ইসলামের বিচারব্যবস্থায় বৈষম্যের কোনো স্থান নেই। বিচারের রায় কার্যকরে বিশ্বনবী (সা.) আপনজন-ভিন্নজন, স্বজাতি-বিজাতি এবং দেশি-বিদেশি কারও মাঝেই কোনো ধরনের ভেদাভেদকে প্রশ্রয় দিতেন না। মক্কা বিজয়ের সময় আরবের সবচেয়ে কুলীন বংশ কুরাইশ গোত্রের এক মহিলা চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত হন।
পৃথিবীতে যাঁর আগমনে অন্ধকার কেটে আলো এসেছিল, যিনি এসেছেন সব মানুষের জন্য রহমত হয়ে, তিনি আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)। একজন মুসলমানের কাছে তাঁর ভালোবাসার কোনো বিকল্প নেই। কারণ নবীজিকে (সা.) ভালোবাসা মানেই আল্লাহর প্রিয় হওয়া, তাঁর সন্তুষ্টি পাওয়া। তাই দুনিয়ার সবকিছুর চেয়ে বেশি ভালোবাসতে...
মহানবী (সা.) ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব। তিনি ছিলেন দয়া ও ভালোবাসার মূর্ত প্রতীক। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবার জন্য ছিল তাঁর বুকভরা দরদ। তাঁর চরিত্রের এক অতি বিস্ময়কর দিক ছিল—সবার সঙ্গে তাঁর সুন্দর আচরণ। বিপদে-আপদে তিনি মানুষের পাশে দাঁড়াতেন এবং দুঃখ-কষ্টের কথা প্রাণ খুলে তাঁর কাছে বলা...
মানুষ সৃষ্টিকুলের মধ্যে আল্লাহর এক অসাধারণ সৃষ্টি। মহাবিশ্বের সব প্রাণীকে মানুষের অধীন করে দেওয়া হয়েছে, যাতে মানুষ তাদের থেকে উপকৃত হতে পারে এবং আল্লাহর ইবাদতে মনোনিবেশ করতে পারে। তবে এই অধীনতা জুলুমের লাইসেন্স নয়। কারণ, ইসলামে প্রাণীর প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ প্রদর্শনের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।