আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এশিয়ার নিয়তি পুনর্লিখনে একসঙ্গে কাজ করতে পারে বাংলাদেশ ও জাপান। আজ বৃহস্পতিবার জাপানে ‘নিক্কেই ফোরাম: ৩০তম ফিউচার অব এশিয়া’—শীর্ষক ফোরামে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ড. ইউনূস তাঁর ভাষণে বলেন, ‘আজ এখানে দাঁড়িয়ে আমার কিছু বিশেষ স্মৃতি মনে পড়ছে। ২০ বছর আগে, ২০০৪ সালে, নিক্কেই আমাকে এশিয়া পুরস্কারে ভূষিত করেছিল। সেটি ছিল আমার জীবনে অত্যন্ত অর্থবহ একটি মুহূর্ত। তখন থেকেই জাপানের সঙ্গে আমার একটি ব্যক্তিগত যোগসূত্র তৈরি হয়েছে। গত কয়েক বছরে আমি বহুবার জাপানে এসেছি। জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করেছি, তরুণদের সঙ্গে দেখা করেছি এবং ধারণা বিনিময় করেছি। জাপানের মানুষ আমার সামাজিক ব্যবসা ও ক্ষুদ্রঋণের ধারণাকে যেভাবে উষ্ণভাবে গ্রহণ করেছে, তাতে আমি গভীরভাবে মুগ্ধ।’
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা যখন “অশান্ত বিশ্বে এশিয়ার চ্যালেঞ্জ” প্রতিপাদ্য নিয়ে আলোচনা করতে সমবেত হয়েছি, তখন আমাকে বলতেই হচ্ছে যে, বিশ্ব ক্রমবর্ধমান হারে অশান্ত হয়ে উঠছে। আমরা এক দারুণ অনিশ্চয়তার সময় পার করছি। আমরা এমন একটি বিশ্বের সাক্ষী, যেখানে শান্তি ভঙ্গুর, উত্তেজনা বাড়ছে এবং সহযোগিতা সব সময় নিশ্চিত নয়। এশিয়া ও এর বাইরে বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে, শান্তি অধরা হয়ে উঠছে।’
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন, গাজা এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে যুদ্ধ ও মানবসৃষ্ট সংঘাত হাজার হাজার মানুষের জীবন ও জীবিকা ধ্বংস করছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এবং সাম্প্রতিক ভূমিকম্প একটি গভীর মানবিক সংকটকে আরও অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। খুব সম্প্রতি, আমাদের দুই প্রতিবেশী একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু ব্যয়বহুল যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। দুঃখজনকভাবে, আমরা যুদ্ধ করার পেছনে বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ ব্যয় করছি, যা আমাদের লাখ লাখ মানুষকে অনাহারি বা মৌলিক প্রয়োজনে সংগ্রাম করতে বাধ্য করছে। যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ায় আমি উভয় দেশের নেতাদের ধন্যবাদ জানাই এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ধারাবাহিকতা কামনা করি।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ছাড়া, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অনেক কিছুর প্রতিশ্রুতি দিলেও নতুন নৈতিক সংকট তৈরি করছে। বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার বৃদ্ধি মুক্ত বাণিজ্যব্যবস্থার মূল ভিত্তিকেই চ্যালেঞ্জ করে চলেছে। অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছে, প্রায়শই সমাজের অভ্যন্তরে এবং দেশগুলোর মধ্যেও। বৈশ্বিক আস্থা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। জাতিগুলোর মধ্যে, সমাজের অভ্যন্তরে, এমনকি নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেও আস্থা কমছে। সম্প্রতি, আমরা বাংলাদেশে, দক্ষিণ কোরিয়ায় এমন বিভেদ, অসন্তোষ ও অস্থিতিশীলতা দেখেছি, যা শাসনব্যবস্থার পরিবর্তনে পথ খুলে দিয়েছে।’
ভাষণে তিনি বাংলাদেশের জুলাই অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘বাংলাদেশে গত বছর একটি ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা একটি রূপান্তরমূলক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গিয়েছি এবং ফলস্বরূপ আমার সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। আমরা আমাদের জনগণের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা পূরণে, ন্যায়বিচার, সমতা, স্বাধীনতা ও মানুষের মর্যাদা নিশ্চিত করতে এবং গণতন্ত্রে মসৃণ উত্তরণের লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য সাধারণ নির্বাচনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি। আমরা বিশ্বাস করি, এটি ভুল সংশোধনের, নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ার এবং একটি ন্যায্য সমাজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের একটি সুযোগ। একাধিক অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা ও শান্তিবর্ধন মিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তায় অবদান রাখছে এবং মিয়ানমারে নিজ ভূখণ্ডে নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে সম্পূর্ণ মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে।’
এ সময় তিনি এশিয়াকে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষের আবাস্থল হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বিশ্বজুড়ে যে অনিশ্চয়তা, তার ‘কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এশিয়া। একই সময়ে এটি সম্ভাবনার কেন্দ্রেও রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি, সেগুলো যেমন বিশাল, তেমনি আমাদের সম্মিলিত শক্তিও অদম্য। এই বাস্তবতায়, আমি বিশ্বাস করি এশিয়ার সুযোগ আছে, সম্ভবত একটি দায়িত্বও আছে ভিন্ন পথ দেখানোর। শান্তি, সংলাপ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধির একটি পথ। শুধু সংখ্যার বৃদ্ধি নয়, মানুষের কল্যাণে, আস্থায়, আশায় বৃদ্ধি।’
তিনি বলেন, ‘আমি প্রায়শই বলি: টাকা বানানো সুখ। কিন্তু মানুষকে খুশি করা হলো সুপার সুখ। আমাদের মনোযোগ পরিবর্তন করতে হবে ব্যক্তিগত মুনাফা থেকে সম্মিলিত কল্যাণে। স্বল্পমেয়াদি লাভ থেকে দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গিতে। আমার নিজের যাত্রায়—গ্রামের দরিদ্র নারীদের ছোট ছোট ঋণ দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক শুরু করা থেকে শুরু করে সারা বিশ্বে সামাজিক ব্যবসার ধারণা ছড়িয়ে দেওয়া পর্যন্ত—আমি একটি বিষয় খুব পরিষ্কারভাবে শিখেছি: মানুষ দুঃখ ভোগ করার জন্য জন্ম নেয়নি। মানুষ সীমাহীন সম্ভাবনা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। আমাদের শুধু তাদের সঠিক সুযোগ দিতে হবে।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আমি বিশ্বাস করি, এশিয়ার দেশগুলো অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং সমৃদ্ধির নতুন সুযোগ উন্মোচনে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে পারে। একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎ এবং অভিন্ন সমৃদ্ধির দিকে আমাদের একটি স্পষ্ট পথ তৈরি করতে হবে।’ এ সময় তিনি ছয়টি পরামর্শ দেন।
নোবেল বিজয়ী এই নেতা বলেন, ‘এই ফোরাম আশার প্ল্যাটফর্ম। নিক্কেই এমন একটি স্থান তৈরি করেছে, যেখানে সংলাপ সমাধানের দিকে নিয়ে যায় এবং যেখানে আস্থা কেবল একটি শব্দ নয়, বরং একটি লক্ষ্য, যা আমরা একসঙ্গে কাজ করি। এশিয়ার ভবিষ্যৎ কেবল অর্থনীতি বা ভূরাজনীতি নিয়ে নয়—এটি মানুষ নিয়ে, এটি ধারণা নিয়ে এবং এটি সাহস নিয়ে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের চারপাশে ঝঞ্ঝা দেখে আমরা ভীত হব না, বরং এটিকে একটি আহ্বান হিসেবে দেখব—পুনর্বিবেচনা করতে, পুনর্গঠন করতে এবং একসঙ্গে উঠে দাঁড়াতে। আসুন আমরা ভয় দ্বারা নয়, সম্ভাবনা দ্বারা পরিচালিত হই—ক্ষমতা দ্বারা নয়, উদ্দেশ্য দ্বারা। আসুন আমরা একটি উন্নত বিশ্বের কল্পনা করার সাহস রাখি। আসুন আমরা একে অপরকে বিশ্বাস করি। আসুন আমরা সহযোগিতা করি। কারণ আমাদের করতে হবে বলে নয়, বরং আমরা চাই বলে। এশিয়ার ভবিষ্যৎ এখনো লেখা হয়নি। আমরা একসঙ্গে এটি লিখব। বাংলাদেশ ও জাপান এশিয়ার এমনকি বিশ্বের নিয়তি পুনর্লিখনে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।’
আরও খবর পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এশিয়ার নিয়তি পুনর্লিখনে একসঙ্গে কাজ করতে পারে বাংলাদেশ ও জাপান। আজ বৃহস্পতিবার জাপানে ‘নিক্কেই ফোরাম: ৩০তম ফিউচার অব এশিয়া’—শীর্ষক ফোরামে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ড. ইউনূস তাঁর ভাষণে বলেন, ‘আজ এখানে দাঁড়িয়ে আমার কিছু বিশেষ স্মৃতি মনে পড়ছে। ২০ বছর আগে, ২০০৪ সালে, নিক্কেই আমাকে এশিয়া পুরস্কারে ভূষিত করেছিল। সেটি ছিল আমার জীবনে অত্যন্ত অর্থবহ একটি মুহূর্ত। তখন থেকেই জাপানের সঙ্গে আমার একটি ব্যক্তিগত যোগসূত্র তৈরি হয়েছে। গত কয়েক বছরে আমি বহুবার জাপানে এসেছি। জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করেছি, তরুণদের সঙ্গে দেখা করেছি এবং ধারণা বিনিময় করেছি। জাপানের মানুষ আমার সামাজিক ব্যবসা ও ক্ষুদ্রঋণের ধারণাকে যেভাবে উষ্ণভাবে গ্রহণ করেছে, তাতে আমি গভীরভাবে মুগ্ধ।’
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা যখন “অশান্ত বিশ্বে এশিয়ার চ্যালেঞ্জ” প্রতিপাদ্য নিয়ে আলোচনা করতে সমবেত হয়েছি, তখন আমাকে বলতেই হচ্ছে যে, বিশ্ব ক্রমবর্ধমান হারে অশান্ত হয়ে উঠছে। আমরা এক দারুণ অনিশ্চয়তার সময় পার করছি। আমরা এমন একটি বিশ্বের সাক্ষী, যেখানে শান্তি ভঙ্গুর, উত্তেজনা বাড়ছে এবং সহযোগিতা সব সময় নিশ্চিত নয়। এশিয়া ও এর বাইরে বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে, শান্তি অধরা হয়ে উঠছে।’
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন, গাজা এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে যুদ্ধ ও মানবসৃষ্ট সংঘাত হাজার হাজার মানুষের জীবন ও জীবিকা ধ্বংস করছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এবং সাম্প্রতিক ভূমিকম্প একটি গভীর মানবিক সংকটকে আরও অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। খুব সম্প্রতি, আমাদের দুই প্রতিবেশী একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু ব্যয়বহুল যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। দুঃখজনকভাবে, আমরা যুদ্ধ করার পেছনে বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ ব্যয় করছি, যা আমাদের লাখ লাখ মানুষকে অনাহারি বা মৌলিক প্রয়োজনে সংগ্রাম করতে বাধ্য করছে। যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ায় আমি উভয় দেশের নেতাদের ধন্যবাদ জানাই এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ধারাবাহিকতা কামনা করি।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ছাড়া, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অনেক কিছুর প্রতিশ্রুতি দিলেও নতুন নৈতিক সংকট তৈরি করছে। বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার বৃদ্ধি মুক্ত বাণিজ্যব্যবস্থার মূল ভিত্তিকেই চ্যালেঞ্জ করে চলেছে। অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছে, প্রায়শই সমাজের অভ্যন্তরে এবং দেশগুলোর মধ্যেও। বৈশ্বিক আস্থা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। জাতিগুলোর মধ্যে, সমাজের অভ্যন্তরে, এমনকি নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেও আস্থা কমছে। সম্প্রতি, আমরা বাংলাদেশে, দক্ষিণ কোরিয়ায় এমন বিভেদ, অসন্তোষ ও অস্থিতিশীলতা দেখেছি, যা শাসনব্যবস্থার পরিবর্তনে পথ খুলে দিয়েছে।’
ভাষণে তিনি বাংলাদেশের জুলাই অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘বাংলাদেশে গত বছর একটি ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা একটি রূপান্তরমূলক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গিয়েছি এবং ফলস্বরূপ আমার সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। আমরা আমাদের জনগণের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা পূরণে, ন্যায়বিচার, সমতা, স্বাধীনতা ও মানুষের মর্যাদা নিশ্চিত করতে এবং গণতন্ত্রে মসৃণ উত্তরণের লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য সাধারণ নির্বাচনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি। আমরা বিশ্বাস করি, এটি ভুল সংশোধনের, নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ার এবং একটি ন্যায্য সমাজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের একটি সুযোগ। একাধিক অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা ও শান্তিবর্ধন মিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তায় অবদান রাখছে এবং মিয়ানমারে নিজ ভূখণ্ডে নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে সম্পূর্ণ মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে।’
এ সময় তিনি এশিয়াকে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষের আবাস্থল হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বিশ্বজুড়ে যে অনিশ্চয়তা, তার ‘কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এশিয়া। একই সময়ে এটি সম্ভাবনার কেন্দ্রেও রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি, সেগুলো যেমন বিশাল, তেমনি আমাদের সম্মিলিত শক্তিও অদম্য। এই বাস্তবতায়, আমি বিশ্বাস করি এশিয়ার সুযোগ আছে, সম্ভবত একটি দায়িত্বও আছে ভিন্ন পথ দেখানোর। শান্তি, সংলাপ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধির একটি পথ। শুধু সংখ্যার বৃদ্ধি নয়, মানুষের কল্যাণে, আস্থায়, আশায় বৃদ্ধি।’
তিনি বলেন, ‘আমি প্রায়শই বলি: টাকা বানানো সুখ। কিন্তু মানুষকে খুশি করা হলো সুপার সুখ। আমাদের মনোযোগ পরিবর্তন করতে হবে ব্যক্তিগত মুনাফা থেকে সম্মিলিত কল্যাণে। স্বল্পমেয়াদি লাভ থেকে দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গিতে। আমার নিজের যাত্রায়—গ্রামের দরিদ্র নারীদের ছোট ছোট ঋণ দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক শুরু করা থেকে শুরু করে সারা বিশ্বে সামাজিক ব্যবসার ধারণা ছড়িয়ে দেওয়া পর্যন্ত—আমি একটি বিষয় খুব পরিষ্কারভাবে শিখেছি: মানুষ দুঃখ ভোগ করার জন্য জন্ম নেয়নি। মানুষ সীমাহীন সম্ভাবনা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। আমাদের শুধু তাদের সঠিক সুযোগ দিতে হবে।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আমি বিশ্বাস করি, এশিয়ার দেশগুলো অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং সমৃদ্ধির নতুন সুযোগ উন্মোচনে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে পারে। একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎ এবং অভিন্ন সমৃদ্ধির দিকে আমাদের একটি স্পষ্ট পথ তৈরি করতে হবে।’ এ সময় তিনি ছয়টি পরামর্শ দেন।
নোবেল বিজয়ী এই নেতা বলেন, ‘এই ফোরাম আশার প্ল্যাটফর্ম। নিক্কেই এমন একটি স্থান তৈরি করেছে, যেখানে সংলাপ সমাধানের দিকে নিয়ে যায় এবং যেখানে আস্থা কেবল একটি শব্দ নয়, বরং একটি লক্ষ্য, যা আমরা একসঙ্গে কাজ করি। এশিয়ার ভবিষ্যৎ কেবল অর্থনীতি বা ভূরাজনীতি নিয়ে নয়—এটি মানুষ নিয়ে, এটি ধারণা নিয়ে এবং এটি সাহস নিয়ে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের চারপাশে ঝঞ্ঝা দেখে আমরা ভীত হব না, বরং এটিকে একটি আহ্বান হিসেবে দেখব—পুনর্বিবেচনা করতে, পুনর্গঠন করতে এবং একসঙ্গে উঠে দাঁড়াতে। আসুন আমরা ভয় দ্বারা নয়, সম্ভাবনা দ্বারা পরিচালিত হই—ক্ষমতা দ্বারা নয়, উদ্দেশ্য দ্বারা। আসুন আমরা একটি উন্নত বিশ্বের কল্পনা করার সাহস রাখি। আসুন আমরা একে অপরকে বিশ্বাস করি। আসুন আমরা সহযোগিতা করি। কারণ আমাদের করতে হবে বলে নয়, বরং আমরা চাই বলে। এশিয়ার ভবিষ্যৎ এখনো লেখা হয়নি। আমরা একসঙ্গে এটি লিখব। বাংলাদেশ ও জাপান এশিয়ার এমনকি বিশ্বের নিয়তি পুনর্লিখনে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।’
আরও খবর পড়ুন:
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এশিয়ার নিয়তি পুনর্লিখনে একসঙ্গে কাজ করতে পারে বাংলাদেশ ও জাপান। আজ বৃহস্পতিবার জাপানে ‘নিক্কেই ফোরাম: ৩০তম ফিউচার অব এশিয়া’—শীর্ষক ফোরামে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ড. ইউনূস তাঁর ভাষণে বলেন, ‘আজ এখানে দাঁড়িয়ে আমার কিছু বিশেষ স্মৃতি মনে পড়ছে। ২০ বছর আগে, ২০০৪ সালে, নিক্কেই আমাকে এশিয়া পুরস্কারে ভূষিত করেছিল। সেটি ছিল আমার জীবনে অত্যন্ত অর্থবহ একটি মুহূর্ত। তখন থেকেই জাপানের সঙ্গে আমার একটি ব্যক্তিগত যোগসূত্র তৈরি হয়েছে। গত কয়েক বছরে আমি বহুবার জাপানে এসেছি। জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করেছি, তরুণদের সঙ্গে দেখা করেছি এবং ধারণা বিনিময় করেছি। জাপানের মানুষ আমার সামাজিক ব্যবসা ও ক্ষুদ্রঋণের ধারণাকে যেভাবে উষ্ণভাবে গ্রহণ করেছে, তাতে আমি গভীরভাবে মুগ্ধ।’
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা যখন “অশান্ত বিশ্বে এশিয়ার চ্যালেঞ্জ” প্রতিপাদ্য নিয়ে আলোচনা করতে সমবেত হয়েছি, তখন আমাকে বলতেই হচ্ছে যে, বিশ্ব ক্রমবর্ধমান হারে অশান্ত হয়ে উঠছে। আমরা এক দারুণ অনিশ্চয়তার সময় পার করছি। আমরা এমন একটি বিশ্বের সাক্ষী, যেখানে শান্তি ভঙ্গুর, উত্তেজনা বাড়ছে এবং সহযোগিতা সব সময় নিশ্চিত নয়। এশিয়া ও এর বাইরে বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে, শান্তি অধরা হয়ে উঠছে।’
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন, গাজা এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে যুদ্ধ ও মানবসৃষ্ট সংঘাত হাজার হাজার মানুষের জীবন ও জীবিকা ধ্বংস করছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এবং সাম্প্রতিক ভূমিকম্প একটি গভীর মানবিক সংকটকে আরও অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। খুব সম্প্রতি, আমাদের দুই প্রতিবেশী একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু ব্যয়বহুল যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। দুঃখজনকভাবে, আমরা যুদ্ধ করার পেছনে বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ ব্যয় করছি, যা আমাদের লাখ লাখ মানুষকে অনাহারি বা মৌলিক প্রয়োজনে সংগ্রাম করতে বাধ্য করছে। যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ায় আমি উভয় দেশের নেতাদের ধন্যবাদ জানাই এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ধারাবাহিকতা কামনা করি।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ছাড়া, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অনেক কিছুর প্রতিশ্রুতি দিলেও নতুন নৈতিক সংকট তৈরি করছে। বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার বৃদ্ধি মুক্ত বাণিজ্যব্যবস্থার মূল ভিত্তিকেই চ্যালেঞ্জ করে চলেছে। অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছে, প্রায়শই সমাজের অভ্যন্তরে এবং দেশগুলোর মধ্যেও। বৈশ্বিক আস্থা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। জাতিগুলোর মধ্যে, সমাজের অভ্যন্তরে, এমনকি নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেও আস্থা কমছে। সম্প্রতি, আমরা বাংলাদেশে, দক্ষিণ কোরিয়ায় এমন বিভেদ, অসন্তোষ ও অস্থিতিশীলতা দেখেছি, যা শাসনব্যবস্থার পরিবর্তনে পথ খুলে দিয়েছে।’
ভাষণে তিনি বাংলাদেশের জুলাই অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘বাংলাদেশে গত বছর একটি ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা একটি রূপান্তরমূলক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গিয়েছি এবং ফলস্বরূপ আমার সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। আমরা আমাদের জনগণের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা পূরণে, ন্যায়বিচার, সমতা, স্বাধীনতা ও মানুষের মর্যাদা নিশ্চিত করতে এবং গণতন্ত্রে মসৃণ উত্তরণের লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য সাধারণ নির্বাচনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি। আমরা বিশ্বাস করি, এটি ভুল সংশোধনের, নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ার এবং একটি ন্যায্য সমাজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের একটি সুযোগ। একাধিক অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা ও শান্তিবর্ধন মিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তায় অবদান রাখছে এবং মিয়ানমারে নিজ ভূখণ্ডে নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে সম্পূর্ণ মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে।’
এ সময় তিনি এশিয়াকে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষের আবাস্থল হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বিশ্বজুড়ে যে অনিশ্চয়তা, তার ‘কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এশিয়া। একই সময়ে এটি সম্ভাবনার কেন্দ্রেও রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি, সেগুলো যেমন বিশাল, তেমনি আমাদের সম্মিলিত শক্তিও অদম্য। এই বাস্তবতায়, আমি বিশ্বাস করি এশিয়ার সুযোগ আছে, সম্ভবত একটি দায়িত্বও আছে ভিন্ন পথ দেখানোর। শান্তি, সংলাপ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধির একটি পথ। শুধু সংখ্যার বৃদ্ধি নয়, মানুষের কল্যাণে, আস্থায়, আশায় বৃদ্ধি।’
তিনি বলেন, ‘আমি প্রায়শই বলি: টাকা বানানো সুখ। কিন্তু মানুষকে খুশি করা হলো সুপার সুখ। আমাদের মনোযোগ পরিবর্তন করতে হবে ব্যক্তিগত মুনাফা থেকে সম্মিলিত কল্যাণে। স্বল্পমেয়াদি লাভ থেকে দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গিতে। আমার নিজের যাত্রায়—গ্রামের দরিদ্র নারীদের ছোট ছোট ঋণ দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক শুরু করা থেকে শুরু করে সারা বিশ্বে সামাজিক ব্যবসার ধারণা ছড়িয়ে দেওয়া পর্যন্ত—আমি একটি বিষয় খুব পরিষ্কারভাবে শিখেছি: মানুষ দুঃখ ভোগ করার জন্য জন্ম নেয়নি। মানুষ সীমাহীন সম্ভাবনা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। আমাদের শুধু তাদের সঠিক সুযোগ দিতে হবে।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আমি বিশ্বাস করি, এশিয়ার দেশগুলো অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং সমৃদ্ধির নতুন সুযোগ উন্মোচনে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে পারে। একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎ এবং অভিন্ন সমৃদ্ধির দিকে আমাদের একটি স্পষ্ট পথ তৈরি করতে হবে।’ এ সময় তিনি ছয়টি পরামর্শ দেন।
নোবেল বিজয়ী এই নেতা বলেন, ‘এই ফোরাম আশার প্ল্যাটফর্ম। নিক্কেই এমন একটি স্থান তৈরি করেছে, যেখানে সংলাপ সমাধানের দিকে নিয়ে যায় এবং যেখানে আস্থা কেবল একটি শব্দ নয়, বরং একটি লক্ষ্য, যা আমরা একসঙ্গে কাজ করি। এশিয়ার ভবিষ্যৎ কেবল অর্থনীতি বা ভূরাজনীতি নিয়ে নয়—এটি মানুষ নিয়ে, এটি ধারণা নিয়ে এবং এটি সাহস নিয়ে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের চারপাশে ঝঞ্ঝা দেখে আমরা ভীত হব না, বরং এটিকে একটি আহ্বান হিসেবে দেখব—পুনর্বিবেচনা করতে, পুনর্গঠন করতে এবং একসঙ্গে উঠে দাঁড়াতে। আসুন আমরা ভয় দ্বারা নয়, সম্ভাবনা দ্বারা পরিচালিত হই—ক্ষমতা দ্বারা নয়, উদ্দেশ্য দ্বারা। আসুন আমরা একটি উন্নত বিশ্বের কল্পনা করার সাহস রাখি। আসুন আমরা একে অপরকে বিশ্বাস করি। আসুন আমরা সহযোগিতা করি। কারণ আমাদের করতে হবে বলে নয়, বরং আমরা চাই বলে। এশিয়ার ভবিষ্যৎ এখনো লেখা হয়নি। আমরা একসঙ্গে এটি লিখব। বাংলাদেশ ও জাপান এশিয়ার এমনকি বিশ্বের নিয়তি পুনর্লিখনে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।’
আরও খবর পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এশিয়ার নিয়তি পুনর্লিখনে একসঙ্গে কাজ করতে পারে বাংলাদেশ ও জাপান। আজ বৃহস্পতিবার জাপানে ‘নিক্কেই ফোরাম: ৩০তম ফিউচার অব এশিয়া’—শীর্ষক ফোরামে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ড. ইউনূস তাঁর ভাষণে বলেন, ‘আজ এখানে দাঁড়িয়ে আমার কিছু বিশেষ স্মৃতি মনে পড়ছে। ২০ বছর আগে, ২০০৪ সালে, নিক্কেই আমাকে এশিয়া পুরস্কারে ভূষিত করেছিল। সেটি ছিল আমার জীবনে অত্যন্ত অর্থবহ একটি মুহূর্ত। তখন থেকেই জাপানের সঙ্গে আমার একটি ব্যক্তিগত যোগসূত্র তৈরি হয়েছে। গত কয়েক বছরে আমি বহুবার জাপানে এসেছি। জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করেছি, তরুণদের সঙ্গে দেখা করেছি এবং ধারণা বিনিময় করেছি। জাপানের মানুষ আমার সামাজিক ব্যবসা ও ক্ষুদ্রঋণের ধারণাকে যেভাবে উষ্ণভাবে গ্রহণ করেছে, তাতে আমি গভীরভাবে মুগ্ধ।’
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা যখন “অশান্ত বিশ্বে এশিয়ার চ্যালেঞ্জ” প্রতিপাদ্য নিয়ে আলোচনা করতে সমবেত হয়েছি, তখন আমাকে বলতেই হচ্ছে যে, বিশ্ব ক্রমবর্ধমান হারে অশান্ত হয়ে উঠছে। আমরা এক দারুণ অনিশ্চয়তার সময় পার করছি। আমরা এমন একটি বিশ্বের সাক্ষী, যেখানে শান্তি ভঙ্গুর, উত্তেজনা বাড়ছে এবং সহযোগিতা সব সময় নিশ্চিত নয়। এশিয়া ও এর বাইরে বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে, শান্তি অধরা হয়ে উঠছে।’
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন, গাজা এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে যুদ্ধ ও মানবসৃষ্ট সংঘাত হাজার হাজার মানুষের জীবন ও জীবিকা ধ্বংস করছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এবং সাম্প্রতিক ভূমিকম্প একটি গভীর মানবিক সংকটকে আরও অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। খুব সম্প্রতি, আমাদের দুই প্রতিবেশী একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু ব্যয়বহুল যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। দুঃখজনকভাবে, আমরা যুদ্ধ করার পেছনে বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ ব্যয় করছি, যা আমাদের লাখ লাখ মানুষকে অনাহারি বা মৌলিক প্রয়োজনে সংগ্রাম করতে বাধ্য করছে। যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ায় আমি উভয় দেশের নেতাদের ধন্যবাদ জানাই এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ধারাবাহিকতা কামনা করি।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ছাড়া, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অনেক কিছুর প্রতিশ্রুতি দিলেও নতুন নৈতিক সংকট তৈরি করছে। বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার বৃদ্ধি মুক্ত বাণিজ্যব্যবস্থার মূল ভিত্তিকেই চ্যালেঞ্জ করে চলেছে। অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছে, প্রায়শই সমাজের অভ্যন্তরে এবং দেশগুলোর মধ্যেও। বৈশ্বিক আস্থা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। জাতিগুলোর মধ্যে, সমাজের অভ্যন্তরে, এমনকি নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেও আস্থা কমছে। সম্প্রতি, আমরা বাংলাদেশে, দক্ষিণ কোরিয়ায় এমন বিভেদ, অসন্তোষ ও অস্থিতিশীলতা দেখেছি, যা শাসনব্যবস্থার পরিবর্তনে পথ খুলে দিয়েছে।’
ভাষণে তিনি বাংলাদেশের জুলাই অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘বাংলাদেশে গত বছর একটি ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা একটি রূপান্তরমূলক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গিয়েছি এবং ফলস্বরূপ আমার সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। আমরা আমাদের জনগণের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা পূরণে, ন্যায়বিচার, সমতা, স্বাধীনতা ও মানুষের মর্যাদা নিশ্চিত করতে এবং গণতন্ত্রে মসৃণ উত্তরণের লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য সাধারণ নির্বাচনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি। আমরা বিশ্বাস করি, এটি ভুল সংশোধনের, নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ার এবং একটি ন্যায্য সমাজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের একটি সুযোগ। একাধিক অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা ও শান্তিবর্ধন মিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তায় অবদান রাখছে এবং মিয়ানমারে নিজ ভূখণ্ডে নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে সম্পূর্ণ মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে।’
এ সময় তিনি এশিয়াকে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষের আবাস্থল হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বিশ্বজুড়ে যে অনিশ্চয়তা, তার ‘কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এশিয়া। একই সময়ে এটি সম্ভাবনার কেন্দ্রেও রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি, সেগুলো যেমন বিশাল, তেমনি আমাদের সম্মিলিত শক্তিও অদম্য। এই বাস্তবতায়, আমি বিশ্বাস করি এশিয়ার সুযোগ আছে, সম্ভবত একটি দায়িত্বও আছে ভিন্ন পথ দেখানোর। শান্তি, সংলাপ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধির একটি পথ। শুধু সংখ্যার বৃদ্ধি নয়, মানুষের কল্যাণে, আস্থায়, আশায় বৃদ্ধি।’
তিনি বলেন, ‘আমি প্রায়শই বলি: টাকা বানানো সুখ। কিন্তু মানুষকে খুশি করা হলো সুপার সুখ। আমাদের মনোযোগ পরিবর্তন করতে হবে ব্যক্তিগত মুনাফা থেকে সম্মিলিত কল্যাণে। স্বল্পমেয়াদি লাভ থেকে দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গিতে। আমার নিজের যাত্রায়—গ্রামের দরিদ্র নারীদের ছোট ছোট ঋণ দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক শুরু করা থেকে শুরু করে সারা বিশ্বে সামাজিক ব্যবসার ধারণা ছড়িয়ে দেওয়া পর্যন্ত—আমি একটি বিষয় খুব পরিষ্কারভাবে শিখেছি: মানুষ দুঃখ ভোগ করার জন্য জন্ম নেয়নি। মানুষ সীমাহীন সম্ভাবনা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। আমাদের শুধু তাদের সঠিক সুযোগ দিতে হবে।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আমি বিশ্বাস করি, এশিয়ার দেশগুলো অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং সমৃদ্ধির নতুন সুযোগ উন্মোচনে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে পারে। একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎ এবং অভিন্ন সমৃদ্ধির দিকে আমাদের একটি স্পষ্ট পথ তৈরি করতে হবে।’ এ সময় তিনি ছয়টি পরামর্শ দেন।
নোবেল বিজয়ী এই নেতা বলেন, ‘এই ফোরাম আশার প্ল্যাটফর্ম। নিক্কেই এমন একটি স্থান তৈরি করেছে, যেখানে সংলাপ সমাধানের দিকে নিয়ে যায় এবং যেখানে আস্থা কেবল একটি শব্দ নয়, বরং একটি লক্ষ্য, যা আমরা একসঙ্গে কাজ করি। এশিয়ার ভবিষ্যৎ কেবল অর্থনীতি বা ভূরাজনীতি নিয়ে নয়—এটি মানুষ নিয়ে, এটি ধারণা নিয়ে এবং এটি সাহস নিয়ে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের চারপাশে ঝঞ্ঝা দেখে আমরা ভীত হব না, বরং এটিকে একটি আহ্বান হিসেবে দেখব—পুনর্বিবেচনা করতে, পুনর্গঠন করতে এবং একসঙ্গে উঠে দাঁড়াতে। আসুন আমরা ভয় দ্বারা নয়, সম্ভাবনা দ্বারা পরিচালিত হই—ক্ষমতা দ্বারা নয়, উদ্দেশ্য দ্বারা। আসুন আমরা একটি উন্নত বিশ্বের কল্পনা করার সাহস রাখি। আসুন আমরা একে অপরকে বিশ্বাস করি। আসুন আমরা সহযোগিতা করি। কারণ আমাদের করতে হবে বলে নয়, বরং আমরা চাই বলে। এশিয়ার ভবিষ্যৎ এখনো লেখা হয়নি। আমরা একসঙ্গে এটি লিখব। বাংলাদেশ ও জাপান এশিয়ার এমনকি বিশ্বের নিয়তি পুনর্লিখনে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।’
আরও খবর পড়ুন:

সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
৭ ঘণ্টা আগে
২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের
৯ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
১৩ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১ দিন আগেখানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মরহুমের এক নিকটাত্মীয় আজকের পত্রিকাকে জানান, মাহমুদ আলী দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। ১৩ দিন ধরে তিনি বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল রাতে ধানমন্ডির নিজ বাসার সামনে জানাজা শেষে মরহুমকে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী ১৯৪৩ সালের ২ জুন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ডাক্তারপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দিনাজপুর-৪ (খানসামা-চিরিরবন্দর) আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক ও ১৯৬৩ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে যোগ দেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি ওই বছরের মে মাসে মুজিবনগরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত হন।
১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল, জার্মানিতে ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল ও ভুটানে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মরহুমের এক নিকটাত্মীয় আজকের পত্রিকাকে জানান, মাহমুদ আলী দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। ১৩ দিন ধরে তিনি বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল রাতে ধানমন্ডির নিজ বাসার সামনে জানাজা শেষে মরহুমকে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী ১৯৪৩ সালের ২ জুন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ডাক্তারপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দিনাজপুর-৪ (খানসামা-চিরিরবন্দর) আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক ও ১৯৬৩ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে যোগ দেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি ওই বছরের মে মাসে মুজিবনগরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত হন।
১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল, জার্মানিতে ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল ও ভুটানে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এশিয়ার নিয়তি পুনর্লিখনে একসঙ্গে কাজ করতে পারে বাংলাদেশ ও জাপান। আজ বৃহস্পতিবার জাপানে ‘নিক্কেই ফোরাম: ৩০ তম ফিউচার অব এশিয়া’—শীর্ষক ফোরামে দেওয়া ভাষণে তিনি এই কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২৯ মে ২০২৫
২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের
৯ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
১৩ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১ দিন আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া।
আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের জন্য দক্ষ মানবসম্পদসমৃদ্ধ একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় উৎস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জাপান আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণার্থী ও দক্ষ কর্মী সহযোগিতা সংস্থা জিটকোর সহযোগিতায় আয়োজিত এ সেমিনার ও পরবর্তী ম্যাচিং ইভেন্টে দুই দেশের প্রায় ২৫০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক ও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
স্বাগত বক্তব্যে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী বলেন, জাপানে দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে দূতাবাস সব ধরনের সহায়তা দেবে।
সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া জানান, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ বিদেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে, অন্যদিকে বাংলাদেশে অতিরিক্ত ২ কোটি ৫০ লাখ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী রয়েছে—এ প্রবণতা ২০৪০ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
নেয়ামত উল্যা বলেন, বাংলাদেশ সরকার জাপানের শ্রমবাজারে দক্ষ কর্মী সরবরাহে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে এবং এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ড. নেয়ামত আরও জানান, জাপানের শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী কর্মী প্রস্তুতের জন্য বাংলাদেশে ৩৩টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) নির্ধারণ করা হয়েছে, প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এ ছাড়া প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে একটি ‘জাপান সেল’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা জাপানি শ্রমবাজারের সঙ্গে সমন্বয় ও যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।
সেমিনারে জিটকোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শিগেও মাতসুতোমি আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের বর্তমান অবস্থা ও জাপানের সম্ভাবনা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
পরে বাংলাদেশি জনশক্তি প্রেরণকারী ও জাপানি নিয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সেমিনারে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া।
আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের জন্য দক্ষ মানবসম্পদসমৃদ্ধ একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় উৎস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জাপান আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণার্থী ও দক্ষ কর্মী সহযোগিতা সংস্থা জিটকোর সহযোগিতায় আয়োজিত এ সেমিনার ও পরবর্তী ম্যাচিং ইভেন্টে দুই দেশের প্রায় ২৫০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক ও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
স্বাগত বক্তব্যে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী বলেন, জাপানে দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে দূতাবাস সব ধরনের সহায়তা দেবে।
সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া জানান, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ বিদেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে, অন্যদিকে বাংলাদেশে অতিরিক্ত ২ কোটি ৫০ লাখ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী রয়েছে—এ প্রবণতা ২০৪০ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
নেয়ামত উল্যা বলেন, বাংলাদেশ সরকার জাপানের শ্রমবাজারে দক্ষ কর্মী সরবরাহে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে এবং এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ড. নেয়ামত আরও জানান, জাপানের শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী কর্মী প্রস্তুতের জন্য বাংলাদেশে ৩৩টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) নির্ধারণ করা হয়েছে, প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এ ছাড়া প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে একটি ‘জাপান সেল’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা জাপানি শ্রমবাজারের সঙ্গে সমন্বয় ও যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।
সেমিনারে জিটকোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শিগেও মাতসুতোমি আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের বর্তমান অবস্থা ও জাপানের সম্ভাবনা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
পরে বাংলাদেশি জনশক্তি প্রেরণকারী ও জাপানি নিয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সেমিনারে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এশিয়ার নিয়তি পুনর্লিখনে একসঙ্গে কাজ করতে পারে বাংলাদেশ ও জাপান। আজ বৃহস্পতিবার জাপানে ‘নিক্কেই ফোরাম: ৩০ তম ফিউচার অব এশিয়া’—শীর্ষক ফোরামে দেওয়া ভাষণে তিনি এই কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২৯ মে ২০২৫
সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
৭ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
১৩ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা রোধে বেতন বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবি পে কমিশনের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে।
বাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর রাতে নাইট শিফটে (রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৩০ মিনিট) দায়িত্ব পালনকালে অভিযুক্ত অঙ্গীভূত আনসার সদস্য জেনারুল ইসলাম লোভের বশবর্তী হয়ে একটি অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। তিনি ব্যক্তিগত প্রয়োজনের কথা বলে পোড়া ভবনের ভেতরে ভস্মীভূত দ্রব্যাদি থেকে কিছু বাটন ফোন লুকিয়ে বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁকে ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং বাহিনীর জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখতে, সংশ্লিষ্ট আনসার সদস্যকে সঙ্গে সঙ্গে চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এত দ্রুততম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাহিনীর সদস্যদের দীর্ঘদিনের অনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রগুলো হ্রাস করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলো।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাহিনী মনে করে, রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে স্বল্প বেতনের মাধ্যমে দিবারাত্রি ডিউটি শেষে জীবিকার মৌলিক প্রয়োজনগুলো মেটানো অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের মনস্তাত্ত্বিক প্রেষণার অন্যতম নিয়ামক। এ কারণেই বাহিনীর পক্ষ থেকে সদস্যদের নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে মনস্তাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে বাহিনীর প্রধান পে কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের যৌক্তিক বেতন বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। বাহিনীর প্রত্যাশা, বেতন বৃদ্ধি হলে সংবেদনশীল ও ঝুঁকিপূর্ণ ডিউটির ক্ষেত্রে সদস্যরা আরও বেশি নিবেদিত ও নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে অনুপ্রাণিত হবেন।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কেপিআই এলাকায় দক্ষতা, সততা ও পেশাদারির সঙ্গে দীর্ঘকাল ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, দ্রুততর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি সদস্যদের জন্য সার্বিক কল্যাণধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে সদস্যদের সম্পৃক্ততা ধীরে ধীরে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুনেও অক্ষত স্ট্রংরুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই কমপ্লেক্সের স্ট্রংরুম গত রোববার দুপুরে নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ভল্ট থেকে অস্ত্রগুলো খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।

রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা রোধে বেতন বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবি পে কমিশনের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে।
বাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর রাতে নাইট শিফটে (রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৩০ মিনিট) দায়িত্ব পালনকালে অভিযুক্ত অঙ্গীভূত আনসার সদস্য জেনারুল ইসলাম লোভের বশবর্তী হয়ে একটি অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। তিনি ব্যক্তিগত প্রয়োজনের কথা বলে পোড়া ভবনের ভেতরে ভস্মীভূত দ্রব্যাদি থেকে কিছু বাটন ফোন লুকিয়ে বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁকে ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং বাহিনীর জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখতে, সংশ্লিষ্ট আনসার সদস্যকে সঙ্গে সঙ্গে চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এত দ্রুততম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাহিনীর সদস্যদের দীর্ঘদিনের অনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রগুলো হ্রাস করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলো।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাহিনী মনে করে, রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে স্বল্প বেতনের মাধ্যমে দিবারাত্রি ডিউটি শেষে জীবিকার মৌলিক প্রয়োজনগুলো মেটানো অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের মনস্তাত্ত্বিক প্রেষণার অন্যতম নিয়ামক। এ কারণেই বাহিনীর পক্ষ থেকে সদস্যদের নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে মনস্তাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে বাহিনীর প্রধান পে কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের যৌক্তিক বেতন বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। বাহিনীর প্রত্যাশা, বেতন বৃদ্ধি হলে সংবেদনশীল ও ঝুঁকিপূর্ণ ডিউটির ক্ষেত্রে সদস্যরা আরও বেশি নিবেদিত ও নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে অনুপ্রাণিত হবেন।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কেপিআই এলাকায় দক্ষতা, সততা ও পেশাদারির সঙ্গে দীর্ঘকাল ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, দ্রুততর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি সদস্যদের জন্য সার্বিক কল্যাণধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে সদস্যদের সম্পৃক্ততা ধীরে ধীরে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুনেও অক্ষত স্ট্রংরুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই কমপ্লেক্সের স্ট্রংরুম গত রোববার দুপুরে নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ভল্ট থেকে অস্ত্রগুলো খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এশিয়ার নিয়তি পুনর্লিখনে একসঙ্গে কাজ করতে পারে বাংলাদেশ ও জাপান। আজ বৃহস্পতিবার জাপানে ‘নিক্কেই ফোরাম: ৩০ তম ফিউচার অব এশিয়া’—শীর্ষক ফোরামে দেওয়া ভাষণে তিনি এই কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২৯ মে ২০২৫
সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
৭ ঘণ্টা আগে
২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের
৯ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১ দিন আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
রাইডশেয়ারিং সেবার নীতিমালা-২০১৭ সংশোধন করে বিআরটিএ ২ নভেম্বর প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আগে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন-২০১০ অনুযায়ী রাইড শেয়ারিংয়ের ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও তা নতুনভাবে নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত আগস্টে গঠিত বিআরটিএর কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিআরটিএর প্রস্তাবিত ভাড়ার কাঠামো অনুযায়ী মাইক্রোবাস, মোটরকার/জিপ, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ২ কিলোমিটারের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের ২ কিলোমিটারের সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ১১০ টাকা, মোটরকার ও জিপের ১১০ টাকা, অটোরিকশার ৭০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের ৬৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি যানের প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়ার সঙ্গে ২০ টাকা বুকিং ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৮ টাকা। ভ্রমণ চলাকালে প্রতি মিনিটের ভাড়া ২ টাকা। মোটরকার ও জিপে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। অটোরিকশার প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারে ১৮ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। মোটরসাইকেলের প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ১ টাকা। মোটরসাইকেলের আগে প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়া ছিল ৮৫ টাকা।
রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিশনের হারও কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিআরটিএ। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা ভাড়ার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন নিতে পারবে। আগে এই হার ছিল ৩০ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাইড শেয়ারিংয়ের নানা বিষয়ে একটি আবেদন করেছিলেন রাইডরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পরে এটা নিয়ে আমাদের একটি কমিটি হয়েছিল। ওই কমিটি রাইডশেয়ারিংয়ের নানা বিষয় পর্যালোচনা করেছে।’
বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাইডশেয়ারিং সেবার প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী যাত্রী বা চালক কেউ ট্রিপ বাতিল করলে নির্দিষ্ট সময়ের পর বাতিল চার্জ প্রযোজ্য হবে। যাত্রী অনুরোধ পাঠানোর পর চালক গ্রহণ করে যাত্রীর অভিমুখে রওনা হওয়ার পর ৩ মিনিটের মধ্যে ট্রিপ বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। তবে ওই সময়ের পর বাতিল করলে সম্ভাব্য ভাড়ার ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (যেটি কম) ক্যানসেলেশন চার্জ হিসেবে নেওয়া হবে, যা চালক ও রাইডশেয়ারিং কোম্পানি সমানভাবে ভাগ করবে।
চালকও অনুরোধ গ্রহণের পর ৩ মিনিটের মধ্যে বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। কিন্তু এর পর বাতিল করলে তাঁর কাছ থেকেও একই হারে চার্জ কাটা হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাইড শেয়ারিংয়ে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ও কমিশন কমানো যাত্রীদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। তবে বাস্তবায়ন ও তদারকি নিশ্চিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ। এসব নিয়ম শুধু কাগজে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে।

রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
রাইডশেয়ারিং সেবার নীতিমালা-২০১৭ সংশোধন করে বিআরটিএ ২ নভেম্বর প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আগে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন-২০১০ অনুযায়ী রাইড শেয়ারিংয়ের ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও তা নতুনভাবে নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত আগস্টে গঠিত বিআরটিএর কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিআরটিএর প্রস্তাবিত ভাড়ার কাঠামো অনুযায়ী মাইক্রোবাস, মোটরকার/জিপ, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ২ কিলোমিটারের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের ২ কিলোমিটারের সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ১১০ টাকা, মোটরকার ও জিপের ১১০ টাকা, অটোরিকশার ৭০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের ৬৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি যানের প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়ার সঙ্গে ২০ টাকা বুকিং ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৮ টাকা। ভ্রমণ চলাকালে প্রতি মিনিটের ভাড়া ২ টাকা। মোটরকার ও জিপে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। অটোরিকশার প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারে ১৮ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। মোটরসাইকেলের প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ১ টাকা। মোটরসাইকেলের আগে প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়া ছিল ৮৫ টাকা।
রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিশনের হারও কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিআরটিএ। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা ভাড়ার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন নিতে পারবে। আগে এই হার ছিল ৩০ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাইড শেয়ারিংয়ের নানা বিষয়ে একটি আবেদন করেছিলেন রাইডরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পরে এটা নিয়ে আমাদের একটি কমিটি হয়েছিল। ওই কমিটি রাইডশেয়ারিংয়ের নানা বিষয় পর্যালোচনা করেছে।’
বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাইডশেয়ারিং সেবার প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী যাত্রী বা চালক কেউ ট্রিপ বাতিল করলে নির্দিষ্ট সময়ের পর বাতিল চার্জ প্রযোজ্য হবে। যাত্রী অনুরোধ পাঠানোর পর চালক গ্রহণ করে যাত্রীর অভিমুখে রওনা হওয়ার পর ৩ মিনিটের মধ্যে ট্রিপ বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। তবে ওই সময়ের পর বাতিল করলে সম্ভাব্য ভাড়ার ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (যেটি কম) ক্যানসেলেশন চার্জ হিসেবে নেওয়া হবে, যা চালক ও রাইডশেয়ারিং কোম্পানি সমানভাবে ভাগ করবে।
চালকও অনুরোধ গ্রহণের পর ৩ মিনিটের মধ্যে বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। কিন্তু এর পর বাতিল করলে তাঁর কাছ থেকেও একই হারে চার্জ কাটা হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাইড শেয়ারিংয়ে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ও কমিশন কমানো যাত্রীদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। তবে বাস্তবায়ন ও তদারকি নিশ্চিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ। এসব নিয়ম শুধু কাগজে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এশিয়ার নিয়তি পুনর্লিখনে একসঙ্গে কাজ করতে পারে বাংলাদেশ ও জাপান। আজ বৃহস্পতিবার জাপানে ‘নিক্কেই ফোরাম: ৩০ তম ফিউচার অব এশিয়া’—শীর্ষক ফোরামে দেওয়া ভাষণে তিনি এই কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২৯ মে ২০২৫
সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
৭ ঘণ্টা আগে
২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের
৯ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
১৩ ঘণ্টা আগে