
জমাদিউল আউয়ালের দ্বিতীয় জুমা আমাদের শেখায়—জীবনের প্রতিটি জুমা হতে পারে একটি নতুন শুরু, যদি আমরা অন্তর দিয়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার চেষ্টা করি। তাই এই জুমা হোক আত্মার জাগরণের সূচনা। পাপমুক্ত জীবনের শপথ, আর আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের প্রেরণা।

ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...

রবিউস সানির এই জুমা আমাদের শেখায় যে ধর্ম কেবল রীতিনীতি নয়, বরং আত্মার পরিচর্যা। প্রতিটি আমলের মাধ্যমে আমরা শুধু ইবাদত করি না, বরং নিজেদের হৃদয়কে পরিশুদ্ধ করি। এই বদলটাই জুমার আসল মাহাত্ম্য। এদিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—তুমি এখনো বদলাতে পারো, তুমি এখনো ভালো হতে পারো।

ইসলামি পঞ্জিকা অনুযায়ী রবিউস সানি মাসের তৃতীয় জুমা মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। জুমা আমাদের জন্য সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। আল্লাহ তাআলা কোরআনে আমাদের স্মরণ করিয়েছেন, ‘হে ইমানদারগণ, যখন জুমার দিন নামাজের জন্য ডাক পাও, তখন ব্যবসা বন্ধ করো এবং আল্লাহর স্মরণে চলে যাও। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম।’