
ইসরায়েল সরকার ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীরে বসতি নির্মাণের গতি ব্যাপক বাড়িয়েছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে দেশটি ফিলিস্তিনের অপর ভূখণ্ড গাজায় আগ্রাসন শুরুর পাশাপাশি পশ্চিম তীর, বিশেষ করে জেরুজালেমে বসতি নির্মাণ প্রকল্প দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, মূলত জেরুজালেমকে কেন্দ্র করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাধাগ্রস্ত করতেই এই পরিকল্পনা ইসরায়েলের।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি নির্মাণ যদিও অবৈধ, তবু দেশটি সেটিকে থোড়াই কেয়ার করছে। জেরুজালেমের আশপাশে ও পশ্চিম তীরে অন্তত তিন বসতি স্থাপন প্রকল্প ইসরায়েল বিগত ছয় মাসের মধ্যে অনুমোদন দিয়েছে।
ইসরায়েলের এ ধরনের অমানবিক আচরণের বিষয়টি উঠে এসেছে দেশটির মানবাধিকার সংস্থা বিমকমের সারি ক্রনিশের কথায়। তিনি বলেছেন, ‘অগ্রাধিকারভিত্তিতে পরিচালিত এসব প্রকল্প বিগত ছয় মাসে নজিরবিহীন গতি পেয়েছে।’
ক্রনিশ বলেন, ‘গত বছরের ৭ অক্টোবরের ঘটনার পর থেকে পশ্চিম তীরে যেখানে অধিকাংশ ইসরায়েলি সরকারি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে সেখানে ইসরায়েলি পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষ সব বাধা উপেক্ষা করে নজিরবিহীন গতিতে এই বসতি স্থাপনের বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’
ইসরায়েল ১৯৮০ সালে জর্ডানের নিয়ন্ত্রণে থাকা পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়। পরে ১৯৮০ সালে অঞ্চলটিকে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করে নেয়। এর পর থেকেই সেখানে ধীরে ধীরে ইহুদিদের সংখ্যা বাড়ানোর দিকে মনোযোগী হয় দেশটি।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর থেকেই জেরুজালেমকে কেন্দ্র করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়নের কথা জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের অনেক দেশই দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে কথা বলছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি বেশ কয়েকজন অবৈধ বসতি স্থাপনকারীর ওপর নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে। এই অবস্থায় বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইসরায়েল সেটিকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যেই এমনটা করছে।
বিগত ছয় মাসে; গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর ইসরায়েলি পরিকল্পনা বিভাগ সব মিলিয়ে তিনটি বসতির অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে দুটি পূর্ব জেরুজালেমে। যা বিগত ১ দশকের বেশি সময়ের প্রথম প্রথম বসতি স্থাপনের উদ্যোগ।
এই দুটি বসতি মূলত ইসরায়েলের উচ্চ নিরাপত্তার কিদমাত জায়নের বর্ধিত অংশ এবং জেরুজালেমের পূর্ব দিকে অবস্থিত ফিলিস্তিনি এলাকা রাস আল-আমুদের খুবই কাছে অবস্থিত। গার্ডিয়ানের কাছে আসা নথি থেকে দেখা গেছে, ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে হামলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ কিদমাত জায়ন প্রকল্প বাড়ানোর অনুমতি দেয়।
এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনি অঞ্চল বাইত সাফাফার পাশে পূর্ব জেরুজালেমে গিভাত হামাতোস ও গিভাত শাকেদ নামে দুটি আবাসন প্রকল্প এগিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক বিরোধিতার কারণে দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় গিভাত হামাতোস প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকার পর মাস খানিক আগে তা আবারও ব্যাপক আকারে শুরু হয়েছে। অবশ্যই ২০২০ সালে থেকেই এই প্রকল্পের কাজ নতুন করে শুরু হয়েছিল। তবে চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি এই প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
বাইত সাফাফার যে অংশে এই প্রকল্প চলমান সেখানে কোনো ফিলিস্তিনির সুউচ্চ দালান তৈরির অনুমোদন নেই। কিন্তু ইসরায়েল ঠিকই ৭০০ সুউচ্চ দালান নির্মাণ প্রকল্প এগিয়ে নিচ্ছে। ফিলিস্তিনিরা অভিযোগ দিলেও কানে তুলছে না জেরুজালেম পৌর কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বাইত সাফাফার বাসিন্দা ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের নেতা আহমেদ সালমান (৭১) বলেন, ‘আমাদের পরিবার এখানে আড়াই শ বছর ধরে আছে...কিন্তু এখন আমি দেখতে পাচ্ছি না, কীভাবে আমার সন্তান ও নাতি-নাতনিরা এখানে জীবন কাটাবে।’
আহমেদ সালমান আরও বলেন, ‘একসময় পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তা নষ্ট হয়ে গেছে। যুদ্ধ শুরুর পর তাঁরা আমাদের সব আপত্তি অগ্রাহ্য করে প্রকল্পের অনুমতি দিয়েছে। আমরা আবারও আবেদন করেছি, কোনো আশা নেই আর।’
এদিকে বাইত সাফাফার কাছে লোয়ার অ্যাকুইডাক্ট নামে আরও একটি আবাসন প্রকল্প চালু করেছে ইসরায়েল। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর এই লোয়ার অ্যাকুইডাক্ট প্রকল্পের অনুমতি দেওয়া হয়।
এসব প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জেরুজালেমে অবস্থিত ইসরায়েলি মানবাধিকার এনজিও ‘ইর আমিমের’ কর্মী অ্যামি কোহেন বলেন, ‘অনেক বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা কৌশলগতভাবে পূর্ব জেরুজালেমের দক্ষিণের এলাকাগুলো ঘিরে করা হয়েছে। এখানে বসতি নির্মিত হলে তা ফিলিস্তিনিদের অবস্থানকে আরও সংকুচিত করবে।
অ্যামি কোহেন আরও বলেন, ‘এই প্রকল্পগুলো বেথলেহাম ও দক্ষিণ পশ্চিম তীর থেকে পূর্ব জেরুজালেমের (ফিলিস্তিনিদের) সরাসরি প্রবেশ বন্ধ করে দেবে। এ ধরনের পদক্ষেপগুলো পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি কার্যকর স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলোকে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত করে।’
উল্লেখ্য, জেরুজালেমের জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ, যার ৪০ শতাংশই ফিলিস্তিনি। তবে ইসরায়েল সরকারের পরিকল্পনা হলো, জেরুজালেমে ইসরায়েলি ইহুদিদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখা। এর আগে, ১৯৬৭ সালের ৬ দিনের যুদ্ধের সময় ইসরায়েল জর্ডানের কাছ থেকে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়। পরে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করে নেয়। কিন্তু বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকৃত নয়।

ইসরায়েল সরকার ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীরে বসতি নির্মাণের গতি ব্যাপক বাড়িয়েছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে দেশটি ফিলিস্তিনের অপর ভূখণ্ড গাজায় আগ্রাসন শুরুর পাশাপাশি পশ্চিম তীর, বিশেষ করে জেরুজালেমে বসতি নির্মাণ প্রকল্প দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, মূলত জেরুজালেমকে কেন্দ্র করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাধাগ্রস্ত করতেই এই পরিকল্পনা ইসরায়েলের।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি নির্মাণ যদিও অবৈধ, তবু দেশটি সেটিকে থোড়াই কেয়ার করছে। জেরুজালেমের আশপাশে ও পশ্চিম তীরে অন্তত তিন বসতি স্থাপন প্রকল্প ইসরায়েল বিগত ছয় মাসের মধ্যে অনুমোদন দিয়েছে।
ইসরায়েলের এ ধরনের অমানবিক আচরণের বিষয়টি উঠে এসেছে দেশটির মানবাধিকার সংস্থা বিমকমের সারি ক্রনিশের কথায়। তিনি বলেছেন, ‘অগ্রাধিকারভিত্তিতে পরিচালিত এসব প্রকল্প বিগত ছয় মাসে নজিরবিহীন গতি পেয়েছে।’
ক্রনিশ বলেন, ‘গত বছরের ৭ অক্টোবরের ঘটনার পর থেকে পশ্চিম তীরে যেখানে অধিকাংশ ইসরায়েলি সরকারি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে সেখানে ইসরায়েলি পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষ সব বাধা উপেক্ষা করে নজিরবিহীন গতিতে এই বসতি স্থাপনের বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’
ইসরায়েল ১৯৮০ সালে জর্ডানের নিয়ন্ত্রণে থাকা পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়। পরে ১৯৮০ সালে অঞ্চলটিকে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করে নেয়। এর পর থেকেই সেখানে ধীরে ধীরে ইহুদিদের সংখ্যা বাড়ানোর দিকে মনোযোগী হয় দেশটি।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর থেকেই জেরুজালেমকে কেন্দ্র করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়নের কথা জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের অনেক দেশই দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে কথা বলছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি বেশ কয়েকজন অবৈধ বসতি স্থাপনকারীর ওপর নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে। এই অবস্থায় বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইসরায়েল সেটিকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যেই এমনটা করছে।
বিগত ছয় মাসে; গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর ইসরায়েলি পরিকল্পনা বিভাগ সব মিলিয়ে তিনটি বসতির অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে দুটি পূর্ব জেরুজালেমে। যা বিগত ১ দশকের বেশি সময়ের প্রথম প্রথম বসতি স্থাপনের উদ্যোগ।
এই দুটি বসতি মূলত ইসরায়েলের উচ্চ নিরাপত্তার কিদমাত জায়নের বর্ধিত অংশ এবং জেরুজালেমের পূর্ব দিকে অবস্থিত ফিলিস্তিনি এলাকা রাস আল-আমুদের খুবই কাছে অবস্থিত। গার্ডিয়ানের কাছে আসা নথি থেকে দেখা গেছে, ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে হামলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ কিদমাত জায়ন প্রকল্প বাড়ানোর অনুমতি দেয়।
এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনি অঞ্চল বাইত সাফাফার পাশে পূর্ব জেরুজালেমে গিভাত হামাতোস ও গিভাত শাকেদ নামে দুটি আবাসন প্রকল্প এগিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক বিরোধিতার কারণে দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় গিভাত হামাতোস প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকার পর মাস খানিক আগে তা আবারও ব্যাপক আকারে শুরু হয়েছে। অবশ্যই ২০২০ সালে থেকেই এই প্রকল্পের কাজ নতুন করে শুরু হয়েছিল। তবে চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি এই প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
বাইত সাফাফার যে অংশে এই প্রকল্প চলমান সেখানে কোনো ফিলিস্তিনির সুউচ্চ দালান তৈরির অনুমোদন নেই। কিন্তু ইসরায়েল ঠিকই ৭০০ সুউচ্চ দালান নির্মাণ প্রকল্প এগিয়ে নিচ্ছে। ফিলিস্তিনিরা অভিযোগ দিলেও কানে তুলছে না জেরুজালেম পৌর কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বাইত সাফাফার বাসিন্দা ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের নেতা আহমেদ সালমান (৭১) বলেন, ‘আমাদের পরিবার এখানে আড়াই শ বছর ধরে আছে...কিন্তু এখন আমি দেখতে পাচ্ছি না, কীভাবে আমার সন্তান ও নাতি-নাতনিরা এখানে জীবন কাটাবে।’
আহমেদ সালমান আরও বলেন, ‘একসময় পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তা নষ্ট হয়ে গেছে। যুদ্ধ শুরুর পর তাঁরা আমাদের সব আপত্তি অগ্রাহ্য করে প্রকল্পের অনুমতি দিয়েছে। আমরা আবারও আবেদন করেছি, কোনো আশা নেই আর।’
এদিকে বাইত সাফাফার কাছে লোয়ার অ্যাকুইডাক্ট নামে আরও একটি আবাসন প্রকল্প চালু করেছে ইসরায়েল। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর এই লোয়ার অ্যাকুইডাক্ট প্রকল্পের অনুমতি দেওয়া হয়।
এসব প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জেরুজালেমে অবস্থিত ইসরায়েলি মানবাধিকার এনজিও ‘ইর আমিমের’ কর্মী অ্যামি কোহেন বলেন, ‘অনেক বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা কৌশলগতভাবে পূর্ব জেরুজালেমের দক্ষিণের এলাকাগুলো ঘিরে করা হয়েছে। এখানে বসতি নির্মিত হলে তা ফিলিস্তিনিদের অবস্থানকে আরও সংকুচিত করবে।
অ্যামি কোহেন আরও বলেন, ‘এই প্রকল্পগুলো বেথলেহাম ও দক্ষিণ পশ্চিম তীর থেকে পূর্ব জেরুজালেমের (ফিলিস্তিনিদের) সরাসরি প্রবেশ বন্ধ করে দেবে। এ ধরনের পদক্ষেপগুলো পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি কার্যকর স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলোকে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত করে।’
উল্লেখ্য, জেরুজালেমের জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ, যার ৪০ শতাংশই ফিলিস্তিনি। তবে ইসরায়েল সরকারের পরিকল্পনা হলো, জেরুজালেমে ইসরায়েলি ইহুদিদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখা। এর আগে, ১৯৬৭ সালের ৬ দিনের যুদ্ধের সময় ইসরায়েল জর্ডানের কাছ থেকে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়। পরে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করে নেয়। কিন্তু বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকৃত নয়।

ইসরায়েল সরকার ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীরে বসতি নির্মাণের গতি ব্যাপক বাড়িয়েছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে দেশটি ফিলিস্তিনের অপর ভূখণ্ড গাজায় আগ্রাসন শুরুর পাশাপাশি পশ্চিম তীর, বিশেষ করে জেরুজালেমে বসতি নির্মাণ প্রকল্প দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, মূলত জেরুজালেমকে কেন্দ্র করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাধাগ্রস্ত করতেই এই পরিকল্পনা ইসরায়েলের।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি নির্মাণ যদিও অবৈধ, তবু দেশটি সেটিকে থোড়াই কেয়ার করছে। জেরুজালেমের আশপাশে ও পশ্চিম তীরে অন্তত তিন বসতি স্থাপন প্রকল্প ইসরায়েল বিগত ছয় মাসের মধ্যে অনুমোদন দিয়েছে।
ইসরায়েলের এ ধরনের অমানবিক আচরণের বিষয়টি উঠে এসেছে দেশটির মানবাধিকার সংস্থা বিমকমের সারি ক্রনিশের কথায়। তিনি বলেছেন, ‘অগ্রাধিকারভিত্তিতে পরিচালিত এসব প্রকল্প বিগত ছয় মাসে নজিরবিহীন গতি পেয়েছে।’
ক্রনিশ বলেন, ‘গত বছরের ৭ অক্টোবরের ঘটনার পর থেকে পশ্চিম তীরে যেখানে অধিকাংশ ইসরায়েলি সরকারি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে সেখানে ইসরায়েলি পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষ সব বাধা উপেক্ষা করে নজিরবিহীন গতিতে এই বসতি স্থাপনের বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’
ইসরায়েল ১৯৮০ সালে জর্ডানের নিয়ন্ত্রণে থাকা পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়। পরে ১৯৮০ সালে অঞ্চলটিকে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করে নেয়। এর পর থেকেই সেখানে ধীরে ধীরে ইহুদিদের সংখ্যা বাড়ানোর দিকে মনোযোগী হয় দেশটি।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর থেকেই জেরুজালেমকে কেন্দ্র করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়নের কথা জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের অনেক দেশই দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে কথা বলছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি বেশ কয়েকজন অবৈধ বসতি স্থাপনকারীর ওপর নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে। এই অবস্থায় বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইসরায়েল সেটিকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যেই এমনটা করছে।
বিগত ছয় মাসে; গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর ইসরায়েলি পরিকল্পনা বিভাগ সব মিলিয়ে তিনটি বসতির অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে দুটি পূর্ব জেরুজালেমে। যা বিগত ১ দশকের বেশি সময়ের প্রথম প্রথম বসতি স্থাপনের উদ্যোগ।
এই দুটি বসতি মূলত ইসরায়েলের উচ্চ নিরাপত্তার কিদমাত জায়নের বর্ধিত অংশ এবং জেরুজালেমের পূর্ব দিকে অবস্থিত ফিলিস্তিনি এলাকা রাস আল-আমুদের খুবই কাছে অবস্থিত। গার্ডিয়ানের কাছে আসা নথি থেকে দেখা গেছে, ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে হামলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ কিদমাত জায়ন প্রকল্প বাড়ানোর অনুমতি দেয়।
এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনি অঞ্চল বাইত সাফাফার পাশে পূর্ব জেরুজালেমে গিভাত হামাতোস ও গিভাত শাকেদ নামে দুটি আবাসন প্রকল্প এগিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক বিরোধিতার কারণে দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় গিভাত হামাতোস প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকার পর মাস খানিক আগে তা আবারও ব্যাপক আকারে শুরু হয়েছে। অবশ্যই ২০২০ সালে থেকেই এই প্রকল্পের কাজ নতুন করে শুরু হয়েছিল। তবে চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি এই প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
বাইত সাফাফার যে অংশে এই প্রকল্প চলমান সেখানে কোনো ফিলিস্তিনির সুউচ্চ দালান তৈরির অনুমোদন নেই। কিন্তু ইসরায়েল ঠিকই ৭০০ সুউচ্চ দালান নির্মাণ প্রকল্প এগিয়ে নিচ্ছে। ফিলিস্তিনিরা অভিযোগ দিলেও কানে তুলছে না জেরুজালেম পৌর কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বাইত সাফাফার বাসিন্দা ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের নেতা আহমেদ সালমান (৭১) বলেন, ‘আমাদের পরিবার এখানে আড়াই শ বছর ধরে আছে...কিন্তু এখন আমি দেখতে পাচ্ছি না, কীভাবে আমার সন্তান ও নাতি-নাতনিরা এখানে জীবন কাটাবে।’
আহমেদ সালমান আরও বলেন, ‘একসময় পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তা নষ্ট হয়ে গেছে। যুদ্ধ শুরুর পর তাঁরা আমাদের সব আপত্তি অগ্রাহ্য করে প্রকল্পের অনুমতি দিয়েছে। আমরা আবারও আবেদন করেছি, কোনো আশা নেই আর।’
এদিকে বাইত সাফাফার কাছে লোয়ার অ্যাকুইডাক্ট নামে আরও একটি আবাসন প্রকল্প চালু করেছে ইসরায়েল। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর এই লোয়ার অ্যাকুইডাক্ট প্রকল্পের অনুমতি দেওয়া হয়।
এসব প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জেরুজালেমে অবস্থিত ইসরায়েলি মানবাধিকার এনজিও ‘ইর আমিমের’ কর্মী অ্যামি কোহেন বলেন, ‘অনেক বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা কৌশলগতভাবে পূর্ব জেরুজালেমের দক্ষিণের এলাকাগুলো ঘিরে করা হয়েছে। এখানে বসতি নির্মিত হলে তা ফিলিস্তিনিদের অবস্থানকে আরও সংকুচিত করবে।
অ্যামি কোহেন আরও বলেন, ‘এই প্রকল্পগুলো বেথলেহাম ও দক্ষিণ পশ্চিম তীর থেকে পূর্ব জেরুজালেমের (ফিলিস্তিনিদের) সরাসরি প্রবেশ বন্ধ করে দেবে। এ ধরনের পদক্ষেপগুলো পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি কার্যকর স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলোকে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত করে।’
উল্লেখ্য, জেরুজালেমের জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ, যার ৪০ শতাংশই ফিলিস্তিনি। তবে ইসরায়েল সরকারের পরিকল্পনা হলো, জেরুজালেমে ইসরায়েলি ইহুদিদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখা। এর আগে, ১৯৬৭ সালের ৬ দিনের যুদ্ধের সময় ইসরায়েল জর্ডানের কাছ থেকে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়। পরে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করে নেয়। কিন্তু বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকৃত নয়।

ইসরায়েল সরকার ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীরে বসতি নির্মাণের গতি ব্যাপক বাড়িয়েছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে দেশটি ফিলিস্তিনের অপর ভূখণ্ড গাজায় আগ্রাসন শুরুর পাশাপাশি পশ্চিম তীর, বিশেষ করে জেরুজালেমে বসতি নির্মাণ প্রকল্প দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, মূলত জেরুজালেমকে কেন্দ্র করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাধাগ্রস্ত করতেই এই পরিকল্পনা ইসরায়েলের।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি নির্মাণ যদিও অবৈধ, তবু দেশটি সেটিকে থোড়াই কেয়ার করছে। জেরুজালেমের আশপাশে ও পশ্চিম তীরে অন্তত তিন বসতি স্থাপন প্রকল্প ইসরায়েল বিগত ছয় মাসের মধ্যে অনুমোদন দিয়েছে।
ইসরায়েলের এ ধরনের অমানবিক আচরণের বিষয়টি উঠে এসেছে দেশটির মানবাধিকার সংস্থা বিমকমের সারি ক্রনিশের কথায়। তিনি বলেছেন, ‘অগ্রাধিকারভিত্তিতে পরিচালিত এসব প্রকল্প বিগত ছয় মাসে নজিরবিহীন গতি পেয়েছে।’
ক্রনিশ বলেন, ‘গত বছরের ৭ অক্টোবরের ঘটনার পর থেকে পশ্চিম তীরে যেখানে অধিকাংশ ইসরায়েলি সরকারি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে সেখানে ইসরায়েলি পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষ সব বাধা উপেক্ষা করে নজিরবিহীন গতিতে এই বসতি স্থাপনের বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’
ইসরায়েল ১৯৮০ সালে জর্ডানের নিয়ন্ত্রণে থাকা পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়। পরে ১৯৮০ সালে অঞ্চলটিকে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করে নেয়। এর পর থেকেই সেখানে ধীরে ধীরে ইহুদিদের সংখ্যা বাড়ানোর দিকে মনোযোগী হয় দেশটি।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর থেকেই জেরুজালেমকে কেন্দ্র করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়নের কথা জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের অনেক দেশই দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে কথা বলছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি বেশ কয়েকজন অবৈধ বসতি স্থাপনকারীর ওপর নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে। এই অবস্থায় বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইসরায়েল সেটিকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যেই এমনটা করছে।
বিগত ছয় মাসে; গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর ইসরায়েলি পরিকল্পনা বিভাগ সব মিলিয়ে তিনটি বসতির অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে দুটি পূর্ব জেরুজালেমে। যা বিগত ১ দশকের বেশি সময়ের প্রথম প্রথম বসতি স্থাপনের উদ্যোগ।
এই দুটি বসতি মূলত ইসরায়েলের উচ্চ নিরাপত্তার কিদমাত জায়নের বর্ধিত অংশ এবং জেরুজালেমের পূর্ব দিকে অবস্থিত ফিলিস্তিনি এলাকা রাস আল-আমুদের খুবই কাছে অবস্থিত। গার্ডিয়ানের কাছে আসা নথি থেকে দেখা গেছে, ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে হামলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ কিদমাত জায়ন প্রকল্প বাড়ানোর অনুমতি দেয়।
এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনি অঞ্চল বাইত সাফাফার পাশে পূর্ব জেরুজালেমে গিভাত হামাতোস ও গিভাত শাকেদ নামে দুটি আবাসন প্রকল্প এগিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক বিরোধিতার কারণে দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় গিভাত হামাতোস প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকার পর মাস খানিক আগে তা আবারও ব্যাপক আকারে শুরু হয়েছে। অবশ্যই ২০২০ সালে থেকেই এই প্রকল্পের কাজ নতুন করে শুরু হয়েছিল। তবে চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি এই প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
বাইত সাফাফার যে অংশে এই প্রকল্প চলমান সেখানে কোনো ফিলিস্তিনির সুউচ্চ দালান তৈরির অনুমোদন নেই। কিন্তু ইসরায়েল ঠিকই ৭০০ সুউচ্চ দালান নির্মাণ প্রকল্প এগিয়ে নিচ্ছে। ফিলিস্তিনিরা অভিযোগ দিলেও কানে তুলছে না জেরুজালেম পৌর কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বাইত সাফাফার বাসিন্দা ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের নেতা আহমেদ সালমান (৭১) বলেন, ‘আমাদের পরিবার এখানে আড়াই শ বছর ধরে আছে...কিন্তু এখন আমি দেখতে পাচ্ছি না, কীভাবে আমার সন্তান ও নাতি-নাতনিরা এখানে জীবন কাটাবে।’
আহমেদ সালমান আরও বলেন, ‘একসময় পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তা নষ্ট হয়ে গেছে। যুদ্ধ শুরুর পর তাঁরা আমাদের সব আপত্তি অগ্রাহ্য করে প্রকল্পের অনুমতি দিয়েছে। আমরা আবারও আবেদন করেছি, কোনো আশা নেই আর।’
এদিকে বাইত সাফাফার কাছে লোয়ার অ্যাকুইডাক্ট নামে আরও একটি আবাসন প্রকল্প চালু করেছে ইসরায়েল। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর এই লোয়ার অ্যাকুইডাক্ট প্রকল্পের অনুমতি দেওয়া হয়।
এসব প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জেরুজালেমে অবস্থিত ইসরায়েলি মানবাধিকার এনজিও ‘ইর আমিমের’ কর্মী অ্যামি কোহেন বলেন, ‘অনেক বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা কৌশলগতভাবে পূর্ব জেরুজালেমের দক্ষিণের এলাকাগুলো ঘিরে করা হয়েছে। এখানে বসতি নির্মিত হলে তা ফিলিস্তিনিদের অবস্থানকে আরও সংকুচিত করবে।
অ্যামি কোহেন আরও বলেন, ‘এই প্রকল্পগুলো বেথলেহাম ও দক্ষিণ পশ্চিম তীর থেকে পূর্ব জেরুজালেমের (ফিলিস্তিনিদের) সরাসরি প্রবেশ বন্ধ করে দেবে। এ ধরনের পদক্ষেপগুলো পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি কার্যকর স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলোকে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত করে।’
উল্লেখ্য, জেরুজালেমের জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ, যার ৪০ শতাংশই ফিলিস্তিনি। তবে ইসরায়েল সরকারের পরিকল্পনা হলো, জেরুজালেমে ইসরায়েলি ইহুদিদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখা। এর আগে, ১৯৬৭ সালের ৬ দিনের যুদ্ধের সময় ইসরায়েল জর্ডানের কাছ থেকে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়। পরে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করে নেয়। কিন্তু বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকৃত নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৪১ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
২ ঘণ্টা আগে
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আহ্বান জানাচ্ছেন— বিষয়টি নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সিডনির বন্ডি বিচে দুই হামলাকারীর মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে, হামলাকারী যুবক ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরাম। তিনি সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের বনিরিগ এলাকার বাসিন্দা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আত্মরক্ষার জন্য অনেক শিক্ষার্থী ডেস্কের নিচে লুকিয়ে পড়েছিলেন। তবে ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতা অন্তত দুই শিক্ষার্থীর কাছে নতুন কিছু ছিল না। এর আগেও তাঁরা স্কুল জীবনে এই ধরনের গোলাগুলির মুখে পড়ে প্রাণে বেঁচেছিলেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২১ বছর বয়সী মিয়া ট্রেটা এবং ২০ বছর বয়সী জোয়ে ওয়েইসম্যান—দুজনেই অতীতে ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বেশি যে অনুভূতিটা হচ্ছে তা হলো—এই দেশ কীভাবে আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে দিল?’
শনিবার কালো পোশাক পরা এক বন্দুকধারী ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে গুলি চালানো শুরু করলে ক্যাম্পাসে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহভাজন হামলাকারী দীর্ঘ সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় শত শত পুলিশ রাতভর ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায়।
ওয়েইসম্যান তখন নিজের ডরমিটরিতেই ছিলেন। এক বন্ধুর ফোন পেয়ে তিনি জানতে পারেন ক্যাম্পাসে গুলিবর্ষণ চলছে। প্রথমে ভয় পেলেও সেই আতঙ্ক দ্রুত ক্ষোভে রূপ নেয়। এনবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, জীবনে আর কখনো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে না। আট বছর পর আবারও সেই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি।’
২০১৮ সালে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে নিজের মিডল স্কুলের পাশের একটি হাইস্কুলে ভয়াবহ শুটিং প্রত্যক্ষ করেছিলেন ওয়েইসম্যান। ওই ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল।
অন্যদিকে, মিয়া ট্রেটা ২০১৯ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে সগাস হাইস্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তখন ১৬ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী হামলা চালিয়ে দুজনকে হত্যা করে, যাদের একজন ছিলেন ট্রেটার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গুলিতে ট্রেটার পেট গুরুতরভাবে জখম হয়েছিল।
শনিবারের ঘটনার সময় নিজের ডরমিটরিতে পড়াশোনা করছিলেন ট্রেটা। তিনি মূলত যে ভবনে হামলাটি ঘটে সেখানে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ক্লান্ত বোধ করায় শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলান—যা কার্যত তার প্রাণ বাঁচায়।
এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দীর্ঘদিনের দাবিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্যমতে, চলতি বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮৯টি গণ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫০০-এর বেশি।
ট্রেটা ও ওয়েইসম্যান দুজনই বলছেন, তাঁরা কখনো ভাবেননি দ্বিতীয়বার এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমি নিজেকে বোঝাতাম—পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটা আর কখনো ঘটবে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আর কেউই এমন নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আত্মরক্ষার জন্য অনেক শিক্ষার্থী ডেস্কের নিচে লুকিয়ে পড়েছিলেন। তবে ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতা অন্তত দুই শিক্ষার্থীর কাছে নতুন কিছু ছিল না। এর আগেও তাঁরা স্কুল জীবনে এই ধরনের গোলাগুলির মুখে পড়ে প্রাণে বেঁচেছিলেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২১ বছর বয়সী মিয়া ট্রেটা এবং ২০ বছর বয়সী জোয়ে ওয়েইসম্যান—দুজনেই অতীতে ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বেশি যে অনুভূতিটা হচ্ছে তা হলো—এই দেশ কীভাবে আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে দিল?’
শনিবার কালো পোশাক পরা এক বন্দুকধারী ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে গুলি চালানো শুরু করলে ক্যাম্পাসে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহভাজন হামলাকারী দীর্ঘ সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় শত শত পুলিশ রাতভর ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায়।
ওয়েইসম্যান তখন নিজের ডরমিটরিতেই ছিলেন। এক বন্ধুর ফোন পেয়ে তিনি জানতে পারেন ক্যাম্পাসে গুলিবর্ষণ চলছে। প্রথমে ভয় পেলেও সেই আতঙ্ক দ্রুত ক্ষোভে রূপ নেয়। এনবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, জীবনে আর কখনো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে না। আট বছর পর আবারও সেই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি।’
২০১৮ সালে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে নিজের মিডল স্কুলের পাশের একটি হাইস্কুলে ভয়াবহ শুটিং প্রত্যক্ষ করেছিলেন ওয়েইসম্যান। ওই ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল।
অন্যদিকে, মিয়া ট্রেটা ২০১৯ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে সগাস হাইস্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তখন ১৬ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী হামলা চালিয়ে দুজনকে হত্যা করে, যাদের একজন ছিলেন ট্রেটার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গুলিতে ট্রেটার পেট গুরুতরভাবে জখম হয়েছিল।
শনিবারের ঘটনার সময় নিজের ডরমিটরিতে পড়াশোনা করছিলেন ট্রেটা। তিনি মূলত যে ভবনে হামলাটি ঘটে সেখানে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ক্লান্ত বোধ করায় শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলান—যা কার্যত তার প্রাণ বাঁচায়।
এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দীর্ঘদিনের দাবিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্যমতে, চলতি বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮৯টি গণ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫০০-এর বেশি।
ট্রেটা ও ওয়েইসম্যান দুজনই বলছেন, তাঁরা কখনো ভাবেননি দ্বিতীয়বার এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমি নিজেকে বোঝাতাম—পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটা আর কখনো ঘটবে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আর কেউই এমন নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে দেশটি ফিলিস্তিনের অপর ভূখণ্ড গাজায় আগ্রাসন শুরুর পাশাপাশি পশ্চিম তীর, বিশেষ করে জেরুজালেমে বসতি নির্মাণ প্রকল্প দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, মূলত জেরুজালেমকে কেন্দ্র করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাধাগ্রস্ত করতেই এই পরিকল্পনা ইসরায়
১৭ এপ্রিল ২০২৪
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
২ ঘণ্টা আগে
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আহ্বান জানাচ্ছেন— বিষয়টি নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সিডনির বন্ডি বিচে দুই হামলাকারীর মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে, হামলাকারী যুবক ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরাম। তিনি সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের বনিরিগ এলাকার বাসিন্দা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়, আর মানুষ প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে হামলার মুহূর্তটির বর্ণনা দিয়েছেন মার্কোস কারভালহো নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী। গুলির শব্দকে আতশবাজি ভেবেছিলেন তিনিও। কারভালহো জানান, সারা দিন সমুদ্রসৈকতে থাকার পর তিনি নিজের জিনিসপত্র গোছাচ্ছিলেন। এমন সময়ই গুলির শব্দ ভেসে আসে।
তিনি বলেন, ‘এক মিলিয়ন বছরেও ভাবিনি, বন্ডির মতো জায়গায় এমন গুলিবর্ষণ হতে পারে।’ তিনি জানান, মানুষ যখন বুঝতে শুরু করে কী হচ্ছে, তখনই সবাই দিগ্বিদিক ছুটে পালাতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করেন তিনি নিজেও।
কারভালহো বলেন, ‘আমি প্রাণ বাঁচাতে নর্থ বন্ডি গ্রাসি নলের দিকে দৌড়াই। পরে আরও কয়েকজন সহ আমরা একটি একটি আইসক্রিম ভ্যানের পেছনে লুকাই।’
জরুরি সেবা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরই গুলির শব্দ থামে। এরপর হামলার জায়গাটির পাশ দিয়েই বাড়ি ফেরেন কারভালহো। এ সময় তিনি মাটিতে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, বন্ডাই বিচে উপস্থিত ছিলেন হাইম লেভি। তিনি ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-কে জানান, হানুকা উৎসবের সময় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি সৈকতে বসেছিলেন। তখনই হামলা শুরু হয়। লেভি বলেন, ‘হঠাৎ ধোঁয়া দেখলাম, আর গুলির শব্দ শুনলাম। প্রথমে বুঝতে পারিনি গুলি আকাশে ছোড়া হচ্ছে নাকি ভিড়ের দিকে। তবে তাৎক্ষণিকভাবেই বোঝা গেল ভয়াবহ কিছু ঘটছে।’
লেভি জানান, তিনি স্ত্রীকে দৌড়াতে বলেন। পরে মেয়েকে নিয়ে ছুটতে শুরু করেন স্ত্রী, আর ছেলেকে নিয়ে একটি গাড়ির পেছনে লুকিয়ে পড়েন তিনি। প্রায় ২০ মিনিট ধরে তাঁদের মাথার ওপর দিয়ে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। পরে একটি বেড়া টপকে ছেলেকে নিয়ে গাড়ির কাছে পৌঁছান। খুঁজে পান স্ত্রীকেও। তাঁরা দ্রুত সেখান থেকে কেটে পড়েন।
লেভি আরও জানান, হামলার মুহূর্তটিকে তাঁর দুই বছর বয়সী ছেলে কান্না করছিল। গুলিবর্ষণকারীরা শুনে ফেললে মেরে ফেলতে পারে—এমন ভয়ে তিনি ছেলের মুখ চেপে ধরেন।
অস্ট্রেলিয়ায় ক্রমবর্ধমান ইহুদিবিদ্বেষের সমালোচনা করে লেভি বলেন, ‘এমন কিছু যে ঘটবে, তা স্পষ্ট ছিল। কিন্তু কখনো ভাবিনি আমি নিজে পরিবার নিয়ে এর মাঝখানে পড়ব।’ গুলিবর্ষণের মধ্যে দিয়ে বেঁচে ফেরাকে তিনি ‘অলৌকিক’ বলেই মনে করছেন লেভি।
অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বন্ডি বিচ ও এর সংলগ্ন এলাকায় বড় আকারের অপারেশন শুরু করেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ ‘এক্স’ হ্যান্ডলে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুলিশি অভিযান এখনো চলছে এবং জনসাধারণকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়, আর মানুষ প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে হামলার মুহূর্তটির বর্ণনা দিয়েছেন মার্কোস কারভালহো নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী। গুলির শব্দকে আতশবাজি ভেবেছিলেন তিনিও। কারভালহো জানান, সারা দিন সমুদ্রসৈকতে থাকার পর তিনি নিজের জিনিসপত্র গোছাচ্ছিলেন। এমন সময়ই গুলির শব্দ ভেসে আসে।
তিনি বলেন, ‘এক মিলিয়ন বছরেও ভাবিনি, বন্ডির মতো জায়গায় এমন গুলিবর্ষণ হতে পারে।’ তিনি জানান, মানুষ যখন বুঝতে শুরু করে কী হচ্ছে, তখনই সবাই দিগ্বিদিক ছুটে পালাতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করেন তিনি নিজেও।
কারভালহো বলেন, ‘আমি প্রাণ বাঁচাতে নর্থ বন্ডি গ্রাসি নলের দিকে দৌড়াই। পরে আরও কয়েকজন সহ আমরা একটি একটি আইসক্রিম ভ্যানের পেছনে লুকাই।’
জরুরি সেবা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরই গুলির শব্দ থামে। এরপর হামলার জায়গাটির পাশ দিয়েই বাড়ি ফেরেন কারভালহো। এ সময় তিনি মাটিতে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, বন্ডাই বিচে উপস্থিত ছিলেন হাইম লেভি। তিনি ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-কে জানান, হানুকা উৎসবের সময় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি সৈকতে বসেছিলেন। তখনই হামলা শুরু হয়। লেভি বলেন, ‘হঠাৎ ধোঁয়া দেখলাম, আর গুলির শব্দ শুনলাম। প্রথমে বুঝতে পারিনি গুলি আকাশে ছোড়া হচ্ছে নাকি ভিড়ের দিকে। তবে তাৎক্ষণিকভাবেই বোঝা গেল ভয়াবহ কিছু ঘটছে।’
লেভি জানান, তিনি স্ত্রীকে দৌড়াতে বলেন। পরে মেয়েকে নিয়ে ছুটতে শুরু করেন স্ত্রী, আর ছেলেকে নিয়ে একটি গাড়ির পেছনে লুকিয়ে পড়েন তিনি। প্রায় ২০ মিনিট ধরে তাঁদের মাথার ওপর দিয়ে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। পরে একটি বেড়া টপকে ছেলেকে নিয়ে গাড়ির কাছে পৌঁছান। খুঁজে পান স্ত্রীকেও। তাঁরা দ্রুত সেখান থেকে কেটে পড়েন।
লেভি আরও জানান, হামলার মুহূর্তটিকে তাঁর দুই বছর বয়সী ছেলে কান্না করছিল। গুলিবর্ষণকারীরা শুনে ফেললে মেরে ফেলতে পারে—এমন ভয়ে তিনি ছেলের মুখ চেপে ধরেন।
অস্ট্রেলিয়ায় ক্রমবর্ধমান ইহুদিবিদ্বেষের সমালোচনা করে লেভি বলেন, ‘এমন কিছু যে ঘটবে, তা স্পষ্ট ছিল। কিন্তু কখনো ভাবিনি আমি নিজে পরিবার নিয়ে এর মাঝখানে পড়ব।’ গুলিবর্ষণের মধ্যে দিয়ে বেঁচে ফেরাকে তিনি ‘অলৌকিক’ বলেই মনে করছেন লেভি।
অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বন্ডি বিচ ও এর সংলগ্ন এলাকায় বড় আকারের অপারেশন শুরু করেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ ‘এক্স’ হ্যান্ডলে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুলিশি অভিযান এখনো চলছে এবং জনসাধারণকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হচ্ছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে দেশটি ফিলিস্তিনের অপর ভূখণ্ড গাজায় আগ্রাসন শুরুর পাশাপাশি পশ্চিম তীর, বিশেষ করে জেরুজালেমে বসতি নির্মাণ প্রকল্প দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, মূলত জেরুজালেমকে কেন্দ্র করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাধাগ্রস্ত করতেই এই পরিকল্পনা ইসরায়
১৭ এপ্রিল ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৪১ মিনিট আগে
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আহ্বান জানাচ্ছেন— বিষয়টি নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সিডনির বন্ডি বিচে দুই হামলাকারীর মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে, হামলাকারী যুবক ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরাম। তিনি সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের বনিরিগ এলাকার বাসিন্দা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলবের পর অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতিতে উত্থাপিত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। একই সঙ্গে তলব করে যে বক্তব্য জানানো হয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে নয়াদিল্লি নিজের অবস্থান তুলে ধরেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসনোটে উত্থাপিত অভিযোগগুলো ভারত দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে সব সময়ই ভারতের অবস্থান। ভারত আরও দাবি করে, বাংলাদেশের ‘জনগণের স্বার্থবিরোধী’ কোনো কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কখনোই ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি।
এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা আশা করি, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনসহ অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।’
এর আগে দুপুরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে অবস্থানরত পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সমর্থকদের আহ্বান জানাচ্ছেন—এ নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়। এসব কর্মকাণ্ড আসন্ন সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা বলেও অভিযোগ করে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিচারের মুখোমুখি করতে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দ্রুত প্রত্যর্পণের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতে অবস্থানরত পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের ‘বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ড, পরিকল্পনা ও সন্ত্রাসী তৎপরতায়’ সহায়তার অভিযোগও তুলে ধরা হয়।
এ ছাড়া সম্প্রতি ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরিফ ওসমান হাদির ওপর হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনেরা যেন ভারতে পালাতে না পারেন, সে বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়। কেউ ভারতে প্রবেশ করলে তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশে হস্তান্তরের আহ্বান জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানো ভারতের দায়িত্ব।
অন্য দিকে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বৈঠকে জানান, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় ভারত এবং এ লক্ষ্যে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে তাঁর দেশ।

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলবের পর অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতিতে উত্থাপিত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। একই সঙ্গে তলব করে যে বক্তব্য জানানো হয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে নয়াদিল্লি নিজের অবস্থান তুলে ধরেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসনোটে উত্থাপিত অভিযোগগুলো ভারত দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে সব সময়ই ভারতের অবস্থান। ভারত আরও দাবি করে, বাংলাদেশের ‘জনগণের স্বার্থবিরোধী’ কোনো কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কখনোই ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি।
এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা আশা করি, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনসহ অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।’
এর আগে দুপুরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে অবস্থানরত পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সমর্থকদের আহ্বান জানাচ্ছেন—এ নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়। এসব কর্মকাণ্ড আসন্ন সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা বলেও অভিযোগ করে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিচারের মুখোমুখি করতে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দ্রুত প্রত্যর্পণের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতে অবস্থানরত পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের ‘বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ড, পরিকল্পনা ও সন্ত্রাসী তৎপরতায়’ সহায়তার অভিযোগও তুলে ধরা হয়।
এ ছাড়া সম্প্রতি ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরিফ ওসমান হাদির ওপর হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনেরা যেন ভারতে পালাতে না পারেন, সে বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়। কেউ ভারতে প্রবেশ করলে তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশে হস্তান্তরের আহ্বান জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানো ভারতের দায়িত্ব।
অন্য দিকে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বৈঠকে জানান, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় ভারত এবং এ লক্ষ্যে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে তাঁর দেশ।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে দেশটি ফিলিস্তিনের অপর ভূখণ্ড গাজায় আগ্রাসন শুরুর পাশাপাশি পশ্চিম তীর, বিশেষ করে জেরুজালেমে বসতি নির্মাণ প্রকল্প দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, মূলত জেরুজালেমকে কেন্দ্র করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাধাগ্রস্ত করতেই এই পরিকল্পনা ইসরায়
১৭ এপ্রিল ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৪১ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
২ ঘণ্টা আগে
সিডনির বন্ডি বিচে দুই হামলাকারীর মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে, হামলাকারী যুবক ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরাম। তিনি সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের বনিরিগ এলাকার বাসিন্দা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিডনির বন্ডি বিচে দুই হামলাকারীর মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে, হামলাকারী যুবক ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরাম। তিনি সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের বনিরিগ এলাকার বাসিন্দা।
অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম এবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় আকরাম গুলিবিদ্ধ হন। এরপর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে এবং বর্তমানে তিনি হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্য বন্দুকধারী ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
বর্তমানে বনিরিগের পাতিয়া এলাকায় আকরামের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এই সম্পত্তি তাঁর পরিবার এক বছর ধরে ব্যবহার করছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে বলছেন, নাভিদ আকরাম পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। তবে এ বিষয়ে এখনো তেমন শক্ত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এই ভয়াবহ হামলায় এখন পর্যন্ত শিশুসহ ১২ জন নিহত ও কমপক্ষে ১৭ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় বন্ডি বিচে ইহুদিদের অন্যতম প্রধান উৎসব হানুক্কার প্রথম দিনের একটি অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানটির নাম ছিল ‘চানুকা বাই দ্য সি ২০২৫’। আজ রোববার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে বিচসংলগ্ন শিশুদের খেলার মাঠে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। চাবাদ অব বন্ডি নামের একটি ইহুদি কেন্দ্র এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আজ সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে ক্যাম্পবেল প্যারেডসংলগ্ন বন্ডি প্যাভিলিয়নের কাছে একটি গাড়ি থেকে দুই ব্যক্তি নেমে আসেন। এরপর তাঁরা গুলি চালাতে শুরু করেন।
এদিকে এ ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইমামস কাউন্সিল ও কাউন্সিল অব ইমামস এনএসডব্লিউ এক যৌথ বিবৃতিতে বন্ডি বিচে গুলিবর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের সমাজে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের পূর্ণ জবাবদিহি ও আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।’
তারা নিহত ব্যক্তিদের পরিবার, ক্ষতিগ্রস্ত ও এই ভয়াবহ হামলার প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম সম্প্রদায়সহ সব অস্ট্রেলিয়ানের উচিত ঐক্য, সহানুভূতি ও সংহতি নিয়ে একসঙ্গে দাঁড়ানো, সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করা এবং সামাজিক সম্প্রীতি ও সব অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপত্তার প্রতি আমাদের যৌথ অঙ্গীকার নিশ্চিত করা।’

সিডনির বন্ডি বিচে দুই হামলাকারীর মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে, হামলাকারী যুবক ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরাম। তিনি সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের বনিরিগ এলাকার বাসিন্দা।
অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম এবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় আকরাম গুলিবিদ্ধ হন। এরপর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে এবং বর্তমানে তিনি হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্য বন্দুকধারী ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
বর্তমানে বনিরিগের পাতিয়া এলাকায় আকরামের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এই সম্পত্তি তাঁর পরিবার এক বছর ধরে ব্যবহার করছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে বলছেন, নাভিদ আকরাম পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। তবে এ বিষয়ে এখনো তেমন শক্ত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এই ভয়াবহ হামলায় এখন পর্যন্ত শিশুসহ ১২ জন নিহত ও কমপক্ষে ১৭ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় বন্ডি বিচে ইহুদিদের অন্যতম প্রধান উৎসব হানুক্কার প্রথম দিনের একটি অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানটির নাম ছিল ‘চানুকা বাই দ্য সি ২০২৫’। আজ রোববার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে বিচসংলগ্ন শিশুদের খেলার মাঠে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। চাবাদ অব বন্ডি নামের একটি ইহুদি কেন্দ্র এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আজ সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে ক্যাম্পবেল প্যারেডসংলগ্ন বন্ডি প্যাভিলিয়নের কাছে একটি গাড়ি থেকে দুই ব্যক্তি নেমে আসেন। এরপর তাঁরা গুলি চালাতে শুরু করেন।
এদিকে এ ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইমামস কাউন্সিল ও কাউন্সিল অব ইমামস এনএসডব্লিউ এক যৌথ বিবৃতিতে বন্ডি বিচে গুলিবর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের সমাজে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের পূর্ণ জবাবদিহি ও আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।’
তারা নিহত ব্যক্তিদের পরিবার, ক্ষতিগ্রস্ত ও এই ভয়াবহ হামলার প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম সম্প্রদায়সহ সব অস্ট্রেলিয়ানের উচিত ঐক্য, সহানুভূতি ও সংহতি নিয়ে একসঙ্গে দাঁড়ানো, সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করা এবং সামাজিক সম্প্রীতি ও সব অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপত্তার প্রতি আমাদের যৌথ অঙ্গীকার নিশ্চিত করা।’

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে দেশটি ফিলিস্তিনের অপর ভূখণ্ড গাজায় আগ্রাসন শুরুর পাশাপাশি পশ্চিম তীর, বিশেষ করে জেরুজালেমে বসতি নির্মাণ প্রকল্প দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, মূলত জেরুজালেমকে কেন্দ্র করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাধাগ্রস্ত করতেই এই পরিকল্পনা ইসরায়
১৭ এপ্রিল ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৪১ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
২ ঘণ্টা আগে
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আহ্বান জানাচ্ছেন— বিষয়টি নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে