Ajker Patrika

জয় বাংলা ব্রিগেড: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ৩৬
শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রতিবেদনে সিআইডি জানিয়েছে, দেশ ও বিদেশ থেকে পরিচালিত একটি অনলাইন নেটওয়ার্ক ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, যার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বর্তমান সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় ফিরে আসা।

গত ১৪ আগস্ট এ মামলায় প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আসামিদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ শুরুর আদেশ দিয়েছেন।

সিআইডি সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর একটি ভার্চুয়াল বৈঠক আয়োজন করে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামে অনলাইন প্ল্যাটফর্মটি। মিটিংটি অনুষ্ঠিত হয় জুমে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্যসহ দেশ-বিদেশ থেকে অংশ নেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও প্রবাসী সংগঠনের সদস্যরা।

সিআইডির তদন্তে বলা হয়েছে, ওই বৈঠকে সরকারের পতন ঘটানো, গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি ও পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। এতে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য ও ঘোষণার প্রমাণও পাওয়া যায়।

এ তথ্য পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে মন্ত্রণালয় বিষয়টি যাচাই করে আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ দায়েরের অনুমতি দেন। অনুমতি পেয়ে সিআইডি গত মার্চে মামলাটি করে।

সিআইডি জানায়, মামলা করার পর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, সার্ভার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে বিপুল তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ফরেনসিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের অবস্থান, বক্তব্য ও যোগাযোগের নেটওয়ার্ক বিশ্লেষণ করে প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়।

তদন্তে শেখ হাসিনা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. রাব্বি আলম, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের আওয়ামী নেতা এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রভাবশালী নেতারা অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত হন।

সিআইডি বলছে, এ পর্যন্ত এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ৯১ জনকে। তাঁদের মধ্যে অনেকে অন্য মামলায় কারাগারে ছিলেন। অন্য ১৯৫ জন আসামি এখনো পলাতক।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন বলেন, ‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও সাংবিধানিক কাঠামো বিপন্ন করার মতো ষড়যন্ত্র আমরা প্রযুক্তিগতভাবে শনাক্ত করেছি। তদন্তের প্রতিটি ধাপ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সম্পন্ন হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শুরু থেকে শেষ: হংকংয়ের মাটিতে বাংলাদেশের ড্র

ভারতে দলিত পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যায় তোলপাড়, সুইসাইড নোটে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ

ভারতে আত্মহত্যা করা পুলিশকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে তদন্ত কর্মকর্তারও আত্মহত্যা, রেখে গেলেন তিন পাতার ‘সুইসাইড নোট’

বাংলাদেশ-হংকং ফুটবল ম্যাচ টিভিতে দেখাবে না, তাহলে দেখার উপায়

সখীপুরে শ্রমিক দল নেতার বিরুদ্ধে শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ