ফিচার ডেস্ক
থাইল্যান্ড ভ্রমণ মানে বেশির ভাগ পর্যটকের কাছে ব্যাংক বা ফুকেট। কিন্তু যাঁরা প্রকৃতির কাছাকাছি গিয়ে ভ্রমণ উপভোগ করতে চান, তাঁদের জন্য উত্তরাঞ্চলের শহর চিয়াং মাই শহরকে স্বর্গ বললে ভুল হবে না। পাহাড়, নদী, অরণ্য আর সংস্কৃতির মেলবন্ধনে এই চিয়াং মাই শহর। এই গন্তব্যে কখন যাওয়া সবচেয়ে ভালো, সেটি আগে থাকা জানা জরুরি। কারণ, আবহাওয়া ও ঋতুর ওপর এখনকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নির্ভর করে।
নভেম্বর থেকে জানুয়ারি, ভ্রমণের সেরা মৌসুম
বৃষ্টির মৌসুম শেষ হয় নভেম্বরে। আকাশ তখন পরিষ্কার থাকে, দিনের বেলা রোদ ঝলমলে আর রাতে বয় শীতল হাওয়া। ১২-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রা নেমে আসে। হাঁটাহাঁটি করা, পাহাড়ে ওঠা বা খোলা আকাশের নিচে ঘুরে বেড়ানোর জন্য এটি সবচেয়ে দারুণ সময়।
এই মৌসুমে চিয়াং মাইয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বেশি উপভোগ করা যায়; বিশেষ করে দোই লুয়াং চিয়াং দাও পাহাড় পর্যটকদের বেশ আকৃষ্ট করে। প্রতিদিন সীমিতসংখ্যক মানুষকে সেখানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। একবার গিয়ে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত দেখলে অপেক্ষার সব কষ্ট ভুলে যাবেন।
শহরে এই সময় নানা উৎসবও উদ্যাপিত হয়। নভেম্বর মাসের পূর্ণিমায় উদ্যাপিত হয় লই ক্রাথং উৎসব। মানুষ তখন ফুল ও প্রদীপ সাজানো ছোট নৌকা পানিতে ভাসিয়ে দেয়। একই সঙ্গে হয় উত্তর থাইল্যান্ডের বিখ্যাত ইয়ি পেং লন্ঠন উৎসব। সেখানে হাজারো কাগজের লন্ঠন আকাশে ওড়ানো হয়। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে আরও নানা সাংস্কৃতিক ও সংগীত উৎসবের আয়োজন করা হয়। তাই যারা উৎসবপ্রিয়, তাদের জন্য এ সময়ই সেরা।
ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল: স্মোকি সিজন
এই সময়কে বলা হয় ‘স্মোকি সিজন’। তখন কৃষিজমি পরিষ্কার করতে আগুন দেওয়া হয়। বনজঙ্গলে অগ্নিকাণ্ডের কারণে পুরো চিয়াং মাই ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। বাতাসে ভেসে বেড়ায় ধূলিকণা। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এ সময় শহর প্রায়ই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে উঠে আসে। ধোঁয়ার কারণে শহরের স্বাভাবিক প্রাণচাঞ্চল্য অনেকটা কমে যায়। বড় কোনো উৎসব বা আয়োজনও থাকে না। তাই পর্যটকদের জন্য এই সময় ভ্রমণ একেবারেই উচিত নয়। তবে এপ্রিলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। তখন শুরু হয় থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় উৎসব সংক্রান।
এপ্রিল: সংক্রান উৎসবের রং
এপ্রিল মাসে থাইল্যান্ডে উদ্যাপিত হয় সংক্রান উৎসব বা থাই নববর্ষ। এটি মূলত পানির উৎসব। রাস্তায় রাস্তায় মানুষ একে অপরকে পানি ছিটিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। চিয়াং মাই শহর এই উৎসবের জন্য বিখ্যাত। পরিবারের ছোট-বড় সবাই এতে অংশ নেয়। পর্যটকদের জন্য সতর্কবার্তা হলো, ভিজতে না চাইলে বা সঙ্গে শিশু থাকলে পুরোনো শহরের বাইরে হোটেল নেওয়াই ভালো। প্রয়োজনে উৎসবে ঢুঁ মেরে আবার ফিরে আসতে পারবেন। এপ্রিল মাসে পাওয়া যায় মৌসুমি ফল আম ও মাংগোস্টিন। এ ছাড়া স্থানীয় বাজারে মেলে লাল পিঁপড়ের ডিম দিয়ে বানানো বিশেষ খাবার। কখনো ঝোল, কখনো ভাজা ওমলেট। চিয়াং মাইয়ের ওয়ারোরট মার্কেট এসব খাবারের জন্য পরিচিত।
মে থেকে অক্টোবর: সবুজ প্রকৃতি আর বর্ষার রূপ
এই সময়ে থাইল্যান্ডের বর্ষা শুরু হয়। বর্ষা মানেই সারা দিন টানা বৃষ্টি নয়। বেশির ভাগ সময় বিকেল বা সন্ধ্যায় খানিকটা বৃষ্টি নামে। তাপমাত্রা থাকে প্রায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর্দ্রতাও বেশি। বর্ষার ফলে চিয়াং মাইয়ের চারপাশের প্রকৃতি নতুন রূপে সেজে ওঠে; বিশেষ করে স্টিকি ওয়াটারফল এবং মে সা ঝর্নায় বর্ষার সময় পর্যটকদের বেশ ভিড় বাড়ে। এ সময় পাহাড়ি গ্রামে গিয়ে বাঁশের কুটিরে থাকা পর্যটকদের কাছে দারুণ অভিজ্ঞতা। এক কাপ গরম কফি হাতে মেঘের ভেতরে বসে থাকার অনুভূতি ব্যাখ্যাতীত। জুলাই মাসে পাহাড়ি শহর পাই-এ হয় জ্যাজ অ্যান্ড ব্লুজ উৎসব। সেখানে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই খোলা আকাশের নিচে চলে গানবাজনা।
চিয়াং মাই ভ্রমণের জন্য সেরা সময় নভেম্বর থেকে জানুয়ারি। তখন আবহাওয়া ঠান্ডা ও উৎসবে ভরপুর। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল ধোঁয়ার কারণে এড়ানো ভালো। তবে সংক্রান উৎসব উপভোগ করতে চাইলে এপ্রিল দারুণ সময়। আর মে থেকে অক্টোবর হলো বর্ষার সময়। যখন প্রকৃতিকে দেখা যায় সবচেয়ে সবুজ ও সতেজ রূপে। ভ্রমণে আপনি কেমন অভিজ্ঞতা চান, সেটি নির্ভর করবে চিয়াং মাই ভ্রমণের সময় নির্বাচন।
সূত্র: লোনলি প্লানেট
থাইল্যান্ড ভ্রমণ মানে বেশির ভাগ পর্যটকের কাছে ব্যাংক বা ফুকেট। কিন্তু যাঁরা প্রকৃতির কাছাকাছি গিয়ে ভ্রমণ উপভোগ করতে চান, তাঁদের জন্য উত্তরাঞ্চলের শহর চিয়াং মাই শহরকে স্বর্গ বললে ভুল হবে না। পাহাড়, নদী, অরণ্য আর সংস্কৃতির মেলবন্ধনে এই চিয়াং মাই শহর। এই গন্তব্যে কখন যাওয়া সবচেয়ে ভালো, সেটি আগে থাকা জানা জরুরি। কারণ, আবহাওয়া ও ঋতুর ওপর এখনকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নির্ভর করে।
নভেম্বর থেকে জানুয়ারি, ভ্রমণের সেরা মৌসুম
বৃষ্টির মৌসুম শেষ হয় নভেম্বরে। আকাশ তখন পরিষ্কার থাকে, দিনের বেলা রোদ ঝলমলে আর রাতে বয় শীতল হাওয়া। ১২-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রা নেমে আসে। হাঁটাহাঁটি করা, পাহাড়ে ওঠা বা খোলা আকাশের নিচে ঘুরে বেড়ানোর জন্য এটি সবচেয়ে দারুণ সময়।
এই মৌসুমে চিয়াং মাইয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বেশি উপভোগ করা যায়; বিশেষ করে দোই লুয়াং চিয়াং দাও পাহাড় পর্যটকদের বেশ আকৃষ্ট করে। প্রতিদিন সীমিতসংখ্যক মানুষকে সেখানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। একবার গিয়ে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত দেখলে অপেক্ষার সব কষ্ট ভুলে যাবেন।
শহরে এই সময় নানা উৎসবও উদ্যাপিত হয়। নভেম্বর মাসের পূর্ণিমায় উদ্যাপিত হয় লই ক্রাথং উৎসব। মানুষ তখন ফুল ও প্রদীপ সাজানো ছোট নৌকা পানিতে ভাসিয়ে দেয়। একই সঙ্গে হয় উত্তর থাইল্যান্ডের বিখ্যাত ইয়ি পেং লন্ঠন উৎসব। সেখানে হাজারো কাগজের লন্ঠন আকাশে ওড়ানো হয়। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে আরও নানা সাংস্কৃতিক ও সংগীত উৎসবের আয়োজন করা হয়। তাই যারা উৎসবপ্রিয়, তাদের জন্য এ সময়ই সেরা।
ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল: স্মোকি সিজন
এই সময়কে বলা হয় ‘স্মোকি সিজন’। তখন কৃষিজমি পরিষ্কার করতে আগুন দেওয়া হয়। বনজঙ্গলে অগ্নিকাণ্ডের কারণে পুরো চিয়াং মাই ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। বাতাসে ভেসে বেড়ায় ধূলিকণা। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এ সময় শহর প্রায়ই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে উঠে আসে। ধোঁয়ার কারণে শহরের স্বাভাবিক প্রাণচাঞ্চল্য অনেকটা কমে যায়। বড় কোনো উৎসব বা আয়োজনও থাকে না। তাই পর্যটকদের জন্য এই সময় ভ্রমণ একেবারেই উচিত নয়। তবে এপ্রিলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। তখন শুরু হয় থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় উৎসব সংক্রান।
এপ্রিল: সংক্রান উৎসবের রং
এপ্রিল মাসে থাইল্যান্ডে উদ্যাপিত হয় সংক্রান উৎসব বা থাই নববর্ষ। এটি মূলত পানির উৎসব। রাস্তায় রাস্তায় মানুষ একে অপরকে পানি ছিটিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। চিয়াং মাই শহর এই উৎসবের জন্য বিখ্যাত। পরিবারের ছোট-বড় সবাই এতে অংশ নেয়। পর্যটকদের জন্য সতর্কবার্তা হলো, ভিজতে না চাইলে বা সঙ্গে শিশু থাকলে পুরোনো শহরের বাইরে হোটেল নেওয়াই ভালো। প্রয়োজনে উৎসবে ঢুঁ মেরে আবার ফিরে আসতে পারবেন। এপ্রিল মাসে পাওয়া যায় মৌসুমি ফল আম ও মাংগোস্টিন। এ ছাড়া স্থানীয় বাজারে মেলে লাল পিঁপড়ের ডিম দিয়ে বানানো বিশেষ খাবার। কখনো ঝোল, কখনো ভাজা ওমলেট। চিয়াং মাইয়ের ওয়ারোরট মার্কেট এসব খাবারের জন্য পরিচিত।
মে থেকে অক্টোবর: সবুজ প্রকৃতি আর বর্ষার রূপ
এই সময়ে থাইল্যান্ডের বর্ষা শুরু হয়। বর্ষা মানেই সারা দিন টানা বৃষ্টি নয়। বেশির ভাগ সময় বিকেল বা সন্ধ্যায় খানিকটা বৃষ্টি নামে। তাপমাত্রা থাকে প্রায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর্দ্রতাও বেশি। বর্ষার ফলে চিয়াং মাইয়ের চারপাশের প্রকৃতি নতুন রূপে সেজে ওঠে; বিশেষ করে স্টিকি ওয়াটারফল এবং মে সা ঝর্নায় বর্ষার সময় পর্যটকদের বেশ ভিড় বাড়ে। এ সময় পাহাড়ি গ্রামে গিয়ে বাঁশের কুটিরে থাকা পর্যটকদের কাছে দারুণ অভিজ্ঞতা। এক কাপ গরম কফি হাতে মেঘের ভেতরে বসে থাকার অনুভূতি ব্যাখ্যাতীত। জুলাই মাসে পাহাড়ি শহর পাই-এ হয় জ্যাজ অ্যান্ড ব্লুজ উৎসব। সেখানে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই খোলা আকাশের নিচে চলে গানবাজনা।
চিয়াং মাই ভ্রমণের জন্য সেরা সময় নভেম্বর থেকে জানুয়ারি। তখন আবহাওয়া ঠান্ডা ও উৎসবে ভরপুর। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল ধোঁয়ার কারণে এড়ানো ভালো। তবে সংক্রান উৎসব উপভোগ করতে চাইলে এপ্রিল দারুণ সময়। আর মে থেকে অক্টোবর হলো বর্ষার সময়। যখন প্রকৃতিকে দেখা যায় সবচেয়ে সবুজ ও সতেজ রূপে। ভ্রমণে আপনি কেমন অভিজ্ঞতা চান, সেটি নির্ভর করবে চিয়াং মাই ভ্রমণের সময় নির্বাচন।
সূত্র: লোনলি প্লানেট
বিমানভাড়া দিন দিন বাড়ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লাগেজের চার্জ। এ ছাড়া আছে সিট নির্বাচনের জন্য ফি, এমনকি খাবার-পানীয়ের জন্য অতিরিক্ত খরচ। বিমানের বিজ্ঞাপনে দেখানো ভাড়ার সঙ্গে অতিরিক্ত চার্জ যোগ করার বিষয়টি বিমানযাত্রীদের জন্য বিশাল এক মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেসুইজারল্যান্ডের গ্রাউবুন্ডেন ক্যান্টনের ভেতরে অবস্থিত একটি শহর চুর; যাকে বলা হয় সুইজারল্যান্ডের প্রাচীনতম শহর। প্রাগৈতিহাসিক কালের পদচিহ্ন, রোমান সাম্রাজ্যের প্রতিধ্বনি এবং মধ্যযুগের মনোমুগ্ধকর আকর্ষণ নিয়ে এই শহর এক অনন্য ঐতিহ্য বহন করে।
৪ ঘণ্টা আগেদুধ দিয়ে সেমাই তো আছেই, তা ছাড়াও সেমাই দিয়ে কত ধরনের খাবারই না রান্না করা যায়! সবগুলোই অবশ্য ডেজার্ট। বাড়িতে কোনো আয়োজন থাকলে এবার সেমাই দিয়েই তাতে আনুন ভিন্ন স্বাদ। আপনাদের জন্য সে ধরনের একটি ডেজার্টের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৯ ঘণ্টা আগেওমিয়াকন অ্যান্টার্কটিকার বাইরে পৃথিবীর সবচেয়ে শীতলতম স্থান হিসেবে চিহ্নিত। ২০২৪ সালের এক প্রতিবেদন অনুসারে, সেখানে প্রায় দুই হাজার মানুষের বসবাস। এই জায়গায় তাপমাত্রা মাইনাস ৬৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে, যা উত্তর গোলার্ধে রেকর্ড।
১১ ঘণ্টা আগে