Ajker Patrika

মিশিগানের মরমন চার্চে মৃতের সংখ্যা বাড়ল, হামলাকারী ট্রাম্পের একজন ভক্ত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০: ০৭
জ্বলছে মরমন চার্চ, ডানে হামলাকারী থমাস জেকব স্যানফোর্ড। ছবি: দ্য টাইমস
জ্বলছে মরমন চার্চ, ডানে হামলাকারী থমাস জেকব স্যানফোর্ড। ছবি: দ্য টাইমস

যুক্তরাষ্ট্রে মিশিগানের গ্র্যান্ড ব্লাঙ্কে একটি মরমন চার্চে ভয়াবহ হামলার ঘটনায় চারজন নিহত ও অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ‘চার্চ অব জিসাস ক্রাইস্ট অব ল্যাটার ডে সেইন্টস’-এ প্রার্থনার সময় এ হামলা ঘটে।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ৪০ বছর বয়সী থমাস জেকব স্যানফোর্ড গাড়ি নিয়ে চার্চের প্রধান ফটকে ঢুকে পড়েন এবং ভেতরে থাকা শতাধিক মানুষের উদ্দেশে গুলি চালান। পরে তিনি চার্চে আগুন লাগান। পুলিশ ঘটনাস্থলেই তাঁকে গুলি করে হত্যা করে।

পুলিশপ্রধান উইলিয়াম রেনিয়ে জানিয়েছেন, সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে প্রথম কল পাওয়ার মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে চার্চের পার্কিং এলাকায় স্যানফোর্ডকে ‘নিষ্ক্রিয়’ করা হয়। এ সময় ভবনটি ভয়াবহ আগুনে জ্বলতে থাকে, যা পাঁচ অ্যালার্ম সতর্কবার্তা পর্যায়ে পৌঁছায় এবং ভবনের অংশ ধসে পড়ে। আগুন নেভাতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে। উদ্ধারকর্মীরা ধারণা করছেন, ধ্বংসস্তূপের ভেতরে আরও লাশ থাকতে পারে।

হামলাকারী স্যানফোর্ড মিশিগানের বার্টন শহরের বাসিন্দা। তিনি সাবেক মার্কিন মেরিন এবং ইরাক যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন এবং সার্জেন্ট পদে উন্নীত হয়েছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর কয়েকটি ছবিতে দেখা যায়, তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক ছিলেন। গাড়িতে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা টাঙানো অবস্থায় চার্চে হামলার দৃশ্যও ধরা পড়ে।

এই হামলার উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ঘটনাস্থলে সন্দেহজনক বিস্ফোরকও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই হামলাকে ‘টার্গেটেড ভায়োলেন্স’ বা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে চালানো হামলা হিসেবে বর্ণনা করেছে এফবিআই।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য এ ঘটনাকে ‘খ্রিষ্টানদের ওপর আরেকটি আক্রমণ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের দেশে সহিংসতার এই মহামারি এখনই থামাতে হবে।’ মিশিগানের গভর্নর গ্রেচেন হুইটমারও গভীর শোক প্রকাশ করে বলেছেন, প্রার্থনার স্থান কখনো সহিংসতার মঞ্চ হতে পারে না।

চার্চ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে এ হামলাকে ‘অত্যন্ত মর্মান্তিক সহিংসতা’ বলে উল্লেখ করেছে। তারা লিখেছে, ‘উপাসনালয় শান্তি ও প্রার্থনার আশ্রয় হওয়ার কথা। আমরা আহত ও নিহত সবার জন্য প্রার্থনা করছি।’

ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দা ও হাসপাতালের ধর্মঘটরত নার্সরাও মানবিক সহায়তায় ছুটে আসেন এবং আহত ব্যক্তিদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় শহরজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত