Ajker Patrika

বৃষ্টিতে উপকূলজুড়ে ক্ষতি ফসল-ঘেরের

ভারী বর্ষণে ফেনীতে বেড়েছে নদীর পানি। স্রোতের তোড়ে সিলোনিয়া নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে এই জেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল পরশুরাম উপজেলার সুবার বাজার এলাকায় সিলোনিয়া নদীতীরে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভারী বর্ষণে ফেনীতে বেড়েছে নদীর পানি। স্রোতের তোড়ে সিলোনিয়া নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে এই জেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল পরশুরাম উপজেলার সুবার বাজার এলাকায় সিলোনিয়া নদীতীরে। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাগরে লঘুচাপ আর মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশজুড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় হচ্ছে ভারী বর্ষণ। লঘুচাপের কারণে সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালী, ফেনীসহ অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ভোলায় পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরায় ডুবেছে ফসল-ঘের।

আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পরবর্তী পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলেছে, সাগরে লঘুচাপ এবং দেশের ওপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণও হতে পারে।

ডুবল নালা উন্নয়নের ৮২৩ কোটি টাকার প্রকল্প: খুলনা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে নালা ব্যবস্থার উন্নয়নে ২০১৮ সালে ৮২৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। গত ৭ বছরে ১৯৮টি নালা পুনর্নির্মাণ, ময়ূর নদসহ ১০টি খাল খনন করেছে সিটি করপোরেশন। ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত প্রকল্পে প্রায় ৬৩৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। কিন্তু প্রকল্পটির কোনো সুফল এখনো মেলেনি। ভারী বর্ষণে নগরীর অধিকাংশ সড়ক ও নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়েছে।

নগরবাসীর অভিযোগ, পানি নিষ্কাশনের মূল মাধ্যম হিসেবে পরিচিত নগরীর ২২টি খাল এখনো দখলমুক্ত ও সংস্কার করা হয়নি। নালা নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। অনেক জায়গায় রাস্তার চেয়ে নালা উঁচু করে নির্মাণ করা হয়েছে। জলাধার ভরাট হয়ে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে।

জানতে চাইলে কেসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কোহিনুর জাহান বলেন, খুলনা শহর বেশ নিচু। জোয়ারের সময় পানি ঢোকে। আবার যেসব জায়গা দিয়ে পানি সরার কথা, সেখানে পূর্ত বিভাগের কাজ চলছে। রাস্তার কাজের জন্য যেসব বাঁধ দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোর কিছু কিছু তাঁরা কেটে দিয়েছেন, যাতে পানি সরতে পারে। বৃষ্টির মধ্যে পূর্ত বিভাগের কাজ না করার বিষয়টি প্রশাসককে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নালার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পাম্প স্টেশন ও স্লুইসগেট সংস্কারের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে জলজট অনেকটা কমে যাবে।

এদিকে রাতভর ভারী ও টানা বর্ষণে খুলনা জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড রুমের ছাদ ধসে পড়েছে। এতে শতাধিক ভলিউম বই নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে। জানতে চাইলে খুলনা রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ডকিপার মাহবুবুর রহমান বলেন, কয়েক দিনের অতিবৃষ্টিতে মঙ্গলবার ভোরের দিকে ভবনের মাঝখানের ছাদের একাংশ ধসে পড়ে। সেখানে রাখা শতাধিক বই পানিতে ভিজে গেছে।

ভোলায় জলাবদ্ধতা, শিশুর মৃত্যু, লঞ্চ বন্ধ

ভারী বর্ষণে ভোলার লালমোহন পৌরসভা, চরফ্যাশন উপজেলার চরাঞ্চল, ভোলা শহরের সদর রোড, মুসলিম পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। লালমোহনে জলাবদ্ধতার পানিতে ডুবে গতকাল সকালে জাহিদুল ইসলাম (জাহিদ) নামের দেড় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে পৌরসভার নয়ানীগ্রাম এলাকার ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের ছেলে।

শিশুটির বাবা মিজানুর রহমান মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, সোমবার রাত থেকে প্রবল বৃষ্টিতে তাঁদের ঘরের বারান্দা তলিয়ে পাশের পুকুর ও জলাশয়ের সঙ্গে একাকার হয়ে গেছে। গতকাল সকালে তিনি স্ত্রী ও ৩ ছেলেমেয়ে নিয়ে ঘরেই অবস্থান করছিলেন। কিন্তু এর মধ্যেই তাঁদের ছোট ছেলে জাহিদ সবার অজান্তে বারান্দায় খেলতে গিয়ে পানিতে পড়ে যায়। সকাল ৯টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীও উত্তাল রয়েছে। এ কারণে ভোলার ইলিশা-লক্ষ্মীপুর রুট, বেতুয়া-ঢাকা, মনপুরা-ঢাকা, হাতিয়া-ঢাকা রুটসহ অভ্যন্তরীণ নৌ-রুটে সি ট্রাক ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএর ভোলা নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক রিয়াদ হোসেন।

ডুবে গেছে পটুয়াখালী পৌর শহর

পটুয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৫ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে পৌর শহরের অধিকাংশ এলাকা ও বিভিন্ন সড়ক ডুবে গেছে। কোথাও কোথাও ঘরের ভেতরে পানি ঢুকে পড়েছে। গলাচিপা, দশমিনা, বাউফল উপজেলার অন্তত অর্ধশত চর এলাকাও প্লাবিত হয়েছে। এদিকে লঘুচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীতে থেমে থেমে দমকা ও ঝোড়ো বাতাস বইছে।

পটুয়াখালী শহরের রিকশাচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘পানিতে শহরের অধিকাংশ এলাকা ডুবে গেছে। রিকশা চালাতে কষ্ট হয়, তেমন যাত্রীও পাওয়া যাচ্ছে না।’ কলাপাড়া পৌর শহরের ষাটোর্ধ্ব রিকশাচালক মোখলেস মিয়া বলেন, বৃষ্টির কারণে রাস্তায় নামতে পারি না। কিন্তু সংসার চলবে কেমনে। রাস্তায় তেমন যাত্রী নেই।

নোয়াখালী, বরগুনায় জলাবদ্ধতা

নোয়াখালীতে সোমবার রাত থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এতে জেলা শহর মাইজদীর প্রেসক্লাব সড়ক, রেড ক্রিসেন্ট, টাউন হল মোড়, ইসলামিয়া সড়ক, ডিসি সড়ক, মহিলা কলেজ সড়ক, জেলখানা সড়ক, নোয়াখালী সরকারি কলেজ সড়ক, মাইজদী বাজার সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, সুবর্ণচর, সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী ও চাটখিল উপজেলার নিচু এলাকাগুলোয়ও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

টানা বর্ষণে বরগুনার আমতলীতেও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। জলকপাটগুলো থেকে পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। তলিয়ে গেছে আউশের খেত ও আমনের বীজতলা।

রেকর্ড বৃষ্টিতে ডুবল ফেনী

ফেনীতে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে শহরের বেশির ভাগ এলাকা পানির নিচে। গতকাল দুপুরে ফেনী আবহাওয়া অফিস জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার দুপুর ১২টা থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত) জেলায় ৩৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এটি এ বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান জানান, আগামী ২-৩ দিন এই অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে টানা বৃষ্টিতে ফুলগাজী বাজারের শ্রীপুর রোডে মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে কয়েকটি দোকান ধসে পড়েছে। নিলক্ষ্মী-গাবতলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফেনী শহরের ডাক্তারপাড়া, সদর হাসপাতাল মোড়, শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়ক, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস, রামপুর, একাডেমি, পাঠানবাড়ি, পেট্রোবাংলাসহ অন্তত ১২টি এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

ফেনীতে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে মুহুরি, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। গতকাল রাত ৮টা ২০ মিনিটে মুহুরি নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

মুহুরি নদীর বাঁধে অন্তত সাতটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ফেনী বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আকতার হোসেন মজুমদার।

সাতক্ষীরায় ডুবল ঘের-ফসল

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় টানা ভারী বৃষ্টিতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। গতকাল সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পাকা ও কাঁচা রাস্তায় হাঁটুপানি। অনেক দোকানপাট, বাজার ও বসতবাড়ি তলিয়ে গেছে। তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া, খেশরা, জালালপুর, মাগুরা, খলিশখালী, খলিলনগর, ইসলামকাটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে আমনের বীজতলা, সবজিখেত, মাছের ঘের, পুকুর, কাঁচা রাস্তা ও নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়িতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এদিকে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চল পাটকেলঘাটায় ভারী বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খাল-বিল পানিতে টইটম্বুর।

[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন ভোলা, পটুয়াখালী, খুলনা, নোয়াখালী, ফেনী, কলাপাড়া (পটুয়াখালী), আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি, তালা (সাতক্ষীরা) ও পাটকেলঘাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি]

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির হলেন শফিকুর রহমান

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাসিনা, রেহানা, টিউলিপের বিরুদ্ধে তিন মামলায় সাক্ষ্য দিলেন আরও ৫ জন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও শেখ রেহানা। ছবি: সংগৃহীত
শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও শেখ রেহানা। ছবি: সংগৃহীত

রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা করে তিনটি প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা, শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকসহ অন্যদের বিরুদ্ধে করা তিনটি মামলায় আরও পাঁচজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ রোববার (২ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এ তাঁরা সাক্ষ্য দেন।

এই পাঁচ সাক্ষীর প্রত্যেকে তিন মামলাতেই সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। তাঁদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক রবিউল ইসলাম ৯ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানান।

এই তিন মামলায় গত ১৩ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। সেদিন তিন মামলার বাদী যথাক্রমে দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া এবং এস এম রাশেদুল হাসান সাক্ষ্য দেন। পরে পাঁচটি তারিখে আরও ২০ জন সাক্ষ্য দেন।

এ তিন মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, শেখ রেহানার দুই মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক এবং ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিকে আসামি করা হয়েছে। একটি মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিকসহ ১৭ জন; আরেক মামলায় শেখ হাসিনা, আজমিনা সিদ্দিকসহ ১৮ জন এবং অপর মামলায় শেখ হাসিনা, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ ১৮ জন আসামি।

তবে প্রতিটি মামলায় শেখ হাসিনা এবং রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তা আসামি। তাঁদের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করা রাজউকের সাবেক সদস্য খুরশিদ আলমের পক্ষে আজ সাক্ষীদের জেরা করা হয়। অন্যরা পলাতক থাকায় তাঁদের অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে-মেয়ে এবং তাঁর বোন, বোনের এক মেয়ে ও ছেলের নামে ১০ কাঠা করে ছয়টি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে এ তিনটিসহ মোট ছয়টি মামলা করেছে দুদক। বাকি তিনটি মামলা করা হয় শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ অন্যদের বিরুদ্ধে। ওই তিন মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এ।

এ ছয়টি মামলার অভিযোগপত্রে শেখ হাসিনা, তাঁর পরিবারের সদস্যরাসহ ২৯ জন আসামি। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির হলেন শফিকুর রহমান

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বইমেলা ফেব্রুয়ারিতেই, তবে নির্বাচনের পর: বাংলা একাডেমি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছুটির দিনে পাঠক ও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অমর একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ছুটির দিনে পাঠক ও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অমর একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণে। ছবি: আজকের পত্রিকা

অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারিতে হলেও মেলা অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাপুসের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে অমর একুশে বইমেলা ২০২৬-এর সময় নির্ধারণ বিষয়ে সমিতির প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে বাপুস মেলার কয়েকটি সম্ভাব্য সময়ের কথা উপস্থাপন করে। পাশাপাশি রাষ্ট্রের নিরাপত্তাবিষয়ক সংস্থার পরামর্শও সেখানে পর্যালোচনা করা হয়। সবকিছু মিলিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপর ফেব্রুয়ারি মাসে মেলা আয়োজনের প্রস্তাবকে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাস্তবসম্মত বলে গ্রহণ করা হয়েছে।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, নির্বাচনের তারিখ নির্দিষ্ট হওয়ার পরেই মেলার তারিখ ঘোষণা করা হবে।

অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ আয়োজনের বিষয়ে বাংলা একাডেমি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে।

এর আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং রমজানের কারণে অমর একুশে বইমেলা-২০২৬-এর সময় এগিয়ে এনে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে স্থগিত করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির হলেন শফিকুর রহমান

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আপিল শুনানিতে নেপালের প্রধান বিচারপতি, পেলেন সংবর্ধনা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ০৭
নেপালের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ মান সিং রাউত। ছবি: সংগৃহীত
নেপালের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ মান সিং রাউত। ছবি: সংগৃহীত

নেপালের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ মান সিং রাউতকে আপিল বিভাগে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার আপিল বিভাগে প্রথমে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন নেপালের প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেন।

নেপালের প্রধান বিচারপতি আপিল বিভাগে চলমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি পর্যবেক্ষণ করেন।

পরে সংবর্ধনার জবাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন তিনি।

এ সময় আপিল বিভাগে নেপালের উচ্চ আদালতের বিচারপতি, বাংলাদেশে নেপালের রাষ্ট্রদূত, ইউএনডিপির প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

আজ শুরুতে বিএনপি মহাসচিবের পক্ষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা-সংক্রান্ত আপিল শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। এরপর বিরতি শেষে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ নেপালের প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে আবার এজলাসে আসেন। নেপালের প্রধান বিচারপতিকে বসানো হয় বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির ডান পাশের চেয়ারে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানিতে বিএনপি মহাসচিবের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা-সংক্রান্ত আপিল শুনানি বেলা ১টা পর্যন্ত চলে। পরে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়।

শুনানিতে যা বললেন রুহুল কুদ্দুস

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আপিল বিভাগের তিনজন বিচারপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখার পক্ষে রায় দিয়েছেন আর চারজন রায় দেন বাতিলের পক্ষে। সংক্ষিপ্ত রায়ে পরবর্তী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার জন্য বলা হয়েছিল। খায়রুল হক (সাবেক প্রধান বিচারপতি) অবসরের ১৬ মাস পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় দেন। তবে সেখানে পরবর্তী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার বিষয়টি ছিল না। প্রকাশ্য আদালতে রায় দেওয়ার পর করণিক ভুল ছাড়া আর কোনো কিছু পরিবর্তন করা যায় না।

রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আপিল বিভাগের রায়ে বলা হয়েছে, অবসরের ছয় মাসের মধ্যে রায়ে স্বাক্ষর করতে হবে। আর এই রায়ে স্বাক্ষর করা হয়েছে অবসরের ১৬ মাস পর। গণতন্ত্রের স্বার্থে, আইনের শাসনের স্বার্থে, বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে এ বি এম খায়রুল হকের দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনা করতে হবে।

এদিকে আদালত থেকে বের হয়ে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমি শুনানিতে বলেছি, দেশের মধ্যে এই যে মারামারি, দিনের ভোট রাতে হয়েছে এবং কোনো ভোটই হয়নি—সবকিছুর মূলেই খায়রুল হক। খায়রুল হক দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছেন। তাঁর এই ব্যবহারের কারণেই আজকে ভোট নিয়ে অনিশ্চয়তা। খায়রুল হকের ওই রায় কোনোভাবেই থাকতে পারে না। ওই রায় থাকলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির হলেন শফিকুর রহমান

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশে বৈষম্যমূলক ধারা সংশোধনের আহ্বান টিআইবির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

উপদেষ্টা পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ বৈষম্যমূলক কমিশন গঠনে সহায়ক ধারা ও প্রতিষ্ঠানটির স্বাধীনতা ক্ষুণ্নের ঝুঁকি সৃষ্টিকারী দুর্বল বিধান অব্যাহত থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সংস্থাটি অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধন এনে কমিশনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছে।

আজ রোববার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা জানান।

এই অধ্যাদেশের ফলে মানবাধিকার কমিশনের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে বলেও মনে করে টিআইবি।

লিখিত বিবৃতিতে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টিলগ্নে যে মৌলিক দুর্বলতার বীজ বপন করা হয়েছিল, তা কেন অব্যাহত রাখতে হবে, তা বোধগম্য নয়। কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সাত সদস্যের মধ্যে দুজনকে খণ্ডকালীন নিয়োগের বিধান বৈষম্যমূলক এবং সদস্যদের মধ্যে মর্যাদা ও এখতিয়ারে বিভাজন তৈরি করে, যা প্রতিষ্ঠানটির অকার্যকরতার অন্যতম কারণ।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কমিশনের সব সদস্যের পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা ও দায়িত্ব-কর্তব্যে সমতা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি এই বিধান সংশোধন করে কমিশনের কার্যক্রমে গতিশীলতা ও কার্যকরতা আনা জরুরি।

ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, চেয়ারপারসন ও কমিশনার বাছাইয়ে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া এবং প্রাথমিকভাবে বাছাই করা প্রার্থীদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশের প্রস্তাব টিআইবি দিয়েছিল, কিন্তু তা গৃহীত হয়নি। তা ছাড়া কোনো সংস্থার আটকস্থল যদি কমিশনের নিকট আইনবহির্ভূত মনে হয়, তবে তা বন্ধের ক্ষমতা ও দায়ীদের জবাবদিহি নিশ্চিতের সুপারিশও উপেক্ষিত হয়েছে, যা হতাশাজনক।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, মানবাধিকার সংরক্ষণের পরিপন্থী কোনো আইন সংশোধনের সুপারিশ করার ক্ষমতা কমিশনের থাকা উচিত।

টিআইবির মতে, অধ্যাদেশে ধারা ১৪-তে ‘মানবাধিকারসংক্রান্ত অন্য কোনো আইন এই আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে এই আইন প্রাধান্য পাবে’–এই অংশ যুক্ত করা হলে ভবিষ্যতে মানবাধিকার বিষয়ে আইনগত সংঘাত এড়ানো সহজ হতো।

এ ছাড়া সব অভিযোগে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক অনুসন্ধানের বিধান বাতিল করে আমলযোগ্য অভিযোগে সরাসরি তদন্তের সুযোগ রাখার প্রস্তাবও গৃহীত হয়নি।

টিআইবির আশঙ্কা, এতে অপ্রয়োজনীয় দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হবে এবং ভুক্তভোগীর হয়রানি ও ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।

ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কর্মকর্তা বা সরকারি কর্মচারীকে কমিশনে প্রেষণে নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ সীমা নির্ধারণ এবং প্রেষণপ্রক্রিয়াকে যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পরিচালনার প্রস্তাবও অগ্রাহ্য করা হয়েছে। এমনকি কমিশনের দ্বিমতের ভিত্তিতে কোনো প্রেষণ প্রত্যাখ্যানের সুযোগের বিধান রাখার সুপারিশও বিবেচিত হয়নি।

টিআইবি মনে করে, কমিশনের আয়-ব্যয়ের বার্ষিক নিরীক্ষা সম্পন্নের পর তা ওয়েবসাইটে প্রকাশের বিধান যুক্ত করা উচিত। এসব সংস্কারই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সত্যিকার অর্থে স্বাধীন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির হলেন শফিকুর রহমান

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত