আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
দেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুটে নতুন রেলপথ হলেও লোকোমোটিভের (ইঞ্জিন) অভাবে চাহিদা অনুযায়ী ট্রেন সার্ভিস চালু করা যাচ্ছে না। অথচ এমন পরিস্থিতিতে ৩০টি নতুন ইঞ্জিন কেনার পরও বিভিন্ন কারিগরি সমস্যায় সব কটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোনো সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই ইঞ্জিনগুলো কিনে বিপাকে পড়েছে রেলওয়ে।
১ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা ইঞ্জিনগুলো নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন সমস্যা। এসবের মধ্যে রয়েছে ইঞ্জিনের ওজন বেশি হওয়া, পুরোনো সেতু ইঞ্জিনের ভার বহনে সক্ষম না হওয়া, বিভিন্ন স্টেশনের শেডের চেয়ে ইঞ্জিনের উচ্চতা বেশি হওয়া ইত্যাদি। এসব কারণে নতুন কেনা ইঞ্জিনের মধ্যেই ৯টিই বসিয়ে রাখা হয়েছে।
রেল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে তাদের যেসব ইঞ্জিন রয়েছে, সেগুলো ৩০ থেকে ৬০ বছরের পুরোনো। এ জন্য রেলওয়ের সক্ষমতা বাড়িয়ে যাত্রীসেবা বাড়াতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দুই দফায় মিটারগেজের ৩০টি ইঞ্জিন আমদানি করা হয়েছিল। কিন্তু উল্লিখিত সমস্যাগুলোর কারণে সংকটের মধ্যেও সব রুটে এসব ইঞ্জিন ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিবহন বিভাগের তথ্যমতে, বর্তমানে রেলের মোট ১৫৯টি মিটারগেজ ইঞ্জিন রয়েছে। দৈনিক ১১৬টি ইঞ্জিনের চাহিদা রয়েছে। তবে বিভিন্ন ত্রুটির কারণে মাত্র ১০০-১০৫টি ইঞ্জিন নিয়মিত চালানো যায়।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ-জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ, ঢাকা-ভৈরব-গৌরীপুর-ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম-সিলেট, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ, ঢাকা-নোয়াখালী, ঢাকা-সিলেট রুটের মতো বড় ছয়টি রুটে নতুন ইঞ্জিনগুলো চলতে পারছে না।
রেলের মেকানিক্যাল বিভাগের তথ্যমতে, পুরোনো ভারী ইঞ্জিনগুলোর গড় ওজন ৭০ থেকে ৭২ টন। সেখানে সম্প্রতি আমদানি হওয়া এবং আমদানির প্রক্রিয়ায় থাকা ইঞ্জিনগুলোর গড় ওজন ৯০-৯৫ টন। অনেক পুরোনো রেললাইনে এই ভারী ইঞ্জিন চালানো যাচ্ছে না। কালুরঘাট রেলওয়ে সেতু, ভৈরব পুরোনো সেতু, কুশিয়ারা সেতু, ঘোড়াশাল (আপ) সেতু, শম্ভুগঞ্জ সেতু, ঘুমঘাট সেতু ও ছাতক-সিলেট রুটের ২৮ নম্বর সেতু—এই সাত সেতুতেও নতুন ইঞ্জিনগুলো চলতে পারছে না।
রেলের অভ্যন্তরীণ এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ৩০০০ সিরিজের লোকোমোটিভে হুইল বড় হওয়ায় এবং লোকোমোটিভ ক্যাপের উচ্চতা কম হওয়ায় ট্রেনচালক সিট থেকে উঠে দাঁড়ালে তাঁর মাথা ছাদে লেগে যায়। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, দেওয়ানগঞ্জ ও কুলাউড়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম শেডের উচ্চতা নতুন ইঞ্জিনের উচ্চতা থেকে কম। ফলে এসব স্টেশনে চলাচল করতে পারছে না।
রেলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, নতুন ইঞ্জিনগুলো আমদানির আগে এগুলো কোন রুটে চলবে, কোন স্টেশনে থামবে এবং সেসব গন্তব্যে চালানোর উপযোগী কি না, সেসব নিয়ে কর্মকর্তারা কোনো মতামত দিতে পারেননি।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ইঞ্জিনগুলো কিনতে ২০১৮ সালের ১৭ মে দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেমের সঙ্গে চুক্তি করে রেল মন্ত্রণালয়। কোরিয়ার এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নে ২৯৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রথম ধাপে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে ১০টি ইঞ্জিন আনা হয়। পরে আরেকটি প্রকল্পে ৮৪১ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে আরও ২০টি ইঞ্জিন কেনা হয়।
নতুন যুক্ত হওয়া ৩০০০ সিরিজের ইঞ্জিনগুলোর মধ্যে ১১টি আন্তনগর যাত্রীবাহী ট্রেনে চালানো হচ্ছে। পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং পশ্চিমাঞ্চলের ঢাকা-পার্বতীপুর-দিনাজপুর-পঞ্চগড়, ঢাকা-রাজশাহী—এই চার রুটে নতুন ইঞ্জিন চলছে। আর ১০টি চলে পণ্যবাহী (গুডস) ট্রেনে। বাকি ৯টি জরুরি যন্ত্রাংশ এবং মেরামতের অধীনে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি চাঁদপুর রুটে একটি ট্রেন চালু করা হয়েছে।
ইঞ্জিনের ঘাটতির মধ্যে নতুন কেনা ইঞ্জিন ব্যবহার করতে না পারার বিষয়ে রেলের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) মো. মাহবুব হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা কেউ মন্তব্য করতে চাননি। রেলের ইঞ্জিন ও বগি কেনাসংক্রান্ত প্রকল্প পরিচালক ফকির মো. মহিউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে নতুন কেনা ৯টি ইঞ্জিন বসে থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এটা আমার সময়ে নয়। এই প্রকল্প শেষ হয়ে গেছে। ইঞ্জিনগুলোর ওয়ারেন্টি পিরিয়ডও শেষ। সব রুটে উপযোগিতা না থাকায় এসব ইঞ্জিন চলাচল করতে পারছে না।’
দেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রুটে নতুন রেলপথ হলেও লোকোমোটিভের (ইঞ্জিন) অভাবে চাহিদা অনুযায়ী ট্রেন সার্ভিস চালু করা যাচ্ছে না। অথচ এমন পরিস্থিতিতে ৩০টি নতুন ইঞ্জিন কেনার পরও বিভিন্ন কারিগরি সমস্যায় সব কটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোনো সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই ইঞ্জিনগুলো কিনে বিপাকে পড়েছে রেলওয়ে।
১ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা ইঞ্জিনগুলো নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন সমস্যা। এসবের মধ্যে রয়েছে ইঞ্জিনের ওজন বেশি হওয়া, পুরোনো সেতু ইঞ্জিনের ভার বহনে সক্ষম না হওয়া, বিভিন্ন স্টেশনের শেডের চেয়ে ইঞ্জিনের উচ্চতা বেশি হওয়া ইত্যাদি। এসব কারণে নতুন কেনা ইঞ্জিনের মধ্যেই ৯টিই বসিয়ে রাখা হয়েছে।
রেল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে তাদের যেসব ইঞ্জিন রয়েছে, সেগুলো ৩০ থেকে ৬০ বছরের পুরোনো। এ জন্য রেলওয়ের সক্ষমতা বাড়িয়ে যাত্রীসেবা বাড়াতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দুই দফায় মিটারগেজের ৩০টি ইঞ্জিন আমদানি করা হয়েছিল। কিন্তু উল্লিখিত সমস্যাগুলোর কারণে সংকটের মধ্যেও সব রুটে এসব ইঞ্জিন ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিবহন বিভাগের তথ্যমতে, বর্তমানে রেলের মোট ১৫৯টি মিটারগেজ ইঞ্জিন রয়েছে। দৈনিক ১১৬টি ইঞ্জিনের চাহিদা রয়েছে। তবে বিভিন্ন ত্রুটির কারণে মাত্র ১০০-১০৫টি ইঞ্জিন নিয়মিত চালানো যায়।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ-জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ, ঢাকা-ভৈরব-গৌরীপুর-ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম-সিলেট, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ, ঢাকা-নোয়াখালী, ঢাকা-সিলেট রুটের মতো বড় ছয়টি রুটে নতুন ইঞ্জিনগুলো চলতে পারছে না।
রেলের মেকানিক্যাল বিভাগের তথ্যমতে, পুরোনো ভারী ইঞ্জিনগুলোর গড় ওজন ৭০ থেকে ৭২ টন। সেখানে সম্প্রতি আমদানি হওয়া এবং আমদানির প্রক্রিয়ায় থাকা ইঞ্জিনগুলোর গড় ওজন ৯০-৯৫ টন। অনেক পুরোনো রেললাইনে এই ভারী ইঞ্জিন চালানো যাচ্ছে না। কালুরঘাট রেলওয়ে সেতু, ভৈরব পুরোনো সেতু, কুশিয়ারা সেতু, ঘোড়াশাল (আপ) সেতু, শম্ভুগঞ্জ সেতু, ঘুমঘাট সেতু ও ছাতক-সিলেট রুটের ২৮ নম্বর সেতু—এই সাত সেতুতেও নতুন ইঞ্জিনগুলো চলতে পারছে না।
রেলের অভ্যন্তরীণ এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ৩০০০ সিরিজের লোকোমোটিভে হুইল বড় হওয়ায় এবং লোকোমোটিভ ক্যাপের উচ্চতা কম হওয়ায় ট্রেনচালক সিট থেকে উঠে দাঁড়ালে তাঁর মাথা ছাদে লেগে যায়। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, দেওয়ানগঞ্জ ও কুলাউড়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম শেডের উচ্চতা নতুন ইঞ্জিনের উচ্চতা থেকে কম। ফলে এসব স্টেশনে চলাচল করতে পারছে না।
রেলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, নতুন ইঞ্জিনগুলো আমদানির আগে এগুলো কোন রুটে চলবে, কোন স্টেশনে থামবে এবং সেসব গন্তব্যে চালানোর উপযোগী কি না, সেসব নিয়ে কর্মকর্তারা কোনো মতামত দিতে পারেননি।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ইঞ্জিনগুলো কিনতে ২০১৮ সালের ১৭ মে দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেমের সঙ্গে চুক্তি করে রেল মন্ত্রণালয়। কোরিয়ার এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নে ২৯৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রথম ধাপে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে ১০টি ইঞ্জিন আনা হয়। পরে আরেকটি প্রকল্পে ৮৪১ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে আরও ২০টি ইঞ্জিন কেনা হয়।
নতুন যুক্ত হওয়া ৩০০০ সিরিজের ইঞ্জিনগুলোর মধ্যে ১১টি আন্তনগর যাত্রীবাহী ট্রেনে চালানো হচ্ছে। পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং পশ্চিমাঞ্চলের ঢাকা-পার্বতীপুর-দিনাজপুর-পঞ্চগড়, ঢাকা-রাজশাহী—এই চার রুটে নতুন ইঞ্জিন চলছে। আর ১০টি চলে পণ্যবাহী (গুডস) ট্রেনে। বাকি ৯টি জরুরি যন্ত্রাংশ এবং মেরামতের অধীনে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি চাঁদপুর রুটে একটি ট্রেন চালু করা হয়েছে।
ইঞ্জিনের ঘাটতির মধ্যে নতুন কেনা ইঞ্জিন ব্যবহার করতে না পারার বিষয়ে রেলের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) মো. মাহবুব হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা কেউ মন্তব্য করতে চাননি। রেলের ইঞ্জিন ও বগি কেনাসংক্রান্ত প্রকল্প পরিচালক ফকির মো. মহিউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে নতুন কেনা ৯টি ইঞ্জিন বসে থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এটা আমার সময়ে নয়। এই প্রকল্প শেষ হয়ে গেছে। ইঞ্জিনগুলোর ওয়ারেন্টি পিরিয়ডও শেষ। সব রুটে উপযোগিতা না থাকায় এসব ইঞ্জিন চলাচল করতে পারছে না।’
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘আমি যেটা করব, সেটা আপনারা দেখতে পারবেন। সেটা আপনাকে দেখতে হবে কাজের মধ্য দিয়ে। এই যে লিগ্যাল এইডের কাজ করলাম, এর বাইরে আমরা অনেক কাজ করেছি, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো দিন হয়নি।’
৫ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে আগামী সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্ক যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এবার প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীর তালিকায় চার রাজনৈতিক নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে সরকার। যাঁদের মধ্যে বিএনপির দুজন, জামায়াতের একজন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একজন
৬ ঘণ্টা আগেসভায় সাম্প্রতিক সময়ে বিমানের উড়োজাহাজে দেখা দেওয়া বিভিন্ন কারিগরি ত্রুটি পর্যালোচনা করে উপদেষ্টা বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটি সরাসরি জনগণের জীবনের নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই বিমানের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে এসব সমস্যাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে এবং ভবিষ্যতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে
৬ ঘণ্টা আগেবার্তায় বলা হয়, সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা জোরদার এবং ইইউর সহায়তায় বাংলাদেশে সামরিক শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া উভয় পক্ষ পারস্পরিক শুভেচ্ছা বিনিময় ছাড়াও সামরিক খাতের নানা দিক নিয়ে মতবিনিময় করে।
৬ ঘণ্টা আগে