Ajker Patrika

ইসরায়েলে আটক শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা চলছে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১০: ০৮
দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ইসরায়েলি কারাগারে আটক সাংবাদিক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা চলছে। তুরস্কের কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করেছে যে আজই তাঁকে বিশেষ বিমানযোগে আঙ্কারায় নেওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে তুর্কি কর্তৃপক্ষ শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। আঙ্কারায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আমানুল হক গতকাল রাতে এই তথ্য জানিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আজ শুক্রবার সকালে জানিয়েছে, শহিদুল আলমকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে আটক করার পর জর্ডান, মিসর ও তুরস্কে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহকে ওই সব দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে মুক্ত করার দ্রুত উদ্যোগ নিতে বলা হয়। দূতাবাসগুলো শহিদুল আলমের মুক্তির বিষয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার শহিদুল আলমের প্রতিষ্ঠান দৃক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ফিলিস্তিনের গাজাগামী ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি জাহাজ থেকে আটক বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ সব অধিকারকর্মীকে ইসরায়েলের কেৎজিয়েত কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ফিলিস্তিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর জোট ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন ও আদালাহ—দ্য লিগ্যাল সেন্টার ফর আরব মাইনরিটি রাইটস ইন ইসরায়েলের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছিল দৃক।

বিজ্ঞপ্তিতে দৃক জানায়, ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন ও আদালাহ—দ্য লিগ্যাল সেন্টার ফর আরব মাইনরিটি রাইটস ইন ইসরায়েলের (যারা অপহৃত ফ্রিডম ফ্লোটিলা অ্যাকটিভিস্টদের হয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে আসছেন) মাধ্যমে জানা গেছে, আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমসহ ফ্রিডম ফ্লোটিলার নৌবহরের সব সাংবাদিক, স্বাস্থ্যসেবাকর্মী, মানবাধিকারকর্মী ও জাহাজের ক্রুকে আশদোদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাঁদের ইসরায়েলের কেৎজিয়েত কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ফ্লোটিলা অ্যাকটিভিস্টরা আদালাহর আইনজীবীদের জানিয়েছেন, জাহাজ দখল নেওয়ার পর থেকে তাঁরা ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী দ্বারা নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হয়েছেন। ফিলিস্তিনিরা প্রতিদিন একই রকম ও আরও ভয়াবহ সহিংসতার মুখোমুখি হচ্ছে। নাগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত কেৎজিয়েত কারাগারে প্রায় ১০ হাজার ফিলিস্তিনিকে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী বন্দী রেখেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে দৃক বলেছে, ‘সব ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তি চাই, সব ফ্লোটিলা অ্যাকটিভিস্টের মুক্তি চাই। ফিলিস্তিন মুক্ত হবেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত