নাঈমুল হাসান তানযীম
ইসলামের বিচারব্যবস্থায় বৈষম্যের কোনো স্থান নেই। বিচারের রায় কার্যকরে বিশ্বনবী (সা.) আপনজন-ভিন্নজন, স্বজাতি-বিজাতি এবং দেশি-বিদেশি কারও মাঝেই কোনো ধরনের ভেদাভেদকে প্রশ্রয় দিতেন না।
মক্কা বিজয়ের সময় আরবের সবচেয়ে কুলীন বংশ কুরাইশ গোত্রের এক মহিলা চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত হন। কুরাইশ গোত্রের লোকজন তাঁর ওপর যাতে নির্ধারিত শাস্তি প্রয়োগ করা না হয়, সে জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের পথ খুঁজতে থাকেন। রাসুল (সা.) তাঁদের এই কূটকৌশলকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন।
বর্ণিত হয়েছে, মাখজুম গোত্রের একজন মহিলা চুরি করলে তাঁর প্রতি (হদ্দ প্রয়োগের ব্যাপারে) কুরাইশগণ চিন্তিত হয়ে পড়লেন। তাঁরা বললেন, কে এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে কথা বলতে (সুপারিশ করতে) পারবেন? তখন তাঁরা বললেন, এ ব্যাপারে ওসামা ব্যতীত আর কারও হিম্মত নেই। তিনি হলেন রাসুল (সা.)-এর প্রিয় ব্যক্তি।
রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে তিনি এ ব্যাপারে কথা বললেন। তখন রাসুল (সা.) বললেন, তুমি কি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত হদ্দের ব্যাপারে সুপারিশ করতে চাও?
অতঃপর রাসুল দাঁড়িয়ে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, ‘হে লোকসকল, নিশ্চয়ই তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতগণ ধ্বংস হয়েছে এ কারণে যে তাদের মধ্যে যখন কোনো সম্ভ্রান্ত লোক চুরি করত, তখন তারা তাকে ছেড়ে দিত। আর যদি কোনো দুর্বল লোক চুরি করত, তবে তারা তার ওপর শাস্তি প্রয়োগ করত। আল্লাহর কসম, যদি মুহাম্মদের কন্যা ফাতিমাও চুরি করত, তবু নিশ্চয়ই আমি তার হাত কেটে দিতাম।’ (সহিহ মুসলিম: ৪৩০২)
ইহুদিদের দুটি গোত্রের মাঝে বিচারে বৈষম্য ছিল। রাসুল (সা.) তাদের এই বৈষম্যকে দূর করে দিলেন। আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হলো—‘তারা যদি আপনার নিকট (নিজেদের মোকদ্দমা নিয়ে) আসে, তাহলে আপনার এখতিয়ার রয়েছে তাদের বিচার করার অথবা তাদের উপেক্ষা করার। যদি আপনি (বিচার করতে) অস্বীকার করেন, তবে তারা আপনার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আর বিচার করলে ইনসাফের সঙ্গেই করবেন। কেননা আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা মায়েদা: ৪২)
আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস বলেন, বনু নাজিরের এক ব্যক্তি বনু কুরাইজার এক লোককে হত্যা করলে তারা দিয়তের অর্ধেক পরিশোধ করত। পক্ষান্তরে বনু কুরাইজা বনু নাজিরের কাউকে হত্যা করলে তাদের পূর্ণ দিয়াত দিতে হতো। ওই আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর রাসুলুল্লাহ (সা.) তাদের মাঝে সমতা প্রতিষ্ঠা করে দিলেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৩৫৯১)
ইসলামের বিচারব্যবস্থায় বৈষম্যের কোনো স্থান নেই। বিচারের রায় কার্যকরে বিশ্বনবী (সা.) আপনজন-ভিন্নজন, স্বজাতি-বিজাতি এবং দেশি-বিদেশি কারও মাঝেই কোনো ধরনের ভেদাভেদকে প্রশ্রয় দিতেন না।
মক্কা বিজয়ের সময় আরবের সবচেয়ে কুলীন বংশ কুরাইশ গোত্রের এক মহিলা চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত হন। কুরাইশ গোত্রের লোকজন তাঁর ওপর যাতে নির্ধারিত শাস্তি প্রয়োগ করা না হয়, সে জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের পথ খুঁজতে থাকেন। রাসুল (সা.) তাঁদের এই কূটকৌশলকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন।
বর্ণিত হয়েছে, মাখজুম গোত্রের একজন মহিলা চুরি করলে তাঁর প্রতি (হদ্দ প্রয়োগের ব্যাপারে) কুরাইশগণ চিন্তিত হয়ে পড়লেন। তাঁরা বললেন, কে এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে কথা বলতে (সুপারিশ করতে) পারবেন? তখন তাঁরা বললেন, এ ব্যাপারে ওসামা ব্যতীত আর কারও হিম্মত নেই। তিনি হলেন রাসুল (সা.)-এর প্রিয় ব্যক্তি।
রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে তিনি এ ব্যাপারে কথা বললেন। তখন রাসুল (সা.) বললেন, তুমি কি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত হদ্দের ব্যাপারে সুপারিশ করতে চাও?
অতঃপর রাসুল দাঁড়িয়ে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, ‘হে লোকসকল, নিশ্চয়ই তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতগণ ধ্বংস হয়েছে এ কারণে যে তাদের মধ্যে যখন কোনো সম্ভ্রান্ত লোক চুরি করত, তখন তারা তাকে ছেড়ে দিত। আর যদি কোনো দুর্বল লোক চুরি করত, তবে তারা তার ওপর শাস্তি প্রয়োগ করত। আল্লাহর কসম, যদি মুহাম্মদের কন্যা ফাতিমাও চুরি করত, তবু নিশ্চয়ই আমি তার হাত কেটে দিতাম।’ (সহিহ মুসলিম: ৪৩০২)
ইহুদিদের দুটি গোত্রের মাঝে বিচারে বৈষম্য ছিল। রাসুল (সা.) তাদের এই বৈষম্যকে দূর করে দিলেন। আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হলো—‘তারা যদি আপনার নিকট (নিজেদের মোকদ্দমা নিয়ে) আসে, তাহলে আপনার এখতিয়ার রয়েছে তাদের বিচার করার অথবা তাদের উপেক্ষা করার। যদি আপনি (বিচার করতে) অস্বীকার করেন, তবে তারা আপনার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আর বিচার করলে ইনসাফের সঙ্গেই করবেন। কেননা আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা মায়েদা: ৪২)
আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস বলেন, বনু নাজিরের এক ব্যক্তি বনু কুরাইজার এক লোককে হত্যা করলে তারা দিয়তের অর্ধেক পরিশোধ করত। পক্ষান্তরে বনু কুরাইজা বনু নাজিরের কাউকে হত্যা করলে তাদের পূর্ণ দিয়াত দিতে হতো। ওই আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর রাসুলুল্লাহ (সা.) তাদের মাঝে সমতা প্রতিষ্ঠা করে দিলেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৩৫৯১)
মানুষের মুখের ভাষা তার অন্তরের প্রতিচ্ছবি। একজন মুমিনের মুখের ভাষা শুধু তার ব্যক্তিগত আচরণ নয়; বরং তার ইমান, চরিত্র এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের পরিচায়ক। ইসলাম এমন একটি জীবনব্যবস্থা, যা মানুষের প্রতিটি দিককে শুদ্ধ ও সুন্দর করার শিক্ষা দেয়। মুখের ভাষা তার অন্যতম।
১২ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবের শহরগুলোর নামকরণের পেছনে রয়েছে ইতিহাস, ভূগোল, এবং আধ্যাত্মিকতার গভীর সম্পর্ক। মক্কা ও মদিনা থেকে শুরু করে জেদ্দা এবং নিওম পর্যন্ত, এই শহরগুলোর নাম তাদের উৎপত্তি ও তাৎপর্যকে নির্দেশ করে।
১৮ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলামের দৃষ্টিতে পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। ইসলাম শুধু ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দেয় না, বরং সামাজিক, পরিবেশগত ও আধ্যাত্মিক পরিচ্ছন্নতাকেও সমান গুরুত্ব দেয়।
১ দিন আগে