কাতারের রাজধানী দোহায় আরব ও মুসলিম বিশ্বের নেতারা এক শীর্ষ সম্মেলনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর ও ঐক্যবদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানোর ব্যাপারে একমত হয়েছেন। কেউ কেউ আরব বিশ্বের নিরাপত্তা রক্ষায় ন্যাটোর আদলে ‘সম্মিলিত নিরাপত্তা বাহিনী’ গঠনের আহ্বানও জানিয়েছেন। রোববার ও সোমবার আরব লীগ এবং ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা
মৃত্যুপুরী গাজায় ইসারয়েলি আগ্রাসনে প্রাণ হারাল আরও ৫৩ ফিলিস্তিনি। গতকাল রোববার, উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ আর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন তারা। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে ৩৫ জনই গাজা সিটির বাসিন্দা।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মাসখানেক আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি নিজেকে ‘ব্যাপকভাবে’ ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ ধারণার সঙ্গে যুক্ত মনে করেন। তাঁর এ বক্তব্যের পর অনেকের মনে প্রশ্ন জেগে ওঠে যে, নেতানিয়াহু আসলে বৃহত্তর ইসরায়েল বলতে কোন কোন দেশ বা অঞ্চলকে বোঝাচ্ছেন।
গাজায় ইসরায়েলের টানা প্রায় দুই বছরের আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৬২ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১৮ হাজার ৮৮৫ জন শিশু। গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় মঙ্গলবার এ তথ্য দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ বাড়িয়ে দেওয়া এ সংখ্যাকে “মানবসভ্যতার জন্য ভয়াবহ কলঙ্ক” বলছেন বিশ্লেষকেরা।