নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের সকল বিচারক ও আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি যদি সত্যিকারের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হয় তাহলে বিচারপ্রার্থী জনগণকে সঠিক বিচারিক সেবা প্রদান করতে হবে। তাদের মুখের দিকে তাকাতে হবে। তাকালে দেখবেন সেখানে ফুটে উঠেছে রাজ্যের আশঙ্কা রেখা। সেই রেখাকে পরম যত্নে দূর করে দিন। এদের জন্যই বঙ্গবন্ধু ছুটে বেড়িয়েছেন বাংলার প্রত্যন্ত প্রান্তরে, তাদের বুকে জড়িয়েছেন, আগলে রেখেছেন।
আজ শনিবার সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপনী এবং সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মালদ্বীপের প্রধান বিচারপতি উজ আহমেদ মুথাসিম আদনান।
বিশেষে অতিথির বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ ছাড়াও আপিল বিভাগের বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির প্রমুখ বক্তব্য দেন। উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা এবং সাবেক অনেক বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রতিদিন বিচারকের আসন গ্রহণকালে আমার এবং আমার প্রত্যেক সহকর্মীর হৃদয় আপ্লুত হয় বঙ্গবন্ধুর স্মরণে। এই বিচার প্রার্থীদের জন্যই বঙ্গবন্ধু নিজ তারণ্য উৎসর্গ করেছেন, প্রয়োজন ত্যাগ করেছেন, অকাতরে জীবন দিয়েছেন। এই মানুষগুলো যদি ন্যায় বিচারের সুবাতাসে তীপ্ত হতে পারে তবেই এ মাটির সন্তান হিসেবে প্রকৃত সফলতা পাবো।
ফিলিস্তিনের চলমান সঙ্কটের কথা উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, তীব্র মানবিক সঙ্কটে পৃথিবী আজ ভুগছে অবর্ননীয় বিষাধে। সংবিধান দিবেসের সুন্দর এই অনুষ্ঠানে দাড়িয়ে দগ্ধ হচ্ছি শোকের অনলে। এ বিশ্ব হারিয়েছে যাদের তাদের কেউ হয়তো চেনেন না আমাদেরকে। তারপরও তারা আমাদের ভাই, বোন, আমাদের স্বজন, আমাদের পরিজন। ধ্বংস তাদের নিত্য সহচর। শিশুরা লাশ হয়ে আছে বাবার বাহুতে বা মায়ের কোলে। পৃথিবীর কোথাও একটি রাষ্ট্র নেই তাদের?
তিনি বলেন, আমরা মাতৃভাষা, রাষ্ট্র ও সংবিধান পেয়েছি ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে। কিন্তু পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে যারা প্রতিনিয়ত আশা করছে শান্তির, আশা করছে ভালবাসার, আশা করছে সব জাতির নেতারাই যেন তাদের আবেদন ও আকুতি শুনতে পান। তারা যেন একত্রিত হয়ে একটি শান্তির পথ দেখাতে পারেন। আজ তাই জাতীয় সংবিধান দিবসের আয়োজন থেকে ফিলিস্তিনের নীপিড়িত জনগণের এই মানবিক বিপর্যয়ের আশু সমাধানের দাবি জানানোর পাশাপাশি বিশ্বের যে সকল অঞ্চলে মানবিক সংকট রয়েছে তার সমাধান আশা করছি।
আশা করছি বিশ্বের দেশে দেশে সকল মানুষ, সকল নাগরিক একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নিজ নিজ দেশে তাদের মৌলিক ও মানবাধিকার ভোগ করবে। বিশ্ব হবে শান্তির আবাস।
সংবিধানের প্রসঙ্গ টেনে প্রধান বিচারপতি বলেন, বলা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান পৃথিবীর প্রসিদ্ধ সংবিধান। সেই সংবিধানের সূত্রপাতও খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যের ছিলনা। আমেরিকার অনেক প্রাজ্ঞজন একে দুর্বল ও অসার কাঠামো বলে বর্ণনা করেছিলেন। আমাদের সংবিধানের সমালোচকরাও ভেবে ছিলেন যে, এই সংবিধান কয়েক বছর টিকিয়ে রাখাটাই কঠিন হবে। কিন্তু আমাদের সংবিধান টিকে আছে শুধু নয়, এই সংবিধান নিশ্চিত করেছে জনগণের সার্বভৌমত্ব।
বাংলাদেশের সকল বিচারক ও আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি যদি সত্যিকারের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হয় তাহলে বিচারপ্রার্থী জনগণকে সঠিক বিচারিক সেবা প্রদান করতে হবে। তাদের মুখের দিকে তাকাতে হবে। তাকালে দেখবেন সেখানে ফুটে উঠেছে রাজ্যের আশঙ্কা রেখা। সেই রেখাকে পরম যত্নে দূর করে দিন। এদের জন্যই বঙ্গবন্ধু ছুটে বেড়িয়েছেন বাংলার প্রত্যন্ত প্রান্তরে, তাদের বুকে জড়িয়েছেন, আগলে রেখেছেন।
আজ শনিবার সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপনী এবং সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মালদ্বীপের প্রধান বিচারপতি উজ আহমেদ মুথাসিম আদনান।
বিশেষে অতিথির বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ ছাড়াও আপিল বিভাগের বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির প্রমুখ বক্তব্য দেন। উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা এবং সাবেক অনেক বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রতিদিন বিচারকের আসন গ্রহণকালে আমার এবং আমার প্রত্যেক সহকর্মীর হৃদয় আপ্লুত হয় বঙ্গবন্ধুর স্মরণে। এই বিচার প্রার্থীদের জন্যই বঙ্গবন্ধু নিজ তারণ্য উৎসর্গ করেছেন, প্রয়োজন ত্যাগ করেছেন, অকাতরে জীবন দিয়েছেন। এই মানুষগুলো যদি ন্যায় বিচারের সুবাতাসে তীপ্ত হতে পারে তবেই এ মাটির সন্তান হিসেবে প্রকৃত সফলতা পাবো।
ফিলিস্তিনের চলমান সঙ্কটের কথা উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, তীব্র মানবিক সঙ্কটে পৃথিবী আজ ভুগছে অবর্ননীয় বিষাধে। সংবিধান দিবেসের সুন্দর এই অনুষ্ঠানে দাড়িয়ে দগ্ধ হচ্ছি শোকের অনলে। এ বিশ্ব হারিয়েছে যাদের তাদের কেউ হয়তো চেনেন না আমাদেরকে। তারপরও তারা আমাদের ভাই, বোন, আমাদের স্বজন, আমাদের পরিজন। ধ্বংস তাদের নিত্য সহচর। শিশুরা লাশ হয়ে আছে বাবার বাহুতে বা মায়ের কোলে। পৃথিবীর কোথাও একটি রাষ্ট্র নেই তাদের?
তিনি বলেন, আমরা মাতৃভাষা, রাষ্ট্র ও সংবিধান পেয়েছি ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে। কিন্তু পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে যারা প্রতিনিয়ত আশা করছে শান্তির, আশা করছে ভালবাসার, আশা করছে সব জাতির নেতারাই যেন তাদের আবেদন ও আকুতি শুনতে পান। তারা যেন একত্রিত হয়ে একটি শান্তির পথ দেখাতে পারেন। আজ তাই জাতীয় সংবিধান দিবসের আয়োজন থেকে ফিলিস্তিনের নীপিড়িত জনগণের এই মানবিক বিপর্যয়ের আশু সমাধানের দাবি জানানোর পাশাপাশি বিশ্বের যে সকল অঞ্চলে মানবিক সংকট রয়েছে তার সমাধান আশা করছি।
আশা করছি বিশ্বের দেশে দেশে সকল মানুষ, সকল নাগরিক একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নিজ নিজ দেশে তাদের মৌলিক ও মানবাধিকার ভোগ করবে। বিশ্ব হবে শান্তির আবাস।
সংবিধানের প্রসঙ্গ টেনে প্রধান বিচারপতি বলেন, বলা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান পৃথিবীর প্রসিদ্ধ সংবিধান। সেই সংবিধানের সূত্রপাতও খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যের ছিলনা। আমেরিকার অনেক প্রাজ্ঞজন একে দুর্বল ও অসার কাঠামো বলে বর্ণনা করেছিলেন। আমাদের সংবিধানের সমালোচকরাও ভেবে ছিলেন যে, এই সংবিধান কয়েক বছর টিকিয়ে রাখাটাই কঠিন হবে। কিন্তু আমাদের সংবিধান টিকে আছে শুধু নয়, এই সংবিধান নিশ্চিত করেছে জনগণের সার্বভৌমত্ব।
ভোট কারচুপি, সাজানো ও প্রহসনের নির্বাচনের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন...
২ ঘণ্টা আগেশেরেবাংলা নগর থানায় দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনাকারী কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করে বিএনপি। দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ মামলাটি করেছেন। মামলায় সাবেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ৩ প্রধান নির্বাচন কমিশনার
৪ ঘণ্টা আগেরাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নওগাঁ, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ ও জামালপুর জেলার নির্বাচন অফিসে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করছে দুদক।
৫ ঘণ্টা আগেআন্তরাষ্ট্রীয় গুমের সঙ্গে জড়িত ছিল বাংলাদেশ ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গুম হওয়া ব্যক্তিদের আদান-প্রদান করতেন। গুম কমিশনের দ্বিতীয় প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
৬ ঘণ্টা আগে