আজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘ইউফোরিয়া’ খ্যাত অভিনেত্রী সিডনি সুইনিকে দিয়ে বিজ্ঞাপনের কারণে বেশ বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছিল আমেরিকান ইগল। জনপ্রিয় মার্কিন পোশাক ও আনুষঙ্গিক পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান আমেরিকান ইগল আউটফিটার্স, যা সাধারণত আমেরিকান ইগল নামে পরিচিত। বিতর্ক-সমালোচনা-প্রতিক্রিয়া সামলে নিয়ে এবার প্রতিষ্ঠানটি জানালো, সিডনি সুইনির সঙ্গে অংশীদারত্ব এখন পর্যন্ত কোম্পানির ‘সেরা’ বিজ্ঞাপন প্রচারণা।
বুধবার মার্কিন শেয়ারবাজারের অতিরিক্ত সময়ের লেনদেনে আমেরিকান ইগলের শেয়ারদর ২০ শতাংশেরও বেশি বেড়ে যায়। এদিন আমেরিকান ইগল সিডনি সুইনির বিজ্ঞাপনের প্রশংসা করে এবং জানায়, তাদের ২০২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আয় প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হয়েছে।
সিডনি সুইনির প্রচারণার পাশাপাশি সম্প্রতি টেইলর সুইফটের নতুন বাগদত্তা ট্র্যাভিস কেলসের সঙ্গে অংশীদারত্ব আমেরিকান ইগলকে নতুন গ্রাহক অর্জন এবং বিভিন্ন চ্যানেলে ইতিবাচক প্রবাহ আনতে সাহায্য করেছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিইও জে শটেনস্টেইন বলেন, ‘শরৎ মৌসুম ইতিবাচকভাবে শুরু হয়েছে। শক্তিশালী পণ্যের সরবরাহ এবং সিডনি সুইনি ও ট্র্যাভিস কেলসের সঙ্গে সাম্প্রতিক মার্কেটিং প্রচারণার সফলতায় আমরা গ্রাহকদের সচেতনতা, সম্পৃক্ততা এবং তুলনামূলক বিক্রয়ে উন্নতি লক্ষ করেছি। আমরা আমাদের অগ্রগতির ওপর ভিত্তি করে আরও এগিয়ে যেতে এবং আমাদের প্রতীকী ব্র্যান্ডগুলোর ধারাবাহিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বেশি মুনাফা, দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি ও শেয়ারহোল্ডারদের জন্য মূল্য সৃষ্টি করার প্রত্যাশা করছি।’
কোম্পানিটি এ বছরের শুরুর দিকে প্রত্যাহার করে নেওয়া তাদের বার্ষিক আর্থিক পূর্বাভাস পুনরায় দিয়েছে। বর্তমানে তারা আশা করছে, তাদের তুলনামূলক বিক্রি প্রায় স্থিতিশীল থাকবে, যা বাজার বিশ্লেষকদের ০.২ শতাংশ পতনের পূর্বাভাসের চেয়ে ভালো।
যদিও কোম্পানিটি এখনো মনে করছে যে পুরো বছরের জন্য গ্রস মার্জিন কম থাকবে, তবু তারা পরিচালন আয়ের দৃষ্টিভঙ্গিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে। শুল্কের প্রভাবকে বিবেচনায় নিয়ে আমেরিকান ইগল এখন তাদের পুরো বছরের পরিচালন আয় ২৫৫ মিলিয়ন থেকে ২৬৫ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে হবে বলে ধারণা করছে, যা তাদের পূর্ববর্তী ৩৬০ মিলিয়ন থেকে ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের পূর্বাভাসের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
এদিকে আমেরিকান ইগলের ত্রৈমাসিক পারফরম্যান্স ওয়ালস্ট্রিটের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। এলএসইজির পরিচালিত বিশ্লেষকদের জরিপ অনুযায়ী, কোম্পানিটি প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ফল দেখিয়েছে।
প্রতি শেয়ারের আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৫ সেন্ট, যা প্রত্যাশিত ২১ সেন্টের চেয়ে অনেক বেশি। একই সময়ে, তাদের মোট রাজস্ব ছিল ১.২৮ বিলিয়ন ডলার, যা ১.২৪ বিলিয়ন ডলারের প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে।
গত ২ আগস্টে শেষ হওয়া তিন মাসে আমেরিকান ইগলের নিট আয় ছিল ৭৭.৬ মিলিয়ন ডলার বা শেয়ারপ্রতি ৪৫ সেন্ট। এটি গত বছরের একই সময়ের নিট আয়, ৭৭.৩ মিলিয়ন ডলার বা শেয়ারপ্রতি ৩৯ সেন্টের তুলনায় সামান্য বেশি। যদিও কোম্পানির বিক্রি কিছুটা কমেছে। গত বছরের ১.২৯ বিলিয়ন ডলার থেকে তা কমে এবার ১.২৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে সামগ্রিক ফলাফল ইতিবাচক বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।
আমেরিকান ইগল বর্তমান প্রান্তিকে তুলনামূলক বিক্রি ‘লো সিঙ্গেল ডিজিট’ পরিসরে বাড়ার আশা করছে, যা বিশ্লেষকদের ০.৯% বৃদ্ধির পূর্বাভাসের চেয়ে ভালো। কোম্পানিটি প্রত্যাশা করছে, এই ইতিবাচক প্রবণতা চতুর্থ প্রান্তিকে পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
তবে, চলতি বছরে আমেরিকান ইগলের পারফরম্যান্স বেশ কিছু কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—পণ্যের সরবরাহে ভুল সিদ্ধান্ত, বর্ধিত শুল্ক এবং ভোক্তাদের মধ্যে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা। বিশেষ করে, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ভোক্তারা পোশাক ও জুতার মতো পণ্য কেনার ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক ও বাছবিচারি হয়ে উঠেছে।
এ পরিস্থিতিতে আমেরিকান ইগল ‘ব্যাক-টু-স্কুল’ শপিং সিজন শুরুর আগেই সিডনি সুইনিকে নিয়ে তাদের প্রচারণা শুরু করে। তবে এই উদ্যোগ কিছু ক্ষেত্রে উল্টো ফল দেয়। কিছু গ্রাহকের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেয়।
এই প্রচারণায় কোম্পানিটির স্লোগান ছিল, ‘Sydney Sweeney has great jeans. ’। এ স্লোগানের সমালোচনা করেন কিছু অতিবামপন্থী সমালোচক। তাঁরা এটিকে দ্বৈতার্থক এবং ইউজেনিক্সের (eugenics) প্রতি ইঙ্গিতবাহী বলে অভিযোগ করে। অন্যদিকে, ডানপন্থীরা এই প্রচারণাকে স্বাগত জানায়। এমনকি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এ বিষয়ে মন্তব্য করে এটিকে ‘সবচেয়ে হট’ বিজ্ঞাপন বলে অভিহিত করেন।
তবে বিজ্ঞাপনগুলো অতিরিক্ত যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ এবং বাস্তবতার সঙ্গে বেমানান বলে অনেকে সমালোচনা করেন। প্রশ্ন ওঠে, আমেরিকান ইগল আসলে কোন ধরনের গ্রাহককে লক্ষ্য করে এই প্রচারণা চালাচ্ছে?
গত ২৩ জুলাই আমেরিকান ইগল এই প্রচারণা শুরু করে। বিজ্ঞাপনটি সমালোচনার মুখে পড়লেও কোম্পানিটি একে সফল বলে দাবি করেছে। তাদের ভাষ্যমতে, সুইনির প্রচারণা এবং কেলসের সঙ্গে অংশীদারত্ব তাদের ব্যবসায় ‘উল্লেখযোগ্য উন্নতি’ এনেছে। চলতি প্রান্তিকে তুলনামূলক বিক্রি বেড়েছে। কোম্পানিটি আরও দাবি করে, তারা ৭ লাখ নতুন গ্রাহক অর্জন করেছে এবং আগস্ট মাসজুড়ে তাদের সব বিক্রয় মাধ্যমে ক্রেতার আনাগোনা বেড়েছে।
আমেরিকান ইগলের মতে, সুইনি প্রচারণার কারণে ডেনিম পণ্যের বিক্রি অনেক বেড়েছে। দোকানে ক্রেতাও বেড়েছে। ব্র্যান্ড সম্পর্কে ক্রেতাদের সচেতনতা ও আগ্রহ বেড়েছে। সিডনি জ্যাকেট মাত্র এক দিনেই বিক্রি হয়ে যায়। একইভাবে, বিশেষ ডিজাইন করা সিডনি জিনসগুলোও এক দিনে শেষ হয়ে যায়। সিডনি জিনসের বিক্রয়লব্ধ পুরো অর্থ মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদানকারী ‘ক্রাইসিস টেক্সট লাইন’ দান করা হয়।
এদিকে, আমেরিকান ইগল তাদের প্রচারণায় নতুন গতি এনেছে। ক্যানসাস সিটি চিফসের খেলোয়াড় ট্র্যাভিস কেলসেকে নিয়ে চালু করা একটি বিশেষ প্রচারণা, যা পপ তারকা টেইলর সুইফটের সঙ্গে কেলসের বাগদানের ঘোষণার পরদিন শুরু হয়েছিল, তাতে এক দিনেই তাদের অতীতের এক সপ্তাহের বিক্রি তিন গুণ বিক্রি হয়েছে। কেলসে এবং তার সতীর্থদের পরা অনেক পোশাকই দ্রুত বিক্রি হয়ে গেছে।
কেলসে এবং তাঁর মতো তারকাদের সঙ্গে আমেরিকান ইগলের অংশীদারত্ব থেকে বোঝা যায় যে, বাজারে যখন খরচ কিছুটা মন্দা চলছে, তখন গ্রাহকদের কাছে প্রাসঙ্গিক থাকতে এবং প্রতিযোগীদের ভিড়ে নিজেদের আলাদা করে তুলে ধরতে কোম্পানিটি এমন কৌশল অবলম্বন করছে।
তবে, আমেরিকান ইগলকে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হচ্ছে। অ্যাবারক্রোম্বি অ্যান্ড ফিচ, গ্যাপ ও লিভাইসের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীরাও একই ধরনের প্রচারণায় জোর দিয়েছে। গ্যাপ সম্প্রতি তাদের ‘বেটার ইন ডেনিম’ প্রচারে ক্যাটসআই এবং কেলিসের জনপ্রিয় গান ‘মিল্কশেক’ ব্যবহার করেছে। লিভাইস তাদের প্রচারে বিয়ন্সে-কে যুক্ত করেছে, আর অ্যাবারক্রোম্বি ক্রীড়াজগতের দিকে ঝুঁকে এনএফএলের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে।
পাশাপাশি, অনিশ্চিত শুল্ক পরিস্থিতি আমেরিকান ইগলের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কোম্পানিটি এ বছর চীনের ওপর তাদের নির্ভরতা ১০ শতাংশের নিচে নামানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু ভিয়েতনাম এবং ভারতের মতো দেশে তাদের বড় উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে, যেগুলো পারস্পরিক শুল্কনীতির আওতায় রয়েছে।

‘ইউফোরিয়া’ খ্যাত অভিনেত্রী সিডনি সুইনিকে দিয়ে বিজ্ঞাপনের কারণে বেশ বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছিল আমেরিকান ইগল। জনপ্রিয় মার্কিন পোশাক ও আনুষঙ্গিক পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান আমেরিকান ইগল আউটফিটার্স, যা সাধারণত আমেরিকান ইগল নামে পরিচিত। বিতর্ক-সমালোচনা-প্রতিক্রিয়া সামলে নিয়ে এবার প্রতিষ্ঠানটি জানালো, সিডনি সুইনির সঙ্গে অংশীদারত্ব এখন পর্যন্ত কোম্পানির ‘সেরা’ বিজ্ঞাপন প্রচারণা।
বুধবার মার্কিন শেয়ারবাজারের অতিরিক্ত সময়ের লেনদেনে আমেরিকান ইগলের শেয়ারদর ২০ শতাংশেরও বেশি বেড়ে যায়। এদিন আমেরিকান ইগল সিডনি সুইনির বিজ্ঞাপনের প্রশংসা করে এবং জানায়, তাদের ২০২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আয় প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হয়েছে।
সিডনি সুইনির প্রচারণার পাশাপাশি সম্প্রতি টেইলর সুইফটের নতুন বাগদত্তা ট্র্যাভিস কেলসের সঙ্গে অংশীদারত্ব আমেরিকান ইগলকে নতুন গ্রাহক অর্জন এবং বিভিন্ন চ্যানেলে ইতিবাচক প্রবাহ আনতে সাহায্য করেছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিইও জে শটেনস্টেইন বলেন, ‘শরৎ মৌসুম ইতিবাচকভাবে শুরু হয়েছে। শক্তিশালী পণ্যের সরবরাহ এবং সিডনি সুইনি ও ট্র্যাভিস কেলসের সঙ্গে সাম্প্রতিক মার্কেটিং প্রচারণার সফলতায় আমরা গ্রাহকদের সচেতনতা, সম্পৃক্ততা এবং তুলনামূলক বিক্রয়ে উন্নতি লক্ষ করেছি। আমরা আমাদের অগ্রগতির ওপর ভিত্তি করে আরও এগিয়ে যেতে এবং আমাদের প্রতীকী ব্র্যান্ডগুলোর ধারাবাহিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বেশি মুনাফা, দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি ও শেয়ারহোল্ডারদের জন্য মূল্য সৃষ্টি করার প্রত্যাশা করছি।’
কোম্পানিটি এ বছরের শুরুর দিকে প্রত্যাহার করে নেওয়া তাদের বার্ষিক আর্থিক পূর্বাভাস পুনরায় দিয়েছে। বর্তমানে তারা আশা করছে, তাদের তুলনামূলক বিক্রি প্রায় স্থিতিশীল থাকবে, যা বাজার বিশ্লেষকদের ০.২ শতাংশ পতনের পূর্বাভাসের চেয়ে ভালো।
যদিও কোম্পানিটি এখনো মনে করছে যে পুরো বছরের জন্য গ্রস মার্জিন কম থাকবে, তবু তারা পরিচালন আয়ের দৃষ্টিভঙ্গিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে। শুল্কের প্রভাবকে বিবেচনায় নিয়ে আমেরিকান ইগল এখন তাদের পুরো বছরের পরিচালন আয় ২৫৫ মিলিয়ন থেকে ২৬৫ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে হবে বলে ধারণা করছে, যা তাদের পূর্ববর্তী ৩৬০ মিলিয়ন থেকে ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের পূর্বাভাসের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
এদিকে আমেরিকান ইগলের ত্রৈমাসিক পারফরম্যান্স ওয়ালস্ট্রিটের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। এলএসইজির পরিচালিত বিশ্লেষকদের জরিপ অনুযায়ী, কোম্পানিটি প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ফল দেখিয়েছে।
প্রতি শেয়ারের আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৫ সেন্ট, যা প্রত্যাশিত ২১ সেন্টের চেয়ে অনেক বেশি। একই সময়ে, তাদের মোট রাজস্ব ছিল ১.২৮ বিলিয়ন ডলার, যা ১.২৪ বিলিয়ন ডলারের প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে।
গত ২ আগস্টে শেষ হওয়া তিন মাসে আমেরিকান ইগলের নিট আয় ছিল ৭৭.৬ মিলিয়ন ডলার বা শেয়ারপ্রতি ৪৫ সেন্ট। এটি গত বছরের একই সময়ের নিট আয়, ৭৭.৩ মিলিয়ন ডলার বা শেয়ারপ্রতি ৩৯ সেন্টের তুলনায় সামান্য বেশি। যদিও কোম্পানির বিক্রি কিছুটা কমেছে। গত বছরের ১.২৯ বিলিয়ন ডলার থেকে তা কমে এবার ১.২৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে সামগ্রিক ফলাফল ইতিবাচক বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।
আমেরিকান ইগল বর্তমান প্রান্তিকে তুলনামূলক বিক্রি ‘লো সিঙ্গেল ডিজিট’ পরিসরে বাড়ার আশা করছে, যা বিশ্লেষকদের ০.৯% বৃদ্ধির পূর্বাভাসের চেয়ে ভালো। কোম্পানিটি প্রত্যাশা করছে, এই ইতিবাচক প্রবণতা চতুর্থ প্রান্তিকে পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
তবে, চলতি বছরে আমেরিকান ইগলের পারফরম্যান্স বেশ কিছু কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—পণ্যের সরবরাহে ভুল সিদ্ধান্ত, বর্ধিত শুল্ক এবং ভোক্তাদের মধ্যে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা। বিশেষ করে, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ভোক্তারা পোশাক ও জুতার মতো পণ্য কেনার ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক ও বাছবিচারি হয়ে উঠেছে।
এ পরিস্থিতিতে আমেরিকান ইগল ‘ব্যাক-টু-স্কুল’ শপিং সিজন শুরুর আগেই সিডনি সুইনিকে নিয়ে তাদের প্রচারণা শুরু করে। তবে এই উদ্যোগ কিছু ক্ষেত্রে উল্টো ফল দেয়। কিছু গ্রাহকের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেয়।
এই প্রচারণায় কোম্পানিটির স্লোগান ছিল, ‘Sydney Sweeney has great jeans. ’। এ স্লোগানের সমালোচনা করেন কিছু অতিবামপন্থী সমালোচক। তাঁরা এটিকে দ্বৈতার্থক এবং ইউজেনিক্সের (eugenics) প্রতি ইঙ্গিতবাহী বলে অভিযোগ করে। অন্যদিকে, ডানপন্থীরা এই প্রচারণাকে স্বাগত জানায়। এমনকি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এ বিষয়ে মন্তব্য করে এটিকে ‘সবচেয়ে হট’ বিজ্ঞাপন বলে অভিহিত করেন।
তবে বিজ্ঞাপনগুলো অতিরিক্ত যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ এবং বাস্তবতার সঙ্গে বেমানান বলে অনেকে সমালোচনা করেন। প্রশ্ন ওঠে, আমেরিকান ইগল আসলে কোন ধরনের গ্রাহককে লক্ষ্য করে এই প্রচারণা চালাচ্ছে?
গত ২৩ জুলাই আমেরিকান ইগল এই প্রচারণা শুরু করে। বিজ্ঞাপনটি সমালোচনার মুখে পড়লেও কোম্পানিটি একে সফল বলে দাবি করেছে। তাদের ভাষ্যমতে, সুইনির প্রচারণা এবং কেলসের সঙ্গে অংশীদারত্ব তাদের ব্যবসায় ‘উল্লেখযোগ্য উন্নতি’ এনেছে। চলতি প্রান্তিকে তুলনামূলক বিক্রি বেড়েছে। কোম্পানিটি আরও দাবি করে, তারা ৭ লাখ নতুন গ্রাহক অর্জন করেছে এবং আগস্ট মাসজুড়ে তাদের সব বিক্রয় মাধ্যমে ক্রেতার আনাগোনা বেড়েছে।
আমেরিকান ইগলের মতে, সুইনি প্রচারণার কারণে ডেনিম পণ্যের বিক্রি অনেক বেড়েছে। দোকানে ক্রেতাও বেড়েছে। ব্র্যান্ড সম্পর্কে ক্রেতাদের সচেতনতা ও আগ্রহ বেড়েছে। সিডনি জ্যাকেট মাত্র এক দিনেই বিক্রি হয়ে যায়। একইভাবে, বিশেষ ডিজাইন করা সিডনি জিনসগুলোও এক দিনে শেষ হয়ে যায়। সিডনি জিনসের বিক্রয়লব্ধ পুরো অর্থ মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদানকারী ‘ক্রাইসিস টেক্সট লাইন’ দান করা হয়।
এদিকে, আমেরিকান ইগল তাদের প্রচারণায় নতুন গতি এনেছে। ক্যানসাস সিটি চিফসের খেলোয়াড় ট্র্যাভিস কেলসেকে নিয়ে চালু করা একটি বিশেষ প্রচারণা, যা পপ তারকা টেইলর সুইফটের সঙ্গে কেলসের বাগদানের ঘোষণার পরদিন শুরু হয়েছিল, তাতে এক দিনেই তাদের অতীতের এক সপ্তাহের বিক্রি তিন গুণ বিক্রি হয়েছে। কেলসে এবং তার সতীর্থদের পরা অনেক পোশাকই দ্রুত বিক্রি হয়ে গেছে।
কেলসে এবং তাঁর মতো তারকাদের সঙ্গে আমেরিকান ইগলের অংশীদারত্ব থেকে বোঝা যায় যে, বাজারে যখন খরচ কিছুটা মন্দা চলছে, তখন গ্রাহকদের কাছে প্রাসঙ্গিক থাকতে এবং প্রতিযোগীদের ভিড়ে নিজেদের আলাদা করে তুলে ধরতে কোম্পানিটি এমন কৌশল অবলম্বন করছে।
তবে, আমেরিকান ইগলকে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হচ্ছে। অ্যাবারক্রোম্বি অ্যান্ড ফিচ, গ্যাপ ও লিভাইসের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীরাও একই ধরনের প্রচারণায় জোর দিয়েছে। গ্যাপ সম্প্রতি তাদের ‘বেটার ইন ডেনিম’ প্রচারে ক্যাটসআই এবং কেলিসের জনপ্রিয় গান ‘মিল্কশেক’ ব্যবহার করেছে। লিভাইস তাদের প্রচারে বিয়ন্সে-কে যুক্ত করেছে, আর অ্যাবারক্রোম্বি ক্রীড়াজগতের দিকে ঝুঁকে এনএফএলের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে।
পাশাপাশি, অনিশ্চিত শুল্ক পরিস্থিতি আমেরিকান ইগলের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কোম্পানিটি এ বছর চীনের ওপর তাদের নির্ভরতা ১০ শতাংশের নিচে নামানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু ভিয়েতনাম এবং ভারতের মতো দেশে তাদের বড় উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে, যেগুলো পারস্পরিক শুল্কনীতির আওতায় রয়েছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘ইউফোরিয়া’ খ্যাত অভিনেত্রী সিডনি সুইনিকে দিয়ে বিজ্ঞাপনের কারণে বেশ বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছিল আমেরিকান ইগল। জনপ্রিয় মার্কিন পোশাক ও আনুষঙ্গিক পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান আমেরিকান ইগল আউটফিটার্স, যা সাধারণত আমেরিকান ইগল নামে পরিচিত। বিতর্ক-সমালোচনা-প্রতিক্রিয়া সামলে নিয়ে এবার প্রতিষ্ঠানটি জানালো, সিডনি সুইনির সঙ্গে অংশীদারত্ব এখন পর্যন্ত কোম্পানির ‘সেরা’ বিজ্ঞাপন প্রচারণা।
বুধবার মার্কিন শেয়ারবাজারের অতিরিক্ত সময়ের লেনদেনে আমেরিকান ইগলের শেয়ারদর ২০ শতাংশেরও বেশি বেড়ে যায়। এদিন আমেরিকান ইগল সিডনি সুইনির বিজ্ঞাপনের প্রশংসা করে এবং জানায়, তাদের ২০২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আয় প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হয়েছে।
সিডনি সুইনির প্রচারণার পাশাপাশি সম্প্রতি টেইলর সুইফটের নতুন বাগদত্তা ট্র্যাভিস কেলসের সঙ্গে অংশীদারত্ব আমেরিকান ইগলকে নতুন গ্রাহক অর্জন এবং বিভিন্ন চ্যানেলে ইতিবাচক প্রবাহ আনতে সাহায্য করেছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিইও জে শটেনস্টেইন বলেন, ‘শরৎ মৌসুম ইতিবাচকভাবে শুরু হয়েছে। শক্তিশালী পণ্যের সরবরাহ এবং সিডনি সুইনি ও ট্র্যাভিস কেলসের সঙ্গে সাম্প্রতিক মার্কেটিং প্রচারণার সফলতায় আমরা গ্রাহকদের সচেতনতা, সম্পৃক্ততা এবং তুলনামূলক বিক্রয়ে উন্নতি লক্ষ করেছি। আমরা আমাদের অগ্রগতির ওপর ভিত্তি করে আরও এগিয়ে যেতে এবং আমাদের প্রতীকী ব্র্যান্ডগুলোর ধারাবাহিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বেশি মুনাফা, দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি ও শেয়ারহোল্ডারদের জন্য মূল্য সৃষ্টি করার প্রত্যাশা করছি।’
কোম্পানিটি এ বছরের শুরুর দিকে প্রত্যাহার করে নেওয়া তাদের বার্ষিক আর্থিক পূর্বাভাস পুনরায় দিয়েছে। বর্তমানে তারা আশা করছে, তাদের তুলনামূলক বিক্রি প্রায় স্থিতিশীল থাকবে, যা বাজার বিশ্লেষকদের ০.২ শতাংশ পতনের পূর্বাভাসের চেয়ে ভালো।
যদিও কোম্পানিটি এখনো মনে করছে যে পুরো বছরের জন্য গ্রস মার্জিন কম থাকবে, তবু তারা পরিচালন আয়ের দৃষ্টিভঙ্গিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে। শুল্কের প্রভাবকে বিবেচনায় নিয়ে আমেরিকান ইগল এখন তাদের পুরো বছরের পরিচালন আয় ২৫৫ মিলিয়ন থেকে ২৬৫ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে হবে বলে ধারণা করছে, যা তাদের পূর্ববর্তী ৩৬০ মিলিয়ন থেকে ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের পূর্বাভাসের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
এদিকে আমেরিকান ইগলের ত্রৈমাসিক পারফরম্যান্স ওয়ালস্ট্রিটের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। এলএসইজির পরিচালিত বিশ্লেষকদের জরিপ অনুযায়ী, কোম্পানিটি প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ফল দেখিয়েছে।
প্রতি শেয়ারের আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৫ সেন্ট, যা প্রত্যাশিত ২১ সেন্টের চেয়ে অনেক বেশি। একই সময়ে, তাদের মোট রাজস্ব ছিল ১.২৮ বিলিয়ন ডলার, যা ১.২৪ বিলিয়ন ডলারের প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে।
গত ২ আগস্টে শেষ হওয়া তিন মাসে আমেরিকান ইগলের নিট আয় ছিল ৭৭.৬ মিলিয়ন ডলার বা শেয়ারপ্রতি ৪৫ সেন্ট। এটি গত বছরের একই সময়ের নিট আয়, ৭৭.৩ মিলিয়ন ডলার বা শেয়ারপ্রতি ৩৯ সেন্টের তুলনায় সামান্য বেশি। যদিও কোম্পানির বিক্রি কিছুটা কমেছে। গত বছরের ১.২৯ বিলিয়ন ডলার থেকে তা কমে এবার ১.২৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে সামগ্রিক ফলাফল ইতিবাচক বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।
আমেরিকান ইগল বর্তমান প্রান্তিকে তুলনামূলক বিক্রি ‘লো সিঙ্গেল ডিজিট’ পরিসরে বাড়ার আশা করছে, যা বিশ্লেষকদের ০.৯% বৃদ্ধির পূর্বাভাসের চেয়ে ভালো। কোম্পানিটি প্রত্যাশা করছে, এই ইতিবাচক প্রবণতা চতুর্থ প্রান্তিকে পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
তবে, চলতি বছরে আমেরিকান ইগলের পারফরম্যান্স বেশ কিছু কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—পণ্যের সরবরাহে ভুল সিদ্ধান্ত, বর্ধিত শুল্ক এবং ভোক্তাদের মধ্যে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা। বিশেষ করে, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ভোক্তারা পোশাক ও জুতার মতো পণ্য কেনার ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক ও বাছবিচারি হয়ে উঠেছে।
এ পরিস্থিতিতে আমেরিকান ইগল ‘ব্যাক-টু-স্কুল’ শপিং সিজন শুরুর আগেই সিডনি সুইনিকে নিয়ে তাদের প্রচারণা শুরু করে। তবে এই উদ্যোগ কিছু ক্ষেত্রে উল্টো ফল দেয়। কিছু গ্রাহকের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেয়।
এই প্রচারণায় কোম্পানিটির স্লোগান ছিল, ‘Sydney Sweeney has great jeans. ’। এ স্লোগানের সমালোচনা করেন কিছু অতিবামপন্থী সমালোচক। তাঁরা এটিকে দ্বৈতার্থক এবং ইউজেনিক্সের (eugenics) প্রতি ইঙ্গিতবাহী বলে অভিযোগ করে। অন্যদিকে, ডানপন্থীরা এই প্রচারণাকে স্বাগত জানায়। এমনকি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এ বিষয়ে মন্তব্য করে এটিকে ‘সবচেয়ে হট’ বিজ্ঞাপন বলে অভিহিত করেন।
তবে বিজ্ঞাপনগুলো অতিরিক্ত যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ এবং বাস্তবতার সঙ্গে বেমানান বলে অনেকে সমালোচনা করেন। প্রশ্ন ওঠে, আমেরিকান ইগল আসলে কোন ধরনের গ্রাহককে লক্ষ্য করে এই প্রচারণা চালাচ্ছে?
গত ২৩ জুলাই আমেরিকান ইগল এই প্রচারণা শুরু করে। বিজ্ঞাপনটি সমালোচনার মুখে পড়লেও কোম্পানিটি একে সফল বলে দাবি করেছে। তাদের ভাষ্যমতে, সুইনির প্রচারণা এবং কেলসের সঙ্গে অংশীদারত্ব তাদের ব্যবসায় ‘উল্লেখযোগ্য উন্নতি’ এনেছে। চলতি প্রান্তিকে তুলনামূলক বিক্রি বেড়েছে। কোম্পানিটি আরও দাবি করে, তারা ৭ লাখ নতুন গ্রাহক অর্জন করেছে এবং আগস্ট মাসজুড়ে তাদের সব বিক্রয় মাধ্যমে ক্রেতার আনাগোনা বেড়েছে।
আমেরিকান ইগলের মতে, সুইনি প্রচারণার কারণে ডেনিম পণ্যের বিক্রি অনেক বেড়েছে। দোকানে ক্রেতাও বেড়েছে। ব্র্যান্ড সম্পর্কে ক্রেতাদের সচেতনতা ও আগ্রহ বেড়েছে। সিডনি জ্যাকেট মাত্র এক দিনেই বিক্রি হয়ে যায়। একইভাবে, বিশেষ ডিজাইন করা সিডনি জিনসগুলোও এক দিনে শেষ হয়ে যায়। সিডনি জিনসের বিক্রয়লব্ধ পুরো অর্থ মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদানকারী ‘ক্রাইসিস টেক্সট লাইন’ দান করা হয়।
এদিকে, আমেরিকান ইগল তাদের প্রচারণায় নতুন গতি এনেছে। ক্যানসাস সিটি চিফসের খেলোয়াড় ট্র্যাভিস কেলসেকে নিয়ে চালু করা একটি বিশেষ প্রচারণা, যা পপ তারকা টেইলর সুইফটের সঙ্গে কেলসের বাগদানের ঘোষণার পরদিন শুরু হয়েছিল, তাতে এক দিনেই তাদের অতীতের এক সপ্তাহের বিক্রি তিন গুণ বিক্রি হয়েছে। কেলসে এবং তার সতীর্থদের পরা অনেক পোশাকই দ্রুত বিক্রি হয়ে গেছে।
কেলসে এবং তাঁর মতো তারকাদের সঙ্গে আমেরিকান ইগলের অংশীদারত্ব থেকে বোঝা যায় যে, বাজারে যখন খরচ কিছুটা মন্দা চলছে, তখন গ্রাহকদের কাছে প্রাসঙ্গিক থাকতে এবং প্রতিযোগীদের ভিড়ে নিজেদের আলাদা করে তুলে ধরতে কোম্পানিটি এমন কৌশল অবলম্বন করছে।
তবে, আমেরিকান ইগলকে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হচ্ছে। অ্যাবারক্রোম্বি অ্যান্ড ফিচ, গ্যাপ ও লিভাইসের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীরাও একই ধরনের প্রচারণায় জোর দিয়েছে। গ্যাপ সম্প্রতি তাদের ‘বেটার ইন ডেনিম’ প্রচারে ক্যাটসআই এবং কেলিসের জনপ্রিয় গান ‘মিল্কশেক’ ব্যবহার করেছে। লিভাইস তাদের প্রচারে বিয়ন্সে-কে যুক্ত করেছে, আর অ্যাবারক্রোম্বি ক্রীড়াজগতের দিকে ঝুঁকে এনএফএলের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে।
পাশাপাশি, অনিশ্চিত শুল্ক পরিস্থিতি আমেরিকান ইগলের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কোম্পানিটি এ বছর চীনের ওপর তাদের নির্ভরতা ১০ শতাংশের নিচে নামানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু ভিয়েতনাম এবং ভারতের মতো দেশে তাদের বড় উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে, যেগুলো পারস্পরিক শুল্কনীতির আওতায় রয়েছে।

‘ইউফোরিয়া’ খ্যাত অভিনেত্রী সিডনি সুইনিকে দিয়ে বিজ্ঞাপনের কারণে বেশ বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছিল আমেরিকান ইগল। জনপ্রিয় মার্কিন পোশাক ও আনুষঙ্গিক পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান আমেরিকান ইগল আউটফিটার্স, যা সাধারণত আমেরিকান ইগল নামে পরিচিত। বিতর্ক-সমালোচনা-প্রতিক্রিয়া সামলে নিয়ে এবার প্রতিষ্ঠানটি জানালো, সিডনি সুইনির সঙ্গে অংশীদারত্ব এখন পর্যন্ত কোম্পানির ‘সেরা’ বিজ্ঞাপন প্রচারণা।
বুধবার মার্কিন শেয়ারবাজারের অতিরিক্ত সময়ের লেনদেনে আমেরিকান ইগলের শেয়ারদর ২০ শতাংশেরও বেশি বেড়ে যায়। এদিন আমেরিকান ইগল সিডনি সুইনির বিজ্ঞাপনের প্রশংসা করে এবং জানায়, তাদের ২০২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আয় প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হয়েছে।
সিডনি সুইনির প্রচারণার পাশাপাশি সম্প্রতি টেইলর সুইফটের নতুন বাগদত্তা ট্র্যাভিস কেলসের সঙ্গে অংশীদারত্ব আমেরিকান ইগলকে নতুন গ্রাহক অর্জন এবং বিভিন্ন চ্যানেলে ইতিবাচক প্রবাহ আনতে সাহায্য করেছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিইও জে শটেনস্টেইন বলেন, ‘শরৎ মৌসুম ইতিবাচকভাবে শুরু হয়েছে। শক্তিশালী পণ্যের সরবরাহ এবং সিডনি সুইনি ও ট্র্যাভিস কেলসের সঙ্গে সাম্প্রতিক মার্কেটিং প্রচারণার সফলতায় আমরা গ্রাহকদের সচেতনতা, সম্পৃক্ততা এবং তুলনামূলক বিক্রয়ে উন্নতি লক্ষ করেছি। আমরা আমাদের অগ্রগতির ওপর ভিত্তি করে আরও এগিয়ে যেতে এবং আমাদের প্রতীকী ব্র্যান্ডগুলোর ধারাবাহিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বেশি মুনাফা, দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি ও শেয়ারহোল্ডারদের জন্য মূল্য সৃষ্টি করার প্রত্যাশা করছি।’
কোম্পানিটি এ বছরের শুরুর দিকে প্রত্যাহার করে নেওয়া তাদের বার্ষিক আর্থিক পূর্বাভাস পুনরায় দিয়েছে। বর্তমানে তারা আশা করছে, তাদের তুলনামূলক বিক্রি প্রায় স্থিতিশীল থাকবে, যা বাজার বিশ্লেষকদের ০.২ শতাংশ পতনের পূর্বাভাসের চেয়ে ভালো।
যদিও কোম্পানিটি এখনো মনে করছে যে পুরো বছরের জন্য গ্রস মার্জিন কম থাকবে, তবু তারা পরিচালন আয়ের দৃষ্টিভঙ্গিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে। শুল্কের প্রভাবকে বিবেচনায় নিয়ে আমেরিকান ইগল এখন তাদের পুরো বছরের পরিচালন আয় ২৫৫ মিলিয়ন থেকে ২৬৫ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে হবে বলে ধারণা করছে, যা তাদের পূর্ববর্তী ৩৬০ মিলিয়ন থেকে ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের পূর্বাভাসের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
এদিকে আমেরিকান ইগলের ত্রৈমাসিক পারফরম্যান্স ওয়ালস্ট্রিটের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। এলএসইজির পরিচালিত বিশ্লেষকদের জরিপ অনুযায়ী, কোম্পানিটি প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ফল দেখিয়েছে।
প্রতি শেয়ারের আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৫ সেন্ট, যা প্রত্যাশিত ২১ সেন্টের চেয়ে অনেক বেশি। একই সময়ে, তাদের মোট রাজস্ব ছিল ১.২৮ বিলিয়ন ডলার, যা ১.২৪ বিলিয়ন ডলারের প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে।
গত ২ আগস্টে শেষ হওয়া তিন মাসে আমেরিকান ইগলের নিট আয় ছিল ৭৭.৬ মিলিয়ন ডলার বা শেয়ারপ্রতি ৪৫ সেন্ট। এটি গত বছরের একই সময়ের নিট আয়, ৭৭.৩ মিলিয়ন ডলার বা শেয়ারপ্রতি ৩৯ সেন্টের তুলনায় সামান্য বেশি। যদিও কোম্পানির বিক্রি কিছুটা কমেছে। গত বছরের ১.২৯ বিলিয়ন ডলার থেকে তা কমে এবার ১.২৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে সামগ্রিক ফলাফল ইতিবাচক বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।
আমেরিকান ইগল বর্তমান প্রান্তিকে তুলনামূলক বিক্রি ‘লো সিঙ্গেল ডিজিট’ পরিসরে বাড়ার আশা করছে, যা বিশ্লেষকদের ০.৯% বৃদ্ধির পূর্বাভাসের চেয়ে ভালো। কোম্পানিটি প্রত্যাশা করছে, এই ইতিবাচক প্রবণতা চতুর্থ প্রান্তিকে পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
তবে, চলতি বছরে আমেরিকান ইগলের পারফরম্যান্স বেশ কিছু কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—পণ্যের সরবরাহে ভুল সিদ্ধান্ত, বর্ধিত শুল্ক এবং ভোক্তাদের মধ্যে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা। বিশেষ করে, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ভোক্তারা পোশাক ও জুতার মতো পণ্য কেনার ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক ও বাছবিচারি হয়ে উঠেছে।
এ পরিস্থিতিতে আমেরিকান ইগল ‘ব্যাক-টু-স্কুল’ শপিং সিজন শুরুর আগেই সিডনি সুইনিকে নিয়ে তাদের প্রচারণা শুরু করে। তবে এই উদ্যোগ কিছু ক্ষেত্রে উল্টো ফল দেয়। কিছু গ্রাহকের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেয়।
এই প্রচারণায় কোম্পানিটির স্লোগান ছিল, ‘Sydney Sweeney has great jeans. ’। এ স্লোগানের সমালোচনা করেন কিছু অতিবামপন্থী সমালোচক। তাঁরা এটিকে দ্বৈতার্থক এবং ইউজেনিক্সের (eugenics) প্রতি ইঙ্গিতবাহী বলে অভিযোগ করে। অন্যদিকে, ডানপন্থীরা এই প্রচারণাকে স্বাগত জানায়। এমনকি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এ বিষয়ে মন্তব্য করে এটিকে ‘সবচেয়ে হট’ বিজ্ঞাপন বলে অভিহিত করেন।
তবে বিজ্ঞাপনগুলো অতিরিক্ত যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ এবং বাস্তবতার সঙ্গে বেমানান বলে অনেকে সমালোচনা করেন। প্রশ্ন ওঠে, আমেরিকান ইগল আসলে কোন ধরনের গ্রাহককে লক্ষ্য করে এই প্রচারণা চালাচ্ছে?
গত ২৩ জুলাই আমেরিকান ইগল এই প্রচারণা শুরু করে। বিজ্ঞাপনটি সমালোচনার মুখে পড়লেও কোম্পানিটি একে সফল বলে দাবি করেছে। তাদের ভাষ্যমতে, সুইনির প্রচারণা এবং কেলসের সঙ্গে অংশীদারত্ব তাদের ব্যবসায় ‘উল্লেখযোগ্য উন্নতি’ এনেছে। চলতি প্রান্তিকে তুলনামূলক বিক্রি বেড়েছে। কোম্পানিটি আরও দাবি করে, তারা ৭ লাখ নতুন গ্রাহক অর্জন করেছে এবং আগস্ট মাসজুড়ে তাদের সব বিক্রয় মাধ্যমে ক্রেতার আনাগোনা বেড়েছে।
আমেরিকান ইগলের মতে, সুইনি প্রচারণার কারণে ডেনিম পণ্যের বিক্রি অনেক বেড়েছে। দোকানে ক্রেতাও বেড়েছে। ব্র্যান্ড সম্পর্কে ক্রেতাদের সচেতনতা ও আগ্রহ বেড়েছে। সিডনি জ্যাকেট মাত্র এক দিনেই বিক্রি হয়ে যায়। একইভাবে, বিশেষ ডিজাইন করা সিডনি জিনসগুলোও এক দিনে শেষ হয়ে যায়। সিডনি জিনসের বিক্রয়লব্ধ পুরো অর্থ মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদানকারী ‘ক্রাইসিস টেক্সট লাইন’ দান করা হয়।
এদিকে, আমেরিকান ইগল তাদের প্রচারণায় নতুন গতি এনেছে। ক্যানসাস সিটি চিফসের খেলোয়াড় ট্র্যাভিস কেলসেকে নিয়ে চালু করা একটি বিশেষ প্রচারণা, যা পপ তারকা টেইলর সুইফটের সঙ্গে কেলসের বাগদানের ঘোষণার পরদিন শুরু হয়েছিল, তাতে এক দিনেই তাদের অতীতের এক সপ্তাহের বিক্রি তিন গুণ বিক্রি হয়েছে। কেলসে এবং তার সতীর্থদের পরা অনেক পোশাকই দ্রুত বিক্রি হয়ে গেছে।
কেলসে এবং তাঁর মতো তারকাদের সঙ্গে আমেরিকান ইগলের অংশীদারত্ব থেকে বোঝা যায় যে, বাজারে যখন খরচ কিছুটা মন্দা চলছে, তখন গ্রাহকদের কাছে প্রাসঙ্গিক থাকতে এবং প্রতিযোগীদের ভিড়ে নিজেদের আলাদা করে তুলে ধরতে কোম্পানিটি এমন কৌশল অবলম্বন করছে।
তবে, আমেরিকান ইগলকে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হচ্ছে। অ্যাবারক্রোম্বি অ্যান্ড ফিচ, গ্যাপ ও লিভাইসের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীরাও একই ধরনের প্রচারণায় জোর দিয়েছে। গ্যাপ সম্প্রতি তাদের ‘বেটার ইন ডেনিম’ প্রচারে ক্যাটসআই এবং কেলিসের জনপ্রিয় গান ‘মিল্কশেক’ ব্যবহার করেছে। লিভাইস তাদের প্রচারে বিয়ন্সে-কে যুক্ত করেছে, আর অ্যাবারক্রোম্বি ক্রীড়াজগতের দিকে ঝুঁকে এনএফএলের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে।
পাশাপাশি, অনিশ্চিত শুল্ক পরিস্থিতি আমেরিকান ইগলের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কোম্পানিটি এ বছর চীনের ওপর তাদের নির্ভরতা ১০ শতাংশের নিচে নামানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু ভিয়েতনাম এবং ভারতের মতো দেশে তাদের বড় উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে, যেগুলো পারস্পরিক শুল্কনীতির আওতায় রয়েছে।

সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত মধ্যস্থতাকারী জোট ‘কোয়াড’ প্রস্তাবিত মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আরএসএফের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তারা শুধু যুদ্ধবিরতিতে নয়, বরং সুদানে শত্রুতার অবসান...
২ ঘণ্টা আগে
২০২০ সালে স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ডায়াসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন স্পিকারের আসনে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারী শক্ত মুখে সেই ভাষণের কপি ছিঁড়ে ফেলেন। দৃশ্যত এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ঘটনাটি রাজনৈতিক ইতিহাসে এক প্রতীকী মুহূর্ত হিসেবে জায়গা করে নেয়।
৪ ঘণ্টা আগেএই টাইফুনের কারণে ভিয়েতনাম সরকার ইতিমধ্যে ছয়টি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে এবং গিয়া লাই প্রদেশে ২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে। এটি চলতি বছরে ভিয়েতনামে আঘাত হানা ১৩তম টাইফুন এবং সবচেয়ে শক্তিশালীগুলোর একটি।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধসংক্রান্ত অফিস (ইউএনওডিসি) একটি জরিপে বলেছে, আফিম চাষের জন্য ব্যবহৃত মোট জমির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ কমেছে এবং একই সময়ে আফিমের চাষ কমেছে ৩২ শতাংশ।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত মধ্যস্থতাকারী জোট ‘কোয়াড’ প্রস্তাবিত মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আরএসএফের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তারা শুধু যুদ্ধবিরতিতে নয়, বরং সুদানে শত্রুতার অবসান ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মৌলিক নীতিমালা নিয়ে আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত।
আরএসএফের বিবৃতিতে বলা হয়, র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস এই চুক্তি বাস্তবায়ন ও অবিলম্বে আলোচনায় বসার অপেক্ষায় আছে, যাতে সুদানের সংঘাতের মূল কারণগুলো সমাধান হয় এবং জনগণের দুর্ভোগের ইতি ঘটে। এ ঘোষণা এমন এক সময় এসেছে, যখন আরএসএফ সম্প্রতি দখল নিয়েছে এল-ফাশের শহরের, যা গত দেড় বছর ধরে অবরুদ্ধ ছিল এবং পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে সুদানি সেনাবাহিনীর শেষ ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল।
তবে সুদানি সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী তখনই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবে, যদি আরএসএফ সম্পূর্ণভাবে বেসামরিক এলাকা থেকে সরে যায় এবং পূর্ববর্তী শান্তিচুক্তি অনুযায়ী অস্ত্র সমর্পণ করে। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব তথ্য দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আফ্রিকাবিষয়ক উপদেষ্টা মাসাদ বোলস জানান, যুক্তরাষ্ট্র সুদানি সেনাবাহিনী ও আরএসএফ—উভয় পক্ষের সঙ্গে কাজ করছে, যাতে দ্রুত একটি মানবিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা গত প্রায় ১০ দিন ধরে দুই পক্ষের সঙ্গে কাজ করছি, বিস্তারিত চূড়ান্ত করার আশায়।’ বোলসের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমে তিন মাসের মানবিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে, এরপর নয় মাসের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এই উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি সৌদি আরব, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও যুক্ত আছে। এই চার দেশকে সম্মিলিতভাবে ‘কোয়াড’ বলা হয়।
দেশটিতে নতুন করে বাস্তুচ্যুত মানুষের ঢল নামায় আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। স্থানীয় চিকিৎসক ও ত্রাণ সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে, অতিরিক্ত মানুষের আগমনে আশ্রয়শিবিরগুলো ভয়াবহ চাপের মুখে পড়েছে।
আজ আন্তর্জাতিক সংস্থা ইসলামিক রিলিফ এক বিবৃতিতে জানায়, যেসব কমিউনিটি রান্নাঘর ক্ষুধার্ত পরিবারগুলোর শেষ ভরসা, সেগুলো এখন ধসে পড়ার পথে। সংস্থাটির এক জরিপে দেখা গেছে, সুদানের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের ৮৩ শতাংশ পরিবার এখন পর্যাপ্ত খাদ্য পাচ্ছে না।
এদিকে গতকাল বুধবার সুদানের ডাক্তার্স নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, এল-ফাশেরের পশ্চিমের বাস্তুচ্যুত শিবিরগুলো—বিশেষত তাওইলা, কুরমা ও গলো এলাকায় পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে প্রায় ৩৬ হাজার মানুষ এসব এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, এল-ফাশের দখলের পর আরএসএফ ওই অঞ্চলের একটি হাসপাতালে হামলা চালায়, যাতে ৪৫০ জনের বেশি নিহত হয়। এ ছাড়া আরএসএফ বাহিনী ঘরে ঘরে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ড ও যৌন সহিংসতার ঘটনাও ঘটিয়েছে।
সুদানি সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে সংঘাত শুরু হয় ২০২৩ সালে। দুপক্ষই মূলত একসময় মিত্র ছিল, যারা ২০১৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশটির গণতান্ত্রিক রূপান্তরপ্রক্রিয়া তদারকির দায়িত্বে ছিল। কিন্তু ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে শুরু হয় ভয়াবহ যুদ্ধ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, এ পর্যন্ত অন্তত ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। তবে ত্রাণ সংস্থাগুলোর দাবি, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা এরচেয়ে বহুগুণ বেশি হতে পারে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) তথ্যমতে, বর্তমানে ২ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ চরম খাদ্যসংকটে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, শুধু এক সপ্তাহেই এল-ফাশের থেকে ৭০ হাজার মানুষ পালিয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে পৌঁছেছে নর্দান স্টেটের আল-আফফাদ বাস্তুচ্যুত শিবিরে, যা রাজধানী খার্তুম থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরে।
পালিয়ে আসা শিক্ষক ও প্রত্যক্ষদর্শী ওসমান মোহাম্মদ বলেন, ‘এল-ফাশের ছাড়ার পথে রাস্তায় লাশ পড়ে থাকতে দেখেছি। অনেকে ক্লান্তিতে ও নির্যাতনে মারা গেছেন।’
আরও একজন বাস্তুচ্যুত নারী রাওদা মোহাম্মদ বলেন, এল-ফাশেরে আকাশে সারাক্ষণ ড্রোন ঘোরে। কখন যে হামলা হয়, বুঝতেই পারা যায় না। খাবার বলতে কিছুই ছিল না—মানুষ শুধু বাদাম তেলের অবশিষ্ট অংশ খেয়ে বেঁচে ছিল।

সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত মধ্যস্থতাকারী জোট ‘কোয়াড’ প্রস্তাবিত মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আরএসএফের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তারা শুধু যুদ্ধবিরতিতে নয়, বরং সুদানে শত্রুতার অবসান ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মৌলিক নীতিমালা নিয়ে আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত।
আরএসএফের বিবৃতিতে বলা হয়, র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস এই চুক্তি বাস্তবায়ন ও অবিলম্বে আলোচনায় বসার অপেক্ষায় আছে, যাতে সুদানের সংঘাতের মূল কারণগুলো সমাধান হয় এবং জনগণের দুর্ভোগের ইতি ঘটে। এ ঘোষণা এমন এক সময় এসেছে, যখন আরএসএফ সম্প্রতি দখল নিয়েছে এল-ফাশের শহরের, যা গত দেড় বছর ধরে অবরুদ্ধ ছিল এবং পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে সুদানি সেনাবাহিনীর শেষ ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল।
তবে সুদানি সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী তখনই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবে, যদি আরএসএফ সম্পূর্ণভাবে বেসামরিক এলাকা থেকে সরে যায় এবং পূর্ববর্তী শান্তিচুক্তি অনুযায়ী অস্ত্র সমর্পণ করে। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব তথ্য দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আফ্রিকাবিষয়ক উপদেষ্টা মাসাদ বোলস জানান, যুক্তরাষ্ট্র সুদানি সেনাবাহিনী ও আরএসএফ—উভয় পক্ষের সঙ্গে কাজ করছে, যাতে দ্রুত একটি মানবিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা গত প্রায় ১০ দিন ধরে দুই পক্ষের সঙ্গে কাজ করছি, বিস্তারিত চূড়ান্ত করার আশায়।’ বোলসের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমে তিন মাসের মানবিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে, এরপর নয় মাসের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এই উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি সৌদি আরব, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও যুক্ত আছে। এই চার দেশকে সম্মিলিতভাবে ‘কোয়াড’ বলা হয়।
দেশটিতে নতুন করে বাস্তুচ্যুত মানুষের ঢল নামায় আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। স্থানীয় চিকিৎসক ও ত্রাণ সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে, অতিরিক্ত মানুষের আগমনে আশ্রয়শিবিরগুলো ভয়াবহ চাপের মুখে পড়েছে।
আজ আন্তর্জাতিক সংস্থা ইসলামিক রিলিফ এক বিবৃতিতে জানায়, যেসব কমিউনিটি রান্নাঘর ক্ষুধার্ত পরিবারগুলোর শেষ ভরসা, সেগুলো এখন ধসে পড়ার পথে। সংস্থাটির এক জরিপে দেখা গেছে, সুদানের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের ৮৩ শতাংশ পরিবার এখন পর্যাপ্ত খাদ্য পাচ্ছে না।
এদিকে গতকাল বুধবার সুদানের ডাক্তার্স নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, এল-ফাশেরের পশ্চিমের বাস্তুচ্যুত শিবিরগুলো—বিশেষত তাওইলা, কুরমা ও গলো এলাকায় পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে প্রায় ৩৬ হাজার মানুষ এসব এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, এল-ফাশের দখলের পর আরএসএফ ওই অঞ্চলের একটি হাসপাতালে হামলা চালায়, যাতে ৪৫০ জনের বেশি নিহত হয়। এ ছাড়া আরএসএফ বাহিনী ঘরে ঘরে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ড ও যৌন সহিংসতার ঘটনাও ঘটিয়েছে।
সুদানি সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে সংঘাত শুরু হয় ২০২৩ সালে। দুপক্ষই মূলত একসময় মিত্র ছিল, যারা ২০১৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশটির গণতান্ত্রিক রূপান্তরপ্রক্রিয়া তদারকির দায়িত্বে ছিল। কিন্তু ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে শুরু হয় ভয়াবহ যুদ্ধ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, এ পর্যন্ত অন্তত ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। তবে ত্রাণ সংস্থাগুলোর দাবি, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা এরচেয়ে বহুগুণ বেশি হতে পারে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) তথ্যমতে, বর্তমানে ২ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ চরম খাদ্যসংকটে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, শুধু এক সপ্তাহেই এল-ফাশের থেকে ৭০ হাজার মানুষ পালিয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে পৌঁছেছে নর্দান স্টেটের আল-আফফাদ বাস্তুচ্যুত শিবিরে, যা রাজধানী খার্তুম থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরে।
পালিয়ে আসা শিক্ষক ও প্রত্যক্ষদর্শী ওসমান মোহাম্মদ বলেন, ‘এল-ফাশের ছাড়ার পথে রাস্তায় লাশ পড়ে থাকতে দেখেছি। অনেকে ক্লান্তিতে ও নির্যাতনে মারা গেছেন।’
আরও একজন বাস্তুচ্যুত নারী রাওদা মোহাম্মদ বলেন, এল-ফাশেরে আকাশে সারাক্ষণ ড্রোন ঘোরে। কখন যে হামলা হয়, বুঝতেই পারা যায় না। খাবার বলতে কিছুই ছিল না—মানুষ শুধু বাদাম তেলের অবশিষ্ট অংশ খেয়ে বেঁচে ছিল।

‘ইউফোরিয়া’ খ্যাত অভিনেত্রী সিডনি সুইনিকে দিয়ে বিজ্ঞাপনের কারণে বেশ বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছিল আমেরিকান ইগল। জনপ্রিয় মার্কিন পোশাক ও আনুষঙ্গিক পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান আমেরিকান ইগল আউটফিটার্স, যা সাধারণত আমেরিকান ইগল নামে পরিচিত।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২০২০ সালে স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ডায়াসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন স্পিকারের আসনে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারী শক্ত মুখে সেই ভাষণের কপি ছিঁড়ে ফেলেন। দৃশ্যত এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ঘটনাটি রাজনৈতিক ইতিহাসে এক প্রতীকী মুহূর্ত হিসেবে জায়গা করে নেয়।
৪ ঘণ্টা আগেএই টাইফুনের কারণে ভিয়েতনাম সরকার ইতিমধ্যে ছয়টি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে এবং গিয়া লাই প্রদেশে ২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে। এটি চলতি বছরে ভিয়েতনামে আঘাত হানা ১৩তম টাইফুন এবং সবচেয়ে শক্তিশালীগুলোর একটি।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধসংক্রান্ত অফিস (ইউএনওডিসি) একটি জরিপে বলেছে, আফিম চাষের জন্য ব্যবহৃত মোট জমির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ কমেছে এবং একই সময়ে আফিমের চাষ কমেছে ৩২ শতাংশ।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২০ সালে স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ডায়াসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন স্পিকারের আসনে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারী শক্ত মুখে সেই ভাষণের কপি ছিঁড়ে ফেলেন। দৃশ্যত এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ঘটনাটি রাজনৈতিক ইতিহাসে এক প্রতীকী মুহূর্ত হিসেবে জায়গা করে নেয়।
ট্রাম্পের ভাষণ ছিঁড়ে ফেলা সেই ন্যান্সি পেলোসি মার্কিন কংগ্রেসের ইতিহাসে প্রথম নারী স্পিকার। আজ এই ডেমোক্র্যাট নেতা আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। চার দশকের বেশি সময়ের রাজনৈতিক জীবন শেষে তিনি কংগ্রেস থেকে বিদায় নিচ্ছেন বলে এক ভিডিওবার্তায় জানিয়েছেন।
৮৫ বছর বয়সী পেলোসি জানিয়েছেন, তাঁর বর্তমান মেয়াদ (২০২৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত) শেষ হলে তিনি আর নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটছে।
ভিডিওবার্তায় পেলোসি বলেন, ‘আমরা ইতিহাস গড়েছি, অগ্রগতি অর্জন করেছি। আমরা সব সময় নেতৃত্ব দিয়েছি আর এখন আমাদের গণতন্ত্রের সক্রিয় অংশীদার হয়ে থাকতে হবে এবং আমেরিকান আদর্শ রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’
পেলোসির উত্থান ও ক্ষমতা
১৯৮৭ সালে মাত্র ৪৭ বছর বয়সে ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো থেকে পেলোসি প্রথমবার কংগ্রেসে নির্বাচিত হন এবং দ্রুতই তিনি ডেমোক্র্যাট পার্টির শীর্ষ সারিতে উঠে আসেন।
২০০৭ সালে পেলোসি ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম নারী স্পিকার হিসেবে প্রতিনিধি পরিষদের দায়িত্ব পান। তিনি ২০১১ সাল পর্যন্ত এ পদে ছিলেন। পরে দল পুনরায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে ২০১৯ সালে পেলোসি আবারও স্পিকার নির্বাচিত হন এবং ২০২৩ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, ভাইস প্রেসিডেন্টের পর প্রেসিডেন্টের উত্তরাধিকারক্রমে স্পিকার তৃতীয় স্থানে থাকেন। এ পদে থেকেই পেলোসি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একাধিক প্রেসিডেন্টের নীতি-কার্যক্রম এগিয়ে নিতে কিংবা বাধা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ‘অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট’ বা স্বাস্থ্যসেবা আইন পাসে তাঁর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের সময় পেলোসি পরিকাঠামো উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিল পাসেও বড় ভূমিকা রাখেন।
তবে পেলোসি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালে। ২০২০ সালে ট্রাম্পের স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ শেষে পেলোসি প্রকাশ্যে সেই ভাষণের কপি ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। এ ঘটনা আমেরিকার রাজনৈতিক ইতিহাসে এক প্রতীকী মুহূর্ত হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুই দফা অভিশংসনপ্রক্রিয়া (ইমপিচমেন্ট) পরিচালনায়ও পেলোসি ছিলেন অগ্রভাগে। প্রথমবার ২০১৯ সালে ইউক্রেনকে চাপ দেওয়া ও সামরিক সহায়তাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগে। দ্বিতীয়বার ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি কংগ্রেস ভবনে দাঙ্গা উসকে দেওয়ার অভিযোগে। তবে প্রতিবারই রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেটে ট্রাম্প রক্ষা পান।
বাইডেনের শাসনামলে পেলোসি সংখ্যাগরিষ্ঠ না হয়েও ডেমোক্র্যাটদের বেশ কয়েকটি বড় আইন পাস করাতে সক্ষম হন। তাঁর নেতৃত্বে প্রতিনিধি পরিষদ দুই বছরের কম সময়ে কোভিড-১৯ ত্রাণ প্যাকেজ, অবকাঠামো খাতে দ্বিদলীয় ব্যয় বিল, বহু ট্রিলিয়ন ডলারের জলবায়ু ও সামাজিক খরচ কর্মসূচি এবং সমকামী বিবাহ সুরক্ষা আইন পাস করে।
২০২২ সালে নিউইয়র্কের প্রতিনিধি হাকিম জেফ্রিস পেলোসির স্থলাভিষিক্ত হয়ে ডেমোক্র্যাট দলের হাউস নেতা হন। পেলোসি কংগ্রেসের বাইরেও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় ‘প্রপোজিশন-৫০’-এর পক্ষে কাজ করেছেন। এর লক্ষ্য ছিল ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে অন্তত পাঁচটি আসন পুনরুদ্ধার করা।

২০২০ সালে স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ডায়াসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন স্পিকারের আসনে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারী শক্ত মুখে সেই ভাষণের কপি ছিঁড়ে ফেলেন। দৃশ্যত এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ঘটনাটি রাজনৈতিক ইতিহাসে এক প্রতীকী মুহূর্ত হিসেবে জায়গা করে নেয়।
ট্রাম্পের ভাষণ ছিঁড়ে ফেলা সেই ন্যান্সি পেলোসি মার্কিন কংগ্রেসের ইতিহাসে প্রথম নারী স্পিকার। আজ এই ডেমোক্র্যাট নেতা আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। চার দশকের বেশি সময়ের রাজনৈতিক জীবন শেষে তিনি কংগ্রেস থেকে বিদায় নিচ্ছেন বলে এক ভিডিওবার্তায় জানিয়েছেন।
৮৫ বছর বয়সী পেলোসি জানিয়েছেন, তাঁর বর্তমান মেয়াদ (২০২৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত) শেষ হলে তিনি আর নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটছে।
ভিডিওবার্তায় পেলোসি বলেন, ‘আমরা ইতিহাস গড়েছি, অগ্রগতি অর্জন করেছি। আমরা সব সময় নেতৃত্ব দিয়েছি আর এখন আমাদের গণতন্ত্রের সক্রিয় অংশীদার হয়ে থাকতে হবে এবং আমেরিকান আদর্শ রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’
পেলোসির উত্থান ও ক্ষমতা
১৯৮৭ সালে মাত্র ৪৭ বছর বয়সে ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো থেকে পেলোসি প্রথমবার কংগ্রেসে নির্বাচিত হন এবং দ্রুতই তিনি ডেমোক্র্যাট পার্টির শীর্ষ সারিতে উঠে আসেন।
২০০৭ সালে পেলোসি ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম নারী স্পিকার হিসেবে প্রতিনিধি পরিষদের দায়িত্ব পান। তিনি ২০১১ সাল পর্যন্ত এ পদে ছিলেন। পরে দল পুনরায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে ২০১৯ সালে পেলোসি আবারও স্পিকার নির্বাচিত হন এবং ২০২৩ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, ভাইস প্রেসিডেন্টের পর প্রেসিডেন্টের উত্তরাধিকারক্রমে স্পিকার তৃতীয় স্থানে থাকেন। এ পদে থেকেই পেলোসি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একাধিক প্রেসিডেন্টের নীতি-কার্যক্রম এগিয়ে নিতে কিংবা বাধা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ‘অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট’ বা স্বাস্থ্যসেবা আইন পাসে তাঁর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের সময় পেলোসি পরিকাঠামো উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিল পাসেও বড় ভূমিকা রাখেন।
তবে পেলোসি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালে। ২০২০ সালে ট্রাম্পের স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ শেষে পেলোসি প্রকাশ্যে সেই ভাষণের কপি ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। এ ঘটনা আমেরিকার রাজনৈতিক ইতিহাসে এক প্রতীকী মুহূর্ত হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুই দফা অভিশংসনপ্রক্রিয়া (ইমপিচমেন্ট) পরিচালনায়ও পেলোসি ছিলেন অগ্রভাগে। প্রথমবার ২০১৯ সালে ইউক্রেনকে চাপ দেওয়া ও সামরিক সহায়তাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগে। দ্বিতীয়বার ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি কংগ্রেস ভবনে দাঙ্গা উসকে দেওয়ার অভিযোগে। তবে প্রতিবারই রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেটে ট্রাম্প রক্ষা পান।
বাইডেনের শাসনামলে পেলোসি সংখ্যাগরিষ্ঠ না হয়েও ডেমোক্র্যাটদের বেশ কয়েকটি বড় আইন পাস করাতে সক্ষম হন। তাঁর নেতৃত্বে প্রতিনিধি পরিষদ দুই বছরের কম সময়ে কোভিড-১৯ ত্রাণ প্যাকেজ, অবকাঠামো খাতে দ্বিদলীয় ব্যয় বিল, বহু ট্রিলিয়ন ডলারের জলবায়ু ও সামাজিক খরচ কর্মসূচি এবং সমকামী বিবাহ সুরক্ষা আইন পাস করে।
২০২২ সালে নিউইয়র্কের প্রতিনিধি হাকিম জেফ্রিস পেলোসির স্থলাভিষিক্ত হয়ে ডেমোক্র্যাট দলের হাউস নেতা হন। পেলোসি কংগ্রেসের বাইরেও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় ‘প্রপোজিশন-৫০’-এর পক্ষে কাজ করেছেন। এর লক্ষ্য ছিল ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে অন্তত পাঁচটি আসন পুনরুদ্ধার করা।

‘ইউফোরিয়া’ খ্যাত অভিনেত্রী সিডনি সুইনিকে দিয়ে বিজ্ঞাপনের কারণে বেশ বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছিল আমেরিকান ইগল। জনপ্রিয় মার্কিন পোশাক ও আনুষঙ্গিক পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান আমেরিকান ইগল আউটফিটার্স, যা সাধারণত আমেরিকান ইগল নামে পরিচিত।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত মধ্যস্থতাকারী জোট ‘কোয়াড’ প্রস্তাবিত মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আরএসএফের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তারা শুধু যুদ্ধবিরতিতে নয়, বরং সুদানে শত্রুতার অবসান...
২ ঘণ্টা আগেএই টাইফুনের কারণে ভিয়েতনাম সরকার ইতিমধ্যে ছয়টি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে এবং গিয়া লাই প্রদেশে ২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে। এটি চলতি বছরে ভিয়েতনামে আঘাত হানা ১৩তম টাইফুন এবং সবচেয়ে শক্তিশালীগুলোর একটি।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধসংক্রান্ত অফিস (ইউএনওডিসি) একটি জরিপে বলেছে, আফিম চাষের জন্য ব্যবহৃত মোট জমির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ কমেছে এবং একই সময়ে আফিমের চাষ কমেছে ৩২ শতাংশ।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভয়াবহ টাইফুন ‘কালমায়েগি’ ভিয়েতনামে আঘাত হেনেছে। এর আগে ফিলিপাইনে দুই দিন তাণ্ডব চালিয়ে অন্তত ১১৪ জনের প্রাণ কেড়েছে এই টাইফুন।
ভিয়েতনামের জাতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার কালমায়েগির বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১৪৯ কিলোমিটার (৯৩ মাইল) পর্যন্ত পৌঁছায়। ঝড়ে অসংখ্য ঘরের ছাদ উড়ে গেছে এবং গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে। উপকূলীয় এলাকায় ১০ মিটার (৩০ ফুট) উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই টাইফুনের কারণে ভিয়েতনাম সরকার ইতিমধ্যে ছয়টি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে এবং গিয়া লাই প্রদেশে ২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে। এটি চলতি বছরে ভিয়েতনামে আঘাত হানা ১৩তম টাইফুন এবং সবচেয়ে শক্তিশালীগুলোর একটি।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি সেনাসদস্য উদ্ধার তৎপরতার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সরকার নিম্নাঞ্চলে বন্যা ও কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে। মধ্যাঞ্চলের উচ্চভূমি অঞ্চলগুলো—বিশেষ করে, কফি উৎপাদনের জন্য পরিচিত সেন্ট্রাল হাইল্যান্ডস—সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
প্রবল ঝড়ের আগমনে পর্যটননগরী হোই আনের কুয়া দাই সৈকতের হোটেল ও ঘরবাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে উপকূলীয় শহর হুয়ের আশপাশের কৃষকেরা এখনো আগের বন্যা থেকে পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি। ওই অঞ্চলে চলতি সপ্তাহেই বন্যায় ৪৭ জনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় কৃষক নগুয়েন ভ্যান রিন (৪২) বলেন, ‘গত বন্যায় আমার গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি সব মারা গেছে। কালমায়েগি এবার চতুর্থবারের মতো বন্যা আনবে—আমি ভীষণ ভয় পাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ঘর থেকে নৌকা বেয়ে বের হতে হচ্ছে আর রাস্তায় গাড়িগুলো ধীরে ধীরে পানির ভেতর দিয়ে চলাচল করছে।
এদিকে ভিয়েতনামে প্রবেশের আগে ফিলিপাইনের সেবু প্রদেশে ভয়াবহ তাণ্ডব চালায় কালমায়েগি। বন্যার পানি নামার পর আজ ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র স্পষ্ট হয়—অগণিত ঘরবাড়ি মাটিতে মিশে গেছে, গাড়ি উল্টে গেছে, রাস্তাজুড়ে ধ্বংসস্তূপ।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানায়, এখনো ১২৭ জন নিখোঁজ। ত্রাণ কার্যক্রম ও মরদেহ উদ্ধারে বাধা সৃষ্টি করছে বিশাল ধ্বংসস্তূপ।
দেশটির জ্যেষ্ঠ বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা র্যাফি আলেজান্দ্রো রয়টার্সকে বলেন, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন ধ্বংসস্তূপ সরানো। নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজ ও ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে এগুলো দ্রুত পরিষ্কার করা জরুরি।
সেবুতে এক মাস আগে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে শখানেক মানুষ মারা যায় ও হাজারো গৃহহীন হয়। এর ঠিক এক মাস পর আবারও এমন বিপর্যয় নেমে এসেছে।
ফিলিপাইনের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় মিন্দানাও দ্বীপের পূর্ব দিকে নতুন একটি ঝড় তৈরি হচ্ছে, যা আগামী সপ্তাহের শুরুতে টাইফুনে পরিণত হয়ে আবারও দেশটিতে আঘাত হানতে পারে।
আজ সেবুর অনেক বাসিন্দা ঘরে ফিরে দেখেন, তাঁদের সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। কেউ কেউ মাটি ও কাদা সরিয়ে ঘর পরিষ্কারে ব্যস্ত। তালিসাই শহরের বাসিন্দা লিজা বেকুস বলেন, ‘আমার সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে, শুধু মেঝেটা টিকে আছে। আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।’
লিজা বেকুস ধ্বংসস্তূপ থেকে ধাতব পাত ও লোহার টুকরো কুড়িয়ে বিক্রি করার চেষ্টা করছিলেন, যেন সাত সন্তানকে খাওয়ানোর জন্য কিছু চাল কেনা যায়। লিজা বলেন, ‘আমার বাচ্চাদের কিছুই নেই—তাদের ইউনিফর্ম, ব্যাগ, পোশাক সব ভেসে গেছে।’

ভয়াবহ টাইফুন ‘কালমায়েগি’ ভিয়েতনামে আঘাত হেনেছে। এর আগে ফিলিপাইনে দুই দিন তাণ্ডব চালিয়ে অন্তত ১১৪ জনের প্রাণ কেড়েছে এই টাইফুন।
ভিয়েতনামের জাতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার কালমায়েগির বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১৪৯ কিলোমিটার (৯৩ মাইল) পর্যন্ত পৌঁছায়। ঝড়ে অসংখ্য ঘরের ছাদ উড়ে গেছে এবং গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে। উপকূলীয় এলাকায় ১০ মিটার (৩০ ফুট) উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই টাইফুনের কারণে ভিয়েতনাম সরকার ইতিমধ্যে ছয়টি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে এবং গিয়া লাই প্রদেশে ২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে। এটি চলতি বছরে ভিয়েতনামে আঘাত হানা ১৩তম টাইফুন এবং সবচেয়ে শক্তিশালীগুলোর একটি।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি সেনাসদস্য উদ্ধার তৎপরতার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সরকার নিম্নাঞ্চলে বন্যা ও কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে। মধ্যাঞ্চলের উচ্চভূমি অঞ্চলগুলো—বিশেষ করে, কফি উৎপাদনের জন্য পরিচিত সেন্ট্রাল হাইল্যান্ডস—সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
প্রবল ঝড়ের আগমনে পর্যটননগরী হোই আনের কুয়া দাই সৈকতের হোটেল ও ঘরবাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে উপকূলীয় শহর হুয়ের আশপাশের কৃষকেরা এখনো আগের বন্যা থেকে পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি। ওই অঞ্চলে চলতি সপ্তাহেই বন্যায় ৪৭ জনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় কৃষক নগুয়েন ভ্যান রিন (৪২) বলেন, ‘গত বন্যায় আমার গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি সব মারা গেছে। কালমায়েগি এবার চতুর্থবারের মতো বন্যা আনবে—আমি ভীষণ ভয় পাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ঘর থেকে নৌকা বেয়ে বের হতে হচ্ছে আর রাস্তায় গাড়িগুলো ধীরে ধীরে পানির ভেতর দিয়ে চলাচল করছে।
এদিকে ভিয়েতনামে প্রবেশের আগে ফিলিপাইনের সেবু প্রদেশে ভয়াবহ তাণ্ডব চালায় কালমায়েগি। বন্যার পানি নামার পর আজ ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র স্পষ্ট হয়—অগণিত ঘরবাড়ি মাটিতে মিশে গেছে, গাড়ি উল্টে গেছে, রাস্তাজুড়ে ধ্বংসস্তূপ।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানায়, এখনো ১২৭ জন নিখোঁজ। ত্রাণ কার্যক্রম ও মরদেহ উদ্ধারে বাধা সৃষ্টি করছে বিশাল ধ্বংসস্তূপ।
দেশটির জ্যেষ্ঠ বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা র্যাফি আলেজান্দ্রো রয়টার্সকে বলেন, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন ধ্বংসস্তূপ সরানো। নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজ ও ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে এগুলো দ্রুত পরিষ্কার করা জরুরি।
সেবুতে এক মাস আগে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে শখানেক মানুষ মারা যায় ও হাজারো গৃহহীন হয়। এর ঠিক এক মাস পর আবারও এমন বিপর্যয় নেমে এসেছে।
ফিলিপাইনের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় মিন্দানাও দ্বীপের পূর্ব দিকে নতুন একটি ঝড় তৈরি হচ্ছে, যা আগামী সপ্তাহের শুরুতে টাইফুনে পরিণত হয়ে আবারও দেশটিতে আঘাত হানতে পারে।
আজ সেবুর অনেক বাসিন্দা ঘরে ফিরে দেখেন, তাঁদের সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। কেউ কেউ মাটি ও কাদা সরিয়ে ঘর পরিষ্কারে ব্যস্ত। তালিসাই শহরের বাসিন্দা লিজা বেকুস বলেন, ‘আমার সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে, শুধু মেঝেটা টিকে আছে। আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।’
লিজা বেকুস ধ্বংসস্তূপ থেকে ধাতব পাত ও লোহার টুকরো কুড়িয়ে বিক্রি করার চেষ্টা করছিলেন, যেন সাত সন্তানকে খাওয়ানোর জন্য কিছু চাল কেনা যায়। লিজা বলেন, ‘আমার বাচ্চাদের কিছুই নেই—তাদের ইউনিফর্ম, ব্যাগ, পোশাক সব ভেসে গেছে।’

‘ইউফোরিয়া’ খ্যাত অভিনেত্রী সিডনি সুইনিকে দিয়ে বিজ্ঞাপনের কারণে বেশ বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছিল আমেরিকান ইগল। জনপ্রিয় মার্কিন পোশাক ও আনুষঙ্গিক পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান আমেরিকান ইগল আউটফিটার্স, যা সাধারণত আমেরিকান ইগল নামে পরিচিত।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত মধ্যস্থতাকারী জোট ‘কোয়াড’ প্রস্তাবিত মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আরএসএফের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তারা শুধু যুদ্ধবিরতিতে নয়, বরং সুদানে শত্রুতার অবসান...
২ ঘণ্টা আগে
২০২০ সালে স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ডায়াসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন স্পিকারের আসনে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারী শক্ত মুখে সেই ভাষণের কপি ছিঁড়ে ফেলেন। দৃশ্যত এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ঘটনাটি রাজনৈতিক ইতিহাসে এক প্রতীকী মুহূর্ত হিসেবে জায়গা করে নেয়।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধসংক্রান্ত অফিস (ইউএনওডিসি) একটি জরিপে বলেছে, আফিম চাষের জন্য ব্যবহৃত মোট জমির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ কমেছে এবং একই সময়ে আফিমের চাষ কমেছে ৩২ শতাংশ।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তালেবান সরকার ২০২২ সালে আফগানিস্তানে আফিম চাষের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর পর থেকে দেশটিতে আফিমের চাষ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধসংক্রান্ত অফিস (ইউএনওডিসি) একটি জরিপে বলেছে, আফিম চাষের জন্য ব্যবহৃত মোট জমির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ কমেছে এবং একই সময়ে আফিমের চাষ কমেছে ৩২ শতাংশ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগে আফগানিস্তান বিশ্বের ৮০ শতাংশের বেশি আফিম উৎপাদন করত এবং আফগান আফিম থেকে তৈরি হেরোইন ইউরোপের বাজারের ৯৫ শতাংশ পূরণ করত। তবে ২০২২ সালের এপ্রিলে তালেবান সরকার ক্ষমতা দখলের পর আফিমকে ক্ষতিকারক ও ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিপন্থী আখ্যা দিয়ে এর চাষ নিষিদ্ধ করে। ইউএনওডিসির তথ্য বলছে, ‘গুরুতর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ’ সত্ত্বেও বেশির ভাগ কৃষক এ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলছেন।
ইউএনওডিসি জানিয়েছে, আফগান কৃষকেরা এখন শস্য চাষ করছেন, তবে পপি—যা থেকে হেরোইনের প্রধান উপাদান আফিম পাওয়া যায়, সেটি এখনো বৈধ ফসলের চেয়ে ‘অনেক বেশি লাভজনক’। সংস্থাটি আরও উল্লেখ করেছে, লাভজনক বিকল্পের অভাব, সীমিত কৃষি উৎপাদন ও প্রতিকূল জলবায়ু পরিস্থিতির কারণে ৪০ শতাংশের বেশি আবাদযোগ্য জমি পতিত থেকে গেছে।
আফগানিস্তানের বৃহত্তম হেলমান্দ প্রদেশের একজন কৃষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসি পশতুকে বলেন, ‘আমরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে আমাদের জেল হয়। মেনে চললে আমরা দারিদ্র্যের শিকার হই। কিন্তু আমার কাছে যদি টাকা না থাকে, তাহলে আমি আবার পপি চাষ করব।’
অন্য একজন কৃষক তাঁর বাড়ির সামনের একটি ছোট পপিখেত দেখিয়ে বলেন, ‘আমি কী করব? আমি এটা করতে বাধ্য—আমার আর কিছুই করার নেই। আমি আমার পরিবারের জন্য খাবারও জোগাড় করতে পারি না।’
চলতি বছর আফগানিস্তানে আফিম চাষের জমির পরিমাণ ছিল আনুমানিক ১০ হাজার ২০০ হেক্টর, যার বেশির ভাগ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের। এর মধ্যে বাদাখশান প্রদেশে সবচেয়ে বেশি আফিম চাষ হয়েছে। ২০২২ সালে নিষেধাজ্ঞার আগে আফগানিস্তানে ২ লাখ হেক্টরের বেশি জমিতে আফিম চাষ হতো।
ইউএনওডিসি জানিয়েছে, ২০২৪ সালে আফিম চাষ হওয়া চারটি প্রদেশকে (বাল্খ, ফারাহ, লাগমান ও উরুজগান) ২০২৫ সালে আফিমমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। জরিপে বলা হয়েছে, ঐতিহ্যবাহী শক্ত ঘাঁটিগুলো থেকে আফিম চাষ নির্মূল হওয়া নিষেধাজ্ঞার মাত্রা ও স্থায়িত্ব তুলে ধরে।
তবে ইউএনওডিসি জানিয়েছে, তালেবানের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গার কৃষকেরা সহিংস প্রতিরোধ তৈরি করেছেন, বিশেষ করে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। বাদাখশানের কয়েকটি জেলায় সংঘর্ষের সময় হতাহতের খবরও পাওয়া গেছে। তা সত্ত্বেও বেশির ভাগ আফগান কৃষক তালেবানের সর্বোচ্চ নেতার জারি করা এ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলছেন।
ইউএনওডিসি জানিয়েছে, আফিমের চাষ কমলেও নিষেধাজ্ঞার পর থেকে মেথামফেটামিনের মতো সিনথেটিক ড্রাগের পাচার বেড়েছে। ২০২৪ সালের শেষের দিকে ও এর আশপাশে এ ধরনের মাদক জব্দের হার গত বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি ছিল। ইউএনওডিসি বলছে, সংঘবদ্ধ অপরাধী গোষ্ঠীগুলো সিনথেটিক ড্রাগকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, কারণ, এগুলো উৎপাদন করা সহজ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি তেমন প্রভাব ফেলে না।

তালেবান সরকার ২০২২ সালে আফগানিস্তানে আফিম চাষের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর পর থেকে দেশটিতে আফিমের চাষ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধসংক্রান্ত অফিস (ইউএনওডিসি) একটি জরিপে বলেছে, আফিম চাষের জন্য ব্যবহৃত মোট জমির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ কমেছে এবং একই সময়ে আফিমের চাষ কমেছে ৩২ শতাংশ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগে আফগানিস্তান বিশ্বের ৮০ শতাংশের বেশি আফিম উৎপাদন করত এবং আফগান আফিম থেকে তৈরি হেরোইন ইউরোপের বাজারের ৯৫ শতাংশ পূরণ করত। তবে ২০২২ সালের এপ্রিলে তালেবান সরকার ক্ষমতা দখলের পর আফিমকে ক্ষতিকারক ও ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিপন্থী আখ্যা দিয়ে এর চাষ নিষিদ্ধ করে। ইউএনওডিসির তথ্য বলছে, ‘গুরুতর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ’ সত্ত্বেও বেশির ভাগ কৃষক এ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলছেন।
ইউএনওডিসি জানিয়েছে, আফগান কৃষকেরা এখন শস্য চাষ করছেন, তবে পপি—যা থেকে হেরোইনের প্রধান উপাদান আফিম পাওয়া যায়, সেটি এখনো বৈধ ফসলের চেয়ে ‘অনেক বেশি লাভজনক’। সংস্থাটি আরও উল্লেখ করেছে, লাভজনক বিকল্পের অভাব, সীমিত কৃষি উৎপাদন ও প্রতিকূল জলবায়ু পরিস্থিতির কারণে ৪০ শতাংশের বেশি আবাদযোগ্য জমি পতিত থেকে গেছে।
আফগানিস্তানের বৃহত্তম হেলমান্দ প্রদেশের একজন কৃষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসি পশতুকে বলেন, ‘আমরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে আমাদের জেল হয়। মেনে চললে আমরা দারিদ্র্যের শিকার হই। কিন্তু আমার কাছে যদি টাকা না থাকে, তাহলে আমি আবার পপি চাষ করব।’
অন্য একজন কৃষক তাঁর বাড়ির সামনের একটি ছোট পপিখেত দেখিয়ে বলেন, ‘আমি কী করব? আমি এটা করতে বাধ্য—আমার আর কিছুই করার নেই। আমি আমার পরিবারের জন্য খাবারও জোগাড় করতে পারি না।’
চলতি বছর আফগানিস্তানে আফিম চাষের জমির পরিমাণ ছিল আনুমানিক ১০ হাজার ২০০ হেক্টর, যার বেশির ভাগ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের। এর মধ্যে বাদাখশান প্রদেশে সবচেয়ে বেশি আফিম চাষ হয়েছে। ২০২২ সালে নিষেধাজ্ঞার আগে আফগানিস্তানে ২ লাখ হেক্টরের বেশি জমিতে আফিম চাষ হতো।
ইউএনওডিসি জানিয়েছে, ২০২৪ সালে আফিম চাষ হওয়া চারটি প্রদেশকে (বাল্খ, ফারাহ, লাগমান ও উরুজগান) ২০২৫ সালে আফিমমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। জরিপে বলা হয়েছে, ঐতিহ্যবাহী শক্ত ঘাঁটিগুলো থেকে আফিম চাষ নির্মূল হওয়া নিষেধাজ্ঞার মাত্রা ও স্থায়িত্ব তুলে ধরে।
তবে ইউএনওডিসি জানিয়েছে, তালেবানের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গার কৃষকেরা সহিংস প্রতিরোধ তৈরি করেছেন, বিশেষ করে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। বাদাখশানের কয়েকটি জেলায় সংঘর্ষের সময় হতাহতের খবরও পাওয়া গেছে। তা সত্ত্বেও বেশির ভাগ আফগান কৃষক তালেবানের সর্বোচ্চ নেতার জারি করা এ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলছেন।
ইউএনওডিসি জানিয়েছে, আফিমের চাষ কমলেও নিষেধাজ্ঞার পর থেকে মেথামফেটামিনের মতো সিনথেটিক ড্রাগের পাচার বেড়েছে। ২০২৪ সালের শেষের দিকে ও এর আশপাশে এ ধরনের মাদক জব্দের হার গত বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি ছিল। ইউএনওডিসি বলছে, সংঘবদ্ধ অপরাধী গোষ্ঠীগুলো সিনথেটিক ড্রাগকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, কারণ, এগুলো উৎপাদন করা সহজ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি তেমন প্রভাব ফেলে না।

‘ইউফোরিয়া’ খ্যাত অভিনেত্রী সিডনি সুইনিকে দিয়ে বিজ্ঞাপনের কারণে বেশ বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছিল আমেরিকান ইগল। জনপ্রিয় মার্কিন পোশাক ও আনুষঙ্গিক পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান আমেরিকান ইগল আউটফিটার্স, যা সাধারণত আমেরিকান ইগল নামে পরিচিত।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত মধ্যস্থতাকারী জোট ‘কোয়াড’ প্রস্তাবিত মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আরএসএফের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তারা শুধু যুদ্ধবিরতিতে নয়, বরং সুদানে শত্রুতার অবসান...
২ ঘণ্টা আগে
২০২০ সালে স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ডায়াসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন স্পিকারের আসনে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারী শক্ত মুখে সেই ভাষণের কপি ছিঁড়ে ফেলেন। দৃশ্যত এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ঘটনাটি রাজনৈতিক ইতিহাসে এক প্রতীকী মুহূর্ত হিসেবে জায়গা করে নেয়।
৪ ঘণ্টা আগেএই টাইফুনের কারণে ভিয়েতনাম সরকার ইতিমধ্যে ছয়টি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে এবং গিয়া লাই প্রদেশে ২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে। এটি চলতি বছরে ভিয়েতনামে আঘাত হানা ১৩তম টাইফুন এবং সবচেয়ে শক্তিশালীগুলোর একটি।
৪ ঘণ্টা আগে