আবরার নাঈম
ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা।
তবে সবাই তো এক না। পৃথিবীতে এমন মানুষও আছে যারা সুবিশাল রাজত্বের মালিক হয়েও আল্লাহকে ভুলে যাননি। ক্ষমতার অপব্যবহার করেননি। এমন দু-একটি দৃষ্টান্ত নিম্নে প্রদত্ত হলো—
এক. হজরত সুলায়মান (আ.)
আল্লাহ তাআলা হজরত সুলায়মান (আ.)-কে একসঙ্গে দুটো নিয়ামত দান করেছিলেন। নবুওয়াত এবং রাজত্ব। তিনি তার সঠিক ব্যবহার করতে সক্ষমও হয়েছিলেন। তিনি আল্লাহর নিকট এমন রাজত্ব চেয়েছিলেন—যা দ্বিতীয় কাউকে দেওয়া হবে না। তাকে তা-ই দেওয়া হলো।
এমন ক্ষমতা পেয়েও তিনি ছিলেন আল্লাহর অনুগত বান্দা। জনগণের প্রতি বিন্দুমাত্র জুলুম করেননি। যার প্রশংসা করে স্বয়ং আল্লাহই বলেন, ‘আমি দাউদকে দান করলাম সুলায়মানের মতো পুত্র; সে ছিল উত্তম বান্দা। নিশ্চয়ই সে ছিল অতিশয় আল্লাহ অভিমুখী।’ (সুরা সোয়াদ: ৩০)
দুই. বাদশা জুলকারনাইন
আল্লাহর অনুগত প্রতাপশালী বাদশা ছিলেন জুলকারনাইন। ইয়াজুজ-মাজুজ কর্তৃক নির্যাতিত এক দল মানুষ যখন তার কাছে সাহায্যের আবেদন করেন, তৎক্ষণাৎ তিনি তাদের ডাকে সাড়া দেন এবং তাদের উভয়ে মধ্যে এক শক্ত প্রাচীর নির্মাণ করে দেন।
তার এ জনকল্যাণমুখী কাজের প্রশংসা করে আল্লাহ বলেন, ‘সে বলল—আমার রব আমাকে যে সামৰ্থ্য দিয়েছেন, তা-ই উৎকৃষ্ট। কাজেই তোমরা আমাকে শ্রম দ্বারা সাহায্য কর, আমি তোমাদের ও তাদের মধ্যে এক মজবুত প্রাচীর গড়ে দেব। (সুরা কাহাফ: ৯৫)
এমন বহু নজির ইতিহাসের পাতায় বিদ্যমান। বিপরীতে জুলুম ও জালেমের ভয়াবহ পরিণতও দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট। আল্লাহ জালেম বাদশা থেকে আমাদের হেফাজত করুন।
ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা।
তবে সবাই তো এক না। পৃথিবীতে এমন মানুষও আছে যারা সুবিশাল রাজত্বের মালিক হয়েও আল্লাহকে ভুলে যাননি। ক্ষমতার অপব্যবহার করেননি। এমন দু-একটি দৃষ্টান্ত নিম্নে প্রদত্ত হলো—
এক. হজরত সুলায়মান (আ.)
আল্লাহ তাআলা হজরত সুলায়মান (আ.)-কে একসঙ্গে দুটো নিয়ামত দান করেছিলেন। নবুওয়াত এবং রাজত্ব। তিনি তার সঠিক ব্যবহার করতে সক্ষমও হয়েছিলেন। তিনি আল্লাহর নিকট এমন রাজত্ব চেয়েছিলেন—যা দ্বিতীয় কাউকে দেওয়া হবে না। তাকে তা-ই দেওয়া হলো।
এমন ক্ষমতা পেয়েও তিনি ছিলেন আল্লাহর অনুগত বান্দা। জনগণের প্রতি বিন্দুমাত্র জুলুম করেননি। যার প্রশংসা করে স্বয়ং আল্লাহই বলেন, ‘আমি দাউদকে দান করলাম সুলায়মানের মতো পুত্র; সে ছিল উত্তম বান্দা। নিশ্চয়ই সে ছিল অতিশয় আল্লাহ অভিমুখী।’ (সুরা সোয়াদ: ৩০)
দুই. বাদশা জুলকারনাইন
আল্লাহর অনুগত প্রতাপশালী বাদশা ছিলেন জুলকারনাইন। ইয়াজুজ-মাজুজ কর্তৃক নির্যাতিত এক দল মানুষ যখন তার কাছে সাহায্যের আবেদন করেন, তৎক্ষণাৎ তিনি তাদের ডাকে সাড়া দেন এবং তাদের উভয়ে মধ্যে এক শক্ত প্রাচীর নির্মাণ করে দেন।
তার এ জনকল্যাণমুখী কাজের প্রশংসা করে আল্লাহ বলেন, ‘সে বলল—আমার রব আমাকে যে সামৰ্থ্য দিয়েছেন, তা-ই উৎকৃষ্ট। কাজেই তোমরা আমাকে শ্রম দ্বারা সাহায্য কর, আমি তোমাদের ও তাদের মধ্যে এক মজবুত প্রাচীর গড়ে দেব। (সুরা কাহাফ: ৯৫)
এমন বহু নজির ইতিহাসের পাতায় বিদ্যমান। বিপরীতে জুলুম ও জালেমের ভয়াবহ পরিণতও দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট। আল্লাহ জালেম বাদশা থেকে আমাদের হেফাজত করুন।
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগেইসলাম আমাদের জন্য মহান আল্লাহর এক অপরিমেয় নিয়ামত, যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। মানবজাতির হেদায়েতের জন্য তিনি অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন এবং আসমানি কিতাব নাজিল করেছেন। তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং সর্বশেষ ঐশী গ্রন্থ পবিত্র কোরআন।
৮ ঘণ্টা আগেইসলামের সত্য বাণী দ্রুতই পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। সত্যান্বেষী মানুষেরা দলে দলে আশ্রয় নিতে থাকে ইসলামের পতাকাতলে। অন্ধকার বিদূরিত হয়ে জ্বলে ওঠে সত্যের আলো। সমাজ থেকে দূর হয়ে যায় যাবতীয় পাপ, অন্যায় আর অসাধুতা। রাসুলের সংস্পর্শ লাভে একসময়ের পাষণ্ড, নির্দয় মানুষগুলোও পরিণত হয় সোনার মানুষে।
৮ ঘণ্টা আগেমুমিনের জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইবাদত হলো প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর দরুদ পাঠ করা। এটি এমন এক আমল, যা সরাসরি কোরআনের নির্দেশ এবং অসংখ্য সহিহ হাদিসে এর ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর ওপর দরুদ পাঠ করেন।
২০ ঘণ্টা আগে