Ajker Patrika

তিন ভোটে দায়িত্ব পালনকারীদের ‘যথাসম্ভব’ দূরে রাখতে হবে

আয়নাল হোসেন, ঢাকা 
তিন ভোটে দায়িত্ব পালনকারীদের ‘যথাসম্ভব’ দূরে রাখতে হবে

বিগত তিনটি বিতর্কিত সাধারণ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীরা আগামী সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বে থাকতে পারবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওপর ছেড়ে দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১৩ জুলাই আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির এক সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়েছিল, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন থেকে সম্পূর্ণ বিরত রাখা হবে। কমিটির সর্বশেষ সভায় সে অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার ইসিকে দেওয়া হয়েছে।

১৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১২তম সভার সিদ্ধান্তে আগামী নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে বলা হয়, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তিদের আসন্ন নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়া থেকে ‘যথাসম্ভব’ বিরত থাকতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি গতকাল বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশন দেখবে। যাঁরা বিগত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের তালিকা নির্বাচন কমিশন সংগ্রহ করেছে। তারাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে সরকারের চাহিদা হচ্ছে, যাঁরা বিগত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের যথাসম্ভব দূরে রাখা।’

আগামী সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং থানার ওসিদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করাসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, সভায় উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি নির্বাচনসংক্রান্ত যেসব নির্দেশনা দিয়েছে, সেগুলো হচ্ছে নির্বাচনকে সামনে রেখে সুষ্ঠু ভোট প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ব্যক্তি বা গ্রুপকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সমন্বয়ে একটি সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে সদস্য নিয়োগ কার্যক্রম নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দুটি পৃথক প্রস্তুতিমূলক মহড়া পরিচালনা করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ সব ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে শরীরে যুক্ত ক্যামেরা থাকবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যেন না ঘটে, সে জন্য নজরদারি জোরদার করতে হবে।

এ ছাড়া নির্বাচনের আগে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক প্রচারণা থেকে সতর্ক থাকা, সব সংস্থার একত্রে নিরপেক্ষভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করা, লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা, লাইসেন্স বাতিল করা ইত্যাদি বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে কমিটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডাকসুতে শিবিরের জয়ে উদ্বেগ শশী থারুরের, জবাব দিলেন মেঘমল্লার

‘বেয়াদবি ছুটায় দেব’: সরি বলতে অসুবিধা নেই, বললেন সেই জামায়াত নেতা

স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির হোতা মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু গ্রেপ্তার

নতুন ট্রেন্ড ন্যানো ব্যানানা, নিজের থ্রিডি ফিগারিন বানাবেন যেভাবে

ইসরায়েলের হামলার কী জবাব হবে—আরব-ইসলামিক সম্মেলন ডাকল কাতার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত