মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার
এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলেই তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে এমন সংশোধনী আনা হয়েছে। এর ফলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ, তাদের সমমনা জোট ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের অন্তত দুই ডজন নেতার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গত সোমবার গেজেট প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য হবেন। এ ছাড়া কোনো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সদস্য, কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেয়র বা প্রশাসক হিসেবে নির্বাচিত হতে পারবেন না বা এসব পদে নিয়োগ পাবেন না। এমনকি প্রজাতন্ত্রের (সরকারের) কোনো সেবায় নিয়োগ পাওয়ারও অযোগ্য হবেন। সরকারের কোনো অফিসে (পাবলিক অফিস) থাকতে পারবেন না। তবে পরবর্তী সময় যদি কেউ ট্রাইব্যুনাল থেকে অব্যাহতি পান বা খালাসপ্রাপ্ত হন, তাহলে তাঁর ওপর থেকে এই অযোগ্যতা তুলে নেওয়া হবে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলমান রয়েছে। তাঁদের কেউ কারাগারে আছেন, আবার অনেকেই পলাতক। আগামী নভেম্বরের মধ্যে আওয়ামী লীগের পলাতক সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ আরও অন্তত ১২ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (প্রশাসন) গাজী এম এইচ তামিম। এ ছাড়া আগামী জানুয়ারির মধ্যে আরও কিছু তদন্ত প্রতিবেদন আসতে পারে বলেও জানান তিনি।
গত বছর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের সাত মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। আদালত এসব অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর চলছে বিচারকার্যক্রম। কয়েকটি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। আর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। শেখ হাসিনা ছাড়াও এসব মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাদরুদ্দিন খান, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী এবং কুষ্টিয়া সিটি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশ।
প্রসিকিউশন সূত্রে জানা গেছে, আগামী নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা হবে অন্তত ১২ জনের বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মনির হোসেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারা দেশে গ্রেপ্তার হয়েছেন দলটির হাজারের বেশি নেতা-কর্মী। যাঁদেরকে জুলাই-আগস্টের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে সব মামলা এখনো ট্রাইব্যুনালে আসেনি। অনেকে আবার গ্রেপ্তার এড়াতে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, ডা. দীপু মনি, সাবেক এমপি সোলায়মান সেলিম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। মহাখালী-তেজগাঁও এলাকায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার আছেন সাবেক কাউন্সিলর নাসির। চট্টগ্রামে ওয়াসিম হত্যা মামলায় কারাগারে আছেন সাবেক এমপি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। কক্সবাজারের আওয়ামী লীগ নেতা ও কাউন্সিলর একরাম হত্যা মামলায় কারাগারে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি। এ ছাড়া রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মো. শাহিনুর মিয়া, উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বশির উদ্দিন ও ঢাকা মহানগর উত্তরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনও হত্যা মামলায় কারাগারে আছেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আগামী জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা হতে পারে বলে প্রসিকিউশন সূত্র জানিয়েছে।
ট্রাইব্যুনালে হাসানুল হক ইনু ও ডা. দীপু মনির পক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন আইনজীবী আবুল হাসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পরই কাউকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা সংবিধানে প্রদত্ত মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করলেই দোষ প্রমাণিত হয় না। রায় হওয়া পর্যন্ত তাঁকে নির্দোষই ভাবতে হয়। এটিই আইনের চিরায়ত রীতি।
আইনের সংশোধনী নিয়ে গত মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, মূল বিষয় হলো কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়, তাহলে তিনি বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্য হবেন না। অর্থাৎ তিনি জাতীয় নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না। স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও অংশ নিতে পারবেন না। একইভাবে সেই ব্যক্তি কোনো সরকারি চাকরি করতে পারবেন না।
মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলেই তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে এমন সংশোধনী আনা হয়েছে। এর ফলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ, তাদের সমমনা জোট ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের অন্তত দুই ডজন নেতার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গত সোমবার গেজেট প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য হবেন। এ ছাড়া কোনো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সদস্য, কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেয়র বা প্রশাসক হিসেবে নির্বাচিত হতে পারবেন না বা এসব পদে নিয়োগ পাবেন না। এমনকি প্রজাতন্ত্রের (সরকারের) কোনো সেবায় নিয়োগ পাওয়ারও অযোগ্য হবেন। সরকারের কোনো অফিসে (পাবলিক অফিস) থাকতে পারবেন না। তবে পরবর্তী সময় যদি কেউ ট্রাইব্যুনাল থেকে অব্যাহতি পান বা খালাসপ্রাপ্ত হন, তাহলে তাঁর ওপর থেকে এই অযোগ্যতা তুলে নেওয়া হবে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলমান রয়েছে। তাঁদের কেউ কারাগারে আছেন, আবার অনেকেই পলাতক। আগামী নভেম্বরের মধ্যে আওয়ামী লীগের পলাতক সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ আরও অন্তত ১২ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (প্রশাসন) গাজী এম এইচ তামিম। এ ছাড়া আগামী জানুয়ারির মধ্যে আরও কিছু তদন্ত প্রতিবেদন আসতে পারে বলেও জানান তিনি।
গত বছর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের সাত মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। আদালত এসব অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর চলছে বিচারকার্যক্রম। কয়েকটি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। আর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। শেখ হাসিনা ছাড়াও এসব মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাদরুদ্দিন খান, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী এবং কুষ্টিয়া সিটি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশ।
প্রসিকিউশন সূত্রে জানা গেছে, আগামী নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা হবে অন্তত ১২ জনের বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মনির হোসেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারা দেশে গ্রেপ্তার হয়েছেন দলটির হাজারের বেশি নেতা-কর্মী। যাঁদেরকে জুলাই-আগস্টের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে সব মামলা এখনো ট্রাইব্যুনালে আসেনি। অনেকে আবার গ্রেপ্তার এড়াতে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, ডা. দীপু মনি, সাবেক এমপি সোলায়মান সেলিম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। মহাখালী-তেজগাঁও এলাকায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার আছেন সাবেক কাউন্সিলর নাসির। চট্টগ্রামে ওয়াসিম হত্যা মামলায় কারাগারে আছেন সাবেক এমপি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। কক্সবাজারের আওয়ামী লীগ নেতা ও কাউন্সিলর একরাম হত্যা মামলায় কারাগারে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি। এ ছাড়া রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মো. শাহিনুর মিয়া, উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বশির উদ্দিন ও ঢাকা মহানগর উত্তরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনও হত্যা মামলায় কারাগারে আছেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আগামী জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা হতে পারে বলে প্রসিকিউশন সূত্র জানিয়েছে।
ট্রাইব্যুনালে হাসানুল হক ইনু ও ডা. দীপু মনির পক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন আইনজীবী আবুল হাসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পরই কাউকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা সংবিধানে প্রদত্ত মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করলেই দোষ প্রমাণিত হয় না। রায় হওয়া পর্যন্ত তাঁকে নির্দোষই ভাবতে হয়। এটিই আইনের চিরায়ত রীতি।
আইনের সংশোধনী নিয়ে গত মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, মূল বিষয় হলো কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়, তাহলে তিনি বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্য হবেন না। অর্থাৎ তিনি জাতীয় নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না। স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও অংশ নিতে পারবেন না। একইভাবে সেই ব্যক্তি কোনো সরকারি চাকরি করতে পারবেন না।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুম, গোপনে বন্দী রাখা ও নির্যাতন চালানোর অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগেইসরায়েলি কারাগারে আটক সাংবাদিক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা চলছে। তুরস্কের কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করেছে, আজই তাঁকে বিশেষ বিমানযোগে আঙ্কারায় নেওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে তুর্কি কর্তৃপক্ষ শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারেনি।
৬ ঘণ্টা আগে১৫ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কিন্তু এই সদন বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর মতভেদ এখনো স্পষ্ট। দফায় দফায় বৈঠক করেও এর সুরাহা করতে পারেনি কমিশন। এখন তারা বাস্তবায়নের পথরেখা সুপারিশ করে সরকারকে প্রতিবেদন দেবে।
১২ ঘণ্টা আগেতথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘৮ আগস্ট বা ৬ আগস্ট সজীব ওয়াজেদ জয় একটা ফেসবুক পোস্টে ‘মবোক্রেসি’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। আজকে বাংলাদেশকে ঘুরেফিরে ওই শব্দের ভেতর নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। এটা আমাদের একটা ব্যর্থতা। আমি স্বীকার করে নিচ্ছি এবং অনেক কিছু হয়তো আমরা সামাল দিতে পারিনি।’
১৫ ঘণ্টা আগে