নাঈমুল হাসান তানযীম
জাহাজ নির্মাণ শিল্পে আরব মুসলিমরা পূর্ণ পারদর্শিতা অর্জন করেছিল। জাহাজ নির্মাণ কারখানাকে তারা ‘দারুস সানাআ’ বলত। আরবদের বদৌলতেই আজ বিশ্ববাসী নৌশিল্পে এত উৎকর্ষ সাধন করতে সক্ষম হয়েছে।
আধুনিক রণপোত শিল্প আরবরাই পত্তন করেছিল। ইউরোপের অধিবাসীরা স্পেন, সিসিলি এবং আফ্রিকায় আরবদের কাছ থেকে এই বিদ্যা শিখেছিল।
আরবরাই সর্বপ্রথম নৌ-দপ্তর প্রতিষ্ঠা করে। এই দপ্তরের নাম ছিলে ‘দিওয়ানুল উসতুল।’ এই দপ্তরের অধীনে অনেক বড় বড় ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। তাঁরা রণতরীর নতুন নতুন মডেল ও নকশা তৈরি করতেন।
মুসলমানরা তাঁদের সর্বপ্রথম ‘দারুস সানাআ’ প্রতিষ্ঠা করে হিজরি প্রথম শতাব্দীতে মিসরের ফুসতাত নামক স্থানে। আহমদ ইবনে তুলুন এই কারখানার উন্নতি বিধানে প্রাণান্ত চেষ্টা করেন। আখশেদি বংশের শাসকরাও এর সবিশেষ উন্নতি সাধন করে। ফাতিমি শাসকরা এটি ফুসতাত থেকে মাকাসে স্থানান্তর করে আরও শ্রীবৃদ্ধি ও বিস্তৃতি প্রদান করেন।
নদ-নদী ও সাগর-মহাসাগরেই ছিল তাঁদের প্রকৃত রাজস্ব। তাঁদের রণতরী যেমন দেশের প্রতিরক্ষা কাজে নিযুক্ত থাকত, তেমনি তাঁদের বাণিজ্যতরীগুলো প্রাচ্য দেশসমূহের পণ্যসম্ভার বহন করে পাশ্চাত্য দেশসমূহে পৌঁছে দিত।
ফাতিমী আমলে দুই ধরনের জাহাজ নির্মিত হতো—
এক. যুদ্ধ জাহাজ: এগুলোকে উসতুল বলা হতো। এগুলো শুধু যুদ্ধের কাজেই ব্যবহৃত হতো।
দুই. তিজারতি জাহাজ: এগুলো দ্বারা শুধু এক দেশ থেকে আরেক দেশে পণ্যসামগ্রী আনা-নেওয়া করা হতো। এগুলোকে বলা হতো নিলি জাহাজ। নিলি জাহাজগুলো উসতুল থেকে আকারে ছোট হতো। এগুলো ছোট নদ-নদীতেও যাতায়াত করতে পারত।
দারুস সানাআতে ছোট-বড় অনেক রকম যুদ্ধ জাহাজ তৈরি হতো। নামও ছিল বিভিন্ন। আকার-আকৃতি ও গঠন-প্রকৃতিও ছিল নানা রূপ। এগুলোর সমষ্টিকে উসতুল বলা হতো। এগুলোর নাম ছিল, শুনা, হারবাকা, তারবাদা, উশারিয়াত, শালান দিয়াত, মিসতাহাত। একেকটার ছিল একেকরকম বৈশিষ্ট্য। আরবি জাহাজের আকার-আকৃতি গ্রিক ও রোমান জঙ্গি জাহাজের অনুরূপ ছিল। কারণ, আরবরা এই বিদ্যা গ্রিক ও রোমকদের কাছ থেকেই শিখেছিলেন।
আরবদের যুদ্ধ জাহাজে সাধারণত এই সব রণসম্ভার মওজুদ থাকত—মিরাহ (লৌহবর্ম), খোদ (শিরস্ত্রাণ), ঢাল, নেজা, কামান, লৌহ জিঞ্জির ও মিনজানিক। মিনজানিক দ্বারা শত্রু জাহাজের ওপর প্রস্তর নিক্ষেপ করা হতো। এ ছাড়া জাহাজে থাকত যুদ্ধের প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জামাদি। থাকত অধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।
মুসলমানরা জাহাজ নির্মাণের নতুন নতুন কৌশল আবিষ্কার করেন। এসব কৌশল গ্রিক ও রোমানদের মধ্যে প্রচলিত ছিল না। ইউরোপের লোকেরা মুসলমানদের কাছ থেকে এগুলো লুফে নেয়। পরে তারা এর আরও উন্নতি সাধন করে।
সূত্র: সোনালী যুগের মুসলিম নৌশক্তি (ই. ফা. বা.)
জাহাজ নির্মাণ শিল্পে আরব মুসলিমরা পূর্ণ পারদর্শিতা অর্জন করেছিল। জাহাজ নির্মাণ কারখানাকে তারা ‘দারুস সানাআ’ বলত। আরবদের বদৌলতেই আজ বিশ্ববাসী নৌশিল্পে এত উৎকর্ষ সাধন করতে সক্ষম হয়েছে।
আধুনিক রণপোত শিল্প আরবরাই পত্তন করেছিল। ইউরোপের অধিবাসীরা স্পেন, সিসিলি এবং আফ্রিকায় আরবদের কাছ থেকে এই বিদ্যা শিখেছিল।
আরবরাই সর্বপ্রথম নৌ-দপ্তর প্রতিষ্ঠা করে। এই দপ্তরের নাম ছিলে ‘দিওয়ানুল উসতুল।’ এই দপ্তরের অধীনে অনেক বড় বড় ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। তাঁরা রণতরীর নতুন নতুন মডেল ও নকশা তৈরি করতেন।
মুসলমানরা তাঁদের সর্বপ্রথম ‘দারুস সানাআ’ প্রতিষ্ঠা করে হিজরি প্রথম শতাব্দীতে মিসরের ফুসতাত নামক স্থানে। আহমদ ইবনে তুলুন এই কারখানার উন্নতি বিধানে প্রাণান্ত চেষ্টা করেন। আখশেদি বংশের শাসকরাও এর সবিশেষ উন্নতি সাধন করে। ফাতিমি শাসকরা এটি ফুসতাত থেকে মাকাসে স্থানান্তর করে আরও শ্রীবৃদ্ধি ও বিস্তৃতি প্রদান করেন।
নদ-নদী ও সাগর-মহাসাগরেই ছিল তাঁদের প্রকৃত রাজস্ব। তাঁদের রণতরী যেমন দেশের প্রতিরক্ষা কাজে নিযুক্ত থাকত, তেমনি তাঁদের বাণিজ্যতরীগুলো প্রাচ্য দেশসমূহের পণ্যসম্ভার বহন করে পাশ্চাত্য দেশসমূহে পৌঁছে দিত।
ফাতিমী আমলে দুই ধরনের জাহাজ নির্মিত হতো—
এক. যুদ্ধ জাহাজ: এগুলোকে উসতুল বলা হতো। এগুলো শুধু যুদ্ধের কাজেই ব্যবহৃত হতো।
দুই. তিজারতি জাহাজ: এগুলো দ্বারা শুধু এক দেশ থেকে আরেক দেশে পণ্যসামগ্রী আনা-নেওয়া করা হতো। এগুলোকে বলা হতো নিলি জাহাজ। নিলি জাহাজগুলো উসতুল থেকে আকারে ছোট হতো। এগুলো ছোট নদ-নদীতেও যাতায়াত করতে পারত।
দারুস সানাআতে ছোট-বড় অনেক রকম যুদ্ধ জাহাজ তৈরি হতো। নামও ছিল বিভিন্ন। আকার-আকৃতি ও গঠন-প্রকৃতিও ছিল নানা রূপ। এগুলোর সমষ্টিকে উসতুল বলা হতো। এগুলোর নাম ছিল, শুনা, হারবাকা, তারবাদা, উশারিয়াত, শালান দিয়াত, মিসতাহাত। একেকটার ছিল একেকরকম বৈশিষ্ট্য। আরবি জাহাজের আকার-আকৃতি গ্রিক ও রোমান জঙ্গি জাহাজের অনুরূপ ছিল। কারণ, আরবরা এই বিদ্যা গ্রিক ও রোমকদের কাছ থেকেই শিখেছিলেন।
আরবদের যুদ্ধ জাহাজে সাধারণত এই সব রণসম্ভার মওজুদ থাকত—মিরাহ (লৌহবর্ম), খোদ (শিরস্ত্রাণ), ঢাল, নেজা, কামান, লৌহ জিঞ্জির ও মিনজানিক। মিনজানিক দ্বারা শত্রু জাহাজের ওপর প্রস্তর নিক্ষেপ করা হতো। এ ছাড়া জাহাজে থাকত যুদ্ধের প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জামাদি। থাকত অধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।
মুসলমানরা জাহাজ নির্মাণের নতুন নতুন কৌশল আবিষ্কার করেন। এসব কৌশল গ্রিক ও রোমানদের মধ্যে প্রচলিত ছিল না। ইউরোপের লোকেরা মুসলমানদের কাছ থেকে এগুলো লুফে নেয়। পরে তারা এর আরও উন্নতি সাধন করে।
সূত্র: সোনালী যুগের মুসলিম নৌশক্তি (ই. ফা. বা.)
বিয়ে দুজন মানুষের সম্পর্কের স্বীকৃতি। ভালোবাসা, আস্থা, দায়িত্ববোধ ও সহনশীলতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে এই সম্পর্ক। বিয়ের মাধ্যমে একজন মানুষ তার জীবনের সঙ্গীকে খুঁজে পায়, যার সঙ্গে ভাগ করে নেয় সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা।
৯ ঘণ্টা আগেকবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা এই পঙ্ক্তিগুলো শুধু কাব্যের সৌন্দর্য নয়, এগুলো একটি চেতনার ঘোষণা। কাজী নজরুল ইসলাম এই চার লাইনের মধ্যে তুলে ধরেছেন ইসলামের সর্বজনীনতা, সাম্যের দীক্ষা এবং মানবতাবাদের এক অভিন্ন বার্তা। কিন্তু আমরা যখন এই কবিতার আলোকে বর্তমান বাংলাদেশের দিকে তাকাই, তখন অনেক প্রশ্ন ভিড়...
২১ ঘণ্টা আগেমানুষ হিসেবে আমাদের একটি স্বভাবজাত চাহিদা হলো, আমরা নিজেদের প্রশংসা শুনতে খুব পছন্দ করি। প্রশংসা মিথ্যা হলেও বলতে বারণ করি না, শুনতেই থাকি। বরং আরও বেশি কামনা করি। এর বিপরীতে নিন্দা বা সমালোচনা একদমই সহ্য করতে পারি না। চরম বাস্তব ও সত্য হলেও সমালোচককে থামিয়ে দিই। ক্ষমতা থাকলে নিন্দুককে দমিয়ে দিই...
১ দিন আগেসুখী সংসার গঠনে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হয়। বিশেষ করে স্বামীকে হতে হয় খুব সচেতন, দায়িত্ববান এবং চিন্তাশীল। ঘরে ফিরে স্ত্রীর সঙ্গে তাকে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করা সচেতন পুরুষের পরিচয়। এটি নবী করিম (সা.)-এর সুন্নত। এতে অত্যন্ত সওয়াবও পাওয়া যায়।
১ দিন আগে