Ajker Patrika

জামিন পাননি লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল ইসলাম পান্না

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম পান্না। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম পান্না। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) থেকে আটক করার পর রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম পান্নার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ পিয়াস তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

শুনানির শুরুতে জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন ওই দুই আসামির আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি।

আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন আদালতকে বলেন, ‘গত ২৮ আগস্ট ডিআরইউতে ‘মুক্তিযুদ্ধ এবং আমাদের সংবিধান’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক ছিল। ৭১ মঞ্চ সেই বৈঠকের আয়োজক ছিল। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তির আলোচনা ছিল। রাষ্ট্রবিরোধী কোনো তৎপরতা সেখানে ছিল না। বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন প্রধান অতিথি ছিলেন। সেখান থেকে আটক করে তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে যে মামলা হয়েছে, তা মূলত চলতে পারে না।’

এই আবেদনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. শামসুদ্দোহা সুমন।

শুনানি শেষে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল ইসলাম পান্নার জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার গভীর ষড়যন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি বন্ধের লক্ষ্যে ৫ আগস্ট ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য জাতির অর্জনকে মুছে ফেলার সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আত্মত্যাগের প্রস্তুতি নেওয়া। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ২৮ আগস্ট সকাল ১০টায় একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেগুনবাগিচায় বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর মধ্যে এক দল ব্যক্তি হট্টগোল করে স্লোগান দিয়ে সভাস্থলে ঢুকে পড়েন।

একপর্যায়ে তাঁরা অনুষ্ঠানস্থলের দরজা বন্ধ করে দেন। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া কয়েকজনকে লাঞ্ছিত করেন। হট্টগোলকারীরা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন এবং আলোচনায় অংশ নেওয়াদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। একপর্যায়ে অতিথিদের অনেককে বের করে দেওয়া হলেও আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এবং অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তাঁরা। পরে পুলিশ এসে ১৬ জনকে আটক করে। এ ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন এসআই আমিরুল ইসলাম। পরে এ মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মামলার অপর আসামিরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন), কাজী এ টি এম আনিসুর রহমান বুলবুল, মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু, মো. আল আমিন, মো. নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, দেওয়ান মোহম্মদ আলী ও মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত