি না। কোনো অনুষ্ঠানেও আজকাল আর গাওয়া হয় না! এই গান ছোটবেলায় যখন শুনতাম গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠত। চোখে জল আসত। স্কুলে স্কাউটিং করতাম। ইউনিফর্ম পরে আমিও এই গানের সঙ্গে গলা মিলিয়েছি আরও অনেক বালকের সঙ্গে। ভাবুন আমাদের একাত্তর। ভাবুন মুক্তিযুদ্ধের কাল।
এক–একটা আন্দোলন আসে। সমস্ত দেশকে, জাতিকে নাড়িয়ে দিয়ে চলে যায়। কিছু কিছু নাটক, কিছু কিছু কবিতা আমাদের বুকের ভেতর গেঁথে যায়। কখনো বা গান। সারাক্ষণ রক্তের মধ্যে গুনগুন করতে থাকে। বাংলার মাটি বাংলার জল—এ রকমের এক তোলপাড় করা গান আমরা আর শুনি না?
মন্ত্রের মতো গান। ‘পুণ্য হউক, পুণ্য হউক’ অথবা ‘সত্য হউক, সত্য হউক’ বারবার উচ্চারণের ফলে আমাদের মধ্যবিত্ত জীবনে কোথাও একটা আশা জেগে ওঠে। খুব ভেতরকার একটা আশা। তুমি, আমি, আমরা কোথাও মিলতে চাই। না হলে আমরা গান শুনি কেন? কবিতা পড়ি কেন? নাটক দেখতে যাই কেন? সিনেমা দেখতে যাই কেন? আর্ট এক্সিবিশন দেখতে যাই কেন? বর্ষবরণ, মঙ্গল শোভাযাত্রায় যাই কেন? পয়লা বৈশাখে রমনার বটমূলে যাই কেন? শহীদ মিনারে যাই কেন? কবিতা লিখি কেন? ছবি আঁকি কেন? কেনই বা শিশুকে ভালোবাসি? কেন প্রেমে পড়ি? ভালোবাসি? কোথাও এক হতে চাই, মিলে যেতে চাই বলে!
আজকের এই মধ্যবিত্ত সমাজে, জীবনযাপনে খুঁটিনাটি নিয়ে কেবলই বিচ্ছেদ, মুখ দেখাদেখি বন্ধ, ছাড়াছাড়ি স্বামী-স্ত্রীতে, বন্ধুতে–বন্ধুতে, আত্মীয়স্বজনে। দেখুন রবীন্দ্রনাথের এই গানটির মধ্যে এক হওয়ার মন্ত্র এত সহজ বিশ্বাসে, এত জোরের সঙ্গে বলা আছে যাতে, যে মেলামেশা জীবনে কখনো সম্ভব হলো না, বন্ধু পরিজনের সঙ্গে, যে বিচ্ছেদ পার হওয়া বাস্তবে কখনো হবে না—তারা যেন রবীন্দ্রনাথের লেখা এই স্তবের মধ্যে এসে সত্যি সত্যি সম্ভব হয়ে উঠল।
মিলেমিশে থাকবার যে বাসনা সংসারের সবার মধ্যেই ছিল, কিন্তু যে থাকাটা হলো না, হয়নি, সেটাই যেন গানের ভেতর দিয়ে জেগে উঠল। আর তখনই সমস্ত পৃথিবীটা স্বচ্ছ ও ভালোবাসাময় মনে হলো। এই হলো সেই সৌন্দর্য, যার সামনে এলে চোখে জল আসে। গায়ে কাঁটা দেয়।
কিন্তু গানটি আর শুনি না। স্কুলের টেক্সট বুকেও আর নেই। কেননা গানটির প্রতিটি স্তবের শেষ লাইনে আছে—‘সত্য হউক হে ভগবান।।’ আমরা এসবের ঊর্ধ্বে কবে উঠতে পারব? না কি আদৌ পারব না আর?
‘বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন, বাঙালির ঘরে যত ভাই বোন—
এক হউক, এক হউক, এক হউক হে ভগবান ॥’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্বয়ং একাধিকবার বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন এমন এক আবহে অনুষ্ঠিত হবে যে তা শুধু দেশে নয়, সারা পৃথিবীতে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সর্বজনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এটা তাঁর নিজের এবং অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে
১ দিন আগেসোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫। আস্থা আছে কি না, স্বপ্রণোদিত হয়ে যাচাই করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বাইরু। সংসদে ১৯৪ জন সংসদ সদস্য তাঁর ওপর আস্থা জানিয়ে ভোট দিলেও ৩৬৪ জন তাঁকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ফ্রান্সের আইনপ্রণেতা হচ্ছেন মোট ৫৭৭ জন। ফলে মাত্র ৯ মাস ক্ষমতায়
১ দিন আগেসময় এখন অদ্ভুত এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। মানুষ তার হাজার বছরের ইতিহাসে অনেক বিপ্লবের সাক্ষী হয়েছে—কৃষি, শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি। প্রতিটি বিপ্লব আমাদের জীবনধারায় গভীর পরিবর্তন এনেছে, কেউ কেউ পেছনে পড়ে গেছে, কেউ সামনের সারিতে উঠে এসেছে। কিন্তু এইবার যা আসছে, তা হয়তো আর কাউকে কেবল পেছনেই ফেলবে না; বরং মানুষক
১ দিন আগেবাংলাদেশে ১৯৭২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কীটনাশক ব্যবহারের পরিমাণ প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে। আজকের পত্রিকায় ১০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ‘সেন্টার ফর অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড বায়োসায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল’ (ক্যাবি) আয়োজিত এক কর্মশালায় এই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে।
১ দিন আগে