সানজিদা সামরিন, ঢাকা
বলিউডের নায়ক–নায়িকারা কী খান, তা নিয়ে বরাবরই আমাদের এক ধরণের কৌতূহল থাকে। তাঁদের মসৃণ ত্বক, ঝলমলে চুল, উজ্জ্বল দাঁত এগুলোর রহস্য কিন্তু খাবারদাবারের মাঝেও লুকিয়ে থাকে। ‘সকালের নাশতা হবে রাজার মতো, দুপুরের খাবার হবে যুবরাজের মতো আর রাতের খাওয়া হবে সাধারণ মানুষের মতো।’ জনপ্রিয় মার্কিন লেখক ও পুষ্টিবিজ্ঞানী ডেইসি এ্যাডেল ডেভিসের করা এই প্রবাদের মতো কথাটি যেন খেটে যায় বলিউডের নায়িকাদের জীবনে।
বলিউড তারকাদের অনেকেই দিনে তিন বেলা খাবার খেতে পছন্দ করেন। মাঝখানে হালকা খাবারও খান। শরীরে চর্বি না জমার জন্য কিন্তু তাঁরা কোনো বেলার খাবার বাদ দেন না। তাঁদের মধ্যে অনেকে পছন্দ করেন জম্পেশ সকালের নাশতা। এ সময় স্বাভাবিক ভাবেই তাঁরা স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু খাবার খেয়ে নেন। খাবারদাবার নিয়ে তাঁদের ব্যাপক আয়োজনের কারণেই কিন্তু আমরা রুপালি পর্দায় তাঁদের সৌন্দর্য দেখে বিমোহিত হয়ে যাই।
চলুন দেখে নেওয়া যাক, দশজন বলিউড নায়িকার সকালের নাশতার মেন্যু।
প্রিয়াংকা চোপড়া
প্রথমেই আসি সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী কথায়। সকালের নাশতায় তিনি ওমলেট টোস্ট খেতে পছন্দ করেন। কখনো কখনো এর পরিবর্তে থাকে অ্যাভোকাডো টোস্ট। এ ছাড়া পাঞ্জাবি খাবারের প্রতি প্রিয়াংকার রয়েছে অফুরান ভালোবাসা। প্রায় প্রতিদিন সকালে তিনি আলু পরোটা, দোসা, ইডলি ও পোহা খেতে ভালোবাসেন।
আনুশকা শর্মা
আনুশকা শর্মা স্বাস্থ্যকর খাবারদবার খেতে পছন্দ করেন। সকালের নাশতাতেও তাঁরা চাই স্বাস্থ্যকর সব খাবার। ঘুম থেকে উঠেই পুরি কিংবা পরোটা খাওয়ার পক্ষপাতী নন তিনি। এসবের পরিবর্তে আনুশকা ওটমিল, চিয়া সিড ও ফলসহ পরিজ খাওয়ার পক্ষপাতি। বোঝাই যাচ্ছে, ফিটনেস ফ্রিক ক্রিকেটার বিরাট কোহলির স্ত্রী এই অভিনেত্রী পুষ্টি ও স্বাস্থ্য দুটি নিয়ে ভীষণ রকম সচেতন।
দীপিকা পাড়ুকোন
দক্ষিণ ভারতীয় খাবার দারুণ পছন্দ করেন দীপিকা। দিন শুরু করেন দক্ষিণ ভারতীয় খাবার দিয়ে। ইডলি, ডালের বড়া, সবজির ঝোল ও নারকেলের চাটনি দিয়ে তিনি সকালের নাশতা সারেন। এরপর পান করে কফি। ব্যাস, এটুকুই তাঁর সকালের আহার। এ জন্যই কি দারুণ ফিগার ধরে রেখেছেন তিনি?
কারিনা কাপুর খান
কঠোর ডায়েট রুটিন মেনে চলা এই তারকাও কিন্তু আলু বা মুরগির কিমা ভরা পরোটা খেতে ভালোবাসেন। আবার পরোটার ওপর একটু মাখন লাগিয়ে নিতেও কৃপণতা করেন না কারিনা। পেলব ত্বকের জন্য মাখন খাওয়ার উপকারিতা অস্বীকার করতে পারে না ভারতীয় নারীরা। আর নবাবের বউ কারিনা সেটা বাদ দেয় কী করে! সকালের নাশতায় কখনো কখনো দোসা, ইডলি ও পোহা খেতেও তাঁর দারুণ লাগে।
মালাইকা আরোরা
ফিটনেস আর ফ্যাশন, এ দুটি বিষয়কে এক করলে যা হয়, তাই মালাইকা আরোরা। পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সে তাঁর ফিট থাকার গোপন জাদু কিন্তু লুকিয়ে আছে তাঁর জীবনযাপনের মধ্যে। এক সাক্ষাৎকারে মালাইকা বলেছিলেন, তাঁর দিনের শুরু হয় কুসুম গরম লেবুপানি পান করে। এরপর তিনি খান এক বাটি পোহা। এই পোহায় থাকে চিড়া, মৌসুমি সবজি, কারিপাতা ও প্রচুর পরিমাণে বাদাম।
কৃতি শ্যানন
ফিল্মফেয়ার কিংবা আইফার মতো পুরস্কার বাগিয়ে নেওয়া এই অভিনেত্রী কি শুধু দুর্দান্ত অভিনয় দিয়েই মন কেড়েছিলেন সবার? না। গুণের সঙ্গে রূপের মিলও ছিল। এই রূপের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তাঁর খাওয়াদাওয়া, ওয়ার্ক আউট ইত্যাদি জীবনযাপনের অনুষঙ্গ। তিনি খান বেশ সামান্যই— সকালের নাশতায় খান পাউরুটির টোস্ট ও ডিম সেদ্ধ। কখনো কখনো আজওয়াইন পরোটা খেতেও তাঁর ভালো লাগে বলে জানা যায়।
ক্যাটরিনা কাইফ
ডিম ও মিষ্টি আলু ক্যাটরিনার প্রিয় খাবার— বিষয়টা বিশ্বাস হয়? কিন্তু এটিই তাঁর সকালের নাশতা। বিস্তারিত হলো, তিনি সকালের নাশতায় ডিম পোচ, এগ বেনেডিক্ট ও ম্যাশড সুইট পটেটো মানে ওই মিষ্টি আলু খেতে ভালোবাসেন।
তাপসী পান্নু
নয়াদিল্লির জাঠ পরিবারে জন্ম নেওয়া এই নায়িকা দিনের শুরু করেন এক লিটার কুসুম গরম পানি পান করে। সঙ্গে খান আমন্ড আর আখরোট। এরপরের ধাপে তিনি পান করে শসার জুস। তারপর সকালের নাশতায় খান ছোলার ডাল ও লুচি।
আলিয়া ভাট
চকলেট আর আলু! না মানে, এই দুটি খাবার বেশ প্রিয় আলিয়া ভাটের। প্রতিদিন সকালে আলু পরোটা থাকে তাঁর নাশতার টেবিলে। আর শুটিংয়ের ফাঁকে শরীরে শক্তি জোগাতে ডার্ক চকলেটে কামড় বসান তিনি।
শিল্পা শেঠি
বলিউড পাড়ায় ফিটনেস ফ্রিক হিসেবে যে কয়েকজন নায়িকার খ্যাতি আছে তাঁদের মধ্যে অন্যতম শিল্পা শেঠি। কঠোর ডায়েট মেনে চলেন তিনি। তবে দক্ষিণ ভারতীয় খাবার তাঁর দরুন প্রিয়। সকালের নাশতায় প্রায়ই তিনি ইডলি, দোসা, সাম্বার খেয়ে থাকেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
ছবি: ইনস্টাগ্রাম
বলিউডের নায়ক–নায়িকারা কী খান, তা নিয়ে বরাবরই আমাদের এক ধরণের কৌতূহল থাকে। তাঁদের মসৃণ ত্বক, ঝলমলে চুল, উজ্জ্বল দাঁত এগুলোর রহস্য কিন্তু খাবারদাবারের মাঝেও লুকিয়ে থাকে। ‘সকালের নাশতা হবে রাজার মতো, দুপুরের খাবার হবে যুবরাজের মতো আর রাতের খাওয়া হবে সাধারণ মানুষের মতো।’ জনপ্রিয় মার্কিন লেখক ও পুষ্টিবিজ্ঞানী ডেইসি এ্যাডেল ডেভিসের করা এই প্রবাদের মতো কথাটি যেন খেটে যায় বলিউডের নায়িকাদের জীবনে।
বলিউড তারকাদের অনেকেই দিনে তিন বেলা খাবার খেতে পছন্দ করেন। মাঝখানে হালকা খাবারও খান। শরীরে চর্বি না জমার জন্য কিন্তু তাঁরা কোনো বেলার খাবার বাদ দেন না। তাঁদের মধ্যে অনেকে পছন্দ করেন জম্পেশ সকালের নাশতা। এ সময় স্বাভাবিক ভাবেই তাঁরা স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু খাবার খেয়ে নেন। খাবারদাবার নিয়ে তাঁদের ব্যাপক আয়োজনের কারণেই কিন্তু আমরা রুপালি পর্দায় তাঁদের সৌন্দর্য দেখে বিমোহিত হয়ে যাই।
চলুন দেখে নেওয়া যাক, দশজন বলিউড নায়িকার সকালের নাশতার মেন্যু।
প্রিয়াংকা চোপড়া
প্রথমেই আসি সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী কথায়। সকালের নাশতায় তিনি ওমলেট টোস্ট খেতে পছন্দ করেন। কখনো কখনো এর পরিবর্তে থাকে অ্যাভোকাডো টোস্ট। এ ছাড়া পাঞ্জাবি খাবারের প্রতি প্রিয়াংকার রয়েছে অফুরান ভালোবাসা। প্রায় প্রতিদিন সকালে তিনি আলু পরোটা, দোসা, ইডলি ও পোহা খেতে ভালোবাসেন।
আনুশকা শর্মা
আনুশকা শর্মা স্বাস্থ্যকর খাবারদবার খেতে পছন্দ করেন। সকালের নাশতাতেও তাঁরা চাই স্বাস্থ্যকর সব খাবার। ঘুম থেকে উঠেই পুরি কিংবা পরোটা খাওয়ার পক্ষপাতী নন তিনি। এসবের পরিবর্তে আনুশকা ওটমিল, চিয়া সিড ও ফলসহ পরিজ খাওয়ার পক্ষপাতি। বোঝাই যাচ্ছে, ফিটনেস ফ্রিক ক্রিকেটার বিরাট কোহলির স্ত্রী এই অভিনেত্রী পুষ্টি ও স্বাস্থ্য দুটি নিয়ে ভীষণ রকম সচেতন।
দীপিকা পাড়ুকোন
দক্ষিণ ভারতীয় খাবার দারুণ পছন্দ করেন দীপিকা। দিন শুরু করেন দক্ষিণ ভারতীয় খাবার দিয়ে। ইডলি, ডালের বড়া, সবজির ঝোল ও নারকেলের চাটনি দিয়ে তিনি সকালের নাশতা সারেন। এরপর পান করে কফি। ব্যাস, এটুকুই তাঁর সকালের আহার। এ জন্যই কি দারুণ ফিগার ধরে রেখেছেন তিনি?
কারিনা কাপুর খান
কঠোর ডায়েট রুটিন মেনে চলা এই তারকাও কিন্তু আলু বা মুরগির কিমা ভরা পরোটা খেতে ভালোবাসেন। আবার পরোটার ওপর একটু মাখন লাগিয়ে নিতেও কৃপণতা করেন না কারিনা। পেলব ত্বকের জন্য মাখন খাওয়ার উপকারিতা অস্বীকার করতে পারে না ভারতীয় নারীরা। আর নবাবের বউ কারিনা সেটা বাদ দেয় কী করে! সকালের নাশতায় কখনো কখনো দোসা, ইডলি ও পোহা খেতেও তাঁর দারুণ লাগে।
মালাইকা আরোরা
ফিটনেস আর ফ্যাশন, এ দুটি বিষয়কে এক করলে যা হয়, তাই মালাইকা আরোরা। পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সে তাঁর ফিট থাকার গোপন জাদু কিন্তু লুকিয়ে আছে তাঁর জীবনযাপনের মধ্যে। এক সাক্ষাৎকারে মালাইকা বলেছিলেন, তাঁর দিনের শুরু হয় কুসুম গরম লেবুপানি পান করে। এরপর তিনি খান এক বাটি পোহা। এই পোহায় থাকে চিড়া, মৌসুমি সবজি, কারিপাতা ও প্রচুর পরিমাণে বাদাম।
কৃতি শ্যানন
ফিল্মফেয়ার কিংবা আইফার মতো পুরস্কার বাগিয়ে নেওয়া এই অভিনেত্রী কি শুধু দুর্দান্ত অভিনয় দিয়েই মন কেড়েছিলেন সবার? না। গুণের সঙ্গে রূপের মিলও ছিল। এই রূপের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তাঁর খাওয়াদাওয়া, ওয়ার্ক আউট ইত্যাদি জীবনযাপনের অনুষঙ্গ। তিনি খান বেশ সামান্যই— সকালের নাশতায় খান পাউরুটির টোস্ট ও ডিম সেদ্ধ। কখনো কখনো আজওয়াইন পরোটা খেতেও তাঁর ভালো লাগে বলে জানা যায়।
ক্যাটরিনা কাইফ
ডিম ও মিষ্টি আলু ক্যাটরিনার প্রিয় খাবার— বিষয়টা বিশ্বাস হয়? কিন্তু এটিই তাঁর সকালের নাশতা। বিস্তারিত হলো, তিনি সকালের নাশতায় ডিম পোচ, এগ বেনেডিক্ট ও ম্যাশড সুইট পটেটো মানে ওই মিষ্টি আলু খেতে ভালোবাসেন।
তাপসী পান্নু
নয়াদিল্লির জাঠ পরিবারে জন্ম নেওয়া এই নায়িকা দিনের শুরু করেন এক লিটার কুসুম গরম পানি পান করে। সঙ্গে খান আমন্ড আর আখরোট। এরপরের ধাপে তিনি পান করে শসার জুস। তারপর সকালের নাশতায় খান ছোলার ডাল ও লুচি।
আলিয়া ভাট
চকলেট আর আলু! না মানে, এই দুটি খাবার বেশ প্রিয় আলিয়া ভাটের। প্রতিদিন সকালে আলু পরোটা থাকে তাঁর নাশতার টেবিলে। আর শুটিংয়ের ফাঁকে শরীরে শক্তি জোগাতে ডার্ক চকলেটে কামড় বসান তিনি।
শিল্পা শেঠি
বলিউড পাড়ায় ফিটনেস ফ্রিক হিসেবে যে কয়েকজন নায়িকার খ্যাতি আছে তাঁদের মধ্যে অন্যতম শিল্পা শেঠি। কঠোর ডায়েট মেনে চলেন তিনি। তবে দক্ষিণ ভারতীয় খাবার তাঁর দরুন প্রিয়। সকালের নাশতায় প্রায়ই তিনি ইডলি, দোসা, সাম্বার খেয়ে থাকেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে মুসলিম ভ্রমণকারীর সংখ্যা দাঁড়াবে ২৪৫ মিলিয়ন। তখন মুসলিম পর্যটকদের ভ্রমণ ব্যয় দাঁড়াবে প্রায় ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৫ সালের ‘টপ মুসলিম-ফ্রেন্ডলি ডেস্টিনেশন অব দ্য ইয়ার’ খেতাব পেয়েছে মালয়েশিয়া।
২৫ মিনিট আগেতিব্বত অঞ্চলের খাবার হলেও মোমো এখন আমাদের দেশে পাওয়া যায়। রাস্তার মোড়ে কিংবা গলির দোকানে এখন হরেক স্বাদের মোমোর দেখা মেলে। একেবারে তিব্বতি বা নেপালি মোমো এখানে তৈরি হওয়া সম্ভব নয় উপকরণের স্বল্পতার কারণে। তাই নিজের মতো করে তৈরি করে নিতে পারেন এ খাবার।
৫ ঘণ্টা আগেশখ ডিপ্রেশনের লক্ষণ কমাতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এটি মানসিক রোগ হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। একই সঙ্গে ইতিমধ্যে ডিপ্রেশনে ভোগা রোগীদের মধ্যে যাঁরা অন্তত একটি শখ পূরণে কাজ শুরু করেছেন, তাঁদের সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ২৭২ শতাংশ বেশি।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রতিদিন কিছু না কিছু ভুলে যাওয়ার অভ্যাস আমাদের সবারই আছে। কখনো কোনো শব্দ জিভের ডগায় এসে আটকে যায়, আবার কখনো ঘরে ঢুকে ভুলে যাই কেন এসেছিলাম। কিংবা চাবি, মোবাইল ফোন বা চশমা কোথায় রাখলাম, তা মনেই পড়ে না।
১ দিন আগে