Ajker Patrika

গাজা যুদ্ধ ইস্যুতে নিউইয়র্কে আরব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সিএএনএন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সিএএনএন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগামীকাল মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে একদল নির্দিষ্ট আরব ও মুসলিম দেশের নেতার সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা করছেন। গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধের উপায় নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হবে বলে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত দুই আরব কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে জানিয়েছেন।

এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ২৯ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানানোর কয়েক দিন আগে। এই বৈঠকটি এমন এক প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন পশ্চিমা দেশগুলো ধারাবাহিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে এবং ইসরায়েল হুমকি দিচ্ছে যে তারা পশ্চিম তীর ‘দখল করে নেবে।’

সূত্র জানিয়েছে, হোয়াইট হাউস এরই মধ্যে বৈঠকের আমন্ত্রণ পাঠিয়েছে। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা মঙ্গলবার নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় বিকেল ২টা ৩০ মিনিটে। আরব কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, মিসর, জর্ডান ও তুরস্কের নেতাদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

সূত্রগুলো বলছে, হোয়াইট হাউস চায় আমন্ত্রিত আরব ও মুসলিম দেশগুলো যুদ্ধ পরবর্তী গাজা পরিকল্পনায় অংশ নিক এবং এমনকি সেখানে সৈন্য পাঠিয়ে একটি স্থিতিশীলতা বাহিনী গঠন করুক, যা ইসরায়েলি সেনাদের জায়গা নেবে। অন্যদিকে, আরব নেতারা বৈঠকে ট্রাম্পকে অনুরোধ করবেন যেন তিনি নেতানিয়াহুকে যুদ্ধ বন্ধে চাপ দেন এবং পশ্চিম তীরের কিছু অংশ দখল না করেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাত এরই মধ্যে হোয়াইট হাউসকে স্পষ্ট করে জানিয়েছে, পশ্চিম তীরের কিছু অংশ ইসরায়েল দখল করলে ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ড’ (যে চুক্তির আওতায় আরব আমিরাতসহ বেশ কয়েকটি আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে) ভেঙে যেতে পারে। এই চুক্তি ট্রাম্পের প্রথম প্রেসিডেন্ট মেয়াদের একটি বড় বৈদেশিক নীতি সাফল্য।

সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, একই দিনে ট্রাম্প আলাদা আরেকটি বৈঠক করবেন কয়েকটি পারস্য উপসাগরীয় দেশের নেতাদের সঙ্গে—যাদের মধ্যে থাকবেন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, বাহরাইন ও কুয়েতের নেতারা।

সে বৈঠকের একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় হবে—কাতারে হামাস নেতাদের ওপর ইসরায়েলের হামলা নিয়ে উপসাগরীয় দেশগুলোর উদ্বেগ। উপসাগরীয় অঞ্চলে এটি ছিল ইসরায়েলের প্রথম হামলা। আরব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উপসাগরীয় দেশগুলো ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে নিশ্চয়তা চাইবে যেন ভবিষ্যতে এমন হামলা আর না ঘটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত