আজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুদ্ধবিরতি নিয়ে দফায় দফায় উদ্যোগ নেওয়ার পরও এখনো গাজায় চলছে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে। আর ইসরায়েলি গণহত্যায় গাজা উপত্যকায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫৬ হাজার ৫০০ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮টি মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৩৬৫ জন। এর ফলে গত অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪১৯ জনে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় এখনো বহু মরদেহ পড়ে আছে, যাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এর বাইরে, গত ২৪ ঘণ্টায় মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও ১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৪১ জন। এ নিয়ে ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত সহায়তা নিতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় ৫৮৩ জন নিহত এবং ৪ হাজার ১৮৬ জন আহত হয়েছেন।
মার্চের ১৮ তারিখ থেকে ইসরায়েল ফের গাজায় হামলা শুরু করে। যার ফলে ভেঙে যায় জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি। এরপর থেকে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন আরও ৬ হাজার ১৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ২১ হাজার ৩৭৮ জন।
এদিকে, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গাজায় মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। শিশু ও নবজাতকেরা অপুষ্টিতে মারা যাচ্ছে। গাজা শহরে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করা অস্ট্রেলীয় নার্স ক্রিস্টি ব্ল্যাক আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, তিনি যে হাসপাতালে কাজ করছেন সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রী নেই। এমনকি যেসব অন্তঃসত্ত্বা নারীর নাসোগ্যাস্ট্রিক ফিডিং প্রয়োজন, তাদের জন্যও সঠিক খাবার নেই। ফলে অনেক মায়ের দুধ আসছে না, আবার শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় ফর্মুলাও মিলছে না।
ক্রিস্টি ব্ল্যাক বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে দুর্বলদেরই মৃত্যুবরণ করতে হচ্ছে। গত কয়েক দিনে কয়েকটি শিশু মারা গেছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ।’ অপুষ্টির কারণে অনেকের জখম সারছে না বলেও জানান তিনি। এ ছাড়া, লাগাতার বোমাবর্ষণের কারণে শ্বাসকষ্টের রোগও বেড়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখছি ছোট ছোট শিশু, যারা হয়তো নয় বা দশ বছর বয়সী, তারা খাবারের খোঁজে আবর্জনার মধ্যে ঘেঁটে বেড়াচ্ছে। তাদের দেখে দুই বছরের শিশুর মতো মনে হয়।’
অপরদিকে, ইসরায়েলের অব্যাহত বোমাবর্ষণের মধ্যেই গাজায় যুদ্ধ বন্ধে নতুন করে উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল মিলে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা এবং পরে ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি এই উদ্যোগকে আরও জোরালো করেছে।
গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘গাজায় চুক্তি করো, জিম্মিদের ফিরিয়ে আনো।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ দেওয়া পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগের দিন শনিবার ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই যুদ্ধবিরতি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি চুক্তি কাছাকাছি। আমি সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সরাসরি যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে কিছু না বললেও, গত সপ্তাহে তিনি স্বীকার করেছেন যে, গোপনে যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। এই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সেই প্রস্তাব, যার অধীনে প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি সম্প্রসারণ করা হতে পারে। তবে মার্চে ইসরায়েল ফের গাজায় হামলা চালিয়ে সেই প্রস্তাব ভন্ডুল করে দেয়।
আল-জাজিরার হামদাহ সালহুত জর্ডানের রাজধানী আম্মান থেকে জানান, নেতানিয়াহু এখন ব্যাপক চাপের মুখে। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প বেশ কিছুদিন ধরেই গাজায় যুদ্ধবিরতি চান, এটা খোলামেলাভাবে বলে আসছেন।’ তিনি আরও জানান, ‘দুই সপ্তাহ আগে ইসরায়েল ইরানে হামলার আগে থেকেই ইউরোপের মিত্ররা ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড নিয়ে নেতানিয়াহুর ওপর চাপ বাড়িয়েছিল।’
এদিকে নিরাপত্তাজনিত অজুহাতে নেতানিয়াহুর দুর্নীতির মামলার এ সপ্তাহের শুনানি বাতিল করেছে জেরুজালেম জেলা আদালত। নেতানিয়াহুর অনুরোধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে দফায় দফায় উদ্যোগ নেওয়ার পরও এখনো গাজায় চলছে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে। আর ইসরায়েলি গণহত্যায় গাজা উপত্যকায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫৬ হাজার ৫০০ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮টি মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৩৬৫ জন। এর ফলে গত অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪১৯ জনে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় এখনো বহু মরদেহ পড়ে আছে, যাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এর বাইরে, গত ২৪ ঘণ্টায় মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও ১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৪১ জন। এ নিয়ে ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত সহায়তা নিতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় ৫৮৩ জন নিহত এবং ৪ হাজার ১৮৬ জন আহত হয়েছেন।
মার্চের ১৮ তারিখ থেকে ইসরায়েল ফের গাজায় হামলা শুরু করে। যার ফলে ভেঙে যায় জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি। এরপর থেকে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন আরও ৬ হাজার ১৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ২১ হাজার ৩৭৮ জন।
এদিকে, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গাজায় মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। শিশু ও নবজাতকেরা অপুষ্টিতে মারা যাচ্ছে। গাজা শহরে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করা অস্ট্রেলীয় নার্স ক্রিস্টি ব্ল্যাক আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, তিনি যে হাসপাতালে কাজ করছেন সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রী নেই। এমনকি যেসব অন্তঃসত্ত্বা নারীর নাসোগ্যাস্ট্রিক ফিডিং প্রয়োজন, তাদের জন্যও সঠিক খাবার নেই। ফলে অনেক মায়ের দুধ আসছে না, আবার শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় ফর্মুলাও মিলছে না।
ক্রিস্টি ব্ল্যাক বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে দুর্বলদেরই মৃত্যুবরণ করতে হচ্ছে। গত কয়েক দিনে কয়েকটি শিশু মারা গেছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ।’ অপুষ্টির কারণে অনেকের জখম সারছে না বলেও জানান তিনি। এ ছাড়া, লাগাতার বোমাবর্ষণের কারণে শ্বাসকষ্টের রোগও বেড়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখছি ছোট ছোট শিশু, যারা হয়তো নয় বা দশ বছর বয়সী, তারা খাবারের খোঁজে আবর্জনার মধ্যে ঘেঁটে বেড়াচ্ছে। তাদের দেখে দুই বছরের শিশুর মতো মনে হয়।’
অপরদিকে, ইসরায়েলের অব্যাহত বোমাবর্ষণের মধ্যেই গাজায় যুদ্ধ বন্ধে নতুন করে উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল মিলে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা এবং পরে ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি এই উদ্যোগকে আরও জোরালো করেছে।
গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘গাজায় চুক্তি করো, জিম্মিদের ফিরিয়ে আনো।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ দেওয়া পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগের দিন শনিবার ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই যুদ্ধবিরতি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি চুক্তি কাছাকাছি। আমি সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সরাসরি যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে কিছু না বললেও, গত সপ্তাহে তিনি স্বীকার করেছেন যে, গোপনে যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। এই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সেই প্রস্তাব, যার অধীনে প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি সম্প্রসারণ করা হতে পারে। তবে মার্চে ইসরায়েল ফের গাজায় হামলা চালিয়ে সেই প্রস্তাব ভন্ডুল করে দেয়।
আল-জাজিরার হামদাহ সালহুত জর্ডানের রাজধানী আম্মান থেকে জানান, নেতানিয়াহু এখন ব্যাপক চাপের মুখে। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প বেশ কিছুদিন ধরেই গাজায় যুদ্ধবিরতি চান, এটা খোলামেলাভাবে বলে আসছেন।’ তিনি আরও জানান, ‘দুই সপ্তাহ আগে ইসরায়েল ইরানে হামলার আগে থেকেই ইউরোপের মিত্ররা ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড নিয়ে নেতানিয়াহুর ওপর চাপ বাড়িয়েছিল।’
এদিকে নিরাপত্তাজনিত অজুহাতে নেতানিয়াহুর দুর্নীতির মামলার এ সপ্তাহের শুনানি বাতিল করেছে জেরুজালেম জেলা আদালত। নেতানিয়াহুর অনুরোধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কাশির সিরাপে কোডিন নামের একধরনের মাদক ব্যবহার করা হয়। এটি হালকা ওপিওয়েড শ্রেণির মাদক, যা উচ্চমাত্রায় নিলে উচ্ছ্বাস বা নেশার অনুভূতি দেয় এবং আসক্তির ঝুঁকি বাড়ায়। ফলে বড়রা দীর্ঘদিন এই সিরাপ খেলে এতে আসক্ত হয়ে পড়েন।
১ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের জাফর এক্সপ্রেসে আবারও ভয়াবহ বোমা হামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দেশটির সিন্ধু প্রদেশের সুলতান কোট রেলস্টেশনের কাছে ওই বিস্ফোরণে ট্রেনটির চারটি বগি লাইনচ্যুত হয় এবং অন্তত সাতজন আহত হয়।
২ ঘণ্টা আগেআফগানিস্তানে কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কনটেন্টে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। বুধবার রাতে (৮ অক্টোবর) তালেবান সূত্রের বরাতে এই খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। তালেবান সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ওই সূত্রটি জানিয়েছে—ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং এক্স সহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের কিছু
২ ঘণ্টা আগেঘটনার সূত্রপাত মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলায়। সেখানেই প্রথম রহস্যজনকভাবে কয়েকটি শিশুর মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, তারা সবাই ‘কোল্ডরিফ’ নামের একটি কাশির সিরাপ খেয়েছিল। এই ওষুধ তৈরি করেছিল তামিলনাড়ুভিত্তিক একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। এই সিরাপ খেয়ে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে ১০টি শিশুর..
৩ ঘণ্টা আগে