অনলাইন ডেস্ক
জাতিসংঘ জানিয়েছে, মাত্র ১৬ দিনের ব্যবধানে ইরান থেকে পাঁচ লাখের বেশি আফগানকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতের পর এই বিশালসংখ্যক মানুষকে জোর করে বিতাড়নের ঘটনা ঘটেছে। এটিকে চলতি দশকের অন্যতম বৃহৎ জনসংখ্যা স্থানান্তরের একটি হিসেবে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ।
আজ শুক্রবার সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক মাস ধরে ইরান সরকার অবৈধভাবে বসবাসকারী আফগানদের ফেরত পাঠানোর কথা বলে আসছিল। এসব আফগান স্বল্প মজুরির বিনিময়ে সাধারণত নির্মাণ ও কৃষি খাতে কঠিন পরিশ্রম করেন।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, ২৪ জুন থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত ৫ লাখ ৮ হাজার ৪২৬ জন আফগান ইরান ছেড়ে আফগানিস্তানে ফিরেছেন। এর মধ্যে ৫ জুলাই এক দিনে সর্বোচ্চ ৫১ হাজার আফগান ফেরত যান। এটি ছিল আফগানদের দেশ ছাড়তে ইরানের ঘোষণা দেওয়া সময়সীমার ঠিক আগের দিন।
এই বিতাড়নের গতি নাটকীয়ভাবে বাড়ে ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘাত শেষ হওয়ার পর। কারণ, দাবি ওঠে, কিছু আফগান ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছিল। এমন প্রমাণ পাওয়া না গেলেও সরকারবিরোধী ক্ষোভকে একটি দুর্বল জনগোষ্ঠীর ওপর ঠেলে দেওয়ার কৌশল হিসেবে এই পদক্ষেপ দেখছেন সমালোচকেরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে ফেরত যাওয়া আফগানদের অবস্থা করুণ। সীমান্তে তাঁদের গ্রহণে হিমশিম খাচ্ছে আফগান কর্তৃপক্ষ। হেরাতের ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি গরমে শিশু-বৃদ্ধসহ হাজারো মানুষ রোদে অপেক্ষা করছেন।
আইওএমের প্রধান মিহিয়ুং পার্ক বলেছেন, গত সপ্তাহে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ফেরত গেছে। এর মধ্যে ৪০০টি শিশু ছিল, যারা মা-বাবা ছাড়াই ফিরেছে।
দুই দেশের ইসলাম-কালা সীমান্তে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, শত শত অভিবাসী গরমে কষ্ট পাচ্ছে। অনেকে ইরানে বছরের পর বছর ছিল। তাদের মধ্যে কারও কারও বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও ফেরত পাঠানো হয়েছে।
দেশে ফেরার আগে তেহরানে আটক হওয়া বিশের ঘরের এক আফগান তরুণ জানান, পুলিশ প্রথমে তাঁর কাছ থেকে ১ কোটি তুমান (প্রায় ২০০ ডলার) এবং পরে আরও ২০ লাখ তুমান আদায় করে। তিনি বলেন, ‘আমাদের ঠিকমতো পানি ও খাবার দেয়নি, গায়ে হাত তুলেছে।’
১১ বছরের আফগান শিশু পারিসা বলে, ‘আমরা ছয় বছর ধরে ইরানে ছিলাম। আমাদের বৈধ কাগজ ছিল, তা-ও স্কুলে যেতে দেয়নি। বলেছে, চিঠি নিয়ে বেরিয়ে যাও।’
এ বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূত রিচার্ড বেনেট টুইট করে বলেছেন, শত শত আফগান ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ ইরানে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক হচ্ছেন। ইরানের মিডিয়ায় আফগানদের বিশ্বাসঘাতক বলে চিহ্নিত করা এবং বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে।
এদিকে ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি বলেছেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা আমাদের অগ্রাধিকার। অবৈধ অভিবাসীদের অবশ্যই দেশে ফিরতে হবে।’
জাতিসংঘ জানিয়েছে, মাত্র ১৬ দিনের ব্যবধানে ইরান থেকে পাঁচ লাখের বেশি আফগানকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতের পর এই বিশালসংখ্যক মানুষকে জোর করে বিতাড়নের ঘটনা ঘটেছে। এটিকে চলতি দশকের অন্যতম বৃহৎ জনসংখ্যা স্থানান্তরের একটি হিসেবে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ।
আজ শুক্রবার সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক মাস ধরে ইরান সরকার অবৈধভাবে বসবাসকারী আফগানদের ফেরত পাঠানোর কথা বলে আসছিল। এসব আফগান স্বল্প মজুরির বিনিময়ে সাধারণত নির্মাণ ও কৃষি খাতে কঠিন পরিশ্রম করেন।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, ২৪ জুন থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত ৫ লাখ ৮ হাজার ৪২৬ জন আফগান ইরান ছেড়ে আফগানিস্তানে ফিরেছেন। এর মধ্যে ৫ জুলাই এক দিনে সর্বোচ্চ ৫১ হাজার আফগান ফেরত যান। এটি ছিল আফগানদের দেশ ছাড়তে ইরানের ঘোষণা দেওয়া সময়সীমার ঠিক আগের দিন।
এই বিতাড়নের গতি নাটকীয়ভাবে বাড়ে ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘাত শেষ হওয়ার পর। কারণ, দাবি ওঠে, কিছু আফগান ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছিল। এমন প্রমাণ পাওয়া না গেলেও সরকারবিরোধী ক্ষোভকে একটি দুর্বল জনগোষ্ঠীর ওপর ঠেলে দেওয়ার কৌশল হিসেবে এই পদক্ষেপ দেখছেন সমালোচকেরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে ফেরত যাওয়া আফগানদের অবস্থা করুণ। সীমান্তে তাঁদের গ্রহণে হিমশিম খাচ্ছে আফগান কর্তৃপক্ষ। হেরাতের ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি গরমে শিশু-বৃদ্ধসহ হাজারো মানুষ রোদে অপেক্ষা করছেন।
আইওএমের প্রধান মিহিয়ুং পার্ক বলেছেন, গত সপ্তাহে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ফেরত গেছে। এর মধ্যে ৪০০টি শিশু ছিল, যারা মা-বাবা ছাড়াই ফিরেছে।
দুই দেশের ইসলাম-কালা সীমান্তে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, শত শত অভিবাসী গরমে কষ্ট পাচ্ছে। অনেকে ইরানে বছরের পর বছর ছিল। তাদের মধ্যে কারও কারও বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও ফেরত পাঠানো হয়েছে।
দেশে ফেরার আগে তেহরানে আটক হওয়া বিশের ঘরের এক আফগান তরুণ জানান, পুলিশ প্রথমে তাঁর কাছ থেকে ১ কোটি তুমান (প্রায় ২০০ ডলার) এবং পরে আরও ২০ লাখ তুমান আদায় করে। তিনি বলেন, ‘আমাদের ঠিকমতো পানি ও খাবার দেয়নি, গায়ে হাত তুলেছে।’
১১ বছরের আফগান শিশু পারিসা বলে, ‘আমরা ছয় বছর ধরে ইরানে ছিলাম। আমাদের বৈধ কাগজ ছিল, তা-ও স্কুলে যেতে দেয়নি। বলেছে, চিঠি নিয়ে বেরিয়ে যাও।’
এ বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূত রিচার্ড বেনেট টুইট করে বলেছেন, শত শত আফগান ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ ইরানে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক হচ্ছেন। ইরানের মিডিয়ায় আফগানদের বিশ্বাসঘাতক বলে চিহ্নিত করা এবং বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে।
এদিকে ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি বলেছেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা আমাদের অগ্রাধিকার। অবৈধ অভিবাসীদের অবশ্যই দেশে ফিরতে হবে।’
ইরানের শাহেদ ড্রোনের নকশা ব্যবহার করে এই ড্রোন উৎপাদনের জন্য বিশাল এক কারখানা নির্মাণ করেছে রাশিয়া। তাতারস্তান অঞ্চলের আলাবুগা শিল্প এলাকায় অবস্থিত এই কারখানা বর্তমানে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ড্রোন উৎপাদন কেন্দ্র।
৪ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। প্রায় দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধের মধ্যে এই সিদ্ধান্তের ফলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সামরিক অভিযান আরও বিস্তৃত হবে। শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত দেশি-বিদেশি মহলে নতুন করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে...
৬ ঘণ্টা আগেগাজায় চলমান যুদ্ধ, অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং খাদ্যসহ জরুরি পণ্যের তীব্র সংকটের মধ্যে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার লড়াই আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। ব্যাংকগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ, স্থানীয় বাজারে ডিজিটাল লেনদেনও প্রায় অগ্রহণযোগ্য।
৬ ঘণ্টা আগেভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে কথা হয় এই দুই নেতার।
৬ ঘণ্টা আগে