তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

প্রায় পৌনে ১৭ হাজার কোটি টাকায় নির্মিত যমুনা রেলসেতুতে দৈনিক গড়ে ট্রেন চলছে মাত্র ৩৫টি। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় দেশের দীর্ঘতম এই রেলসেতু উদ্বোধনের পর প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৮৮টি ট্রেন চলার কথা বলা হয়েছিল। অথচ উদ্বোধনের প্রায় ছয় মাস পর চলছে ওই লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকের কম ট্রেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র বলছে, লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) ও বগি-সংকট, ডাবল লাইন না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। এই সেতু হওয়ায় যমুনা পাড়ি দেওয়া ট্রেনের যাত্রার সময় কমাসহ ক্রসিং-জটও কিছুটা কমেছে। বিভিন্ন রুট ডাবল লাইন ও সংকেত (সিগন্যাল) ব্যবস্থা আধুনিক করা হলে এই রেলসেতু পূর্ণ সক্ষমতা পাবে।
যমুনা রেলসেতুর মূল নির্মাণকাজ শেষ হলেও সংকেতব্যবস্থাসহ ছোটখাটো কিছু কাজ বাকি। এই প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। প্রকল্প সূত্র জানায়, ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অতিরিক্ত কাজ বাকি থাকায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়িয়ে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হবে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু সেতুর সক্ষমতা বাড়ালেই হবে না, পুরো করিডরে ডাবল লাইনের সুবিধা আছে কি না, সেটি বিবেচনায় নিয়েই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা উচিত। সমীক্ষায় বিষয়টি যথাযথভাবে বিবেচনা করা হয়েছিল কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। সেতুর আগে-পরে সিঙ্গেল লাইন থাকায় পূর্ণ সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ হলেও রেলওয়ের আলাদা কোনো আয়ের উৎস না থাকায় বেশি ট্রেন না চালাতে পারলে আয় বাড়বে না, বিনিয়োগও উঠবে না।
একসময় যমুনা বহুমুখী সেতুর সঙ্গে সংযুক্ত রেললাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করত। চলতি বছরের ১৮ মার্চ যমুনা রেলসেতু উদ্বোধন করা হয়। বর্তমানে এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩৫টি ট্রেন চলাচল করছে। অথচ সমীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা ছিল গড়ে ৮৮টি।
রেলওয়ের সূত্র বলছে, যমুনা রেলসেতুতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম ট্রেন চলার একাধিক কারণ রয়েছে। মূলত গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রেল করিডর এখনো সিঙ্গেল লাইন। ফলে সেতুতে একসঙ্গে অনেক ট্রেন চলতে পারছে না; পাশাপাশি পর্যাপ্ত লোকোমোটিভ ও কোচের ঘাটতির কারণে নতুন ট্রেন চালু করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া সেতুর জন্য স্থাপিত আধুনিক সংকেত এবং যোগাযোগব্যবস্থা এখনো পুরোপুরি কার্যকর না হওয়ায় নিরাপত্তার কারণে বাধ্য হয়ে ট্রেনের সংখ্যা সীমিত রাখতে হচ্ছে। মূল রেললাইন ও স্টেশনগুলোর পুরোনো অবকাঠামোর কারণে নতুন ও দ্রুত ট্রেন চালাতে সীমাবদ্ধতা আছে। এসব কারণ একত্র হয়ে এই সেতুর পূর্ণ সক্ষমতা ব্যবহার করতে দিচ্ছে না। ডাবল লাইন, আধুনিক লোকোমোটিভ ও কোচ এবং সিগন্যাল ব্যবস্থার পূর্ণ বাস্তবায়ন করলে সহজে সক্ষমতা অর্জন সম্ভব।
যমুনা রেলসেতুর আগে ও পরের দুই স্টেশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন যমুনা রেলসেতু কার্যকরভাবে ট্রেন যাত্রার সময় কমানোর পাশাপাশি অপেক্ষা এবং ক্রসিং-জট কিছুটা দূর করেছে। এখন সেতুর দুই পাশে ট্রেনকে দীর্ঘ সময় আটকে থাকতে হয় না। বর্তমানে ম্যানুয়াল সংকেত ব্যবস্থায় চলছে। স্বয়ংক্রিয় (অটোমেটিক) সংকেত ব্যবস্থা চালু হলে ট্রেন চলাচলের সময় আরও কমতে পারে।
যমুনা রেলসেতুকে পূর্ণ সক্ষমতা দিতে রেল বিভাগের পরিকল্পনায় ছিল জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডাবল লাইন, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ এবং পার্বতীপুর-কাউনিয়া রুট ডাবল লাইন করার। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত লোকোমোটিভ ও কোচ সংগ্রহ এবং আধুনিক সংকেত কার্যকর করা। তবে এসব প্রকল্প এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে ইঞ্জিন ও কোচের সংকট রয়েছে। উত্তরাঞ্চলের করিডরে এখনো ডাবল লাইন হয়নি। ফলে চাহিদা ও সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যমুনা রেলসেতুতে পর্যাপ্ত ট্রেন চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন কোচ আনার প্রকল্প চলমান এবং জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডাবল লাইনের কাজও শিগগির শুরু হবে। এসব কাজ সম্পন্ন হলে ট্রেন চলাচল বাড়ানো সম্ভব হবে।
যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে
সূত্র জানায়, যমুনা রেলসেতুর মূল নির্মাণকাজ শেষ হলেও প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। তবে সংকেতসহ কিছু ছোটখাটো কাজ বাকি আছে। এই প্রকল্পের আওতায় রেলওয়ে ব্রিজ মিউজিয়াম, ইন্সপেকশন বাংলো, ক্যাফেটেরিয়া, অভ্যন্তরীণ সড়ক, মাটি ভরাট ও ড্রেনেজ নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। বিশেষ এই নির্মাণ প্যাকেজের জন্য ৭৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্যাকেজে পরিবর্তন আনা হয়। নতুনভাবে এখানে ইন্সপেকশন বাংলো, এক্সিবিশন হল, ক্যাফেটেরিয়া ইত্যাদি নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। পরিবর্তিত পরিকল্পনায় ব্যয় দাঁড়াবে প্রায় ৫৮ কোটি টাকা। এখনো এই কাজের দরপত্র হয়নি। দরপত্র ও নির্মাণ শেষ করতে বাড়তি সময় লাগবে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের জুনে এই প্রকল্প অনুমোদিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু অতিরিক্ত কাজ বাকি থাকায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়িয়ে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে যমুনা রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ডব্লিউডি-৫ প্যাকেজের কাজ বাকি আছে। সেগুলো শেষ করতে সময় লাগবে। এ জন্য ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হবে। তবে সংকেতের কাজ আগামী অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে। ব্যয় কিছুটা কমেছে। তবে চূড়ান্ত হিসাব না করে এখনই সঠিক অঙ্ক বলা যাচ্ছে না।
এই প্রকল্পের ব্যয় প্রথমে নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায়। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ অর্থায়ন এসেছে দেশীয় উৎস থেকে এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা।

প্রায় পৌনে ১৭ হাজার কোটি টাকায় নির্মিত যমুনা রেলসেতুতে দৈনিক গড়ে ট্রেন চলছে মাত্র ৩৫টি। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় দেশের দীর্ঘতম এই রেলসেতু উদ্বোধনের পর প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৮৮টি ট্রেন চলার কথা বলা হয়েছিল। অথচ উদ্বোধনের প্রায় ছয় মাস পর চলছে ওই লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকের কম ট্রেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র বলছে, লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) ও বগি-সংকট, ডাবল লাইন না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। এই সেতু হওয়ায় যমুনা পাড়ি দেওয়া ট্রেনের যাত্রার সময় কমাসহ ক্রসিং-জটও কিছুটা কমেছে। বিভিন্ন রুট ডাবল লাইন ও সংকেত (সিগন্যাল) ব্যবস্থা আধুনিক করা হলে এই রেলসেতু পূর্ণ সক্ষমতা পাবে।
যমুনা রেলসেতুর মূল নির্মাণকাজ শেষ হলেও সংকেতব্যবস্থাসহ ছোটখাটো কিছু কাজ বাকি। এই প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। প্রকল্প সূত্র জানায়, ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অতিরিক্ত কাজ বাকি থাকায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়িয়ে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হবে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু সেতুর সক্ষমতা বাড়ালেই হবে না, পুরো করিডরে ডাবল লাইনের সুবিধা আছে কি না, সেটি বিবেচনায় নিয়েই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা উচিত। সমীক্ষায় বিষয়টি যথাযথভাবে বিবেচনা করা হয়েছিল কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। সেতুর আগে-পরে সিঙ্গেল লাইন থাকায় পূর্ণ সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ হলেও রেলওয়ের আলাদা কোনো আয়ের উৎস না থাকায় বেশি ট্রেন না চালাতে পারলে আয় বাড়বে না, বিনিয়োগও উঠবে না।
একসময় যমুনা বহুমুখী সেতুর সঙ্গে সংযুক্ত রেললাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করত। চলতি বছরের ১৮ মার্চ যমুনা রেলসেতু উদ্বোধন করা হয়। বর্তমানে এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩৫টি ট্রেন চলাচল করছে। অথচ সমীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা ছিল গড়ে ৮৮টি।
রেলওয়ের সূত্র বলছে, যমুনা রেলসেতুতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম ট্রেন চলার একাধিক কারণ রয়েছে। মূলত গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রেল করিডর এখনো সিঙ্গেল লাইন। ফলে সেতুতে একসঙ্গে অনেক ট্রেন চলতে পারছে না; পাশাপাশি পর্যাপ্ত লোকোমোটিভ ও কোচের ঘাটতির কারণে নতুন ট্রেন চালু করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া সেতুর জন্য স্থাপিত আধুনিক সংকেত এবং যোগাযোগব্যবস্থা এখনো পুরোপুরি কার্যকর না হওয়ায় নিরাপত্তার কারণে বাধ্য হয়ে ট্রেনের সংখ্যা সীমিত রাখতে হচ্ছে। মূল রেললাইন ও স্টেশনগুলোর পুরোনো অবকাঠামোর কারণে নতুন ও দ্রুত ট্রেন চালাতে সীমাবদ্ধতা আছে। এসব কারণ একত্র হয়ে এই সেতুর পূর্ণ সক্ষমতা ব্যবহার করতে দিচ্ছে না। ডাবল লাইন, আধুনিক লোকোমোটিভ ও কোচ এবং সিগন্যাল ব্যবস্থার পূর্ণ বাস্তবায়ন করলে সহজে সক্ষমতা অর্জন সম্ভব।
যমুনা রেলসেতুর আগে ও পরের দুই স্টেশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন যমুনা রেলসেতু কার্যকরভাবে ট্রেন যাত্রার সময় কমানোর পাশাপাশি অপেক্ষা এবং ক্রসিং-জট কিছুটা দূর করেছে। এখন সেতুর দুই পাশে ট্রেনকে দীর্ঘ সময় আটকে থাকতে হয় না। বর্তমানে ম্যানুয়াল সংকেত ব্যবস্থায় চলছে। স্বয়ংক্রিয় (অটোমেটিক) সংকেত ব্যবস্থা চালু হলে ট্রেন চলাচলের সময় আরও কমতে পারে।
যমুনা রেলসেতুকে পূর্ণ সক্ষমতা দিতে রেল বিভাগের পরিকল্পনায় ছিল জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডাবল লাইন, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ এবং পার্বতীপুর-কাউনিয়া রুট ডাবল লাইন করার। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত লোকোমোটিভ ও কোচ সংগ্রহ এবং আধুনিক সংকেত কার্যকর করা। তবে এসব প্রকল্প এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে ইঞ্জিন ও কোচের সংকট রয়েছে। উত্তরাঞ্চলের করিডরে এখনো ডাবল লাইন হয়নি। ফলে চাহিদা ও সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যমুনা রেলসেতুতে পর্যাপ্ত ট্রেন চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন কোচ আনার প্রকল্প চলমান এবং জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডাবল লাইনের কাজও শিগগির শুরু হবে। এসব কাজ সম্পন্ন হলে ট্রেন চলাচল বাড়ানো সম্ভব হবে।
যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে
সূত্র জানায়, যমুনা রেলসেতুর মূল নির্মাণকাজ শেষ হলেও প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। তবে সংকেতসহ কিছু ছোটখাটো কাজ বাকি আছে। এই প্রকল্পের আওতায় রেলওয়ে ব্রিজ মিউজিয়াম, ইন্সপেকশন বাংলো, ক্যাফেটেরিয়া, অভ্যন্তরীণ সড়ক, মাটি ভরাট ও ড্রেনেজ নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। বিশেষ এই নির্মাণ প্যাকেজের জন্য ৭৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্যাকেজে পরিবর্তন আনা হয়। নতুনভাবে এখানে ইন্সপেকশন বাংলো, এক্সিবিশন হল, ক্যাফেটেরিয়া ইত্যাদি নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। পরিবর্তিত পরিকল্পনায় ব্যয় দাঁড়াবে প্রায় ৫৮ কোটি টাকা। এখনো এই কাজের দরপত্র হয়নি। দরপত্র ও নির্মাণ শেষ করতে বাড়তি সময় লাগবে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের জুনে এই প্রকল্প অনুমোদিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু অতিরিক্ত কাজ বাকি থাকায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়িয়ে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে যমুনা রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ডব্লিউডি-৫ প্যাকেজের কাজ বাকি আছে। সেগুলো শেষ করতে সময় লাগবে। এ জন্য ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হবে। তবে সংকেতের কাজ আগামী অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে। ব্যয় কিছুটা কমেছে। তবে চূড়ান্ত হিসাব না করে এখনই সঠিক অঙ্ক বলা যাচ্ছে না।
এই প্রকল্পের ব্যয় প্রথমে নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায়। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ অর্থায়ন এসেছে দেশীয় উৎস থেকে এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা।
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

প্রায় পৌনে ১৭ হাজার কোটি টাকায় নির্মিত যমুনা রেলসেতুতে দৈনিক গড়ে ট্রেন চলছে মাত্র ৩৫টি। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় দেশের দীর্ঘতম এই রেলসেতু উদ্বোধনের পর প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৮৮টি ট্রেন চলার কথা বলা হয়েছিল। অথচ উদ্বোধনের প্রায় ছয় মাস পর চলছে ওই লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকের কম ট্রেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র বলছে, লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) ও বগি-সংকট, ডাবল লাইন না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। এই সেতু হওয়ায় যমুনা পাড়ি দেওয়া ট্রেনের যাত্রার সময় কমাসহ ক্রসিং-জটও কিছুটা কমেছে। বিভিন্ন রুট ডাবল লাইন ও সংকেত (সিগন্যাল) ব্যবস্থা আধুনিক করা হলে এই রেলসেতু পূর্ণ সক্ষমতা পাবে।
যমুনা রেলসেতুর মূল নির্মাণকাজ শেষ হলেও সংকেতব্যবস্থাসহ ছোটখাটো কিছু কাজ বাকি। এই প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। প্রকল্প সূত্র জানায়, ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অতিরিক্ত কাজ বাকি থাকায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়িয়ে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হবে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু সেতুর সক্ষমতা বাড়ালেই হবে না, পুরো করিডরে ডাবল লাইনের সুবিধা আছে কি না, সেটি বিবেচনায় নিয়েই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা উচিত। সমীক্ষায় বিষয়টি যথাযথভাবে বিবেচনা করা হয়েছিল কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। সেতুর আগে-পরে সিঙ্গেল লাইন থাকায় পূর্ণ সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ হলেও রেলওয়ের আলাদা কোনো আয়ের উৎস না থাকায় বেশি ট্রেন না চালাতে পারলে আয় বাড়বে না, বিনিয়োগও উঠবে না।
একসময় যমুনা বহুমুখী সেতুর সঙ্গে সংযুক্ত রেললাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করত। চলতি বছরের ১৮ মার্চ যমুনা রেলসেতু উদ্বোধন করা হয়। বর্তমানে এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩৫টি ট্রেন চলাচল করছে। অথচ সমীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা ছিল গড়ে ৮৮টি।
রেলওয়ের সূত্র বলছে, যমুনা রেলসেতুতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম ট্রেন চলার একাধিক কারণ রয়েছে। মূলত গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রেল করিডর এখনো সিঙ্গেল লাইন। ফলে সেতুতে একসঙ্গে অনেক ট্রেন চলতে পারছে না; পাশাপাশি পর্যাপ্ত লোকোমোটিভ ও কোচের ঘাটতির কারণে নতুন ট্রেন চালু করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া সেতুর জন্য স্থাপিত আধুনিক সংকেত এবং যোগাযোগব্যবস্থা এখনো পুরোপুরি কার্যকর না হওয়ায় নিরাপত্তার কারণে বাধ্য হয়ে ট্রেনের সংখ্যা সীমিত রাখতে হচ্ছে। মূল রেললাইন ও স্টেশনগুলোর পুরোনো অবকাঠামোর কারণে নতুন ও দ্রুত ট্রেন চালাতে সীমাবদ্ধতা আছে। এসব কারণ একত্র হয়ে এই সেতুর পূর্ণ সক্ষমতা ব্যবহার করতে দিচ্ছে না। ডাবল লাইন, আধুনিক লোকোমোটিভ ও কোচ এবং সিগন্যাল ব্যবস্থার পূর্ণ বাস্তবায়ন করলে সহজে সক্ষমতা অর্জন সম্ভব।
যমুনা রেলসেতুর আগে ও পরের দুই স্টেশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন যমুনা রেলসেতু কার্যকরভাবে ট্রেন যাত্রার সময় কমানোর পাশাপাশি অপেক্ষা এবং ক্রসিং-জট কিছুটা দূর করেছে। এখন সেতুর দুই পাশে ট্রেনকে দীর্ঘ সময় আটকে থাকতে হয় না। বর্তমানে ম্যানুয়াল সংকেত ব্যবস্থায় চলছে। স্বয়ংক্রিয় (অটোমেটিক) সংকেত ব্যবস্থা চালু হলে ট্রেন চলাচলের সময় আরও কমতে পারে।
যমুনা রেলসেতুকে পূর্ণ সক্ষমতা দিতে রেল বিভাগের পরিকল্পনায় ছিল জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডাবল লাইন, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ এবং পার্বতীপুর-কাউনিয়া রুট ডাবল লাইন করার। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত লোকোমোটিভ ও কোচ সংগ্রহ এবং আধুনিক সংকেত কার্যকর করা। তবে এসব প্রকল্প এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে ইঞ্জিন ও কোচের সংকট রয়েছে। উত্তরাঞ্চলের করিডরে এখনো ডাবল লাইন হয়নি। ফলে চাহিদা ও সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যমুনা রেলসেতুতে পর্যাপ্ত ট্রেন চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন কোচ আনার প্রকল্প চলমান এবং জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডাবল লাইনের কাজও শিগগির শুরু হবে। এসব কাজ সম্পন্ন হলে ট্রেন চলাচল বাড়ানো সম্ভব হবে।
যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে
সূত্র জানায়, যমুনা রেলসেতুর মূল নির্মাণকাজ শেষ হলেও প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। তবে সংকেতসহ কিছু ছোটখাটো কাজ বাকি আছে। এই প্রকল্পের আওতায় রেলওয়ে ব্রিজ মিউজিয়াম, ইন্সপেকশন বাংলো, ক্যাফেটেরিয়া, অভ্যন্তরীণ সড়ক, মাটি ভরাট ও ড্রেনেজ নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। বিশেষ এই নির্মাণ প্যাকেজের জন্য ৭৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্যাকেজে পরিবর্তন আনা হয়। নতুনভাবে এখানে ইন্সপেকশন বাংলো, এক্সিবিশন হল, ক্যাফেটেরিয়া ইত্যাদি নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। পরিবর্তিত পরিকল্পনায় ব্যয় দাঁড়াবে প্রায় ৫৮ কোটি টাকা। এখনো এই কাজের দরপত্র হয়নি। দরপত্র ও নির্মাণ শেষ করতে বাড়তি সময় লাগবে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের জুনে এই প্রকল্প অনুমোদিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু অতিরিক্ত কাজ বাকি থাকায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়িয়ে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে যমুনা রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ডব্লিউডি-৫ প্যাকেজের কাজ বাকি আছে। সেগুলো শেষ করতে সময় লাগবে। এ জন্য ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হবে। তবে সংকেতের কাজ আগামী অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে। ব্যয় কিছুটা কমেছে। তবে চূড়ান্ত হিসাব না করে এখনই সঠিক অঙ্ক বলা যাচ্ছে না।
এই প্রকল্পের ব্যয় প্রথমে নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায়। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ অর্থায়ন এসেছে দেশীয় উৎস থেকে এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা।

প্রায় পৌনে ১৭ হাজার কোটি টাকায় নির্মিত যমুনা রেলসেতুতে দৈনিক গড়ে ট্রেন চলছে মাত্র ৩৫টি। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় দেশের দীর্ঘতম এই রেলসেতু উদ্বোধনের পর প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৮৮টি ট্রেন চলার কথা বলা হয়েছিল। অথচ উদ্বোধনের প্রায় ছয় মাস পর চলছে ওই লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকের কম ট্রেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র বলছে, লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) ও বগি-সংকট, ডাবল লাইন না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। এই সেতু হওয়ায় যমুনা পাড়ি দেওয়া ট্রেনের যাত্রার সময় কমাসহ ক্রসিং-জটও কিছুটা কমেছে। বিভিন্ন রুট ডাবল লাইন ও সংকেত (সিগন্যাল) ব্যবস্থা আধুনিক করা হলে এই রেলসেতু পূর্ণ সক্ষমতা পাবে।
যমুনা রেলসেতুর মূল নির্মাণকাজ শেষ হলেও সংকেতব্যবস্থাসহ ছোটখাটো কিছু কাজ বাকি। এই প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। প্রকল্প সূত্র জানায়, ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অতিরিক্ত কাজ বাকি থাকায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়িয়ে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হবে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু সেতুর সক্ষমতা বাড়ালেই হবে না, পুরো করিডরে ডাবল লাইনের সুবিধা আছে কি না, সেটি বিবেচনায় নিয়েই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা উচিত। সমীক্ষায় বিষয়টি যথাযথভাবে বিবেচনা করা হয়েছিল কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। সেতুর আগে-পরে সিঙ্গেল লাইন থাকায় পূর্ণ সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ হলেও রেলওয়ের আলাদা কোনো আয়ের উৎস না থাকায় বেশি ট্রেন না চালাতে পারলে আয় বাড়বে না, বিনিয়োগও উঠবে না।
একসময় যমুনা বহুমুখী সেতুর সঙ্গে সংযুক্ত রেললাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করত। চলতি বছরের ১৮ মার্চ যমুনা রেলসেতু উদ্বোধন করা হয়। বর্তমানে এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩৫টি ট্রেন চলাচল করছে। অথচ সমীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা ছিল গড়ে ৮৮টি।
রেলওয়ের সূত্র বলছে, যমুনা রেলসেতুতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম ট্রেন চলার একাধিক কারণ রয়েছে। মূলত গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রেল করিডর এখনো সিঙ্গেল লাইন। ফলে সেতুতে একসঙ্গে অনেক ট্রেন চলতে পারছে না; পাশাপাশি পর্যাপ্ত লোকোমোটিভ ও কোচের ঘাটতির কারণে নতুন ট্রেন চালু করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া সেতুর জন্য স্থাপিত আধুনিক সংকেত এবং যোগাযোগব্যবস্থা এখনো পুরোপুরি কার্যকর না হওয়ায় নিরাপত্তার কারণে বাধ্য হয়ে ট্রেনের সংখ্যা সীমিত রাখতে হচ্ছে। মূল রেললাইন ও স্টেশনগুলোর পুরোনো অবকাঠামোর কারণে নতুন ও দ্রুত ট্রেন চালাতে সীমাবদ্ধতা আছে। এসব কারণ একত্র হয়ে এই সেতুর পূর্ণ সক্ষমতা ব্যবহার করতে দিচ্ছে না। ডাবল লাইন, আধুনিক লোকোমোটিভ ও কোচ এবং সিগন্যাল ব্যবস্থার পূর্ণ বাস্তবায়ন করলে সহজে সক্ষমতা অর্জন সম্ভব।
যমুনা রেলসেতুর আগে ও পরের দুই স্টেশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন যমুনা রেলসেতু কার্যকরভাবে ট্রেন যাত্রার সময় কমানোর পাশাপাশি অপেক্ষা এবং ক্রসিং-জট কিছুটা দূর করেছে। এখন সেতুর দুই পাশে ট্রেনকে দীর্ঘ সময় আটকে থাকতে হয় না। বর্তমানে ম্যানুয়াল সংকেত ব্যবস্থায় চলছে। স্বয়ংক্রিয় (অটোমেটিক) সংকেত ব্যবস্থা চালু হলে ট্রেন চলাচলের সময় আরও কমতে পারে।
যমুনা রেলসেতুকে পূর্ণ সক্ষমতা দিতে রেল বিভাগের পরিকল্পনায় ছিল জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডাবল লাইন, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ এবং পার্বতীপুর-কাউনিয়া রুট ডাবল লাইন করার। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত লোকোমোটিভ ও কোচ সংগ্রহ এবং আধুনিক সংকেত কার্যকর করা। তবে এসব প্রকল্প এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে ইঞ্জিন ও কোচের সংকট রয়েছে। উত্তরাঞ্চলের করিডরে এখনো ডাবল লাইন হয়নি। ফলে চাহিদা ও সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যমুনা রেলসেতুতে পর্যাপ্ত ট্রেন চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন কোচ আনার প্রকল্প চলমান এবং জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডাবল লাইনের কাজও শিগগির শুরু হবে। এসব কাজ সম্পন্ন হলে ট্রেন চলাচল বাড়ানো সম্ভব হবে।
যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে
সূত্র জানায়, যমুনা রেলসেতুর মূল নির্মাণকাজ শেষ হলেও প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। তবে সংকেতসহ কিছু ছোটখাটো কাজ বাকি আছে। এই প্রকল্পের আওতায় রেলওয়ে ব্রিজ মিউজিয়াম, ইন্সপেকশন বাংলো, ক্যাফেটেরিয়া, অভ্যন্তরীণ সড়ক, মাটি ভরাট ও ড্রেনেজ নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। বিশেষ এই নির্মাণ প্যাকেজের জন্য ৭৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্যাকেজে পরিবর্তন আনা হয়। নতুনভাবে এখানে ইন্সপেকশন বাংলো, এক্সিবিশন হল, ক্যাফেটেরিয়া ইত্যাদি নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। পরিবর্তিত পরিকল্পনায় ব্যয় দাঁড়াবে প্রায় ৫৮ কোটি টাকা। এখনো এই কাজের দরপত্র হয়নি। দরপত্র ও নির্মাণ শেষ করতে বাড়তি সময় লাগবে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের জুনে এই প্রকল্প অনুমোদিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু অতিরিক্ত কাজ বাকি থাকায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়িয়ে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে যমুনা রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ডব্লিউডি-৫ প্যাকেজের কাজ বাকি আছে। সেগুলো শেষ করতে সময় লাগবে। এ জন্য ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হবে। তবে সংকেতের কাজ আগামী অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে। ব্যয় কিছুটা কমেছে। তবে চূড়ান্ত হিসাব না করে এখনই সঠিক অঙ্ক বলা যাচ্ছে না।
এই প্রকল্পের ব্যয় প্রথমে নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায়। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ অর্থায়ন এসেছে দেশীয় উৎস থেকে এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৩ মিনিট আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
২৬ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
৩১ মিনিট আগে
প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
৩৪ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় এগিয়ে এনে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল বেলা দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে নামাজে জানাজা বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় যারা অংশ নিতে আসবেন তারা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় এগিয়ে এনে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল বেলা দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে নামাজে জানাজা বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় যারা অংশ নিতে আসবেন তারা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

প্রায় পৌনে ১৭ হাজার কোটি টাকায় নির্মিত যমুনা রেলসেতুতে দৈনিক গড়ে ট্রেন চলছে মাত্র ৩৫টি। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় দেশের দীর্ঘতম এই রেলসেতু উদ্বোধনের পর প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৮৮টি ট্রেন চলার কথা বলা হয়েছিল। অথচ উদ্বোধনের প্রায় ছয় মাস পর চলছে ওই লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকের কম ট্রেন।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
২৬ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
৩১ মিনিট আগে
প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
৩৪ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টার পর ওসমান হাদির মর্মান্তিক মৃত্যুকে উপলক্ষ করে একজোট লোক ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজ চালায় এবং অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। তারা ছয়তলা ভবনের সব সিসি ক্যামেরাসহ অধিকাংশ কক্ষ, প্রক্ষালণ কক্ষ এবং বহু বাদ্যযন্ত্র, মিলনায়তন, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। সার্ভারসহ ছায়ানটের কিছু বাদ্যযন্ত্র ও আসবাবপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে। অন্তত সাতটি ল্যাপটপসহ গোটা চারেক ফোন ও কিছু হার্ডডিস্ক লুট করেছে। তাদের ভাঙচুরে বৈদ্যুতিক সংযোগ ও সরঞ্জামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
‘ছায়ানট একটি স্বেচ্ছাসেবী ও স্বনির্ভর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। ছায়ানট কোনো সরকার, বিদেশি সংস্থা বা করপোরেট অনুদান নেয় না। সুতরাং, ছায়ানট আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে এই ক্ষতি পূরণ করবে এবং সংগীত ও শিশুদের সাধারণ শিক্ষায় এই সাময়িক বিঘ্নের দ্রুত প্রতিকার করতে বদ্ধপরিকর।’
এতে আরও বলা হয়, ‘ছায়ানটের কাজের ক্ষেত্র রাজনীতি নয়, সংগীত-সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তাকে ধারণ করে ছায়ানট। ছায়ানট সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের সমাজ গড়তে প্রয়াসী। আমরা ওসমান হাদির মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে গভীরভাবে শোকাহত। কিন্তু ওই সূত্র ধরে ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে কেন হামলা সংঘটিত হলো, তা মোটেই বোধগম্য নয়। হয়তো পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করেছে সংস্কৃতিচর্চার বিরোধী গোষ্ঠী।’
সংগীতশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি আরও বলে, ছায়ানট এই উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ অনানুষ্ঠানিক সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীরা দেশে ও বিদেশে সমাদৃত। বাংলা গানের চর্চা বিস্তৃতির পাশাপাশি স্বাধীনতা-সংগ্রামে ছায়ানটের ভূমিকাও সারা বিশ্বে স্বীকৃত। তাই ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে এই নিন্দনীয় হামলা মাতৃভূমি সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিতে পারে বিশ্বে।
দেশ ও বিদেশ থেকে যে অগণিত শুভাকাঙ্ক্ষী তাঁদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা জানিয়েছেন, তাঁদের সবার কাছে ছায়ানট কৃতজ্ঞ।
বাঙালির আবহমান সংগীতসংস্কৃতির সাধনা ও প্রসারে ছায়ানট তার স্থির প্রত্যয় যাত্রায় অবিচল থাকবে।

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টার পর ওসমান হাদির মর্মান্তিক মৃত্যুকে উপলক্ষ করে একজোট লোক ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজ চালায় এবং অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। তারা ছয়তলা ভবনের সব সিসি ক্যামেরাসহ অধিকাংশ কক্ষ, প্রক্ষালণ কক্ষ এবং বহু বাদ্যযন্ত্র, মিলনায়তন, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। সার্ভারসহ ছায়ানটের কিছু বাদ্যযন্ত্র ও আসবাবপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে। অন্তত সাতটি ল্যাপটপসহ গোটা চারেক ফোন ও কিছু হার্ডডিস্ক লুট করেছে। তাদের ভাঙচুরে বৈদ্যুতিক সংযোগ ও সরঞ্জামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
‘ছায়ানট একটি স্বেচ্ছাসেবী ও স্বনির্ভর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। ছায়ানট কোনো সরকার, বিদেশি সংস্থা বা করপোরেট অনুদান নেয় না। সুতরাং, ছায়ানট আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে এই ক্ষতি পূরণ করবে এবং সংগীত ও শিশুদের সাধারণ শিক্ষায় এই সাময়িক বিঘ্নের দ্রুত প্রতিকার করতে বদ্ধপরিকর।’
এতে আরও বলা হয়, ‘ছায়ানটের কাজের ক্ষেত্র রাজনীতি নয়, সংগীত-সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তাকে ধারণ করে ছায়ানট। ছায়ানট সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের সমাজ গড়তে প্রয়াসী। আমরা ওসমান হাদির মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে গভীরভাবে শোকাহত। কিন্তু ওই সূত্র ধরে ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে কেন হামলা সংঘটিত হলো, তা মোটেই বোধগম্য নয়। হয়তো পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করেছে সংস্কৃতিচর্চার বিরোধী গোষ্ঠী।’
সংগীতশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি আরও বলে, ছায়ানট এই উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ অনানুষ্ঠানিক সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীরা দেশে ও বিদেশে সমাদৃত। বাংলা গানের চর্চা বিস্তৃতির পাশাপাশি স্বাধীনতা-সংগ্রামে ছায়ানটের ভূমিকাও সারা বিশ্বে স্বীকৃত। তাই ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে এই নিন্দনীয় হামলা মাতৃভূমি সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিতে পারে বিশ্বে।
দেশ ও বিদেশ থেকে যে অগণিত শুভাকাঙ্ক্ষী তাঁদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা জানিয়েছেন, তাঁদের সবার কাছে ছায়ানট কৃতজ্ঞ।
বাঙালির আবহমান সংগীতসংস্কৃতির সাধনা ও প্রসারে ছায়ানট তার স্থির প্রত্যয় যাত্রায় অবিচল থাকবে।

প্রায় পৌনে ১৭ হাজার কোটি টাকায় নির্মিত যমুনা রেলসেতুতে দৈনিক গড়ে ট্রেন চলছে মাত্র ৩৫টি। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় দেশের দীর্ঘতম এই রেলসেতু উদ্বোধনের পর প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৮৮টি ট্রেন চলার কথা বলা হয়েছিল। অথচ উদ্বোধনের প্রায় ছয় মাস পর চলছে ওই লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকের কম ট্রেন।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৩ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
৩১ মিনিট আগে
প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
৩৪ মিনিট আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বিমানবন্দর এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে ডোমেস্টিক ও আন্তর্জাতিক টার্মিনালের প্রতিটি প্রবেশপথে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। পুরো বিমানবন্দর এলাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতেও নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
এ ছাড়া ভিআইপি গেটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও আর্মড ফোর্স ব্যাটালিয়নের (এএফবি) সদস্যদের কঠোর দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত নজরদারি রাখা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ওসমান হাদির লাশের বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে বের করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ওই গেট এলাকাতেও সেনাবাহিনী, আর্মড ফোর্স ব্যাটালিয়ন ও পুলিশের সদস্যদের কড়া অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ৫৮৫ ফ্লাইটে করে সিঙ্গাপুর থেকে আনা হয় ওসমান হাদির লাশ। ফ্লাইটটি সন্ধ্যা ৫টা ৪৯ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বিমানবন্দর এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে ডোমেস্টিক ও আন্তর্জাতিক টার্মিনালের প্রতিটি প্রবেশপথে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। পুরো বিমানবন্দর এলাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতেও নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
এ ছাড়া ভিআইপি গেটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও আর্মড ফোর্স ব্যাটালিয়নের (এএফবি) সদস্যদের কঠোর দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত নজরদারি রাখা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ওসমান হাদির লাশের বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে বের করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ওই গেট এলাকাতেও সেনাবাহিনী, আর্মড ফোর্স ব্যাটালিয়ন ও পুলিশের সদস্যদের কড়া অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ৫৮৫ ফ্লাইটে করে সিঙ্গাপুর থেকে আনা হয় ওসমান হাদির লাশ। ফ্লাইটটি সন্ধ্যা ৫টা ৪৯ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

প্রায় পৌনে ১৭ হাজার কোটি টাকায় নির্মিত যমুনা রেলসেতুতে দৈনিক গড়ে ট্রেন চলছে মাত্র ৩৫টি। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় দেশের দীর্ঘতম এই রেলসেতু উদ্বোধনের পর প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৮৮টি ট্রেন চলার কথা বলা হয়েছিল। অথচ উদ্বোধনের প্রায় ছয় মাস পর চলছে ওই লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকের কম ট্রেন।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৩ মিনিট আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
২৬ মিনিট আগে
প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
৩৪ মিনিট আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানায় বিশ্বজুড়ে সংবাদকর্মীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, হামলার সময় সাংবাদিকেরা কার্যালয়ের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন; পরে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।
সিপিজে বলেছে, তারা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে এবং বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কাছে সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছে।

প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানায় বিশ্বজুড়ে সংবাদকর্মীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, হামলার সময় সাংবাদিকেরা কার্যালয়ের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন; পরে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।
সিপিজে বলেছে, তারা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে এবং বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কাছে সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছে।

প্রায় পৌনে ১৭ হাজার কোটি টাকায় নির্মিত যমুনা রেলসেতুতে দৈনিক গড়ে ট্রেন চলছে মাত্র ৩৫টি। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় দেশের দীর্ঘতম এই রেলসেতু উদ্বোধনের পর প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৮৮টি ট্রেন চলার কথা বলা হয়েছিল। অথচ উদ্বোধনের প্রায় ছয় মাস পর চলছে ওই লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকের কম ট্রেন।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৩ মিনিট আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
২৬ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
৩১ মিনিট আগে