মাহবুবুল আলম কবীর
সরকার যখন ঘোষণা দিল, ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী সর্বাত্মক লকডাউন, তখন দেশের অনেকেই ব্যাপারটা আমলে নেয়নি। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ এখনো মনে করে, ভূত বলে যেমন কিছু নেই, তেমনি করোনা বলেও কিছু নেই! যদি এই নামে কিছু থাকেও, আমাদের সঙ্গে তা পেরে উঠবে না, বাঙালিকে চিনতে পারেনি বাছাধন!
এত দিন মানুষ প্রবল আত্মবিশ্বাস নিয়েই বলত, আমরা তো প্রায় দেড় বছর ধরে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে করোনার সঙ্গে গলাগলি-জড়াজড়ি করেই জীবনযাপন করছি। যেখানে-সেখানে জমায়েত হয়ে, ঘেঁষাঘেঁষি করে, ভিড় পাকিয়ে আমরা এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করি, বেচারা করোনারই দম বন্ধ হওয়ার দশা। তাই সে সুবিধা করতে পারছে না।
করোনা, তুমি বাপু আমাদের দেশে থাকতে চাইলে ‘সাবলেট’ বাসিন্দা হয়েই থাকো, বেশি ক্ষমতা দেখানো তো দূরের কথা, ন্যূনতম অধিকারও দাবি করতে যেয়ো না। আমরা মাস্ক পরব না। যদি ওটা কিনি, ফ্যাশন হিসেবে থুতনির নিচে ঝুলিয়ে রাখব। আমরা নিয়মিত হাত ধোব না। আসলে সারা দিনই তো হাত কচলাই… হে হে হে…, সাবান মাখানোর দরকার কী, পানিতে ভেজানোরই-বা কী দরকার? তা ছাড়া, আমাদের কচলানো হাত বড্ড তেল চপচপে, এটা পানি দিয়ে ধোয়া যাবে না। তেলে-জলে মেশে কখনো?
এভাবেই এক বছরের বেশি পার হয়ে গেল। আমাদের চোখের সামনেই কত আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী-পরিচিতজন মারা গেল! যদিও বলা হচ্ছে তারা করোনার কারণে মারা গেছে; কিন্তু আমাদের পাল্টা যুক্তিও থাকে—করোনার জন্মের আগেও তো আমাদের আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী-পরিচিতজন মারা যেত। জন্মালে মরতে হবেই।
প্রথম দিকে সরকার বলল, ঘরে থাকো। আবার অফিস-কলকারখানাও খোলা রাখা হলো। এতে আমরা সবিশেষ প্রীত হলাম, সদাশয় সরকার আমাদের টোনটা ধরতে পেরেছে বলে। সরকার বলল, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বন্ধ, কিন্তু বইমেলা চালু। তখন আমরা রিকশায়-স্কুটারে চড়ে মেলায় যাই। বই কিনতে না রে ভাই, সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিতে: ‘দ্যাখো দেশবাসী, আমি কত্তো সাহসী, তুমরা ডরপুক!’ এসব দেখে কবি জসীমউদদীনের নক্সীকাঁথার মাঠের সেই লাইনটা মনে পড়ে: ‘ও রূপা তুই করিস কী রে, এখনও তুই রইলি শুয়ে!’ ব্যস, আরও ভাই-বেরাদর প্রবল উৎসাহ নিয়ে প্রেস্টিজ বাঁচাতে মেলায় ছোটে। সেলফিই বাড়ে, বই বিক্রি বাড়ে না।
দূরপাল্লার বাস যখন বন্ধ করে দেওয়া হলো, আমরা এক জেলা থেকে আরেক জেলায়, সেখান থেকে পরের জেলার বাসে চড়ে গাদাগাদি করে গ্রামের বাড়ি চলে যেতাম। একটানে গন্তব্যে পৌঁছানোর কী দরকার? ভেঙে ভেঙে, জিরিয়ে জিরিয়ে যাব। মরক্কো থেকে ইবনে বতুতা যে চট্টগ্রাম বা চাটগাঁও (তাঁর ভ্রমণকাহিনিতে লিখেছিলেন ‘সাদকাঁও’) এসেছিলেন, পরে সোনারগাঁ (তিনি লিখেছেন ‘সুনুরকাঁও’) পর্যন্ত চলে এসেছিলেন, তিনি ডিরেক্ট বাসটা পেয়েছিলেন কোথায়? তা-ও আবার প্রায় সাত শ বছর আগে? সুতরাং কোথাও যেতে চাইলে মনোবলটাই আসল। বাস না পেলে ট্রাকে, তা না হলে ভাগাভাগি করে মাইক্রোবাস রিজার্ভ করেও যাওয়া যায়। কিসের আবার দূরত্ব বজায় রাখা! ৮ জনের জায়গায় ১২ জন হলেও আপত্তি নেই। ফেরিতে এমনভাবে উঠি, দেখলে যেন মনে হয় পঙ্গপালের ঝাঁক। পঙ্গপালের সঙ্গে বঙ্গপালের যথেষ্ট মিল আছে কিন্তু। এই যে আমরা করোনাকে পাত্তা না দিয়ে এত কিছু করে বেড়ালাম, আমাদের কিন্তু কেউ ঠেকায়নি। দামাল ছেলেদের সামাল দেয়নি কেউ। ময়মুরব্বির লাগাতার প্রশ্রয় পেয়ে আমরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছি।
মাঝেমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে একটু গলা খাঁকারি দিয়ে আমাদের সতর্ক করা হতো বটে; কিন্তু আমরা আমলে নিলে তো! ইশপের গল্পটা তো আমরা সবাই জানি: রাখাল বালক যতই বলুক বাঘ এসেছে, বাঘ এসেছে; বাঘ কিন্তু আসেনি। সুতরাং ওরকম মিছামিছি ভয় দেখালে আমরা দমে যাবার পাত্র নই। স্কুল-কলেজ আর কিছু অফিস বন্ধ থাকায় বরং আমাদের অনেকের সুবিধাই হয়েছে। রাস্তাঘাট, বাজার সবখানেই দলবেঁধে ঢুঁ মেরে দেখি, কোনখানে কত লোক জমায়েত হলো। কী মজা! মুখে মাস্ক পরতেই চাই না, আর মাঝে মাঝে ইচ্ছা হলেও চকচকে সুন্দর ডিজাইন না পেলে সেই মাস্ক পরি না। ভাবটা যেন—করোনা ঠেকাতে নয়; বরং সেজেগুজে করোনাকে প্রেম নিবেদন করতে যাচ্ছি!
এবার সরকার যখন ঘোষণা দিল, ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী সর্বাত্মক লকডাউন, তখনো অনেকেই ধরে নিলাম, বাঘ এবারও আসবে না। কিন্তু মজাটা দেখার জন্য তো সকাল সকাল বাসা থেকে বেরোতে হবে, মোড়ের দোকানে চা-বিড়ি খেয়ে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে দেখতে হবে: রাস্তাঘাটের কী অবস্থা, লকডাউনে যানজটও আগের চেয়ে বাড়ল কি না! ‘জরুরি কারণ’ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছিল সরকার। কিন্তু জরুরি কারণ তো একেকজনের একেক রকম হতে পারে। কারোর কাছে লকডাউনে রাজপথে হাঁটতে হাঁটতে বিড়ি টানাটাও জরুরি। কারোর কাছে জরুরি হচ্ছে কৌতূহল মেটানো: ‘দেখে আসি তো, পুলিশ ঠিকমতো ডিউটি দিচ্ছে কি না!’ তাই হয়তো অনেকে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে অ্যালার্ম দিয়েই রেখেছিল।
ঘোষণা ছিল, কঠোর লকডাউনে কঠোর থাকবে পুলিশ; প্রথম দিনে তা–ই দেখা গেল রাজধানীতে। ঘর থেকে ‘অপ্রয়োজনে’ বের হয়ে গ্রেপ্তার হতে হলো ৫৫০ জনকে। লোকগুলোর যেমন বাইরে বেরোনো প্রয়োজন ছিল, পুলিশেরও তেমন গ্রেপ্তারের প্রয়োজন ছিল।
এত দিন যারা জানত, পুলিশ সময়মতো আসে শুধু বাংলা সিনেমায়, এবার তাদেরও ভুল ভেঙে গেছে। তবে কি এবার বাঘ সত্যিই এসে গেল!
লেখক: ছড়াকার ও রম্য লেখক
সরকার যখন ঘোষণা দিল, ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী সর্বাত্মক লকডাউন, তখন দেশের অনেকেই ব্যাপারটা আমলে নেয়নি। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ এখনো মনে করে, ভূত বলে যেমন কিছু নেই, তেমনি করোনা বলেও কিছু নেই! যদি এই নামে কিছু থাকেও, আমাদের সঙ্গে তা পেরে উঠবে না, বাঙালিকে চিনতে পারেনি বাছাধন!
এত দিন মানুষ প্রবল আত্মবিশ্বাস নিয়েই বলত, আমরা তো প্রায় দেড় বছর ধরে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে করোনার সঙ্গে গলাগলি-জড়াজড়ি করেই জীবনযাপন করছি। যেখানে-সেখানে জমায়েত হয়ে, ঘেঁষাঘেঁষি করে, ভিড় পাকিয়ে আমরা এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করি, বেচারা করোনারই দম বন্ধ হওয়ার দশা। তাই সে সুবিধা করতে পারছে না।
করোনা, তুমি বাপু আমাদের দেশে থাকতে চাইলে ‘সাবলেট’ বাসিন্দা হয়েই থাকো, বেশি ক্ষমতা দেখানো তো দূরের কথা, ন্যূনতম অধিকারও দাবি করতে যেয়ো না। আমরা মাস্ক পরব না। যদি ওটা কিনি, ফ্যাশন হিসেবে থুতনির নিচে ঝুলিয়ে রাখব। আমরা নিয়মিত হাত ধোব না। আসলে সারা দিনই তো হাত কচলাই… হে হে হে…, সাবান মাখানোর দরকার কী, পানিতে ভেজানোরই-বা কী দরকার? তা ছাড়া, আমাদের কচলানো হাত বড্ড তেল চপচপে, এটা পানি দিয়ে ধোয়া যাবে না। তেলে-জলে মেশে কখনো?
এভাবেই এক বছরের বেশি পার হয়ে গেল। আমাদের চোখের সামনেই কত আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী-পরিচিতজন মারা গেল! যদিও বলা হচ্ছে তারা করোনার কারণে মারা গেছে; কিন্তু আমাদের পাল্টা যুক্তিও থাকে—করোনার জন্মের আগেও তো আমাদের আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী-পরিচিতজন মারা যেত। জন্মালে মরতে হবেই।
প্রথম দিকে সরকার বলল, ঘরে থাকো। আবার অফিস-কলকারখানাও খোলা রাখা হলো। এতে আমরা সবিশেষ প্রীত হলাম, সদাশয় সরকার আমাদের টোনটা ধরতে পেরেছে বলে। সরকার বলল, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বন্ধ, কিন্তু বইমেলা চালু। তখন আমরা রিকশায়-স্কুটারে চড়ে মেলায় যাই। বই কিনতে না রে ভাই, সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিতে: ‘দ্যাখো দেশবাসী, আমি কত্তো সাহসী, তুমরা ডরপুক!’ এসব দেখে কবি জসীমউদদীনের নক্সীকাঁথার মাঠের সেই লাইনটা মনে পড়ে: ‘ও রূপা তুই করিস কী রে, এখনও তুই রইলি শুয়ে!’ ব্যস, আরও ভাই-বেরাদর প্রবল উৎসাহ নিয়ে প্রেস্টিজ বাঁচাতে মেলায় ছোটে। সেলফিই বাড়ে, বই বিক্রি বাড়ে না।
দূরপাল্লার বাস যখন বন্ধ করে দেওয়া হলো, আমরা এক জেলা থেকে আরেক জেলায়, সেখান থেকে পরের জেলার বাসে চড়ে গাদাগাদি করে গ্রামের বাড়ি চলে যেতাম। একটানে গন্তব্যে পৌঁছানোর কী দরকার? ভেঙে ভেঙে, জিরিয়ে জিরিয়ে যাব। মরক্কো থেকে ইবনে বতুতা যে চট্টগ্রাম বা চাটগাঁও (তাঁর ভ্রমণকাহিনিতে লিখেছিলেন ‘সাদকাঁও’) এসেছিলেন, পরে সোনারগাঁ (তিনি লিখেছেন ‘সুনুরকাঁও’) পর্যন্ত চলে এসেছিলেন, তিনি ডিরেক্ট বাসটা পেয়েছিলেন কোথায়? তা-ও আবার প্রায় সাত শ বছর আগে? সুতরাং কোথাও যেতে চাইলে মনোবলটাই আসল। বাস না পেলে ট্রাকে, তা না হলে ভাগাভাগি করে মাইক্রোবাস রিজার্ভ করেও যাওয়া যায়। কিসের আবার দূরত্ব বজায় রাখা! ৮ জনের জায়গায় ১২ জন হলেও আপত্তি নেই। ফেরিতে এমনভাবে উঠি, দেখলে যেন মনে হয় পঙ্গপালের ঝাঁক। পঙ্গপালের সঙ্গে বঙ্গপালের যথেষ্ট মিল আছে কিন্তু। এই যে আমরা করোনাকে পাত্তা না দিয়ে এত কিছু করে বেড়ালাম, আমাদের কিন্তু কেউ ঠেকায়নি। দামাল ছেলেদের সামাল দেয়নি কেউ। ময়মুরব্বির লাগাতার প্রশ্রয় পেয়ে আমরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছি।
মাঝেমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে একটু গলা খাঁকারি দিয়ে আমাদের সতর্ক করা হতো বটে; কিন্তু আমরা আমলে নিলে তো! ইশপের গল্পটা তো আমরা সবাই জানি: রাখাল বালক যতই বলুক বাঘ এসেছে, বাঘ এসেছে; বাঘ কিন্তু আসেনি। সুতরাং ওরকম মিছামিছি ভয় দেখালে আমরা দমে যাবার পাত্র নই। স্কুল-কলেজ আর কিছু অফিস বন্ধ থাকায় বরং আমাদের অনেকের সুবিধাই হয়েছে। রাস্তাঘাট, বাজার সবখানেই দলবেঁধে ঢুঁ মেরে দেখি, কোনখানে কত লোক জমায়েত হলো। কী মজা! মুখে মাস্ক পরতেই চাই না, আর মাঝে মাঝে ইচ্ছা হলেও চকচকে সুন্দর ডিজাইন না পেলে সেই মাস্ক পরি না। ভাবটা যেন—করোনা ঠেকাতে নয়; বরং সেজেগুজে করোনাকে প্রেম নিবেদন করতে যাচ্ছি!
এবার সরকার যখন ঘোষণা দিল, ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী সর্বাত্মক লকডাউন, তখনো অনেকেই ধরে নিলাম, বাঘ এবারও আসবে না। কিন্তু মজাটা দেখার জন্য তো সকাল সকাল বাসা থেকে বেরোতে হবে, মোড়ের দোকানে চা-বিড়ি খেয়ে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে দেখতে হবে: রাস্তাঘাটের কী অবস্থা, লকডাউনে যানজটও আগের চেয়ে বাড়ল কি না! ‘জরুরি কারণ’ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছিল সরকার। কিন্তু জরুরি কারণ তো একেকজনের একেক রকম হতে পারে। কারোর কাছে লকডাউনে রাজপথে হাঁটতে হাঁটতে বিড়ি টানাটাও জরুরি। কারোর কাছে জরুরি হচ্ছে কৌতূহল মেটানো: ‘দেখে আসি তো, পুলিশ ঠিকমতো ডিউটি দিচ্ছে কি না!’ তাই হয়তো অনেকে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে অ্যালার্ম দিয়েই রেখেছিল।
ঘোষণা ছিল, কঠোর লকডাউনে কঠোর থাকবে পুলিশ; প্রথম দিনে তা–ই দেখা গেল রাজধানীতে। ঘর থেকে ‘অপ্রয়োজনে’ বের হয়ে গ্রেপ্তার হতে হলো ৫৫০ জনকে। লোকগুলোর যেমন বাইরে বেরোনো প্রয়োজন ছিল, পুলিশেরও তেমন গ্রেপ্তারের প্রয়োজন ছিল।
এত দিন যারা জানত, পুলিশ সময়মতো আসে শুধু বাংলা সিনেমায়, এবার তাদেরও ভুল ভেঙে গেছে। তবে কি এবার বাঘ সত্যিই এসে গেল!
লেখক: ছড়াকার ও রম্য লেখক
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্বয়ং একাধিকবার বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন এমন এক আবহে অনুষ্ঠিত হবে যে তা শুধু দেশে নয়, সারা পৃথিবীতে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সর্বজনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এটা তাঁর নিজের এবং অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে
১৩ ঘণ্টা আগেসোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫। আস্থা আছে কি না, স্বপ্রণোদিত হয়ে যাচাই করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বাইরু। সংসদে ১৯৪ জন সংসদ সদস্য তাঁর ওপর আস্থা জানিয়ে ভোট দিলেও ৩৬৪ জন তাঁকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ফ্রান্সের আইনপ্রণেতা হচ্ছেন মোট ৫৭৭ জন। ফলে মাত্র ৯ মাস ক্ষমতায়
১৩ ঘণ্টা আগেসময় এখন অদ্ভুত এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। মানুষ তার হাজার বছরের ইতিহাসে অনেক বিপ্লবের সাক্ষী হয়েছে—কৃষি, শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি। প্রতিটি বিপ্লব আমাদের জীবনধারায় গভীর পরিবর্তন এনেছে, কেউ কেউ পেছনে পড়ে গেছে, কেউ সামনের সারিতে উঠে এসেছে। কিন্তু এইবার যা আসছে, তা হয়তো আর কাউকে কেবল পেছনেই ফেলবে না; বরং মানুষক
১৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে ১৯৭২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কীটনাশক ব্যবহারের পরিমাণ প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে। আজকের পত্রিকায় ১০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ‘সেন্টার ফর অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড বায়োসায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল’ (ক্যাবি) আয়োজিত এক কর্মশালায় এই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে।
১৩ ঘণ্টা আগে