ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজা ও পশ্চিম তীরের নারী ও কিশোরীদের ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছে ইসরায়েলি সেনারা। এমনটাই জানিয়েছেন, জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেছেন, ফিলিস্তিনে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগের প্রমাণ তাদের কাছে আছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউএন হাইকমিশন ফর হিউম্যান রাইটস গত সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছে, ইসরায়েলি সেনারা ফিলিস্তিনে বিচারবহির্ভূত হত্যা, বিনা বিচারে আটক, অবমাননাকর আচরণ, ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার মতো অপরাধ সংঘটিত করেছে গাজা ও পশ্চিম তীরে।
ইউএন হাইকমিশন ফর হিউম্যান রাইটসের প্রতিবেদনে প্রমাণ হিসেবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী কর্তৃক অনলাইন প্রকাশিত বিভিন্ন ছবিকে উপস্থাপন করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ইসরায়েলি সেনারা ফিলিস্তিনি নারী বন্দীদের সঙ্গে অবমাননাকর আচরণ করছে।
জাতিসংঘের এই সংস্থা বলেছে, ‘এ ধরনের কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন, আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আইনের অধীনে গুরুতর অপরাধ। যেগুলোকে রোম সংবিধির অধীনে বিচারের আওতায় আনা উচিত।’ সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে দোষীদের জবাবদিহির আওতায় এনে ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক এই সংস্থার বিশেষজ্ঞরা গাজায় ফিলিস্তিনি নারী ও কিশোরীদের নির্বিচারে হত্যা করার উদাহরণ তুলে ধরেছেন। তাঁরা বলেছেন, এসব নারীদের প্রায়ই তাদের সন্তান ও পরিবারসহ হত্যা করা হতো। তাঁরা বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুরা যখন নিরাপদ আশ্রয় খুঁজেছে বা পালিয়ে যেতে চেয়েছে তখন ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যার খবরে আমরা হতবাক হয়েছি।’
ইউএন হাইকমিশন ফর হিউম্যান রাইটসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বা সহযোগী বাহিনীর সদস্যরা যখন ফিলিস্তিনিরা হত্যা করছিল তখন তাদের মধ্যে কয়েকজনের হাতে আত্মসমর্পণের উদ্দেশ্যের সাদা কাপড় উড়িয়েছিলেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাটির বিশেষজ্ঞদের মধ্যে নারী ও কিশোরীদের প্রতি বৈষম্য সংক্রান্ত ওয়ার্কিং গ্রুপ, নারী ও কিশোরীদের প্রতি সহিংসতার বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার, জর্ডানের নারী অধিকার বিষয়ক পরামর্শক রিম আলসালেম ও ফিলিস্তিনের মানবাধিকার পরিস্থিতির বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার ফ্রান্সেসকা আলবানিজ অন্যতম।
প্রতিবেদনে এই বিশেষজ্ঞরা গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা ও পশ্চিম তীরে মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও মানবিক সহায়তা গোষ্ঠীর কর্মীসহ শত শত ফিলিস্তিনি নারী ও কিশোরীকে নির্বিচারে আটকে রাখার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, পশ্চিম তীর ও গাজার নারী ও কিশোরীদের সঙ্গে ‘অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণ করা হয়েছে’। তাদের ঋতুস্রাবের প্যাড, খাবার ও ওষুধ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে এবং মারাত্মকভাবে মারধর করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আরও বলেছেন, একটি অনুষ্ঠানে নারী বন্দীদের একটি খাঁচায় আটকে রাখা হয়েছিল এবং খাবার ছাড়াই তাদের বৃষ্টি ও ঠান্ডার মধ্যে খোলা জায়গায় ফেলে রাখা হয়েছে।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা প্রতিবেদনে ফিলিস্তিনি নারী বন্দীদের বিরুদ্ধে একাধিক ধরনের যৌন নিপীড়নের বিষয় তুলে ধরেছেন প্রতিবেদনে। তাঁরা দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, ইসরায়েলি পুরুষ সেনারা ফিলিস্তিনি নারী ও কিশোরীদের নগ্ন করে তল্লাশি করেছে। তাঁরা বলেছেন, ‘অন্তত দুই ফিলিস্তিনি নারী বন্দীকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং অন্যদের ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অপমানজনক পরিস্থিতিতে নারী বন্দীদের ছবি তুলে ইসরায়েলি সৈন্যরা অনলাইনে আপলোড করেছে।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা শুরুর পর পর অজানা সংখ্যক ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু নিখোঁজ হয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অন্তত একজন কিশোরীকে জোরপূর্বক ইসরায়েলে স্থানান্তরিত করেছে। এ ছাড়া, বিপুল পরিমাণ শিশুকে তাদের পিতামাতার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তাদের খবর এখনো পাওয়া যায়নি।’
প্রতিবেদন ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিশেজ্ঞরা বলেন, ‘আমরা ইসরায়েল সরকারকে ফিলিস্তিনি নারী ও কিশোরীদের জীবন, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও মর্যাদার অধিকার সমুন্নত রাখার এবং যৌন সহিংসতা, নির্যাতন, দুর্ব্যবহার বা অবমাননাকর আচরণের শিকার না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য তাদের বাধ্যবাধকতার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি।’
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজা ও পশ্চিম তীরের নারী ও কিশোরীদের ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছে ইসরায়েলি সেনারা। এমনটাই জানিয়েছেন, জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেছেন, ফিলিস্তিনে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগের প্রমাণ তাদের কাছে আছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউএন হাইকমিশন ফর হিউম্যান রাইটস গত সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছে, ইসরায়েলি সেনারা ফিলিস্তিনে বিচারবহির্ভূত হত্যা, বিনা বিচারে আটক, অবমাননাকর আচরণ, ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার মতো অপরাধ সংঘটিত করেছে গাজা ও পশ্চিম তীরে।
ইউএন হাইকমিশন ফর হিউম্যান রাইটসের প্রতিবেদনে প্রমাণ হিসেবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী কর্তৃক অনলাইন প্রকাশিত বিভিন্ন ছবিকে উপস্থাপন করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ইসরায়েলি সেনারা ফিলিস্তিনি নারী বন্দীদের সঙ্গে অবমাননাকর আচরণ করছে।
জাতিসংঘের এই সংস্থা বলেছে, ‘এ ধরনের কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন, আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আইনের অধীনে গুরুতর অপরাধ। যেগুলোকে রোম সংবিধির অধীনে বিচারের আওতায় আনা উচিত।’ সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে দোষীদের জবাবদিহির আওতায় এনে ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক এই সংস্থার বিশেষজ্ঞরা গাজায় ফিলিস্তিনি নারী ও কিশোরীদের নির্বিচারে হত্যা করার উদাহরণ তুলে ধরেছেন। তাঁরা বলেছেন, এসব নারীদের প্রায়ই তাদের সন্তান ও পরিবারসহ হত্যা করা হতো। তাঁরা বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুরা যখন নিরাপদ আশ্রয় খুঁজেছে বা পালিয়ে যেতে চেয়েছে তখন ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যার খবরে আমরা হতবাক হয়েছি।’
ইউএন হাইকমিশন ফর হিউম্যান রাইটসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বা সহযোগী বাহিনীর সদস্যরা যখন ফিলিস্তিনিরা হত্যা করছিল তখন তাদের মধ্যে কয়েকজনের হাতে আত্মসমর্পণের উদ্দেশ্যের সাদা কাপড় উড়িয়েছিলেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাটির বিশেষজ্ঞদের মধ্যে নারী ও কিশোরীদের প্রতি বৈষম্য সংক্রান্ত ওয়ার্কিং গ্রুপ, নারী ও কিশোরীদের প্রতি সহিংসতার বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার, জর্ডানের নারী অধিকার বিষয়ক পরামর্শক রিম আলসালেম ও ফিলিস্তিনের মানবাধিকার পরিস্থিতির বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার ফ্রান্সেসকা আলবানিজ অন্যতম।
প্রতিবেদনে এই বিশেষজ্ঞরা গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা ও পশ্চিম তীরে মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও মানবিক সহায়তা গোষ্ঠীর কর্মীসহ শত শত ফিলিস্তিনি নারী ও কিশোরীকে নির্বিচারে আটকে রাখার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, পশ্চিম তীর ও গাজার নারী ও কিশোরীদের সঙ্গে ‘অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণ করা হয়েছে’। তাদের ঋতুস্রাবের প্যাড, খাবার ও ওষুধ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে এবং মারাত্মকভাবে মারধর করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আরও বলেছেন, একটি অনুষ্ঠানে নারী বন্দীদের একটি খাঁচায় আটকে রাখা হয়েছিল এবং খাবার ছাড়াই তাদের বৃষ্টি ও ঠান্ডার মধ্যে খোলা জায়গায় ফেলে রাখা হয়েছে।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা প্রতিবেদনে ফিলিস্তিনি নারী বন্দীদের বিরুদ্ধে একাধিক ধরনের যৌন নিপীড়নের বিষয় তুলে ধরেছেন প্রতিবেদনে। তাঁরা দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, ইসরায়েলি পুরুষ সেনারা ফিলিস্তিনি নারী ও কিশোরীদের নগ্ন করে তল্লাশি করেছে। তাঁরা বলেছেন, ‘অন্তত দুই ফিলিস্তিনি নারী বন্দীকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং অন্যদের ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অপমানজনক পরিস্থিতিতে নারী বন্দীদের ছবি তুলে ইসরায়েলি সৈন্যরা অনলাইনে আপলোড করেছে।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা শুরুর পর পর অজানা সংখ্যক ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু নিখোঁজ হয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অন্তত একজন কিশোরীকে জোরপূর্বক ইসরায়েলে স্থানান্তরিত করেছে। এ ছাড়া, বিপুল পরিমাণ শিশুকে তাদের পিতামাতার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তাদের খবর এখনো পাওয়া যায়নি।’
প্রতিবেদন ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিশেজ্ঞরা বলেন, ‘আমরা ইসরায়েল সরকারকে ফিলিস্তিনি নারী ও কিশোরীদের জীবন, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও মর্যাদার অধিকার সমুন্নত রাখার এবং যৌন সহিংসতা, নির্যাতন, দুর্ব্যবহার বা অবমাননাকর আচরণের শিকার না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য তাদের বাধ্যবাধকতার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি।’
পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন দেশটি গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বর্তমান মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ অসিম মালিক। তিনি পাকিস্তানের দশম জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের খবরে এই তথ্য জানান
১৫ মিনিট আগেভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে টানা সপ্তম দিনের মতো গোলাগুলি হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার গভীর রাতে কাশ্মীরে বিবদমান সীমান্তে এই গোলাগুলি হয়। এতে কেউ হতাহত হয়েছে কিনা জানা যায়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩০ মিনিট আগেকাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দুই বৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান। সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ছয় দিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলির ঘটনা ঘটছে। সীমান্তে জোরদার করা হয়েছে সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি। কূটনীতিক বহিষ্কারসহ...
৭ ঘণ্টা আগেইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াইয়ের জন্য ১৫ হাজার সেনাসদস্য পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তাঁদের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও ৪ সহস্রাধিক। সব মিলিয়ে মোট হতাহতের সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএসের এক গোপন...
৯ ঘণ্টা আগে