সম্পাদকীয়
নির্বাচনের পরে যাঁরা মন্ত্রী হবেন, তাঁদের জন্য ৬০টি গাড়ি কেনার তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। প্রস্তাব এসেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে। সমালোচনার মুখে সেই পথ থেকে সরে এসেছে সরকার।
বাতিল করা হয়েছে গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত। বহু দুঃসংবাদের মধ্যে এটি একটি সুসংবাদ। গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল ধরনের এই কেনাকাটার বিষয়টি সত্যিই ছিল গোলমেলে। অনেকেই বলেছেন, এ রকম একটি প্রস্তাব দানের মধ্য দিয়ে কেউ কেউ টু পাইস কামানোর ধান্দা করেছিলেন। সরকারি কেনাকাটায় এটা একটা চতুর পথ। কবে নির্বাচন হবে, কবে কেউ মন্ত্রী হবেন, তাঁদের জন্য আগাম কোটি কোটি টাকা খরচ করে গাড়ি কেনার ভাবনাটি সত্যিই জনগণের জন্য পীড়াদায়ক।
সরকারি কেনাকাটা বলতেই একটা সন্দেহের সৃষ্টি হয় মনে। সরকারি কেনাকাটা বললেই সাধারণ জনগণ প্রথমেই মনে করে, যে দামে একটি পণ্য সাধারণত পাওয়া যায়, তার থেকে বেশি দামে অবধারিতভাবেই কেনা হবে। বাজারদর সরকারি কেনাকাটার জন্য কোনো ব্যাপারই নয়। রূপপুরের বালিশ-কাণ্ড যে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, তার প্রমাণ পাওয়া যাবে যেকোনো সরকারি বড় কেনাকাটায়। অবৈধ আয়ের একটা উৎস হয়ে ওঠে এই কেনাকাটা। শুধু কি তাই? সরকারি কেনাকাটায় দেখা যায় মানহীন পণ্যের প্রতি আকর্ষণ। নিম্নমানের পণ্য বেশি দামে কেনা হলে তা যে দীর্ঘস্থায়ী হয় না, সে কথা তারা জানে, কিন্তু নিজেদের আখের গুছিয়ে নেওয়ার জন্য তা অগ্রাহ্য করে থাকে। আর দরপত্র কারসাজির কথা নতুন করে কী বলব! একই গ্রুপ একাধিক নামে বিভিন্ন ব্যয়সংবলিত দরপত্র জমা দেয়। তারাই কোনো না কোনোভাবে কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে কাজটা পেয়েও যায়। এসব ওপেন সিক্রেট। কিন্তু বছরের পর বছর এসব ঘটেই চলেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদদের ঘুষ দেওয়ার খেলা।
কেন একজন কর্মকর্তা নির্দিষ্ট কোনো কেনাকাটার ব্যাপারে সুদৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেন, অন্য সবকিছুকে এড়িয়ে যান, সেটাও অবোধগম্য নয়। দরকার নেই, এ রকম প্রকল্প গ্রহণ করে অর্থ ব্যয় করাও সরকারি কেনাকাটার একটা লক্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যিনি কাজ পেয়ে যান, তিনি এমনিতেই কর্মদাতার ‘স্বজন’ হয়ে যান। এ জন্য রক্তের সম্পর্কের কোনো প্রয়োজন নেই।
সরকারি কেনাকাটায় স্বচ্ছতা আনার বহু উপায় আছে। সরকারি কেনাকাটার সময় দরপত্র জমা, মূল্যায়ন অনলাইনে করা হলে তাতে ঘুষ-দুর্নীতির আশঙ্কা কমতে পারে। যে দামে যে জিনিসটি কেনা হচ্ছে, সেটির প্রকৃত দাম কী, তা জানা থাকলে পুকুরচুরি হবে না। নিয়মিত তদারকি ও স্বাধীন বেসরকারি সংস্থা বা তৃতীয় পক্ষ দিয়ে অডিট করালেও চুরি ধরা পড়তে পারে। চুরি ধরা পড়লে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা থাকতে হবে।
কিন্তু এ সবই কথার কথা হিসেবে থেকে যাবে, যদি গোড়ায় গন্ডগোল থাকে। চুরি করা যদি নিত্যদিনের সাধারণ ঘটনা হিসেবে গ্রহণ করা হয়, তাহলে কথায় কথায় অতিরিক্ত দামে এ রকম ৬০টি গাড়ি কিংবা হাজারটি বালিশ কেনার প্রবণতা ঠেকানো যাবে না।
নির্বাচনের পরে যাঁরা মন্ত্রী হবেন, তাঁদের জন্য ৬০টি গাড়ি কেনার তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। প্রস্তাব এসেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে। সমালোচনার মুখে সেই পথ থেকে সরে এসেছে সরকার।
বাতিল করা হয়েছে গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত। বহু দুঃসংবাদের মধ্যে এটি একটি সুসংবাদ। গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল ধরনের এই কেনাকাটার বিষয়টি সত্যিই ছিল গোলমেলে। অনেকেই বলেছেন, এ রকম একটি প্রস্তাব দানের মধ্য দিয়ে কেউ কেউ টু পাইস কামানোর ধান্দা করেছিলেন। সরকারি কেনাকাটায় এটা একটা চতুর পথ। কবে নির্বাচন হবে, কবে কেউ মন্ত্রী হবেন, তাঁদের জন্য আগাম কোটি কোটি টাকা খরচ করে গাড়ি কেনার ভাবনাটি সত্যিই জনগণের জন্য পীড়াদায়ক।
সরকারি কেনাকাটা বলতেই একটা সন্দেহের সৃষ্টি হয় মনে। সরকারি কেনাকাটা বললেই সাধারণ জনগণ প্রথমেই মনে করে, যে দামে একটি পণ্য সাধারণত পাওয়া যায়, তার থেকে বেশি দামে অবধারিতভাবেই কেনা হবে। বাজারদর সরকারি কেনাকাটার জন্য কোনো ব্যাপারই নয়। রূপপুরের বালিশ-কাণ্ড যে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, তার প্রমাণ পাওয়া যাবে যেকোনো সরকারি বড় কেনাকাটায়। অবৈধ আয়ের একটা উৎস হয়ে ওঠে এই কেনাকাটা। শুধু কি তাই? সরকারি কেনাকাটায় দেখা যায় মানহীন পণ্যের প্রতি আকর্ষণ। নিম্নমানের পণ্য বেশি দামে কেনা হলে তা যে দীর্ঘস্থায়ী হয় না, সে কথা তারা জানে, কিন্তু নিজেদের আখের গুছিয়ে নেওয়ার জন্য তা অগ্রাহ্য করে থাকে। আর দরপত্র কারসাজির কথা নতুন করে কী বলব! একই গ্রুপ একাধিক নামে বিভিন্ন ব্যয়সংবলিত দরপত্র জমা দেয়। তারাই কোনো না কোনোভাবে কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে কাজটা পেয়েও যায়। এসব ওপেন সিক্রেট। কিন্তু বছরের পর বছর এসব ঘটেই চলেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদদের ঘুষ দেওয়ার খেলা।
কেন একজন কর্মকর্তা নির্দিষ্ট কোনো কেনাকাটার ব্যাপারে সুদৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেন, অন্য সবকিছুকে এড়িয়ে যান, সেটাও অবোধগম্য নয়। দরকার নেই, এ রকম প্রকল্প গ্রহণ করে অর্থ ব্যয় করাও সরকারি কেনাকাটার একটা লক্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যিনি কাজ পেয়ে যান, তিনি এমনিতেই কর্মদাতার ‘স্বজন’ হয়ে যান। এ জন্য রক্তের সম্পর্কের কোনো প্রয়োজন নেই।
সরকারি কেনাকাটায় স্বচ্ছতা আনার বহু উপায় আছে। সরকারি কেনাকাটার সময় দরপত্র জমা, মূল্যায়ন অনলাইনে করা হলে তাতে ঘুষ-দুর্নীতির আশঙ্কা কমতে পারে। যে দামে যে জিনিসটি কেনা হচ্ছে, সেটির প্রকৃত দাম কী, তা জানা থাকলে পুকুরচুরি হবে না। নিয়মিত তদারকি ও স্বাধীন বেসরকারি সংস্থা বা তৃতীয় পক্ষ দিয়ে অডিট করালেও চুরি ধরা পড়তে পারে। চুরি ধরা পড়লে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা থাকতে হবে।
কিন্তু এ সবই কথার কথা হিসেবে থেকে যাবে, যদি গোড়ায় গন্ডগোল থাকে। চুরি করা যদি নিত্যদিনের সাধারণ ঘটনা হিসেবে গ্রহণ করা হয়, তাহলে কথায় কথায় অতিরিক্ত দামে এ রকম ৬০টি গাড়ি কিংবা হাজারটি বালিশ কেনার প্রবণতা ঠেকানো যাবে না।
ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। অনেকের কাছে এই ফলাফল অপ্রত্যাশিত হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীরা এই নির্বাচনে ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের ওপর আস্থা রেখেছেন। নির্বাচন চলাকালে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছিল এবং নির্বাচনের পর ভোট গণনার সময় সারা রাত বিক্ষোভে উত্তাল ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
৭ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আমার, শুধু আমার নয় বরং অনেকেরই। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ, পাশ্চাত্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন পড়ার সুযোগ পেলাম, তখন প্রথম দিন বড় বোনের কাছ থেকে শাড়ি এনে পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখলাম। সেই দিনের শিহরণ, অনুভূতি এখনো শরীর-মনে দোলা দেয়।
৭ ঘণ্টা আগেজাতীয় প্রেসক্লাবে ৭ সেপ্টেম্বর গণশক্তি আয়োজন করে ‘জুলাই সনদ ও নির্বাচন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা। সেই সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না যে প্রশ্নটি করেছেন, তা কোটি টাকার সঙ্গে তুলনা করাই যায়। তাঁর সহজ জিজ্ঞাসা—‘ভোটের দিন যাঁর যেখানে শক্তি আছে, তাঁর যদি মনে হয় জিততে পারবেন না...
১ দিন আগেহিমালয়কন্যা নেপালের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ভূদৃশ্যটি পর্বতমালার মতোই চড়াই-উতরাইয়ে ভরা। ১০ বছরের মাওবাদী বিদ্রোহের রক্তক্ষরণের পর ২০০৮ সালে উচ্ছেদ হয়েছিল রাজতন্ত্র। সেই থেকে ১৩ বার সরকার বদল হয়েছে। ক্ষমতার মসনদে ঘুরেফিরে দেখা যাচ্ছিল গুটিকয়েক নেতাকে।
১ দিন আগে