নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘আইন অঙ্গন যে বাংলাদেশের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে, হাইকোর্ট যে দেশের সবকিছুতে ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করতে পারেন, হাইকোর্টের যে ব্যাপক ক্ষমতা, সেটি ল রিপোর্টার্স ফোরামের মাধ্যমে সারা দেশ জানতে পারছে। ল রিপোর্টার্স ফোরামের নিউজগুলো যখন ব্যাপক প্রচার হচ্ছে, সে সময়ে বিচারকেরাও অনুপ্রাণিত হন। বিচারকেরাও চান, তাঁরাও খবরের শিরোনাম হয়ে অবদান রাখতে।’
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) আইন, বিচার, সংবিধান ও মানবাধিকারবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল রিপোর্টার্স ফোরামের নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
২০২৫-২৬ সালের কমিটিতে ল রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি হিসেবে হাসান জাবেদ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনিরুজ্জামান মিশন নির্বাচিত হয়েছেন।
গত ২৭ জুন নতুন কমিটিতে সহসভাপতি পদে আহাম্মেদ সরোয়ার হোসেন ভূঁঞা, যুগ্ম সম্পাদক আরাফাত মুন্না, অর্থ সম্পাদক মনজুর হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এস এম নূর মোহাম্মদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জাবেদ আখতার, প্রশিক্ষণ ও কল্যাণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদাউস তানভী নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে ওয়াকিল আহমেদ হিরন, বিকাশ নারায়ণ দত্ত, হাবিবুর রহমা ও ফজলুল হক মৃধা নির্বাচিত হন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ল রিপোর্টার্স ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ও আইনাঙ্গনকে এমনভাবে তুলে ধরছে, যাতে এই অঙ্গনে কেউ দুর্নীতি করতে চাইলেও চিন্তা করে। আবার ভালো কাজ করতে অনুপ্রাণিত হয়। এর পেছনে ল রিপোর্টার্স ফোরামের অনেক ভূমিকা রয়েছে। আমি ল রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্য না হতে পারলেও কোর্ট করেসপনডেন্ট ছিলাম ঢাকা কোর্টে।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘আপনারা (ল রিপোর্টার্স ফোরাম) কিন্তু সাধারণ সাংবাদিক না। সাধারণ সাংবাদিকেরা ল রিপোর্টিং করতে পারে না। আপনারা আইনজীবীদের সঙ্গে থাকতে থাকতে প্রায় আইনজীবী হয়ে গেছেন। এই অঙ্গনের বিষয়বস্তু, নিয়মকানুন বুঝতে হয়। ফলে অন্য অঙ্গনের রিপোর্টারদের চেয়ে আপনাদের অবস্থানটা ভিন্ন। যার প্রতিফলন আপনাদের রিপোর্টিংয়ে উঠে এসেছে। আশা করি, ভবিষ্যতেও আপনারা এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখবেন।’
বারের সভাপতি আরও বলেন, ‘এখন দেশে সংকট চলছে। অন্তর্বর্তী সরকার আছে, নিয়মিত সরকার নেই। সবকিছু মিলিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র আসবে দেশের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে। আশা করছি, দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার জন্য দেশবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে বিশেষ করে সাংবাদিক ও আইনজীবীরা মিলে প্রতিহত করব।’

বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘আমরা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে আমরা (ল রিপোর্টার্স ফোরাম ও আইনজীবীরা) কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতেও একসঙ্গে কাজ করব। তবে বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, আমরা পেশাজীবী হিসেবে অন্য পেশার প্রতি সম্মান রাখব।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শাহজাহান সাজু, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ব্যারিস্টার শেখ আলী আহমেদ খোকন, মোহাম্মদ শিশির মনির, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটির সদস্যসচিব গাজী তৌহিদুর রহমান, সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্যসচিব জামিউল হক ফয়সাল, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, নজরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।
নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে সাবেক সভাপতি সালেহ উদ্দিন আহমেদ, আশুতোষ সরকার, সাঈদ আহমেদ খান, মাশহুদুল এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসচিব কাজী আব্দুল হান্নানসহ ল রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘আইন অঙ্গন যে বাংলাদেশের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে, হাইকোর্ট যে দেশের সবকিছুতে ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করতে পারেন, হাইকোর্টের যে ব্যাপক ক্ষমতা, সেটি ল রিপোর্টার্স ফোরামের মাধ্যমে সারা দেশ জানতে পারছে। ল রিপোর্টার্স ফোরামের নিউজগুলো যখন ব্যাপক প্রচার হচ্ছে, সে সময়ে বিচারকেরাও অনুপ্রাণিত হন। বিচারকেরাও চান, তাঁরাও খবরের শিরোনাম হয়ে অবদান রাখতে।’
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) আইন, বিচার, সংবিধান ও মানবাধিকারবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল রিপোর্টার্স ফোরামের নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
২০২৫-২৬ সালের কমিটিতে ল রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি হিসেবে হাসান জাবেদ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনিরুজ্জামান মিশন নির্বাচিত হয়েছেন।
গত ২৭ জুন নতুন কমিটিতে সহসভাপতি পদে আহাম্মেদ সরোয়ার হোসেন ভূঁঞা, যুগ্ম সম্পাদক আরাফাত মুন্না, অর্থ সম্পাদক মনজুর হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এস এম নূর মোহাম্মদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জাবেদ আখতার, প্রশিক্ষণ ও কল্যাণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদাউস তানভী নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে ওয়াকিল আহমেদ হিরন, বিকাশ নারায়ণ দত্ত, হাবিবুর রহমা ও ফজলুল হক মৃধা নির্বাচিত হন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ল রিপোর্টার্স ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ও আইনাঙ্গনকে এমনভাবে তুলে ধরছে, যাতে এই অঙ্গনে কেউ দুর্নীতি করতে চাইলেও চিন্তা করে। আবার ভালো কাজ করতে অনুপ্রাণিত হয়। এর পেছনে ল রিপোর্টার্স ফোরামের অনেক ভূমিকা রয়েছে। আমি ল রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্য না হতে পারলেও কোর্ট করেসপনডেন্ট ছিলাম ঢাকা কোর্টে।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘আপনারা (ল রিপোর্টার্স ফোরাম) কিন্তু সাধারণ সাংবাদিক না। সাধারণ সাংবাদিকেরা ল রিপোর্টিং করতে পারে না। আপনারা আইনজীবীদের সঙ্গে থাকতে থাকতে প্রায় আইনজীবী হয়ে গেছেন। এই অঙ্গনের বিষয়বস্তু, নিয়মকানুন বুঝতে হয়। ফলে অন্য অঙ্গনের রিপোর্টারদের চেয়ে আপনাদের অবস্থানটা ভিন্ন। যার প্রতিফলন আপনাদের রিপোর্টিংয়ে উঠে এসেছে। আশা করি, ভবিষ্যতেও আপনারা এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখবেন।’
বারের সভাপতি আরও বলেন, ‘এখন দেশে সংকট চলছে। অন্তর্বর্তী সরকার আছে, নিয়মিত সরকার নেই। সবকিছু মিলিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র আসবে দেশের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে। আশা করছি, দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার জন্য দেশবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে বিশেষ করে সাংবাদিক ও আইনজীবীরা মিলে প্রতিহত করব।’

বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘আমরা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে আমরা (ল রিপোর্টার্স ফোরাম ও আইনজীবীরা) কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতেও একসঙ্গে কাজ করব। তবে বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, আমরা পেশাজীবী হিসেবে অন্য পেশার প্রতি সম্মান রাখব।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শাহজাহান সাজু, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ব্যারিস্টার শেখ আলী আহমেদ খোকন, মোহাম্মদ শিশির মনির, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটির সদস্যসচিব গাজী তৌহিদুর রহমান, সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্যসচিব জামিউল হক ফয়সাল, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, নজরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।
নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে সাবেক সভাপতি সালেহ উদ্দিন আহমেদ, আশুতোষ সরকার, সাঈদ আহমেদ খান, মাশহুদুল এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসচিব কাজী আব্দুল হান্নানসহ ল রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘আইন অঙ্গন যে বাংলাদেশের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে, হাইকোর্ট যে দেশের সবকিছুতে ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করতে পারেন, হাইকোর্টের যে ব্যাপক ক্ষমতা, সেটি ল রিপোর্টার্স ফোরামের মাধ্যমে সারা দেশ জানতে পারছে। ল রিপোর্টার্স ফোরামের নিউজগুলো যখন ব্যাপক প্রচার হচ্ছে, সে সময়ে বিচারকেরাও অনুপ্রাণিত হন। বিচারকেরাও চান, তাঁরাও খবরের শিরোনাম হয়ে অবদান রাখতে।’
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) আইন, বিচার, সংবিধান ও মানবাধিকারবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল রিপোর্টার্স ফোরামের নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
২০২৫-২৬ সালের কমিটিতে ল রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি হিসেবে হাসান জাবেদ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনিরুজ্জামান মিশন নির্বাচিত হয়েছেন।
গত ২৭ জুন নতুন কমিটিতে সহসভাপতি পদে আহাম্মেদ সরোয়ার হোসেন ভূঁঞা, যুগ্ম সম্পাদক আরাফাত মুন্না, অর্থ সম্পাদক মনজুর হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এস এম নূর মোহাম্মদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জাবেদ আখতার, প্রশিক্ষণ ও কল্যাণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদাউস তানভী নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে ওয়াকিল আহমেদ হিরন, বিকাশ নারায়ণ দত্ত, হাবিবুর রহমা ও ফজলুল হক মৃধা নির্বাচিত হন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ল রিপোর্টার্স ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ও আইনাঙ্গনকে এমনভাবে তুলে ধরছে, যাতে এই অঙ্গনে কেউ দুর্নীতি করতে চাইলেও চিন্তা করে। আবার ভালো কাজ করতে অনুপ্রাণিত হয়। এর পেছনে ল রিপোর্টার্স ফোরামের অনেক ভূমিকা রয়েছে। আমি ল রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্য না হতে পারলেও কোর্ট করেসপনডেন্ট ছিলাম ঢাকা কোর্টে।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘আপনারা (ল রিপোর্টার্স ফোরাম) কিন্তু সাধারণ সাংবাদিক না। সাধারণ সাংবাদিকেরা ল রিপোর্টিং করতে পারে না। আপনারা আইনজীবীদের সঙ্গে থাকতে থাকতে প্রায় আইনজীবী হয়ে গেছেন। এই অঙ্গনের বিষয়বস্তু, নিয়মকানুন বুঝতে হয়। ফলে অন্য অঙ্গনের রিপোর্টারদের চেয়ে আপনাদের অবস্থানটা ভিন্ন। যার প্রতিফলন আপনাদের রিপোর্টিংয়ে উঠে এসেছে। আশা করি, ভবিষ্যতেও আপনারা এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখবেন।’
বারের সভাপতি আরও বলেন, ‘এখন দেশে সংকট চলছে। অন্তর্বর্তী সরকার আছে, নিয়মিত সরকার নেই। সবকিছু মিলিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র আসবে দেশের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে। আশা করছি, দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার জন্য দেশবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে বিশেষ করে সাংবাদিক ও আইনজীবীরা মিলে প্রতিহত করব।’

বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘আমরা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে আমরা (ল রিপোর্টার্স ফোরাম ও আইনজীবীরা) কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতেও একসঙ্গে কাজ করব। তবে বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, আমরা পেশাজীবী হিসেবে অন্য পেশার প্রতি সম্মান রাখব।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শাহজাহান সাজু, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ব্যারিস্টার শেখ আলী আহমেদ খোকন, মোহাম্মদ শিশির মনির, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটির সদস্যসচিব গাজী তৌহিদুর রহমান, সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্যসচিব জামিউল হক ফয়সাল, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, নজরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।
নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে সাবেক সভাপতি সালেহ উদ্দিন আহমেদ, আশুতোষ সরকার, সাঈদ আহমেদ খান, মাশহুদুল এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসচিব কাজী আব্দুল হান্নানসহ ল রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘আইন অঙ্গন যে বাংলাদেশের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে, হাইকোর্ট যে দেশের সবকিছুতে ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করতে পারেন, হাইকোর্টের যে ব্যাপক ক্ষমতা, সেটি ল রিপোর্টার্স ফোরামের মাধ্যমে সারা দেশ জানতে পারছে। ল রিপোর্টার্স ফোরামের নিউজগুলো যখন ব্যাপক প্রচার হচ্ছে, সে সময়ে বিচারকেরাও অনুপ্রাণিত হন। বিচারকেরাও চান, তাঁরাও খবরের শিরোনাম হয়ে অবদান রাখতে।’
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) আইন, বিচার, সংবিধান ও মানবাধিকারবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল রিপোর্টার্স ফোরামের নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
২০২৫-২৬ সালের কমিটিতে ল রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি হিসেবে হাসান জাবেদ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনিরুজ্জামান মিশন নির্বাচিত হয়েছেন।
গত ২৭ জুন নতুন কমিটিতে সহসভাপতি পদে আহাম্মেদ সরোয়ার হোসেন ভূঁঞা, যুগ্ম সম্পাদক আরাফাত মুন্না, অর্থ সম্পাদক মনজুর হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এস এম নূর মোহাম্মদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জাবেদ আখতার, প্রশিক্ষণ ও কল্যাণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদাউস তানভী নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে ওয়াকিল আহমেদ হিরন, বিকাশ নারায়ণ দত্ত, হাবিবুর রহমা ও ফজলুল হক মৃধা নির্বাচিত হন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ল রিপোর্টার্স ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ও আইনাঙ্গনকে এমনভাবে তুলে ধরছে, যাতে এই অঙ্গনে কেউ দুর্নীতি করতে চাইলেও চিন্তা করে। আবার ভালো কাজ করতে অনুপ্রাণিত হয়। এর পেছনে ল রিপোর্টার্স ফোরামের অনেক ভূমিকা রয়েছে। আমি ল রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্য না হতে পারলেও কোর্ট করেসপনডেন্ট ছিলাম ঢাকা কোর্টে।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘আপনারা (ল রিপোর্টার্স ফোরাম) কিন্তু সাধারণ সাংবাদিক না। সাধারণ সাংবাদিকেরা ল রিপোর্টিং করতে পারে না। আপনারা আইনজীবীদের সঙ্গে থাকতে থাকতে প্রায় আইনজীবী হয়ে গেছেন। এই অঙ্গনের বিষয়বস্তু, নিয়মকানুন বুঝতে হয়। ফলে অন্য অঙ্গনের রিপোর্টারদের চেয়ে আপনাদের অবস্থানটা ভিন্ন। যার প্রতিফলন আপনাদের রিপোর্টিংয়ে উঠে এসেছে। আশা করি, ভবিষ্যতেও আপনারা এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখবেন।’
বারের সভাপতি আরও বলেন, ‘এখন দেশে সংকট চলছে। অন্তর্বর্তী সরকার আছে, নিয়মিত সরকার নেই। সবকিছু মিলিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র আসবে দেশের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে। আশা করছি, দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার জন্য দেশবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে বিশেষ করে সাংবাদিক ও আইনজীবীরা মিলে প্রতিহত করব।’

বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘আমরা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে আমরা (ল রিপোর্টার্স ফোরাম ও আইনজীবীরা) কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতেও একসঙ্গে কাজ করব। তবে বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, আমরা পেশাজীবী হিসেবে অন্য পেশার প্রতি সম্মান রাখব।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শাহজাহান সাজু, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ব্যারিস্টার শেখ আলী আহমেদ খোকন, মোহাম্মদ শিশির মনির, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটির সদস্যসচিব গাজী তৌহিদুর রহমান, সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্যসচিব জামিউল হক ফয়সাল, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, নজরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।
নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে সাবেক সভাপতি সালেহ উদ্দিন আহমেদ, আশুতোষ সরকার, সাঈদ আহমেদ খান, মাশহুদুল এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসচিব কাজী আব্দুল হান্নানসহ ল রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
৩ ঘণ্টা আগে
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অতি সম্প্রতি মহলবিশেষের পক্ষ থেকে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে বলা হচ্ছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আপ্যায়ন বাবদ ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। এটি একটি পরিকল্পিত প্রপাগান্ডা, যা প্রচারকারীরা কমিশনের কোনো ভাষ্য বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই চালাচ্ছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু করে। ২০২৪-২৫ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কমিশনের মোট বাজেট ছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ ৩১ হাজার ২৬ টাকা। এর মধ্যে ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ১২৬ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বাজেটের মধ্যে আপ্যায়ন খাতে বরাদ্দ ছিল ৬৩ লাখ টাকা, যার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮৫ টাকা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, আপ্যায়ন খাতের অধিকাংশ ব্যয় হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও কমিশনের বিভিন্ন বৈঠক চলাকালে। এসব বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, তাঁদের সহযোগী, সাংবাদিক, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
প্রথম পর্যায়ে গত ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৪৪টি বৈঠক হয়, যেখানে ব্যয় হয় ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ২৩টি বৈঠক হয়। এতে মোট ব্যয় হয় ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ১০০ টাকা। এই বৈঠকগুলোর বেশির ভাগই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলেছে। ফলে নাশতার পাশাপাশি দুপুর ও রাতের খাবারেরও ব্যবস্থা করতে হয়েছে। গড়ে প্রতিদিনের ব্যয় ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কম।
তৃতীয় পর্যায়ে সাতটি বৈঠকে ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন, এতে ব্যয় হয় ৭ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকা।
এ ছাড়া কমিশনের অভ্যন্তরীণ সভা হয়েছে ৫০টি, যার অনেকগুলোই দিনব্যাপী বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনুষ্ঠিত হয়। এই বাবদ মোট ব্যয় হয় ১ লাখ ৫ হাজার ৫২০ টাকা।
রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক, নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠক এবং তিনটি সংবাদ সম্মেলনসহ মোট ১৩টি সভায় ব্যয় হয় ২ লাখ ৩৪০ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ১৩টি, যেখানে আপ্যায়ন বাবদ ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ৯৬০ টাকা। প্রেস উইং জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা এসব বৈঠকের জন্য কোনো ভাতা বা সম্মানী নেননি।
এ ছাড়া গত ৯ মাসে অতিথি আপ্যায়নের জন্য ব্যয় হয়েছে ২ লাখ টাকা। এসব অতিথির মধ্যে ছিলেন বিদেশি কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা, সম্পাদক, সাংবাদিক ও অন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘উল্লিখিত বিস্তারিত হিসাব থেকে এটি স্পষ্ট যে, ৮৩ কোটি টাকার দাবি শুধু মিথ্যাচার নয়, বরং ঐকমত্য কমিশন ও তার কার্যক্রমকে হেয় করার একটি সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত অপপ্রয়াস।’
কমিশনের দাবি, তারা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছে, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত দৈনন্দিন সংবাদ থেকেই স্পষ্ট। সাংবাদিকেরা নির্বিঘ্নে কমিশন কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পেরেছেন, কমিশনের সহসভাপতি ও সদস্যরা নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমকে তথ্য দিয়েছেন এবং প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
এ ছাড়া, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনাগুলো সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছে।
কমিশন আশা প্রকাশ করেছে, যে অসাধু মহল এই প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে, তারা অবিলম্বে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কমিশন তার দায়িত্ব পালনে দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের সহযোগিতা পেয়েছে এবং আশা করে গণমাধ্যমগুলো ভবিষ্যতেও সঠিক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অতি সম্প্রতি মহলবিশেষের পক্ষ থেকে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে বলা হচ্ছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আপ্যায়ন বাবদ ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। এটি একটি পরিকল্পিত প্রপাগান্ডা, যা প্রচারকারীরা কমিশনের কোনো ভাষ্য বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই চালাচ্ছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু করে। ২০২৪-২৫ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কমিশনের মোট বাজেট ছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ ৩১ হাজার ২৬ টাকা। এর মধ্যে ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ১২৬ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বাজেটের মধ্যে আপ্যায়ন খাতে বরাদ্দ ছিল ৬৩ লাখ টাকা, যার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮৫ টাকা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, আপ্যায়ন খাতের অধিকাংশ ব্যয় হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও কমিশনের বিভিন্ন বৈঠক চলাকালে। এসব বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, তাঁদের সহযোগী, সাংবাদিক, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
প্রথম পর্যায়ে গত ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৪৪টি বৈঠক হয়, যেখানে ব্যয় হয় ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ২৩টি বৈঠক হয়। এতে মোট ব্যয় হয় ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ১০০ টাকা। এই বৈঠকগুলোর বেশির ভাগই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলেছে। ফলে নাশতার পাশাপাশি দুপুর ও রাতের খাবারেরও ব্যবস্থা করতে হয়েছে। গড়ে প্রতিদিনের ব্যয় ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কম।
তৃতীয় পর্যায়ে সাতটি বৈঠকে ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন, এতে ব্যয় হয় ৭ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকা।
এ ছাড়া কমিশনের অভ্যন্তরীণ সভা হয়েছে ৫০টি, যার অনেকগুলোই দিনব্যাপী বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনুষ্ঠিত হয়। এই বাবদ মোট ব্যয় হয় ১ লাখ ৫ হাজার ৫২০ টাকা।
রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক, নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠক এবং তিনটি সংবাদ সম্মেলনসহ মোট ১৩টি সভায় ব্যয় হয় ২ লাখ ৩৪০ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ১৩টি, যেখানে আপ্যায়ন বাবদ ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ৯৬০ টাকা। প্রেস উইং জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা এসব বৈঠকের জন্য কোনো ভাতা বা সম্মানী নেননি।
এ ছাড়া গত ৯ মাসে অতিথি আপ্যায়নের জন্য ব্যয় হয়েছে ২ লাখ টাকা। এসব অতিথির মধ্যে ছিলেন বিদেশি কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা, সম্পাদক, সাংবাদিক ও অন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘উল্লিখিত বিস্তারিত হিসাব থেকে এটি স্পষ্ট যে, ৮৩ কোটি টাকার দাবি শুধু মিথ্যাচার নয়, বরং ঐকমত্য কমিশন ও তার কার্যক্রমকে হেয় করার একটি সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত অপপ্রয়াস।’
কমিশনের দাবি, তারা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছে, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত দৈনন্দিন সংবাদ থেকেই স্পষ্ট। সাংবাদিকেরা নির্বিঘ্নে কমিশন কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পেরেছেন, কমিশনের সহসভাপতি ও সদস্যরা নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমকে তথ্য দিয়েছেন এবং প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
এ ছাড়া, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনাগুলো সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছে।
কমিশন আশা প্রকাশ করেছে, যে অসাধু মহল এই প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে, তারা অবিলম্বে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কমিশন তার দায়িত্ব পালনে দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের সহযোগিতা পেয়েছে এবং আশা করে গণমাধ্যমগুলো ভবিষ্যতেও সঠিক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।’

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘আইন অঙ্গন যে বাংলাদেশের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে, হাইকোর্ট যে দেশের সবকিছুতে ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করতে পারেন, হাইকোর্টের যে ব্যাপক ক্ষমতা সেটি ল রিপোর্টার্স ফোরামের মাধ্যমে সারা দেশ জানতে পারছে। ল রিপোর্টার্স ফোরামের নিউজগুলো যখন ব্যাপক প্রচার...
০৯ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
৩ ঘণ্টা আগে
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক তাঁদের ব্যবস্থাপত্রে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) অনুমোদিত ও নিবন্ধিত নয় এমন ওষুধ লিখে আসছেন। এতে রোগীদের স্বাস্থ্য বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বিষয়টি তদন্তে মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু হেনা চৌধুরীকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন ফার্মাকোলজি বিভাগের সভাপতি ডা. ইলোরা শারমিন এবং উপ-রেজিস্ট্রার (আইন) ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন আহমেদ। সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক (আইন) অ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএমইউর চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কোনো ওষুধ, ভিটামিন, মিনারেল বা সাপ্লিমেন্টের নাম প্রেসক্রিপশনে লেখা হলে তা আইনভঙ্গের শামিল কি না এবং হলে কী ধরনের আইনি প্রতিকার বা শাস্তি প্রযোজ্য হতে পারে, তা নির্ধারণ করে প্রচলিত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে কমিটি। এ ক্ষেত্রে প্রামাণ্য আইন হিসেবে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩’ এবং ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে—যেসব ভিটামিন, মিনারেল সাপ্লিমেন্ট ও হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট বিদেশ থেকে আমদানি হয়, সেগুলো ডিজিডিএ ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কীভাবে যাচাই-বাছাই করে, কিংবা এসব পণ্য ব্যবহারের অনুমোদন দেয় কি না, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ডিজিডিএর ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা সহজেই পাওয়া যায়। এই বিষয়ে চিকিৎসকদের সচেতন করতে আইটি সেকশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রতিকার হিসেবে বিএমইউর চিকিৎসকেরা যেন অননুমোদিত ওষুধ প্রেসক্রিপশনে না লেখেন সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট ছাপানো এবং সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অনিবন্ধিত ওষুধ লিখলে সম্ভাব্য শাস্তির বিষয়েও চিকিৎসকদের অবহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ, বহির্বিভাগ এবং প্রবেশদ্বারগুলোতে বড় সাইনবোর্ড স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠানো এবং ডিজিডিএ ও বিএসটিআই কর্তৃক নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা বিভাগ ও বহির্বিভাগে সরবরাহের সুপারিশও করা হয়েছে।

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক তাঁদের ব্যবস্থাপত্রে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) অনুমোদিত ও নিবন্ধিত নয় এমন ওষুধ লিখে আসছেন। এতে রোগীদের স্বাস্থ্য বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বিষয়টি তদন্তে মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু হেনা চৌধুরীকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন ফার্মাকোলজি বিভাগের সভাপতি ডা. ইলোরা শারমিন এবং উপ-রেজিস্ট্রার (আইন) ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন আহমেদ। সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক (আইন) অ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএমইউর চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কোনো ওষুধ, ভিটামিন, মিনারেল বা সাপ্লিমেন্টের নাম প্রেসক্রিপশনে লেখা হলে তা আইনভঙ্গের শামিল কি না এবং হলে কী ধরনের আইনি প্রতিকার বা শাস্তি প্রযোজ্য হতে পারে, তা নির্ধারণ করে প্রচলিত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে কমিটি। এ ক্ষেত্রে প্রামাণ্য আইন হিসেবে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩’ এবং ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে—যেসব ভিটামিন, মিনারেল সাপ্লিমেন্ট ও হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট বিদেশ থেকে আমদানি হয়, সেগুলো ডিজিডিএ ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কীভাবে যাচাই-বাছাই করে, কিংবা এসব পণ্য ব্যবহারের অনুমোদন দেয় কি না, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ডিজিডিএর ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা সহজেই পাওয়া যায়। এই বিষয়ে চিকিৎসকদের সচেতন করতে আইটি সেকশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রতিকার হিসেবে বিএমইউর চিকিৎসকেরা যেন অননুমোদিত ওষুধ প্রেসক্রিপশনে না লেখেন সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট ছাপানো এবং সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অনিবন্ধিত ওষুধ লিখলে সম্ভাব্য শাস্তির বিষয়েও চিকিৎসকদের অবহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ, বহির্বিভাগ এবং প্রবেশদ্বারগুলোতে বড় সাইনবোর্ড স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠানো এবং ডিজিডিএ ও বিএসটিআই কর্তৃক নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা বিভাগ ও বহির্বিভাগে সরবরাহের সুপারিশও করা হয়েছে।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘আইন অঙ্গন যে বাংলাদেশের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে, হাইকোর্ট যে দেশের সবকিছুতে ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করতে পারেন, হাইকোর্টের যে ব্যাপক ক্ষমতা সেটি ল রিপোর্টার্স ফোরামের মাধ্যমে সারা দেশ জানতে পারছে। ল রিপোর্টার্স ফোরামের নিউজগুলো যখন ব্যাপক প্রচার...
০৯ জুলাই ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
৩ ঘণ্টা আগে
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল। সেই ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। তার প্রধানত দুটি কারণ–একটি হলো এটা নির্বাচিত সরকার না। আরেকটি হলো, এটাতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এসব কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগে আজ নবম দিনের মতো এ বিষয়ে শুনানি হয়। এদিন রাষ্ট্রপক্ষ তাদের শুনানি শেষ করে। এরপর ১১ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানিতে বলেন, ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন এজন্য যে, বিচারকেরা প্রধান বিচারপতি, প্রধান উপদেষ্টা ইত্যাদি হওয়ার লোভ সামলাতে পারবেন না। যদি এটিই সত্য হয়, তাহলে যেসব বিচারপতি প্রধান বিচারপতি হওয়ার লোভে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে রায় দিয়েছিলেন, সেই সিস্টেমটা বদলানো দরকার।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, এটা প্রমাণিত হয়েছে, নির্বাচিত সরকার হলেই গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে পারে না। প্রমাণিত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায় বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে নিরপেক্ষভাবে, স্বাধীনভাবে, উন্মুক্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
রায় কার্যকর হওয়া প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এই রায় সেই দিন থেকেই কার্যকর হবে। তবে জুলাই বিপ্লবের পর একটি সরকার গঠিত হয়েছে। রাজপথ থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে এ দেশের সরকার প্রধান কে হবেন, কোন ধরনের সরকার হবে। দেশের প্রধান বিচারপতি কে হবেন, সেটাও রাজপথ থেকে বলে দেওয়া হয়েছে। এই যে রেভ্যলুশনের (বিপ্লবের) বিজয়ী শক্তি, এটাকে রেভ্যলুশনের থিওরি জুরিসপ্রুডেন্স বলে। এ থিওরি অনুসারে, এই সরকার একটা নির্বাচনের পথ ধরে হেঁটে গেছে। সেই নির্বাচনের পথে হাঁটতে গিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই সরকারের পরে যে সরকার আসবে, সেখান থেকে যদি কার্যকর করেন সেখানে কোনো ব্যত্যয় হবে না।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সরকার প্রধান যখন ৫ আগস্ট পালিয়ে যায়, তার ক্যাবিনেট যখন পালিয়ে যায়, তার সংসদ সদস্যরা যখন পালিয়ে যায়, তখন রাষ্ট্রপতির সামনে যখন কোনো পথ খোলা থাকে না। রাষ্ট্রপতি ১০৬ ধারায় সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে মতামত নিয়ে সরকার গঠন করেছেন। এই সরকার গঠন শুধু সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ওপর নির্ভর করে না। বিপ্লবের তত্ত্ব অনুসারে মুক্তিকামী জনগণ, বিজয়ী জনগণ, স্বাধীন জনগণ, গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকারী জনগণ যেভাবে নির্ধারণ করবেন—সেটাই সংবিধান, সেটাই আইন। সুতরাং রেভ্যলুশনারি থিওরিতে যে জুরিসপ্রুডেন্স স্বীকার করা হলো, গ্রহণ করা হলো—সেই থিওরিটাকেই আমরা হাইলাইট করছি। ১০৬ সব নয়।’

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল। সেই ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। তার প্রধানত দুটি কারণ–একটি হলো এটা নির্বাচিত সরকার না। আরেকটি হলো, এটাতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এসব কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগে আজ নবম দিনের মতো এ বিষয়ে শুনানি হয়। এদিন রাষ্ট্রপক্ষ তাদের শুনানি শেষ করে। এরপর ১১ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানিতে বলেন, ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন এজন্য যে, বিচারকেরা প্রধান বিচারপতি, প্রধান উপদেষ্টা ইত্যাদি হওয়ার লোভ সামলাতে পারবেন না। যদি এটিই সত্য হয়, তাহলে যেসব বিচারপতি প্রধান বিচারপতি হওয়ার লোভে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে রায় দিয়েছিলেন, সেই সিস্টেমটা বদলানো দরকার।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, এটা প্রমাণিত হয়েছে, নির্বাচিত সরকার হলেই গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে পারে না। প্রমাণিত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায় বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে নিরপেক্ষভাবে, স্বাধীনভাবে, উন্মুক্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
রায় কার্যকর হওয়া প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এই রায় সেই দিন থেকেই কার্যকর হবে। তবে জুলাই বিপ্লবের পর একটি সরকার গঠিত হয়েছে। রাজপথ থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে এ দেশের সরকার প্রধান কে হবেন, কোন ধরনের সরকার হবে। দেশের প্রধান বিচারপতি কে হবেন, সেটাও রাজপথ থেকে বলে দেওয়া হয়েছে। এই যে রেভ্যলুশনের (বিপ্লবের) বিজয়ী শক্তি, এটাকে রেভ্যলুশনের থিওরি জুরিসপ্রুডেন্স বলে। এ থিওরি অনুসারে, এই সরকার একটা নির্বাচনের পথ ধরে হেঁটে গেছে। সেই নির্বাচনের পথে হাঁটতে গিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই সরকারের পরে যে সরকার আসবে, সেখান থেকে যদি কার্যকর করেন সেখানে কোনো ব্যত্যয় হবে না।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সরকার প্রধান যখন ৫ আগস্ট পালিয়ে যায়, তার ক্যাবিনেট যখন পালিয়ে যায়, তার সংসদ সদস্যরা যখন পালিয়ে যায়, তখন রাষ্ট্রপতির সামনে যখন কোনো পথ খোলা থাকে না। রাষ্ট্রপতি ১০৬ ধারায় সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে মতামত নিয়ে সরকার গঠন করেছেন। এই সরকার গঠন শুধু সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ওপর নির্ভর করে না। বিপ্লবের তত্ত্ব অনুসারে মুক্তিকামী জনগণ, বিজয়ী জনগণ, স্বাধীন জনগণ, গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকারী জনগণ যেভাবে নির্ধারণ করবেন—সেটাই সংবিধান, সেটাই আইন। সুতরাং রেভ্যলুশনারি থিওরিতে যে জুরিসপ্রুডেন্স স্বীকার করা হলো, গ্রহণ করা হলো—সেই থিওরিটাকেই আমরা হাইলাইট করছি। ১০৬ সব নয়।’

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘আইন অঙ্গন যে বাংলাদেশের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে, হাইকোর্ট যে দেশের সবকিছুতে ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করতে পারেন, হাইকোর্টের যে ব্যাপক ক্ষমতা সেটি ল রিপোর্টার্স ফোরামের মাধ্যমে সারা দেশ জানতে পারছে। ল রিপোর্টার্স ফোরামের নিউজগুলো যখন ব্যাপক প্রচার...
০৯ জুলাই ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন কমিশনে মামলাগুলোর অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মো. আক্তার হোসেন বলেন, এসব রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক ও কর্মকর্তারা মালয়েশিয়াগামী ৩১ হাজার ৩৩১ জন কর্মীর কাছ থেকে সরকারনির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে পাঁচ গুণ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে ৫২৫ কোটি ২২ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেন।
দুদকের সূত্র বলেছে, মেসার্স আমিন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের বিরুদ্ধে ৭ হাজার ৪৩০ জনের কাছ থেকে ১২৪ কোটি ৪৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের মালিক রুহুল আমিনকে আসামি করা হচ্ছে। মেসার্স মেরিট ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৮৯ জনের কাছ থেকে ৫৮ কোটি ৪৪ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা অতিরিক্ত নেওয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ, তাঁর স্ত্রী এবং কোম্পানির এমডির নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
৩ হাজার ৩২১ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৫৫ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায়ের অভিযোগে সাদিয়া ইন্টারন্যাশনালের শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমানের বিরুদ্ধে এবং ৮ হাজার ১০১ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১৩৫ কোটি ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায়ের অভিযোগে ইম্পেরিয়াল রিসোর্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসাইন ও এমডি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
৫ হাজার ২০২ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৮৭ কোটি ১৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগে আরআরসি হিউম্যান রিসোর্স সার্ভিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও এমডি মো. আলমগীর কবীর এবং ৩ হাজার ৭৮৮ জনের কাছ থেকে ৬৩ কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগে থানেক্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সাবেক এমডি আব্দুল্লাহ শাহেদ, পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন নোমানী ও এমডি শমসের আহমেদের নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠিয়ে ১ হাজার ১২৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১১ মার্চ ৩২ জনের বিরুদ্ধে এবং ১ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৪ সেপ্টেম্বর ১৩টি রিক্রুটিং এজেন্সির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও সিন্ডিকেটের কারণে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করেছিল মালয়েশিয়া। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দেশটি পুনরায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি করে। তখন শ্রমিক ভিসায় যেতে সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার ৫৪০ টাকা ফি নির্ধারণ করে সরকার, যা ২০২২ সালে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অফিস আদেশের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়।

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন কমিশনে মামলাগুলোর অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মো. আক্তার হোসেন বলেন, এসব রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক ও কর্মকর্তারা মালয়েশিয়াগামী ৩১ হাজার ৩৩১ জন কর্মীর কাছ থেকে সরকারনির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে পাঁচ গুণ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে ৫২৫ কোটি ২২ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেন।
দুদকের সূত্র বলেছে, মেসার্স আমিন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের বিরুদ্ধে ৭ হাজার ৪৩০ জনের কাছ থেকে ১২৪ কোটি ৪৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের মালিক রুহুল আমিনকে আসামি করা হচ্ছে। মেসার্স মেরিট ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৮৯ জনের কাছ থেকে ৫৮ কোটি ৪৪ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা অতিরিক্ত নেওয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ, তাঁর স্ত্রী এবং কোম্পানির এমডির নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
৩ হাজার ৩২১ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৫৫ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায়ের অভিযোগে সাদিয়া ইন্টারন্যাশনালের শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমানের বিরুদ্ধে এবং ৮ হাজার ১০১ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১৩৫ কোটি ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায়ের অভিযোগে ইম্পেরিয়াল রিসোর্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসাইন ও এমডি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
৫ হাজার ২০২ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৮৭ কোটি ১৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগে আরআরসি হিউম্যান রিসোর্স সার্ভিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও এমডি মো. আলমগীর কবীর এবং ৩ হাজার ৭৮৮ জনের কাছ থেকে ৬৩ কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগে থানেক্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সাবেক এমডি আব্দুল্লাহ শাহেদ, পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন নোমানী ও এমডি শমসের আহমেদের নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠিয়ে ১ হাজার ১২৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১১ মার্চ ৩২ জনের বিরুদ্ধে এবং ১ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৪ সেপ্টেম্বর ১৩টি রিক্রুটিং এজেন্সির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও সিন্ডিকেটের কারণে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করেছিল মালয়েশিয়া। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দেশটি পুনরায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি করে। তখন শ্রমিক ভিসায় যেতে সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার ৫৪০ টাকা ফি নির্ধারণ করে সরকার, যা ২০২২ সালে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অফিস আদেশের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘আইন অঙ্গন যে বাংলাদেশের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে, হাইকোর্ট যে দেশের সবকিছুতে ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করতে পারেন, হাইকোর্টের যে ব্যাপক ক্ষমতা সেটি ল রিপোর্টার্স ফোরামের মাধ্যমে সারা দেশ জানতে পারছে। ল রিপোর্টার্স ফোরামের নিউজগুলো যখন ব্যাপক প্রচার...
০৯ জুলাই ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
৩ ঘণ্টা আগে