আবরার নাঈম, ইসলামবিষয়ক গবেষক
দান উৎকৃষ্ট ইবাদত। মহানবী (সা.) ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে দানশীল। দানের ক্ষেত্রে দাতার জন্য কর্তব্য হলো, ভালো, উৎকৃষ্ট এবং প্রিয় জিনিস দান করা। ব্যবহারের অনুপযোগী, নষ্ট ও পচা জিনিস দান করা অনুচিত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা কখনো পুণ্য হাসিল করতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমাদের প্রিয় বস্তু থেকে কিছু ব্যয় করো।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯২)
দান-সদকা প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে—দুভাবেই করা যায়। ক্ষেত্রবিশেষে দুটোই উত্তম। যদি প্রকাশ্যে দান করলে অন্য মানুষ দানে আগ্রহী হয়, তাহলে প্রকাশ্য দানই প্রশংসনীয়। তবে মানুষের প্রশংসা কুড়ানোর মানসিকতা রাখা যাবে না। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা যদি প্রকাশ্যে দান করো, তবে তা কত ভালো! আর যদি তা গোপনে করো এবং গরিবদের কাছে পৌঁছে দাও, তা-ও তোমাদের জন্য উত্তম।’ (সূরা বাকারাহ-২৭১)
যেসব কারণে দানের সওয়াব নষ্ট হয়, তা হলো—
এক. রিয়া বা মানুষের প্রশংসা পাওয়ার আশায়। ইয়ালা বিন শাদ্দাদ থেকে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা শাদ্দাদ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘আমরা নবী (সা.)-এর যুগে রিয়াকে ছোট শিরক হিসেবে গণ্য করতাম।’ (আত তারগিব ওয়াত তাহরিব: ৩৫)
দুই. দানের পর খোঁটা দেওয়া। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। পিতামাতার অবাধ্য সন্তান, মাদকাসক্ত ব্যক্তি (যে মদ্যপ তওবা ছাড়া মৃত্যুবরণ করে) এবং দানকৃত বস্তুর খোঁটা দানকারী ব্যক্তি।’ (নাসায়ি: ২৫৬২)
তিন. দান ফিরিয়ে নেওয়া। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তুমি তোমার কৃত দান ফেরত নিয়ো না।’ (ইবনে মাজাহ: ২৩৯০)
আবরার নাঈম, ইসলামবিষয়ক গবেষক
দান উৎকৃষ্ট ইবাদত। মহানবী (সা.) ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে দানশীল। দানের ক্ষেত্রে দাতার জন্য কর্তব্য হলো, ভালো, উৎকৃষ্ট এবং প্রিয় জিনিস দান করা। ব্যবহারের অনুপযোগী, নষ্ট ও পচা জিনিস দান করা অনুচিত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা কখনো পুণ্য হাসিল করতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমাদের প্রিয় বস্তু থেকে কিছু ব্যয় করো।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯২)
দান-সদকা প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে—দুভাবেই করা যায়। ক্ষেত্রবিশেষে দুটোই উত্তম। যদি প্রকাশ্যে দান করলে অন্য মানুষ দানে আগ্রহী হয়, তাহলে প্রকাশ্য দানই প্রশংসনীয়। তবে মানুষের প্রশংসা কুড়ানোর মানসিকতা রাখা যাবে না। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা যদি প্রকাশ্যে দান করো, তবে তা কত ভালো! আর যদি তা গোপনে করো এবং গরিবদের কাছে পৌঁছে দাও, তা-ও তোমাদের জন্য উত্তম।’ (সূরা বাকারাহ-২৭১)
যেসব কারণে দানের সওয়াব নষ্ট হয়, তা হলো—
এক. রিয়া বা মানুষের প্রশংসা পাওয়ার আশায়। ইয়ালা বিন শাদ্দাদ থেকে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা শাদ্দাদ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘আমরা নবী (সা.)-এর যুগে রিয়াকে ছোট শিরক হিসেবে গণ্য করতাম।’ (আত তারগিব ওয়াত তাহরিব: ৩৫)
দুই. দানের পর খোঁটা দেওয়া। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। পিতামাতার অবাধ্য সন্তান, মাদকাসক্ত ব্যক্তি (যে মদ্যপ তওবা ছাড়া মৃত্যুবরণ করে) এবং দানকৃত বস্তুর খোঁটা দানকারী ব্যক্তি।’ (নাসায়ি: ২৫৬২)
তিন. দান ফিরিয়ে নেওয়া। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তুমি তোমার কৃত দান ফেরত নিয়ো না।’ (ইবনে মাজাহ: ২৩৯০)
আবরার নাঈম, ইসলামবিষয়ক গবেষক
কোরআন তিলাওয়াত মোমিনের হৃদয়ের প্রশান্তি ও আত্মার খোরাক। এর প্রতিটি আয়াতে রয়েছে অসীম জ্ঞান, দিকনির্দেশনা ও রহমতের বাণী। কোরআন তিলাওয়াতের মুগ্ধতা অন্তর বিগলিত করে, মনে প্রশান্তি আনে, আত্মা আলোকিত করে। নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত মোমিন জীবনে সার্থকতা এনে দিতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগেমানুষের প্রতি সম্মান একটি মৌলিক মানবিক গুণ, যা সমাজে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির ভিত্তি গড়ে তোলে। প্রত্যেক মানুষ তার মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, এবং একে অপরকে সম্মান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ধর্ম, বর্ণ, জাতি কিংবা পেশা ভেদে কাউকে ছোট করা মানবতার পরিপন্থী। সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে পারস্পরিক...
২ দিন আগেসপ্তাহের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমাবার। জুমাবারের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ এই দিন অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ—এর অন্যতম কারণ জুমার নামাজ। জুমার নামাজ আদায় করলেই কেবল এই দিনের বরকত, ফজিলত লাভের আশা করা যায়।
২ দিন আগেএক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি।
২ দিন আগে