যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে জন্ম নেওয়া অভিবাসীদের সন্তানদের দেশটির নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সেই আইন বাতিল করে দেন। কিন্তু সম্প্রতি মার্কিন ফেডারেল আদালত ট্রাম্পের সেই প্রচেষ্টাকে অবৈধ বলে ঘোষণা করে সেই তাঁর নির্বাহী আদেশকে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ বা সাময়িকভাবে অবস্থানকারী পিতামাতার সন্তানদের জন্য জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের যে প্রচেষ্টা নিয়েছিলেন মার্কিন ফেডারেল আদালত সেটিকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট ফেডারেল আদালতের বিচারক ডেবোরা বোর্ডম্যান গত বুধবার এক রায়ে বলেছেন, ‘আজ, প্রায় প্রতিটি শিশু—যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছে তারা জন্মের সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন নাগরিক হয়ে যায়। এটিই আমাদের দেশের আইন ও ঐতিহ্য।’
এই রায় ট্রাম্পের ২০ জানুয়ারি দেওয়া নির্বাহী আদেশের ওপর এরই মধ্যে আরোপিত স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই রায়ের ফলে এই মামলার আইনি প্রক্রিয়া যতক্ষণ না সম্পন্ন হবে ততক্ষণ এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। এ ক্ষেত্রে বিষয়টি সমাধান হতে কয়েক মাস বা এমনকি বছরও লেগে যেতে পারে।
এই রায়ের দুই সপ্তাহ আগে সিয়াটলের একটি ফেডারেল আদালতের বিচারক ট্রাম্পের আদেশকে ‘স্পষ্টভাবে সংবিধানবিরোধী’ বলে অভিহিত করেন এবং ১৪ দিনের স্থগিতাদেশ জারি করেন। ট্রাম্প প্রশাসন এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার পরিকল্পনা করেছে এবং বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, তারা তা করবে।
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের পরিকল্পনা ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরানোর প্রচেষ্টার অংশ। তাঁর আদেশ ১৯ ফেব্রুয়ারি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তাঁর নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছিল, যদি কোনো শিশুর বাবা-মা কেউই মার্কিন নাগরিক বা বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা না হন তবে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মার্কিন নাগরিক হতে পারবে না।
বিচারক বোর্ডম্যান ট্রাম্পের আদেশকে, ‘আমাদের দেশের ২৫০ বছরের জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের ইতিহাসের বিপরীতে’ বলে রায় দেন। তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট নাগরিকত্বের ১৪ তম সংশোধনীর ধারা নিয়ে প্রেসিডেন্টের ব্যাখ্যা একপ্রকার প্রত্যাখ্যান করেছে। আসলেই, দেশের কোনো আদালতই কখনো প্রেসিডেন্টের ব্যাখ্যাকে সমর্থন করেনি।’
মামলার মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪ তম সংশোধনীর ব্যাখ্যা। এই ব্যাখ্যা ১৯ শতকে মার্কিন গৃহযুদ্ধের পরপরই গৃহীত হয়েছিল। এতে বলা হয়েছে, ‘যেসব ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ বা স্বাভাবিকীকৃত হয়েছেন এবং তাদের অধীনে নিয়ন্ত্রণাধীন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।’
ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছে, এই ধারা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকারী অ-নাগরিকদের সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত করে না এবং তারা আরও জানিয়েছে যে আদেশটি ‘প্রেসিডেন্টের লক্ষ্য অনুযায়ী দেশের ভাঙা অভিবাসন ব্যবস্থা সমাধানে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’
১৯ শতকের শেষদিকে থেকে এই সাংবিধানিক সংশোধনীর ব্যাখ্যা আদালতগুলো—এমনকি মার্কিন সুপ্রিম কোর্টও—যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করা সন্তানদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব প্রদান করে। তবে কিছু ব্যতিক্রম আছে এতে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত অন্য দেশের কূটনীতিকদের সন্তানেরা দেশটির নাগরিক বলে স্বীকৃত হবেন না।
কিন্তু রক্ষণশীলরা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তি দিচ্ছেন, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব অবৈধ অভিবাসনের জন্য একটি চুম্বক এবং ‘বার্থ টুরিজমের’ মাধ্যমে (যেসব ব্যক্তি সন্তান জন্ম দানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আসেন, যাতে তাদের সন্তান আমেরিকান নাগরিক হয়) অনেকে অনৈতিকভাবে এর ফায়দা লুটছে।
এদিকে, ২২টি ডেমোক্রেটিক পার্টিশাসিত রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল ট্রাম্পের নীতি ঠেকাতে মামলা করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এই নির্বাহী আদেশের ফলে প্রতি বছর ১ লাখ ৫০ হাজার শিশুকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা হবে। এ ছাড়া, শুক্রবার ম্যাসাচুসেটসে আরও একটি শুনানি অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ট্রাম্পের আদেশের বিরুদ্ধে ১২ টিরও বেশি রাজ্য মামলা দায়ের করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে জন্ম নেওয়া অভিবাসীদের সন্তানদের দেশটির নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সেই আইন বাতিল করে দেন। কিন্তু সম্প্রতি মার্কিন ফেডারেল আদালত ট্রাম্পের সেই প্রচেষ্টাকে অবৈধ বলে ঘোষণা করে সেই তাঁর নির্বাহী আদেশকে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ বা সাময়িকভাবে অবস্থানকারী পিতামাতার সন্তানদের জন্য জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের যে প্রচেষ্টা নিয়েছিলেন মার্কিন ফেডারেল আদালত সেটিকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট ফেডারেল আদালতের বিচারক ডেবোরা বোর্ডম্যান গত বুধবার এক রায়ে বলেছেন, ‘আজ, প্রায় প্রতিটি শিশু—যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছে তারা জন্মের সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন নাগরিক হয়ে যায়। এটিই আমাদের দেশের আইন ও ঐতিহ্য।’
এই রায় ট্রাম্পের ২০ জানুয়ারি দেওয়া নির্বাহী আদেশের ওপর এরই মধ্যে আরোপিত স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই রায়ের ফলে এই মামলার আইনি প্রক্রিয়া যতক্ষণ না সম্পন্ন হবে ততক্ষণ এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। এ ক্ষেত্রে বিষয়টি সমাধান হতে কয়েক মাস বা এমনকি বছরও লেগে যেতে পারে।
এই রায়ের দুই সপ্তাহ আগে সিয়াটলের একটি ফেডারেল আদালতের বিচারক ট্রাম্পের আদেশকে ‘স্পষ্টভাবে সংবিধানবিরোধী’ বলে অভিহিত করেন এবং ১৪ দিনের স্থগিতাদেশ জারি করেন। ট্রাম্প প্রশাসন এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার পরিকল্পনা করেছে এবং বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, তারা তা করবে।
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের পরিকল্পনা ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরানোর প্রচেষ্টার অংশ। তাঁর আদেশ ১৯ ফেব্রুয়ারি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তাঁর নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছিল, যদি কোনো শিশুর বাবা-মা কেউই মার্কিন নাগরিক বা বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা না হন তবে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মার্কিন নাগরিক হতে পারবে না।
বিচারক বোর্ডম্যান ট্রাম্পের আদেশকে, ‘আমাদের দেশের ২৫০ বছরের জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের ইতিহাসের বিপরীতে’ বলে রায় দেন। তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট নাগরিকত্বের ১৪ তম সংশোধনীর ধারা নিয়ে প্রেসিডেন্টের ব্যাখ্যা একপ্রকার প্রত্যাখ্যান করেছে। আসলেই, দেশের কোনো আদালতই কখনো প্রেসিডেন্টের ব্যাখ্যাকে সমর্থন করেনি।’
মামলার মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪ তম সংশোধনীর ব্যাখ্যা। এই ব্যাখ্যা ১৯ শতকে মার্কিন গৃহযুদ্ধের পরপরই গৃহীত হয়েছিল। এতে বলা হয়েছে, ‘যেসব ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ বা স্বাভাবিকীকৃত হয়েছেন এবং তাদের অধীনে নিয়ন্ত্রণাধীন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।’
ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছে, এই ধারা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকারী অ-নাগরিকদের সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত করে না এবং তারা আরও জানিয়েছে যে আদেশটি ‘প্রেসিডেন্টের লক্ষ্য অনুযায়ী দেশের ভাঙা অভিবাসন ব্যবস্থা সমাধানে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’
১৯ শতকের শেষদিকে থেকে এই সাংবিধানিক সংশোধনীর ব্যাখ্যা আদালতগুলো—এমনকি মার্কিন সুপ্রিম কোর্টও—যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করা সন্তানদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব প্রদান করে। তবে কিছু ব্যতিক্রম আছে এতে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত অন্য দেশের কূটনীতিকদের সন্তানেরা দেশটির নাগরিক বলে স্বীকৃত হবেন না।
কিন্তু রক্ষণশীলরা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তি দিচ্ছেন, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব অবৈধ অভিবাসনের জন্য একটি চুম্বক এবং ‘বার্থ টুরিজমের’ মাধ্যমে (যেসব ব্যক্তি সন্তান জন্ম দানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আসেন, যাতে তাদের সন্তান আমেরিকান নাগরিক হয়) অনেকে অনৈতিকভাবে এর ফায়দা লুটছে।
এদিকে, ২২টি ডেমোক্রেটিক পার্টিশাসিত রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল ট্রাম্পের নীতি ঠেকাতে মামলা করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এই নির্বাহী আদেশের ফলে প্রতি বছর ১ লাখ ৫০ হাজার শিশুকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা হবে। এ ছাড়া, শুক্রবার ম্যাসাচুসেটসে আরও একটি শুনানি অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ট্রাম্পের আদেশের বিরুদ্ধে ১২ টিরও বেশি রাজ্য মামলা দায়ের করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের কিছু এলাকা ফেরত আনার চেষ্টা করবেন তিনি। আগামী শুক্রবার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনের মূল ভূমির বড় অংশ দখল করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত মনটক এলাকাটি একসময় ছিল শান্তশিষ্ট ছেলেদের একটি গ্রাম। এখন অবশ্য তা রূপ নিয়েছে বিলাসবহুল ছুটি কাটানোর কেন্দ্রস্থলে। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের ভিড় এবং জমজমাট রাতের জীবন এলাকাটির পুরোনো চেহারা দ্রুত বদলে দিচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগেএভারেস্টের ভিড় কমাতে নেপাল সরকার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের দুর্গম ও অনাবিষ্কৃত আরও ৯৭টি শৃঙ্গ পর্বতারোহীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, নতুন উদ্যোগের ফলে এভারেস্টের ওপর চাপ কমবে এবং পর্যটন থেকে আয় দূরবর্তী দরিদ্র অঞ্চলেও পৌঁছাবে।
৫ ঘণ্টা আগেরাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে গৃহহীন মানুষদের উচ্ছেদ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিরক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে, আজ সোমবার (১১ আগস্ট) রাজধানীতে কয়েক শ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।
৭ ঘণ্টা আগে