মা—ছোট্ট এ শব্দের মাঝে লুকিয়ে রয়েছে ভালোবাসা, ত্যাগ ও স্নেহের প্রতিচ্ছবি। সন্তানের জন্য মা নিজের আরাম-আয়েশ, ঘুম, এমনকি জীবন পর্যন্ত ত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকেন। মা শুধু সন্তান জন্মই দেন না; বরং তার মানসিক, নৈতিক ও আত্মিক গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি সন্তানের প্রথম শিক্ষিকা...
গোটা পৃথিবীটাই এখন হাতের মুঠোয়। হজ ব্যবস্থাপনায়ও প্রযুক্তি আর উদ্ভাবনীর সন্নিবেশ ঘটেছে। হজের নিবন্ধন, তাঁবু বরাদ্দ, হোটেল ভাড়া ও অন্যান্য সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি, ভিসা প্রক্রিয়াকরণ প্রভৃতিই সম্পন্ন হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে।
আজ থেকে এক যুগেরও আগে লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে ‘হজ: জার্নি টু দ্য হার্ট অব ইসলাম’ নামে বিশ্বের প্রথম হজ-বিষয়ক প্রদর্শনীর আয়োজন হয়। প্রাচীনকাল থেকে আধুনিক যুগের হজযাত্রা, বরকতময় এ যাত্রার প্রস্তুতি, মক্কার প্রাণজুড়ানো প্রকৃতি, কাবার নয়নাভিরাম দৃশ্য, হৃদয় শীতল করা জমজম, হাজিদের স্মৃতিচারণাসহ নানা
বাদশাহ আওরঙ্গজেব আলমগীর ছিলেন উপমহাদেশের মোগল আমলের শ্রেষ্ঠতম সম্রাট। ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য ও শাসনদক্ষতার সমন্বয়ে তিনি অন্য মোগল সম্রাটদের ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। শিক্ষা-দীক্ষা, বিদ্যানুরাগ, বিচক্ষণতা, সাহসিকতা, সমরকুশলতা, উদারতা, দানশীলতা, দুনিয়াবিমুখতা, ইবাদত-বন্দেগি ও নিয়মানুবর্তিতার মতো বিরল সব গুণের
ইসলাম একটি সহজতর ও বাস্তবসম্মত জীবনব্যবস্থা। তাই কোনো ব্যক্তি যদি হজ ফরজ হওয়ার পর স্থায়ীভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং কোনোভাবেই নিজে গিয়ে হজ আদায় করতে না পারেন, তাহলে শরিয়ত তাঁকে বিকল্প ব্যবস্থা দিয়েছে। এ বিকল্প ব্যবস্থার নাম ‘বদলি হজ।’
আরবি বর্ষপঞ্জির ১১তম মাস ‘জিলকদ।’ ইসলামের পূর্বে জাহিলিয়ার যুগে আরবের লোকজন এ মাসে যুদ্ধবিগ্রহ হারাম মনে করত। কেউ কাউকে হত্যা করত না, প্রতিশোধও নিত না। যেহেতু তারা এই মাসে হত্যা বা প্রতিশোধ নেওয়া থেকে বিরত ও বসে থাকত, তাই এ মাসের নাম দেওয়া হয় ‘জুলকদাহ’ বা জিলকদ, অর্থাৎ বসে থাকার মাস।
চারটি উন্নত ও অনুপম সদ্গুণ এমন আছে, যেগুলো সাধারণত কোনো নীতিপরায়ণ, চরিত্র মাধুরীসম্পন্ন বিনয়ী ব্যক্তির হয়ে থাকে। নবীজির মধ্যে গুণগুলো ষোলো আনায় বিদ্যমান ছিল।
হজ একটি ব্যতিক্রমধর্মী ইবাদত। এটি শুধু শারীরিক ও আর্থিক সামর্থ্যবানদের ওপরই ফরজ। সামর্থ্যবানদের জীবনে একবার এই ইবাদত আদায় করা আবশ্যক। মহানবী (সা.) বলেন, ‘হজ জীবনে একবারই ফরজ। কেউ যদি একাধিকবার করে, তবে তা হবে নফল হজ।’ (সহিহ্ বুখারি: ৭২৮৮)
হৃদয়ের সৌন্দর্য প্রকাশ করে মুচকি হাসি। এই হাসি এক নিঃশব্দ ভাষা। একটি মুচকি হাসি অনেক সময় দূরের মানুষকে আপন করে তোলে। কখনো ক্লান্ত মুখে এনে দেয় প্রশান্তি। আবার কখনো এই হাসি উত্তম সদকা। আমাদের নবী (সা.) বলেন, ‘প্রতিটি ভালো কাজই সদকা। আর অন্য ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা—একটি ভালো কাজ...
হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এই ইবাদত মানুষকে আত্মশুদ্ধি, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধ শেখায়। নানা জাতি, ভাষা ও বর্ণের মুসলমান একত্র হয় এ সময়। ত্যাগ, সততা, একতা ও সমতার জানান দেয় হজ পালনের প্রতিটি বিধানে। প্রতিবছর জিলহজ মাসে মক্কার পবিত্র স্থানসমূহে নির্দিষ্ট নিয়মে পালিত হয় হজ। চলতি সপ্তাহেই শুরু...
হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি, যা মুসলমানদের জীবনে এক অনন্য রুহানি অভিজ্ঞতা। এটি শুধু শরীরের পরিশ্রম নয়, বরং আত্মার প্রশান্তি ও গুনাহ মোচনের সুবর্ণ সুযোগ। হজ যেন শুধুই একটি ভ্রমণ না হয়, বরং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের এক বাস্তব মাধ্যম হয়ে ওঠে; সে জন্য প্রয়োজন পূর্ণ প্রস্তুতি। নিচে হজের সফরের আগে...
নামাজ ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ বিধান। নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করে নেওয়া আবশ্যক। আকাশপথে সফরের সময় ফরজ নামাজ সম্ভব হলে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে রুকু-সিজদাসহ আদায় করবেন। দাঁড়ানো সম্ভব না হলে বসে স্বাভাবিকভাবে কিবলামুখী হয়ে রুকু-সিজদা করে আদায় করবেন। এভাবে নামাজ আদায় করতে পারলে পরবর্তী সময়ে তা পুনরায় আদা
দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ আমল। এই আমল মানুষকে আত্মিক পরিশুদ্ধি ও সামাজিক ভারসাম্যের দিকে নিয়ে যায়। দান গরিব-দুঃখীর কষ্ট লাঘব করে, সমাজে সহমর্মিতা গড়ে তোলে, ধনীর সম্পদে বরকত আনে এবং বিপদ-আপদ দূর করে। আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা অতিসত্বর দানের দিকে ধাবিত...
কৃতজ্ঞ বান্দা আল্লাহর কাছে প্রিয়। নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করলে তিনি খুশি হন। জীবন আরও সুন্দর করে সাজিয়ে দেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো এবং ইমান আনো, তাহলে তোমাদের শাস্তি দিয়ে আল্লাহ কী করবেন? আল্লাহ (সৎ কাজের বড়ই) পুরস্কারদাতা, সর্ববিষয়ে জ্ঞাত।’ (সুরা নিসা: ১৪৭)। অন্য এক আয়াত
লজ্জা মোমিনের ভূষণ বা অলংকার। বাহ্যিক সৌন্দর্যের চেয়ে তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। লজ্জাশীলতা কল্যাণ বয়ে আনে। হজরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, লজ্জা মঙ্গল বয়ে আনে। (সহিহ্ মুসলিমের অন্য বর্ণনায় আছে, লজ্জার সবটুকু মঙ্গলই মঙ্গল। (রিয়াজুস সালেহিন: ৬৮৭)
মানবতার এক মহান কাজ ক্ষুধার্তদের মুখে খাবার তুলে দেওয়া । ইসলামে একে অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে । এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ ( সা . ) - কে প্রশ্ন করলেন , ‘ ইসলামে কোন কাজটি শ্রেষ্ঠ ? ” তিনি বললেন , ‘ ইসলামে সবচেয়ে ভালো কাজ হচ্ছে ক্ষুধার্তকে খাবার খাওয়ানো । ' ( সহিহ্ বুখারি : ১২ ,