ফরহাদ রনি
বড় বড় অনেক বিষয় নিয়ে চিন্তাবিদেরা চিন্তায় মত্ত। তালেবান ক্ষমতায় থাকাবস্থায় আফগানিস্তানের নাম কী হবে, তাদের জীবনযাত্রা কেমন হবে–এসব নিয়ে আমাদের দেশে চিন্তার কমতি নেই। ফেরি কেন পদ্মা সেতুর পিলারে বারবার ধাক্কা দিচ্ছে–এটা নিয়েও মানুষের চিন্তায় বিভ্রম হওয়ার উপক্রম। এ ছাড়াও পরীমণিকে রিমান্ডে কী কী জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে–এই নিয়েও আমাদের তরুণসমাজের চিন্তায় জীবন যায় যায় অবস্থা।
কিন্তু এর চেয়েও ভয়ানক যে ব্যাপার রয়েছে, এটা নিয়ে এখনো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কপালে চিন্তার ভাঁজ দিন দিন গাঢ় হচ্ছে, সেটা নিয়ে যেন আমাদের ভাবার কিছুই নেই। কোভিড-১৯ মানুষের জীবন এবং জীবিকা দুই-ই দুর্বিষহ করে তুলেছে। প্রথম দিককার লকডাউন জনমনে গুরুত্ব বহন করলেও দিন দিন লকডাউন মানুষের কাছে এখন ‘এক তরকারি দিয়ে প্রতিদিন ভাত খাওয়া’র মতো বিরক্তিকর মনে হচ্ছে। প্রতিদিন একটা দেশ থেকে গড়ে ২০০-র বেশি মানুষ নাই (মারা) হয়ে যাচ্ছে, এটা নিয়ে বেশির ভাগ মানুষের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
কোভিড-১৯ শুরুর দিকে যখন দেশে দৈনিক ২-৩ জনের মৃত্যু হয়, তখন আমাদের পরিবারের সবাই আতঙ্কে আলাদা আলাদা গ্লাসে পানি খেতাম, আলাদা থাকার চেষ্টা করতাম এবং হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুতে ধুতে হাতের রেখা মুছে ফেলার উপক্রম হতো। এ ছাড়া ঘুমানোর সময়ও মাস্ক পরে ঘুমিয়ে পড়তাম। আর এখন ২০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হলেও মাস্কটা টেবিলের পাশেই পড়ে থাকে। মনে হচ্ছে, দিন দিন মৃত্যুর হার যতটা বাড়ছে, মানুষের মনে আতঙ্ক ততটা কমে যাচ্ছে। সরকার বিভিন্ন নামকরণে লকডাউন দিচ্ছে; কিন্তু এটা কতটা কার্যকরী হচ্ছে, তা নিয়ে নানা মহলের জ্ঞানীরা নানান কথা বলবেন। লকডাউন, শাটডাউন, কড়াকড়ি লকডাউন, কঠোর লকডাউন, কঠোর থেকে কঠোরতম লকডাউনসহ সব ধরনের লকডাউন দিয়েও খুব একটা কাজ হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। এখন শুধু বাকি ‘আল্লাহর কসম লকডাউন’ দেওয়ার। অনেকেই আবার লকডাউন না মানার জন্য যুক্তি দাঁড় করাবেন, ‘না খেয়ে মরে যাওয়ার চেয়ে করোনা হয়ে মরা ভালো’। কিন্তু এর পেছনেও যুক্তি আছে, ‘বেঁচে থাকলে অনেক খাওয়া যাবে।’ কোনটা গ্রহণযোগ্য সেটা তর্কসাপেক্ষ।
সাধারণ মানুষের মনে আবার নতুন চিন্তার উদয় হয়েছে। এটাকে অবশ্য অতিমাত্রায় ইতিবাচক চিন্তা নাকি নেতিবাচক চিন্তা বলা হবে, তা নিয়ে আমি নিজেও চিন্তিত। দেশের মানুষের ধারণা, করোনার টিকা (ভ্যাকসিন) নিলে আর কখনো করোনা হবে না বা করোনা হলেও মৃত্যু হবে না। তা-ও এটা কিছুটা যুক্তিসংগত ভাবনা বলা যায়। কিন্তু এখন কোনো মহল যদি ভেবেই বসে, ‘গরিব আর মুসলমানদের কখনো করোনা হয় না’, এটাকে আপনি কোন যুক্তিতে ফেলবেন–এটাও চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। এই ভাবনাটা যে বাস্তব জীবনে পরাজিত হয়েছে, সেটা আর বলে বোঝাতে হবে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা টিকার কার্যকারিতা নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে, এটা বলা বাহুল্য। অনেক রোগের প্রতিষেধক তৈরি হয়েছে ৫০-৬০ বছরের নিরলস গবেষণার ফলে। তাহলে এক বছরের গবেষণায় তৈরি টিকা কতটা কার্যকরী হবে, সেটা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও কোনো জোরালো বক্তব্য দিচ্ছে না। তাহলে কীভাবে আমরা এই টিকার
ওপর শতভাগ নির্ভর করি? তবে এই মহামারি থেকে দূরে থাকার তিনটা সহজ এবং কম খরুচে উপায় আছে। এই ‘তিন উপায়’ অনেক বেশি কার্যকরী বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জোরালো বক্তব্য প্রতিনিয়ত দিয়ে যাচ্ছে। উপায় তিনটি হচ্ছে–সঠিকভাবে ‘মাস্ক পরুন, মাস্ক পরুন এবং মাস্ক পরুন।’
লেখক: ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক
বড় বড় অনেক বিষয় নিয়ে চিন্তাবিদেরা চিন্তায় মত্ত। তালেবান ক্ষমতায় থাকাবস্থায় আফগানিস্তানের নাম কী হবে, তাদের জীবনযাত্রা কেমন হবে–এসব নিয়ে আমাদের দেশে চিন্তার কমতি নেই। ফেরি কেন পদ্মা সেতুর পিলারে বারবার ধাক্কা দিচ্ছে–এটা নিয়েও মানুষের চিন্তায় বিভ্রম হওয়ার উপক্রম। এ ছাড়াও পরীমণিকে রিমান্ডে কী কী জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে–এই নিয়েও আমাদের তরুণসমাজের চিন্তায় জীবন যায় যায় অবস্থা।
কিন্তু এর চেয়েও ভয়ানক যে ব্যাপার রয়েছে, এটা নিয়ে এখনো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কপালে চিন্তার ভাঁজ দিন দিন গাঢ় হচ্ছে, সেটা নিয়ে যেন আমাদের ভাবার কিছুই নেই। কোভিড-১৯ মানুষের জীবন এবং জীবিকা দুই-ই দুর্বিষহ করে তুলেছে। প্রথম দিককার লকডাউন জনমনে গুরুত্ব বহন করলেও দিন দিন লকডাউন মানুষের কাছে এখন ‘এক তরকারি দিয়ে প্রতিদিন ভাত খাওয়া’র মতো বিরক্তিকর মনে হচ্ছে। প্রতিদিন একটা দেশ থেকে গড়ে ২০০-র বেশি মানুষ নাই (মারা) হয়ে যাচ্ছে, এটা নিয়ে বেশির ভাগ মানুষের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
কোভিড-১৯ শুরুর দিকে যখন দেশে দৈনিক ২-৩ জনের মৃত্যু হয়, তখন আমাদের পরিবারের সবাই আতঙ্কে আলাদা আলাদা গ্লাসে পানি খেতাম, আলাদা থাকার চেষ্টা করতাম এবং হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুতে ধুতে হাতের রেখা মুছে ফেলার উপক্রম হতো। এ ছাড়া ঘুমানোর সময়ও মাস্ক পরে ঘুমিয়ে পড়তাম। আর এখন ২০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হলেও মাস্কটা টেবিলের পাশেই পড়ে থাকে। মনে হচ্ছে, দিন দিন মৃত্যুর হার যতটা বাড়ছে, মানুষের মনে আতঙ্ক ততটা কমে যাচ্ছে। সরকার বিভিন্ন নামকরণে লকডাউন দিচ্ছে; কিন্তু এটা কতটা কার্যকরী হচ্ছে, তা নিয়ে নানা মহলের জ্ঞানীরা নানান কথা বলবেন। লকডাউন, শাটডাউন, কড়াকড়ি লকডাউন, কঠোর লকডাউন, কঠোর থেকে কঠোরতম লকডাউনসহ সব ধরনের লকডাউন দিয়েও খুব একটা কাজ হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। এখন শুধু বাকি ‘আল্লাহর কসম লকডাউন’ দেওয়ার। অনেকেই আবার লকডাউন না মানার জন্য যুক্তি দাঁড় করাবেন, ‘না খেয়ে মরে যাওয়ার চেয়ে করোনা হয়ে মরা ভালো’। কিন্তু এর পেছনেও যুক্তি আছে, ‘বেঁচে থাকলে অনেক খাওয়া যাবে।’ কোনটা গ্রহণযোগ্য সেটা তর্কসাপেক্ষ।
সাধারণ মানুষের মনে আবার নতুন চিন্তার উদয় হয়েছে। এটাকে অবশ্য অতিমাত্রায় ইতিবাচক চিন্তা নাকি নেতিবাচক চিন্তা বলা হবে, তা নিয়ে আমি নিজেও চিন্তিত। দেশের মানুষের ধারণা, করোনার টিকা (ভ্যাকসিন) নিলে আর কখনো করোনা হবে না বা করোনা হলেও মৃত্যু হবে না। তা-ও এটা কিছুটা যুক্তিসংগত ভাবনা বলা যায়। কিন্তু এখন কোনো মহল যদি ভেবেই বসে, ‘গরিব আর মুসলমানদের কখনো করোনা হয় না’, এটাকে আপনি কোন যুক্তিতে ফেলবেন–এটাও চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। এই ভাবনাটা যে বাস্তব জীবনে পরাজিত হয়েছে, সেটা আর বলে বোঝাতে হবে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা টিকার কার্যকারিতা নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে, এটা বলা বাহুল্য। অনেক রোগের প্রতিষেধক তৈরি হয়েছে ৫০-৬০ বছরের নিরলস গবেষণার ফলে। তাহলে এক বছরের গবেষণায় তৈরি টিকা কতটা কার্যকরী হবে, সেটা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও কোনো জোরালো বক্তব্য দিচ্ছে না। তাহলে কীভাবে আমরা এই টিকার
ওপর শতভাগ নির্ভর করি? তবে এই মহামারি থেকে দূরে থাকার তিনটা সহজ এবং কম খরুচে উপায় আছে। এই ‘তিন উপায়’ অনেক বেশি কার্যকরী বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জোরালো বক্তব্য প্রতিনিয়ত দিয়ে যাচ্ছে। উপায় তিনটি হচ্ছে–সঠিকভাবে ‘মাস্ক পরুন, মাস্ক পরুন এবং মাস্ক পরুন।’
লেখক: ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক
ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। অনেকের কাছে এই ফলাফল অপ্রত্যাশিত হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীরা এই নির্বাচনে ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের ওপর আস্থা রেখেছেন। নির্বাচন চলাকালে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছিল এবং নির্বাচনের পর ভোট গণনার সময় সারা রাত বিক্ষোভে উত্তাল ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
১১ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আমার, শুধু আমার নয় বরং অনেকেরই। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ, পাশ্চাত্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন পড়ার সুযোগ পেলাম, তখন প্রথম দিন বড় বোনের কাছ থেকে শাড়ি এনে পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখলাম। সেই দিনের শিহরণ, অনুভূতি এখনো শরীর-মনে দোলা দেয়।
১২ ঘণ্টা আগেনির্বাচনের পরে যাঁরা মন্ত্রী হবেন, তাঁদের জন্য ৬০টি গাড়ি কেনার তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। প্রস্তাব এসেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে। সমালোচনার মুখে সেই পথ থেকে সরে এসেছে সরকার। বাতিল করা হয়েছে গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত। বহু দুঃসংবাদের মধ্যে এটি একটি সুসংবাদ। গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল ধরনের এই কেনাকাটার বিষয়টি
১২ ঘণ্টা আগেজাতীয় প্রেসক্লাবে ৭ সেপ্টেম্বর গণশক্তি আয়োজন করে ‘জুলাই সনদ ও নির্বাচন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা। সেই সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না যে প্রশ্নটি করেছেন, তা কোটি টাকার সঙ্গে তুলনা করাই যায়। তাঁর সহজ জিজ্ঞাসা—‘ভোটের দিন যাঁর যেখানে শক্তি আছে, তাঁর যদি মনে হয় জিততে পারবেন না...
১ দিন আগে