মানুষের প্রতি সম্মান একটি মৌলিক মানবিক গুণ, যা সমাজে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির ভিত্তি গড়ে তোলে। প্রত্যেক মানুষ তার মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, এবং একে অপরকে সম্মান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ধর্ম, বর্ণ, জাতি কিংবা পেশা ভেদে কাউকে ছোট করা মানবতার পরিপন্থী। সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে পারস্পরিক...
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রাংতা গ্রামে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে তমাল বৈদ্য (২২) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার জেরে রোববার (১৮ জুন) রাত থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যেক মানুষের জীবনে তার সঙ্গী ও বন্ধু এক গুরুত্বপূর্ণ এবং অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। বন্ধুর সংস্পর্শে মানুষের চারিত্রিক গুণাবলির ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটে। এ জন্য মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য প্রায়ই বিচার করা হয় তার বন্ধুদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলির ওপর ভিত্তি করে।
মানুষের একটি ভালো কথা যেমন একজনের মন জয় করে নিতে পারে, তেমনি একটু খারাপ বা অশোভন আচরণ মনে কষ্ট দিতে পারে। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হিসেবে আমাদের উচিত সর্বদা মানুষের সঙ্গে ভালো ও সুন্দরভাবে কথা বলা। আর ব্যবহার মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য উপাদান। ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ হিসেবে জগতের সব মানুষ...
সামাজিক সম্পর্কের অসামান্য বন্ধন দাওয়াত, যেখানে খাবারের সঙ্গে মিশে যায় আন্তরিকতা, স্নেহ ও ভালোবাসা। দেশ, ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে এই সংস্কৃতি চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। এ ছাড়া মেহমানদারি নবী-রাসুলেরও আদর্শ।
গোটা পৃথিবী ছিল ঘন অমানিশায় আচ্ছন্ন। মজলুমের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠছিল আকাশ-বাতাস। অসহায়ের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল বঞ্চনার হিমালয়। গলাকাটা প্রাণীর মতো কাতরাচ্ছিলো মায়ের জাতি। বাতাসে ভেসে আসত নিপীড়িত মানুষের করুন আর্তনাদ।
নবী করিম (সা.) ছিলেন নিষ্কলুষ চরিত্রের মানুষ। চারিত্রিক উৎকর্ষে তিনি অনন্য। যে শহরে তিনি বেড়ে উঠেছেন, সেখানে ইহুদি-নাসারাদের বসবাস ছিল। তবুও তারা নবীজির ব্যক্তিত্বে কোনো অমূলক কথা বলতে পারেননি। সত্যবাদিতা, ন্যায়পরায়ণতা, ধৈর্য, বিনয়—এসব গুণে ছিলেন তিনি গুণবান।
মানুষ মরণশীল। সবার দুয়ারেই একদিন মৃত্যু হাজির হবে। ছাড়তে হবে মায়ার পৃথিবী। রওয়ানা করতে হবে অনন্ত পথের যাত্রায়—যে যাত্রা থেকে কেউ কোনোদিন ফিরে আসে না। যেখান থেকে শুরু হয় পরকালীন জীবন।
একজন প্রকৃত মুসলমানের পরিচয় তার আচার-আচরণে প্রকাশ পায়। মুসলমানের অন্যতম গুণ হচ্ছে—সে হবে শান্তিপ্রিয়, অপরের হিতকামী। কখনও তার হাত মুখ দ্বারা কেউ কষ্ট পাবে না। বরং নিরুপদ্রবে জীবনযাপন করবে।
কারও কাছে বৃষ্টি স্মৃতির জানালা, কারও কাছে কবিতার উপকরণ। বৃষ্টি শুধু জল নয়, এক অদ্ভুত আবেগ, এক অনির্বচনীয় ভালো লাগা। বৃষ্টি আল্লাহর এক বিশেষ নিয়ামত। বৃষ্টিতে ভেজা, বৃষ্টি একটু ছুঁয়ে দেখার অনুভূতি লিখে প্রকাশ করা যাবে না। মেঘ ভেঙে নেমে আসা এই রহমতের বারিধারা ছুঁয়ে দেখা আমাদের প্রিয় নবী (সা.)-এর সুন্
হজ একটি ব্যতিক্রমধর্মী ইবাদত। এটি শুধু শারীরিক ও আর্থিক সামর্থ্যবানদের ওপরই ফরজ। সামর্থ্যবানদের জীবনে একবার এই ইবাদত আদায় করা আবশ্যক। মহানবী (সা.) বলেন, ‘হজ জীবনে একবারই ফরজ। কেউ যদি একাধিকবার করে, তবে তা হবে নফল হজ।’ (সহিহ্ বুখারি: ৭২৮৮)
কোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
কখনো কখনো জালিমের শাস্তি একটু দেরিতে হয়। এর মধ্যেও আল্লাহর বিশেষ প্রজ্ঞা নিহিত আছে। আল্লাহ জালিমকে জুলুম থেকে ফিরে আসার সর্বাত্মক সুযোগ দেন। অতঃপর যখন ধরেন, আর ছাড়েন না।
আমরা প্রতিদিন খাবার খাই। বেঁচে থাকার জন্য খাবার খাই। যদি এই খাবার গ্রহণ মহানবী (সা.)–এর দেখানো পথে হয়, তাহলে ক্ষুধা নিবারণের পাশাপাশি এর মাধ্যমে সওয়াব অর্জনেরও সুযোগ রয়েছে।
কেউ দাওয়াত দিলে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া, তার কল্যাণের জন্য দোয়া করা উচিত। এটা মহানবী (সা.) এর শিক্ষা। রাসুলুল্লাহ (সা.) কারও বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেলে মেজবানের জন্য দোয়া না করে ফিরতেন না।
রমজান জাহান্নাম থেকে মুক্তির অপার সুযোগ। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজান। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের প্রথম দশক রহমতের, দ্বিতীয় দশক মাগফিরাতের এবং তৃতীয় দশক জাহান্নাম থেকে মুক্তির।’ (মুসনাদে আহমদ)
রমজান ইবাদতের মাস। রাসুলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবিগণ এ মাসকে দারুণভাবে পালন করতেন। সবাই এ মাসে ইবাদতের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতেন। রমজানে দিনের বেলায় সিয়াম সাধনার পর রাতের বেলায় চলত কিয়ামুল্লাইল তথা তারাবি ও তাহাজ্জুদ। দীর্ঘ তারাবির...