আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সৌদি আরব সম্প্রতি বিদেশি কর্মী নিয়োগে একটি নতুন ওয়ার্ক পারমিট শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি চালু করেছে। এটির লক্ষ্য হলো, দেশটির শ্রমবাজারে নমনীয়তা আনা এবং উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন আন্তর্জাতিক জনশক্তিকে আকৃষ্ট করা।
দেশটির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় ঘোষিত এই নতুন ব্যবস্থা অনুযায়ী, বিদেশি কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিট এখন থেকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হবে। এগুলো হলো, যথাক্রমে—উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন, দক্ষ ও সাধারণ কর্মী। একাধিক মানদণ্ডের ভিত্তিতে এই শ্রেণিবিন্যাস নির্ধারিত হবে—যেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাগত অভিজ্ঞতা, নির্দিষ্ট দক্ষতা, বেতন ও বয়স।
নতুন ব্যবস্থাটি দুই ধাপে কার্যকর হচ্ছে। প্রথম ধাপে, সৌদি আরবে বর্তমানে কর্মরত বিদেশি কর্মীদের ক্ষেত্রে ৫ জুলাই থেকে এই শ্রেণিবিন্যাস ইতিমধ্যে কার্যকর হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আগামী ৩ আগস্ট থেকে নতুন করে সৌদি আরবে প্রবেশ করতে চাওয়া বিদেশি কর্মীদের ক্ষেত্রেও এটি কার্যকর হবে।
এই পদক্ষেপকে অনেকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও বাস্তবায়নের ধরন নিয়ে কিছু উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কর্মী সরবরাহকারী সংস্থা তথা নিয়োগদাতারা। বিশেষ করে, যাঁরা কম দক্ষ বা মোটামুটি চালিয়ে নেওয়ার মতো কর্মী, তাঁদের জন্য ঝুঁকি বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
কম দক্ষতাভিত্তিক পেশাগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রশাসনিক সহকারী, ড্রাইভার, হেলপার, জুনিয়র হিসাবরক্ষক, খুচরা বিক্রয়কর্মী ও কল সেন্টার কর্মী। তবে এ ধরনের পেশাগুলো প্রথমেই ‘সৌদিকরণ’ বা স্থানীয় নাগরিকদের মাধ্যমে প্রতিস্থাপনের চাপে পড়বে বলে ধারণা করছেন নিয়োগ বিশেষজ্ঞরা।
এর পাশাপাশি মধ্যপর্যায়ের কিছু কাজ, যেমন—জুনিয়র সুপারভাইজার বা টেকনিশিয়ানদের চাকরিও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। তবে যাঁরা প্রকৌশল, প্রযুক্তি, উচ্চপর্যায়ের আর্থিক দায়িত্ব কিংবা সিনিয়র ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে কাজ করেন, তাঁদের জন্য এখনো সুযোগ উন্মুক্ত থাকবে।
আজ বুধবার আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, এই নতুন ব্যবস্থার পেছনে সৌদি আরবের একটি কৌশলগত লক্ষ্য রয়েছে। আর তা হলো—বিদেশি দক্ষ জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশীয় কর্মীদের দক্ষ করে তোলা এবং তাঁদের মধ্যে বিশেষায়িত জ্ঞান হস্তান্তর করা। বর্তমানে সৌদি সরকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্বাস্থ্যসেবা ও প্রযুক্তির মতো খাতে ব্যাপকভাবে দক্ষ জনবল উন্নয়নে মনোযোগ দিচ্ছে। এই খাতে এখনো দেশীয় জনশক্তির অভাব রয়েছে, ফলে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের চাহিদা এখনো প্রবল।
এদিকে নিয়োগদাতারা মত দিয়েছেন, নতুন ব্যবস্থাটি আগের তুলনায় অনেক বেশি বাস্তবতানির্ভর ও নমনীয়। যেমন, কেউ যদি ডিগ্রিবিহীন হয়েও দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হন, তাহলে এখন সেটিও বিবেচনায় আসবে। অর্থাৎ দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা—দুয়ের ভারসাম্য বিবেচনায় নিয়ে ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হবে। ফলে অনেক অভিজ্ঞ কিন্তু ডিগ্রি না থাকা কর্মীও এখন সৌদি আরবে কাজের সুযোগ পেতে পারেন।
এই সংস্কারের পেছনে আরও একটি বড় চালিকা শক্তি হলো সৌদি আরবের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং তেলনির্ভরতা কাটিয়ে বহুমুখী খাতকে এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা। ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে দেশটির অর্থনীতি ২ দশমিক ৭ শতাংশ হারে বেড়েছে, যার মধ্যে শুধু তেলবিহীন খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ২ শতাংশ। আর দেশটিতে গত মাসে (জুন) চাকরির বাজারে দেখা গেছে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় নিয়োগপ্রবাহ।
সার্বিকভাবে সৌদি আরবের এই নতুন ওয়ার্ক পারমিট ব্যবস্থা একদিকে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করছে, অন্যদিকে স্থানীয় কর্মীদের জন্য জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের পথ প্রশস্ত করছে। তবে একই সঙ্গে এটি কম দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য বাড়তি চাপ ও অনিশ্চয়তা তৈরি করছে, যা বাস্তবায়নের পদ্ধতির ওপর অনেকটাই নির্ভর করবে।

সৌদি আরব সম্প্রতি বিদেশি কর্মী নিয়োগে একটি নতুন ওয়ার্ক পারমিট শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি চালু করেছে। এটির লক্ষ্য হলো, দেশটির শ্রমবাজারে নমনীয়তা আনা এবং উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন আন্তর্জাতিক জনশক্তিকে আকৃষ্ট করা।
দেশটির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় ঘোষিত এই নতুন ব্যবস্থা অনুযায়ী, বিদেশি কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিট এখন থেকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হবে। এগুলো হলো, যথাক্রমে—উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন, দক্ষ ও সাধারণ কর্মী। একাধিক মানদণ্ডের ভিত্তিতে এই শ্রেণিবিন্যাস নির্ধারিত হবে—যেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাগত অভিজ্ঞতা, নির্দিষ্ট দক্ষতা, বেতন ও বয়স।
নতুন ব্যবস্থাটি দুই ধাপে কার্যকর হচ্ছে। প্রথম ধাপে, সৌদি আরবে বর্তমানে কর্মরত বিদেশি কর্মীদের ক্ষেত্রে ৫ জুলাই থেকে এই শ্রেণিবিন্যাস ইতিমধ্যে কার্যকর হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আগামী ৩ আগস্ট থেকে নতুন করে সৌদি আরবে প্রবেশ করতে চাওয়া বিদেশি কর্মীদের ক্ষেত্রেও এটি কার্যকর হবে।
এই পদক্ষেপকে অনেকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও বাস্তবায়নের ধরন নিয়ে কিছু উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কর্মী সরবরাহকারী সংস্থা তথা নিয়োগদাতারা। বিশেষ করে, যাঁরা কম দক্ষ বা মোটামুটি চালিয়ে নেওয়ার মতো কর্মী, তাঁদের জন্য ঝুঁকি বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
কম দক্ষতাভিত্তিক পেশাগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রশাসনিক সহকারী, ড্রাইভার, হেলপার, জুনিয়র হিসাবরক্ষক, খুচরা বিক্রয়কর্মী ও কল সেন্টার কর্মী। তবে এ ধরনের পেশাগুলো প্রথমেই ‘সৌদিকরণ’ বা স্থানীয় নাগরিকদের মাধ্যমে প্রতিস্থাপনের চাপে পড়বে বলে ধারণা করছেন নিয়োগ বিশেষজ্ঞরা।
এর পাশাপাশি মধ্যপর্যায়ের কিছু কাজ, যেমন—জুনিয়র সুপারভাইজার বা টেকনিশিয়ানদের চাকরিও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। তবে যাঁরা প্রকৌশল, প্রযুক্তি, উচ্চপর্যায়ের আর্থিক দায়িত্ব কিংবা সিনিয়র ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে কাজ করেন, তাঁদের জন্য এখনো সুযোগ উন্মুক্ত থাকবে।
আজ বুধবার আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, এই নতুন ব্যবস্থার পেছনে সৌদি আরবের একটি কৌশলগত লক্ষ্য রয়েছে। আর তা হলো—বিদেশি দক্ষ জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশীয় কর্মীদের দক্ষ করে তোলা এবং তাঁদের মধ্যে বিশেষায়িত জ্ঞান হস্তান্তর করা। বর্তমানে সৌদি সরকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্বাস্থ্যসেবা ও প্রযুক্তির মতো খাতে ব্যাপকভাবে দক্ষ জনবল উন্নয়নে মনোযোগ দিচ্ছে। এই খাতে এখনো দেশীয় জনশক্তির অভাব রয়েছে, ফলে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের চাহিদা এখনো প্রবল।
এদিকে নিয়োগদাতারা মত দিয়েছেন, নতুন ব্যবস্থাটি আগের তুলনায় অনেক বেশি বাস্তবতানির্ভর ও নমনীয়। যেমন, কেউ যদি ডিগ্রিবিহীন হয়েও দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হন, তাহলে এখন সেটিও বিবেচনায় আসবে। অর্থাৎ দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা—দুয়ের ভারসাম্য বিবেচনায় নিয়ে ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হবে। ফলে অনেক অভিজ্ঞ কিন্তু ডিগ্রি না থাকা কর্মীও এখন সৌদি আরবে কাজের সুযোগ পেতে পারেন।
এই সংস্কারের পেছনে আরও একটি বড় চালিকা শক্তি হলো সৌদি আরবের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং তেলনির্ভরতা কাটিয়ে বহুমুখী খাতকে এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা। ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে দেশটির অর্থনীতি ২ দশমিক ৭ শতাংশ হারে বেড়েছে, যার মধ্যে শুধু তেলবিহীন খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ২ শতাংশ। আর দেশটিতে গত মাসে (জুন) চাকরির বাজারে দেখা গেছে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় নিয়োগপ্রবাহ।
সার্বিকভাবে সৌদি আরবের এই নতুন ওয়ার্ক পারমিট ব্যবস্থা একদিকে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করছে, অন্যদিকে স্থানীয় কর্মীদের জন্য জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের পথ প্রশস্ত করছে। তবে একই সঙ্গে এটি কম দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য বাড়তি চাপ ও অনিশ্চয়তা তৈরি করছে, যা বাস্তবায়নের পদ্ধতির ওপর অনেকটাই নির্ভর করবে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সৌদি আরব সম্প্রতি বিদেশি কর্মী নিয়োগে একটি নতুন ওয়ার্ক পারমিট শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি চালু করেছে। এটির লক্ষ্য হলো, দেশটির শ্রমবাজারে নমনীয়তা আনা এবং উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন আন্তর্জাতিক জনশক্তিকে আকৃষ্ট করা।
দেশটির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় ঘোষিত এই নতুন ব্যবস্থা অনুযায়ী, বিদেশি কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিট এখন থেকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হবে। এগুলো হলো, যথাক্রমে—উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন, দক্ষ ও সাধারণ কর্মী। একাধিক মানদণ্ডের ভিত্তিতে এই শ্রেণিবিন্যাস নির্ধারিত হবে—যেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাগত অভিজ্ঞতা, নির্দিষ্ট দক্ষতা, বেতন ও বয়স।
নতুন ব্যবস্থাটি দুই ধাপে কার্যকর হচ্ছে। প্রথম ধাপে, সৌদি আরবে বর্তমানে কর্মরত বিদেশি কর্মীদের ক্ষেত্রে ৫ জুলাই থেকে এই শ্রেণিবিন্যাস ইতিমধ্যে কার্যকর হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আগামী ৩ আগস্ট থেকে নতুন করে সৌদি আরবে প্রবেশ করতে চাওয়া বিদেশি কর্মীদের ক্ষেত্রেও এটি কার্যকর হবে।
এই পদক্ষেপকে অনেকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও বাস্তবায়নের ধরন নিয়ে কিছু উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কর্মী সরবরাহকারী সংস্থা তথা নিয়োগদাতারা। বিশেষ করে, যাঁরা কম দক্ষ বা মোটামুটি চালিয়ে নেওয়ার মতো কর্মী, তাঁদের জন্য ঝুঁকি বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
কম দক্ষতাভিত্তিক পেশাগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রশাসনিক সহকারী, ড্রাইভার, হেলপার, জুনিয়র হিসাবরক্ষক, খুচরা বিক্রয়কর্মী ও কল সেন্টার কর্মী। তবে এ ধরনের পেশাগুলো প্রথমেই ‘সৌদিকরণ’ বা স্থানীয় নাগরিকদের মাধ্যমে প্রতিস্থাপনের চাপে পড়বে বলে ধারণা করছেন নিয়োগ বিশেষজ্ঞরা।
এর পাশাপাশি মধ্যপর্যায়ের কিছু কাজ, যেমন—জুনিয়র সুপারভাইজার বা টেকনিশিয়ানদের চাকরিও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। তবে যাঁরা প্রকৌশল, প্রযুক্তি, উচ্চপর্যায়ের আর্থিক দায়িত্ব কিংবা সিনিয়র ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে কাজ করেন, তাঁদের জন্য এখনো সুযোগ উন্মুক্ত থাকবে।
আজ বুধবার আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, এই নতুন ব্যবস্থার পেছনে সৌদি আরবের একটি কৌশলগত লক্ষ্য রয়েছে। আর তা হলো—বিদেশি দক্ষ জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশীয় কর্মীদের দক্ষ করে তোলা এবং তাঁদের মধ্যে বিশেষায়িত জ্ঞান হস্তান্তর করা। বর্তমানে সৌদি সরকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্বাস্থ্যসেবা ও প্রযুক্তির মতো খাতে ব্যাপকভাবে দক্ষ জনবল উন্নয়নে মনোযোগ দিচ্ছে। এই খাতে এখনো দেশীয় জনশক্তির অভাব রয়েছে, ফলে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের চাহিদা এখনো প্রবল।
এদিকে নিয়োগদাতারা মত দিয়েছেন, নতুন ব্যবস্থাটি আগের তুলনায় অনেক বেশি বাস্তবতানির্ভর ও নমনীয়। যেমন, কেউ যদি ডিগ্রিবিহীন হয়েও দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হন, তাহলে এখন সেটিও বিবেচনায় আসবে। অর্থাৎ দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা—দুয়ের ভারসাম্য বিবেচনায় নিয়ে ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হবে। ফলে অনেক অভিজ্ঞ কিন্তু ডিগ্রি না থাকা কর্মীও এখন সৌদি আরবে কাজের সুযোগ পেতে পারেন।
এই সংস্কারের পেছনে আরও একটি বড় চালিকা শক্তি হলো সৌদি আরবের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং তেলনির্ভরতা কাটিয়ে বহুমুখী খাতকে এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা। ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে দেশটির অর্থনীতি ২ দশমিক ৭ শতাংশ হারে বেড়েছে, যার মধ্যে শুধু তেলবিহীন খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ২ শতাংশ। আর দেশটিতে গত মাসে (জুন) চাকরির বাজারে দেখা গেছে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় নিয়োগপ্রবাহ।
সার্বিকভাবে সৌদি আরবের এই নতুন ওয়ার্ক পারমিট ব্যবস্থা একদিকে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করছে, অন্যদিকে স্থানীয় কর্মীদের জন্য জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের পথ প্রশস্ত করছে। তবে একই সঙ্গে এটি কম দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য বাড়তি চাপ ও অনিশ্চয়তা তৈরি করছে, যা বাস্তবায়নের পদ্ধতির ওপর অনেকটাই নির্ভর করবে।

সৌদি আরব সম্প্রতি বিদেশি কর্মী নিয়োগে একটি নতুন ওয়ার্ক পারমিট শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি চালু করেছে। এটির লক্ষ্য হলো, দেশটির শ্রমবাজারে নমনীয়তা আনা এবং উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন আন্তর্জাতিক জনশক্তিকে আকৃষ্ট করা।
দেশটির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় ঘোষিত এই নতুন ব্যবস্থা অনুযায়ী, বিদেশি কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিট এখন থেকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হবে। এগুলো হলো, যথাক্রমে—উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন, দক্ষ ও সাধারণ কর্মী। একাধিক মানদণ্ডের ভিত্তিতে এই শ্রেণিবিন্যাস নির্ধারিত হবে—যেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাগত অভিজ্ঞতা, নির্দিষ্ট দক্ষতা, বেতন ও বয়স।
নতুন ব্যবস্থাটি দুই ধাপে কার্যকর হচ্ছে। প্রথম ধাপে, সৌদি আরবে বর্তমানে কর্মরত বিদেশি কর্মীদের ক্ষেত্রে ৫ জুলাই থেকে এই শ্রেণিবিন্যাস ইতিমধ্যে কার্যকর হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আগামী ৩ আগস্ট থেকে নতুন করে সৌদি আরবে প্রবেশ করতে চাওয়া বিদেশি কর্মীদের ক্ষেত্রেও এটি কার্যকর হবে।
এই পদক্ষেপকে অনেকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও বাস্তবায়নের ধরন নিয়ে কিছু উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কর্মী সরবরাহকারী সংস্থা তথা নিয়োগদাতারা। বিশেষ করে, যাঁরা কম দক্ষ বা মোটামুটি চালিয়ে নেওয়ার মতো কর্মী, তাঁদের জন্য ঝুঁকি বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
কম দক্ষতাভিত্তিক পেশাগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রশাসনিক সহকারী, ড্রাইভার, হেলপার, জুনিয়র হিসাবরক্ষক, খুচরা বিক্রয়কর্মী ও কল সেন্টার কর্মী। তবে এ ধরনের পেশাগুলো প্রথমেই ‘সৌদিকরণ’ বা স্থানীয় নাগরিকদের মাধ্যমে প্রতিস্থাপনের চাপে পড়বে বলে ধারণা করছেন নিয়োগ বিশেষজ্ঞরা।
এর পাশাপাশি মধ্যপর্যায়ের কিছু কাজ, যেমন—জুনিয়র সুপারভাইজার বা টেকনিশিয়ানদের চাকরিও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। তবে যাঁরা প্রকৌশল, প্রযুক্তি, উচ্চপর্যায়ের আর্থিক দায়িত্ব কিংবা সিনিয়র ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে কাজ করেন, তাঁদের জন্য এখনো সুযোগ উন্মুক্ত থাকবে।
আজ বুধবার আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, এই নতুন ব্যবস্থার পেছনে সৌদি আরবের একটি কৌশলগত লক্ষ্য রয়েছে। আর তা হলো—বিদেশি দক্ষ জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশীয় কর্মীদের দক্ষ করে তোলা এবং তাঁদের মধ্যে বিশেষায়িত জ্ঞান হস্তান্তর করা। বর্তমানে সৌদি সরকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্বাস্থ্যসেবা ও প্রযুক্তির মতো খাতে ব্যাপকভাবে দক্ষ জনবল উন্নয়নে মনোযোগ দিচ্ছে। এই খাতে এখনো দেশীয় জনশক্তির অভাব রয়েছে, ফলে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের চাহিদা এখনো প্রবল।
এদিকে নিয়োগদাতারা মত দিয়েছেন, নতুন ব্যবস্থাটি আগের তুলনায় অনেক বেশি বাস্তবতানির্ভর ও নমনীয়। যেমন, কেউ যদি ডিগ্রিবিহীন হয়েও দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হন, তাহলে এখন সেটিও বিবেচনায় আসবে। অর্থাৎ দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা—দুয়ের ভারসাম্য বিবেচনায় নিয়ে ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হবে। ফলে অনেক অভিজ্ঞ কিন্তু ডিগ্রি না থাকা কর্মীও এখন সৌদি আরবে কাজের সুযোগ পেতে পারেন।
এই সংস্কারের পেছনে আরও একটি বড় চালিকা শক্তি হলো সৌদি আরবের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং তেলনির্ভরতা কাটিয়ে বহুমুখী খাতকে এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা। ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে দেশটির অর্থনীতি ২ দশমিক ৭ শতাংশ হারে বেড়েছে, যার মধ্যে শুধু তেলবিহীন খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ২ শতাংশ। আর দেশটিতে গত মাসে (জুন) চাকরির বাজারে দেখা গেছে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় নিয়োগপ্রবাহ।
সার্বিকভাবে সৌদি আরবের এই নতুন ওয়ার্ক পারমিট ব্যবস্থা একদিকে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করছে, অন্যদিকে স্থানীয় কর্মীদের জন্য জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের পথ প্রশস্ত করছে। তবে একই সঙ্গে এটি কম দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য বাড়তি চাপ ও অনিশ্চয়তা তৈরি করছে, যা বাস্তবায়নের পদ্ধতির ওপর অনেকটাই নির্ভর করবে।

২০২০ সালে স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ডায়াসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন স্পিকারের আসনে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারী শক্ত মুখে সেই ভাষণের কপি ছিঁড়ে ফেলেন। দৃশ্যত এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ঘটনাটি রাজনৈতিক ইতিহাসে এক প্রতীকী মুহূর্ত হিসেবে জায়গা করে নেয়।
১ ঘণ্টা আগেএই টাইফুনের কারণে ভিয়েতনাম সরকার ইতিমধ্যে ছয়টি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে এবং গিয়া লাই প্রদেশে ২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে। এটি চলতি বছরে ভিয়েতনামে আঘাত হানা ১৩তম টাইফুন এবং সবচেয়ে শক্তিশালীগুলোর একটি।
২ ঘণ্টা আগে
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধসংক্রান্ত অফিস (ইউএনওডিসি) একটি জরিপে বলেছে, আফিম চাষের জন্য ব্যবহৃত মোট জমির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ কমেছে এবং একই সময়ে আফিমের চাষ কমেছে ৩২ শতাংশ।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জিহাদ মাশামউন এ যুদ্ধকে ‘পাল্টাপাল্টি দখল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলুকে বলেন, এটা কোনো একতরফা অভিযান নয়, বরং একধরনের দেওয়া–নেওয়া পরিস্থিতি। কয়েক মাস ধরে উভয় পক্ষই পালাক্রমে কিছু জায়গা দখল করছে, আবার হারাচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২০ সালে স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ডায়াসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন স্পিকারের আসনে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারী শক্ত মুখে সেই ভাষণের কপি ছিঁড়ে ফেলেন। দৃশ্যত এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ঘটনাটি রাজনৈতিক ইতিহাসে এক প্রতীকী মুহূর্ত হিসেবে জায়গা করে নেয়।
ট্রাম্পের ভাষণ ছিঁড়ে ফেলা সেই ন্যান্সি পেলোসি মার্কিন কংগ্রেসের ইতিহাসে প্রথম নারী স্পিকার। আজ এই ডেমোক্র্যাট নেতা আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। চার দশকের বেশি সময়ের রাজনৈতিক জীবন শেষে তিনি কংগ্রেস থেকে বিদায় নিচ্ছেন বলে এক ভিডিওবার্তায় জানিয়েছেন।
৮৫ বছর বয়সী পেলোসি জানিয়েছেন, তাঁর বর্তমান মেয়াদ (২০২৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত) শেষ হলে তিনি আর নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটছে।
ভিডিওবার্তায় পেলোসি বলেন, ‘আমরা ইতিহাস গড়েছি, অগ্রগতি অর্জন করেছি। আমরা সব সময় নেতৃত্ব দিয়েছি আর এখন আমাদের গণতন্ত্রের সক্রিয় অংশীদার হয়ে থাকতে হবে এবং আমেরিকান আদর্শ রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’
পেলোসির উত্থান ও ক্ষমতা
১৯৮৭ সালে মাত্র ৪৭ বছর বয়সে ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো থেকে পেলোসি প্রথমবার কংগ্রেসে নির্বাচিত হন এবং দ্রুতই তিনি ডেমোক্র্যাট পার্টির শীর্ষ সারিতে উঠে আসেন।
২০০৭ সালে পেলোসি ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম নারী স্পিকার হিসেবে প্রতিনিধি পরিষদের দায়িত্ব পান। তিনি ২০১১ সাল পর্যন্ত এ পদে ছিলেন। পরে দল পুনরায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে ২০১৯ সালে পেলোসি আবারও স্পিকার নির্বাচিত হন এবং ২০২৩ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, ভাইস প্রেসিডেন্টের পর প্রেসিডেন্টের উত্তরাধিকারক্রমে স্পিকার তৃতীয় স্থানে থাকেন। এ পদে থেকেই পেলোসি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একাধিক প্রেসিডেন্টের নীতি-কার্যক্রম এগিয়ে নিতে কিংবা বাধা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ‘অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট’ বা স্বাস্থ্যসেবা আইন পাসে তাঁর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের সময় পেলোসি পরিকাঠামো উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিল পাসেও বড় ভূমিকা রাখেন।
তবে পেলোসি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালে। ২০২০ সালে ট্রাম্পের স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ শেষে পেলোসি প্রকাশ্যে সেই ভাষণের কপি ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। এ ঘটনা আমেরিকার রাজনৈতিক ইতিহাসে এক প্রতীকী মুহূর্ত হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুই দফা অভিশংসনপ্রক্রিয়া (ইমপিচমেন্ট) পরিচালনায়ও পেলোসি ছিলেন অগ্রভাগে। প্রথমবার ২০১৯ সালে ইউক্রেনকে চাপ দেওয়া ও সামরিক সহায়তাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগে। দ্বিতীয়বার ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি কংগ্রেস ভবনে দাঙ্গা উসকে দেওয়ার অভিযোগে। তবে প্রতিবারই রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেটে ট্রাম্প রক্ষা পান।
বাইডেনের শাসনামলে পেলোসি সংখ্যাগরিষ্ঠ না হয়েও ডেমোক্র্যাটদের বেশ কয়েকটি বড় আইন পাস করাতে সক্ষম হন। তাঁর নেতৃত্বে প্রতিনিধি পরিষদ দুই বছরের কম সময়ে কোভিড-১৯ ত্রাণ প্যাকেজ, অবকাঠামো খাতে দ্বিদলীয় ব্যয় বিল, বহু ট্রিলিয়ন ডলারের জলবায়ু ও সামাজিক খরচ কর্মসূচি এবং সমকামী বিবাহ সুরক্ষা আইন পাস করে।
২০২২ সালে নিউইয়র্কের প্রতিনিধি হাকিম জেফ্রিস পেলোসির স্থলাভিষিক্ত হয়ে ডেমোক্র্যাট দলের হাউস নেতা হন। পেলোসি কংগ্রেসের বাইরেও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় ‘প্রপোজিশন-৫০’-এর পক্ষে কাজ করেছেন। এর লক্ষ্য ছিল ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে অন্তত পাঁচটি আসন পুনরুদ্ধার করা।

২০২০ সালে স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ডায়াসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন স্পিকারের আসনে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারী শক্ত মুখে সেই ভাষণের কপি ছিঁড়ে ফেলেন। দৃশ্যত এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ঘটনাটি রাজনৈতিক ইতিহাসে এক প্রতীকী মুহূর্ত হিসেবে জায়গা করে নেয়।
ট্রাম্পের ভাষণ ছিঁড়ে ফেলা সেই ন্যান্সি পেলোসি মার্কিন কংগ্রেসের ইতিহাসে প্রথম নারী স্পিকার। আজ এই ডেমোক্র্যাট নেতা আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। চার দশকের বেশি সময়ের রাজনৈতিক জীবন শেষে তিনি কংগ্রেস থেকে বিদায় নিচ্ছেন বলে এক ভিডিওবার্তায় জানিয়েছেন।
৮৫ বছর বয়সী পেলোসি জানিয়েছেন, তাঁর বর্তমান মেয়াদ (২০২৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত) শেষ হলে তিনি আর নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটছে।
ভিডিওবার্তায় পেলোসি বলেন, ‘আমরা ইতিহাস গড়েছি, অগ্রগতি অর্জন করেছি। আমরা সব সময় নেতৃত্ব দিয়েছি আর এখন আমাদের গণতন্ত্রের সক্রিয় অংশীদার হয়ে থাকতে হবে এবং আমেরিকান আদর্শ রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’
পেলোসির উত্থান ও ক্ষমতা
১৯৮৭ সালে মাত্র ৪৭ বছর বয়সে ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো থেকে পেলোসি প্রথমবার কংগ্রেসে নির্বাচিত হন এবং দ্রুতই তিনি ডেমোক্র্যাট পার্টির শীর্ষ সারিতে উঠে আসেন।
২০০৭ সালে পেলোসি ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম নারী স্পিকার হিসেবে প্রতিনিধি পরিষদের দায়িত্ব পান। তিনি ২০১১ সাল পর্যন্ত এ পদে ছিলেন। পরে দল পুনরায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে ২০১৯ সালে পেলোসি আবারও স্পিকার নির্বাচিত হন এবং ২০২৩ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, ভাইস প্রেসিডেন্টের পর প্রেসিডেন্টের উত্তরাধিকারক্রমে স্পিকার তৃতীয় স্থানে থাকেন। এ পদে থেকেই পেলোসি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একাধিক প্রেসিডেন্টের নীতি-কার্যক্রম এগিয়ে নিতে কিংবা বাধা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ‘অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট’ বা স্বাস্থ্যসেবা আইন পাসে তাঁর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের সময় পেলোসি পরিকাঠামো উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিল পাসেও বড় ভূমিকা রাখেন।
তবে পেলোসি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালে। ২০২০ সালে ট্রাম্পের স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ শেষে পেলোসি প্রকাশ্যে সেই ভাষণের কপি ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। এ ঘটনা আমেরিকার রাজনৈতিক ইতিহাসে এক প্রতীকী মুহূর্ত হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুই দফা অভিশংসনপ্রক্রিয়া (ইমপিচমেন্ট) পরিচালনায়ও পেলোসি ছিলেন অগ্রভাগে। প্রথমবার ২০১৯ সালে ইউক্রেনকে চাপ দেওয়া ও সামরিক সহায়তাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগে। দ্বিতীয়বার ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি কংগ্রেস ভবনে দাঙ্গা উসকে দেওয়ার অভিযোগে। তবে প্রতিবারই রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেটে ট্রাম্প রক্ষা পান।
বাইডেনের শাসনামলে পেলোসি সংখ্যাগরিষ্ঠ না হয়েও ডেমোক্র্যাটদের বেশ কয়েকটি বড় আইন পাস করাতে সক্ষম হন। তাঁর নেতৃত্বে প্রতিনিধি পরিষদ দুই বছরের কম সময়ে কোভিড-১৯ ত্রাণ প্যাকেজ, অবকাঠামো খাতে দ্বিদলীয় ব্যয় বিল, বহু ট্রিলিয়ন ডলারের জলবায়ু ও সামাজিক খরচ কর্মসূচি এবং সমকামী বিবাহ সুরক্ষা আইন পাস করে।
২০২২ সালে নিউইয়র্কের প্রতিনিধি হাকিম জেফ্রিস পেলোসির স্থলাভিষিক্ত হয়ে ডেমোক্র্যাট দলের হাউস নেতা হন। পেলোসি কংগ্রেসের বাইরেও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় ‘প্রপোজিশন-৫০’-এর পক্ষে কাজ করেছেন। এর লক্ষ্য ছিল ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে অন্তত পাঁচটি আসন পুনরুদ্ধার করা।

সৌদি আরব সম্প্রতি বিদেশি কর্মী নিয়োগে একটি নতুন ওয়ার্ক পারমিট শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি চালু করেছে। এটির লক্ষ্য হলো, দেশটির শ্রমবাজারে নমনীয়তা আনা এবং উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন আন্তর্জাতিক জনশক্তিকে আকৃষ্ট করা।
০৯ জুলাই ২০২৫এই টাইফুনের কারণে ভিয়েতনাম সরকার ইতিমধ্যে ছয়টি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে এবং গিয়া লাই প্রদেশে ২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে। এটি চলতি বছরে ভিয়েতনামে আঘাত হানা ১৩তম টাইফুন এবং সবচেয়ে শক্তিশালীগুলোর একটি।
২ ঘণ্টা আগে
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধসংক্রান্ত অফিস (ইউএনওডিসি) একটি জরিপে বলেছে, আফিম চাষের জন্য ব্যবহৃত মোট জমির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ কমেছে এবং একই সময়ে আফিমের চাষ কমেছে ৩২ শতাংশ।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জিহাদ মাশামউন এ যুদ্ধকে ‘পাল্টাপাল্টি দখল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলুকে বলেন, এটা কোনো একতরফা অভিযান নয়, বরং একধরনের দেওয়া–নেওয়া পরিস্থিতি। কয়েক মাস ধরে উভয় পক্ষই পালাক্রমে কিছু জায়গা দখল করছে, আবার হারাচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভয়াবহ টাইফুন ‘কালমায়েগি’ ভিয়েতনামে আঘাত হেনেছে। এর আগে ফিলিপাইনে দুই দিন তাণ্ডব চালিয়ে অন্তত ১১৪ জনের প্রাণ কেড়েছে এই টাইফুন।
ভিয়েতনামের জাতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার কালমায়েগির বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১৪৯ কিলোমিটার (৯৩ মাইল) পর্যন্ত পৌঁছায়। ঝড়ে অসংখ্য ঘরের ছাদ উড়ে গেছে এবং গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে। উপকূলীয় এলাকায় ১০ মিটার (৩০ ফুট) উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই টাইফুনের কারণে ভিয়েতনাম সরকার ইতিমধ্যে ছয়টি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে এবং গিয়া লাই প্রদেশে ২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে। এটি চলতি বছরে ভিয়েতনামে আঘাত হানা ১৩তম টাইফুন এবং সবচেয়ে শক্তিশালীগুলোর একটি।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি সেনাসদস্য উদ্ধার তৎপরতার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সরকার নিম্নাঞ্চলে বন্যা ও কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে। মধ্যাঞ্চলের উচ্চভূমি অঞ্চলগুলো—বিশেষ করে, কফি উৎপাদনের জন্য পরিচিত সেন্ট্রাল হাইল্যান্ডস—সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
প্রবল ঝড়ের আগমনে পর্যটননগরী হোই আনের কুয়া দাই সৈকতের হোটেল ও ঘরবাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে উপকূলীয় শহর হুয়ের আশপাশের কৃষকেরা এখনো আগের বন্যা থেকে পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি। ওই অঞ্চলে চলতি সপ্তাহেই বন্যায় ৪৭ জনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় কৃষক নগুয়েন ভ্যান রিন (৪২) বলেন, ‘গত বন্যায় আমার গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি সব মারা গেছে। কালমায়েগি এবার চতুর্থবারের মতো বন্যা আনবে—আমি ভীষণ ভয় পাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ঘর থেকে নৌকা বেয়ে বের হতে হচ্ছে আর রাস্তায় গাড়িগুলো ধীরে ধীরে পানির ভেতর দিয়ে চলাচল করছে।
এদিকে ভিয়েতনামে প্রবেশের আগে ফিলিপাইনের সেবু প্রদেশে ভয়াবহ তাণ্ডব চালায় কালমায়েগি। বন্যার পানি নামার পর আজ ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র স্পষ্ট হয়—অগণিত ঘরবাড়ি মাটিতে মিশে গেছে, গাড়ি উল্টে গেছে, রাস্তাজুড়ে ধ্বংসস্তূপ।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানায়, এখনো ১২৭ জন নিখোঁজ। ত্রাণ কার্যক্রম ও মরদেহ উদ্ধারে বাধা সৃষ্টি করছে বিশাল ধ্বংসস্তূপ।
দেশটির জ্যেষ্ঠ বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা র্যাফি আলেজান্দ্রো রয়টার্সকে বলেন, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন ধ্বংসস্তূপ সরানো। নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজ ও ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে এগুলো দ্রুত পরিষ্কার করা জরুরি।
সেবুতে এক মাস আগে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে শখানেক মানুষ মারা যায় ও হাজারো গৃহহীন হয়। এর ঠিক এক মাস পর আবারও এমন বিপর্যয় নেমে এসেছে।
ফিলিপাইনের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় মিন্দানাও দ্বীপের পূর্ব দিকে নতুন একটি ঝড় তৈরি হচ্ছে, যা আগামী সপ্তাহের শুরুতে টাইফুনে পরিণত হয়ে আবারও দেশটিতে আঘাত হানতে পারে।
আজ সেবুর অনেক বাসিন্দা ঘরে ফিরে দেখেন, তাঁদের সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। কেউ কেউ মাটি ও কাদা সরিয়ে ঘর পরিষ্কারে ব্যস্ত। তালিসাই শহরের বাসিন্দা লিজা বেকুস বলেন, ‘আমার সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে, শুধু মেঝেটা টিকে আছে। আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।’
লিজা বেকুস ধ্বংসস্তূপ থেকে ধাতব পাত ও লোহার টুকরো কুড়িয়ে বিক্রি করার চেষ্টা করছিলেন, যেন সাত সন্তানকে খাওয়ানোর জন্য কিছু চাল কেনা যায়। লিজা বলেন, ‘আমার বাচ্চাদের কিছুই নেই—তাদের ইউনিফর্ম, ব্যাগ, পোশাক সব ভেসে গেছে।’

ভয়াবহ টাইফুন ‘কালমায়েগি’ ভিয়েতনামে আঘাত হেনেছে। এর আগে ফিলিপাইনে দুই দিন তাণ্ডব চালিয়ে অন্তত ১১৪ জনের প্রাণ কেড়েছে এই টাইফুন।
ভিয়েতনামের জাতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার কালমায়েগির বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১৪৯ কিলোমিটার (৯৩ মাইল) পর্যন্ত পৌঁছায়। ঝড়ে অসংখ্য ঘরের ছাদ উড়ে গেছে এবং গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে। উপকূলীয় এলাকায় ১০ মিটার (৩০ ফুট) উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই টাইফুনের কারণে ভিয়েতনাম সরকার ইতিমধ্যে ছয়টি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে এবং গিয়া লাই প্রদেশে ২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে। এটি চলতি বছরে ভিয়েতনামে আঘাত হানা ১৩তম টাইফুন এবং সবচেয়ে শক্তিশালীগুলোর একটি।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি সেনাসদস্য উদ্ধার তৎপরতার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সরকার নিম্নাঞ্চলে বন্যা ও কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে। মধ্যাঞ্চলের উচ্চভূমি অঞ্চলগুলো—বিশেষ করে, কফি উৎপাদনের জন্য পরিচিত সেন্ট্রাল হাইল্যান্ডস—সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
প্রবল ঝড়ের আগমনে পর্যটননগরী হোই আনের কুয়া দাই সৈকতের হোটেল ও ঘরবাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে উপকূলীয় শহর হুয়ের আশপাশের কৃষকেরা এখনো আগের বন্যা থেকে পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি। ওই অঞ্চলে চলতি সপ্তাহেই বন্যায় ৪৭ জনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় কৃষক নগুয়েন ভ্যান রিন (৪২) বলেন, ‘গত বন্যায় আমার গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি সব মারা গেছে। কালমায়েগি এবার চতুর্থবারের মতো বন্যা আনবে—আমি ভীষণ ভয় পাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ঘর থেকে নৌকা বেয়ে বের হতে হচ্ছে আর রাস্তায় গাড়িগুলো ধীরে ধীরে পানির ভেতর দিয়ে চলাচল করছে।
এদিকে ভিয়েতনামে প্রবেশের আগে ফিলিপাইনের সেবু প্রদেশে ভয়াবহ তাণ্ডব চালায় কালমায়েগি। বন্যার পানি নামার পর আজ ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র স্পষ্ট হয়—অগণিত ঘরবাড়ি মাটিতে মিশে গেছে, গাড়ি উল্টে গেছে, রাস্তাজুড়ে ধ্বংসস্তূপ।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানায়, এখনো ১২৭ জন নিখোঁজ। ত্রাণ কার্যক্রম ও মরদেহ উদ্ধারে বাধা সৃষ্টি করছে বিশাল ধ্বংসস্তূপ।
দেশটির জ্যেষ্ঠ বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা র্যাফি আলেজান্দ্রো রয়টার্সকে বলেন, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন ধ্বংসস্তূপ সরানো। নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজ ও ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে এগুলো দ্রুত পরিষ্কার করা জরুরি।
সেবুতে এক মাস আগে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে শখানেক মানুষ মারা যায় ও হাজারো গৃহহীন হয়। এর ঠিক এক মাস পর আবারও এমন বিপর্যয় নেমে এসেছে।
ফিলিপাইনের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় মিন্দানাও দ্বীপের পূর্ব দিকে নতুন একটি ঝড় তৈরি হচ্ছে, যা আগামী সপ্তাহের শুরুতে টাইফুনে পরিণত হয়ে আবারও দেশটিতে আঘাত হানতে পারে।
আজ সেবুর অনেক বাসিন্দা ঘরে ফিরে দেখেন, তাঁদের সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। কেউ কেউ মাটি ও কাদা সরিয়ে ঘর পরিষ্কারে ব্যস্ত। তালিসাই শহরের বাসিন্দা লিজা বেকুস বলেন, ‘আমার সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে, শুধু মেঝেটা টিকে আছে। আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।’
লিজা বেকুস ধ্বংসস্তূপ থেকে ধাতব পাত ও লোহার টুকরো কুড়িয়ে বিক্রি করার চেষ্টা করছিলেন, যেন সাত সন্তানকে খাওয়ানোর জন্য কিছু চাল কেনা যায়। লিজা বলেন, ‘আমার বাচ্চাদের কিছুই নেই—তাদের ইউনিফর্ম, ব্যাগ, পোশাক সব ভেসে গেছে।’

সৌদি আরব সম্প্রতি বিদেশি কর্মী নিয়োগে একটি নতুন ওয়ার্ক পারমিট শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি চালু করেছে। এটির লক্ষ্য হলো, দেশটির শ্রমবাজারে নমনীয়তা আনা এবং উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন আন্তর্জাতিক জনশক্তিকে আকৃষ্ট করা।
০৯ জুলাই ২০২৫
২০২০ সালে স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ডায়াসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন স্পিকারের আসনে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারী শক্ত মুখে সেই ভাষণের কপি ছিঁড়ে ফেলেন। দৃশ্যত এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ঘটনাটি রাজনৈতিক ইতিহাসে এক প্রতীকী মুহূর্ত হিসেবে জায়গা করে নেয়।
১ ঘণ্টা আগে
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধসংক্রান্ত অফিস (ইউএনওডিসি) একটি জরিপে বলেছে, আফিম চাষের জন্য ব্যবহৃত মোট জমির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ কমেছে এবং একই সময়ে আফিমের চাষ কমেছে ৩২ শতাংশ।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জিহাদ মাশামউন এ যুদ্ধকে ‘পাল্টাপাল্টি দখল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলুকে বলেন, এটা কোনো একতরফা অভিযান নয়, বরং একধরনের দেওয়া–নেওয়া পরিস্থিতি। কয়েক মাস ধরে উভয় পক্ষই পালাক্রমে কিছু জায়গা দখল করছে, আবার হারাচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তালেবান সরকার ২০২২ সালে আফগানিস্তানে আফিম চাষের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর পর থেকে দেশটিতে আফিমের চাষ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধসংক্রান্ত অফিস (ইউএনওডিসি) একটি জরিপে বলেছে, আফিম চাষের জন্য ব্যবহৃত মোট জমির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ কমেছে এবং একই সময়ে আফিমের চাষ কমেছে ৩২ শতাংশ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগে আফগানিস্তান বিশ্বের ৮০ শতাংশের বেশি আফিম উৎপাদন করত এবং আফগান আফিম থেকে তৈরি হেরোইন ইউরোপের বাজারের ৯৫ শতাংশ পূরণ করত। তবে ২০২২ সালের এপ্রিলে তালেবান সরকার ক্ষমতা দখলের পর আফিমকে ক্ষতিকারক ও ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিপন্থী আখ্যা দিয়ে এর চাষ নিষিদ্ধ করে। ইউএনওডিসির তথ্য বলছে, ‘গুরুতর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ’ সত্ত্বেও বেশির ভাগ কৃষক এ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলছেন।
ইউএনওডিসি জানিয়েছে, আফগান কৃষকেরা এখন শস্য চাষ করছেন, তবে পপি—যা থেকে হেরোইনের প্রধান উপাদান আফিম পাওয়া যায়, সেটি এখনো বৈধ ফসলের চেয়ে ‘অনেক বেশি লাভজনক’। সংস্থাটি আরও উল্লেখ করেছে, লাভজনক বিকল্পের অভাব, সীমিত কৃষি উৎপাদন ও প্রতিকূল জলবায়ু পরিস্থিতির কারণে ৪০ শতাংশের বেশি আবাদযোগ্য জমি পতিত থেকে গেছে।
আফগানিস্তানের বৃহত্তম হেলমান্দ প্রদেশের একজন কৃষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসি পশতুকে বলেন, ‘আমরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে আমাদের জেল হয়। মেনে চললে আমরা দারিদ্র্যের শিকার হই। কিন্তু আমার কাছে যদি টাকা না থাকে, তাহলে আমি আবার পপি চাষ করব।’
অন্য একজন কৃষক তাঁর বাড়ির সামনের একটি ছোট পপিখেত দেখিয়ে বলেন, ‘আমি কী করব? আমি এটা করতে বাধ্য—আমার আর কিছুই করার নেই। আমি আমার পরিবারের জন্য খাবারও জোগাড় করতে পারি না।’
চলতি বছর আফগানিস্তানে আফিম চাষের জমির পরিমাণ ছিল আনুমানিক ১০ হাজার ২০০ হেক্টর, যার বেশির ভাগ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের। এর মধ্যে বাদাখশান প্রদেশে সবচেয়ে বেশি আফিম চাষ হয়েছে। ২০২২ সালে নিষেধাজ্ঞার আগে আফগানিস্তানে ২ লাখ হেক্টরের বেশি জমিতে আফিম চাষ হতো।
ইউএনওডিসি জানিয়েছে, ২০২৪ সালে আফিম চাষ হওয়া চারটি প্রদেশকে (বাল্খ, ফারাহ, লাগমান ও উরুজগান) ২০২৫ সালে আফিমমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। জরিপে বলা হয়েছে, ঐতিহ্যবাহী শক্ত ঘাঁটিগুলো থেকে আফিম চাষ নির্মূল হওয়া নিষেধাজ্ঞার মাত্রা ও স্থায়িত্ব তুলে ধরে।
তবে ইউএনওডিসি জানিয়েছে, তালেবানের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গার কৃষকেরা সহিংস প্রতিরোধ তৈরি করেছেন, বিশেষ করে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। বাদাখশানের কয়েকটি জেলায় সংঘর্ষের সময় হতাহতের খবরও পাওয়া গেছে। তা সত্ত্বেও বেশির ভাগ আফগান কৃষক তালেবানের সর্বোচ্চ নেতার জারি করা এ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলছেন।
ইউএনওডিসি জানিয়েছে, আফিমের চাষ কমলেও নিষেধাজ্ঞার পর থেকে মেথামফেটামিনের মতো সিনথেটিক ড্রাগের পাচার বেড়েছে। ২০২৪ সালের শেষের দিকে ও এর আশপাশে এ ধরনের মাদক জব্দের হার গত বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি ছিল। ইউএনওডিসি বলছে, সংঘবদ্ধ অপরাধী গোষ্ঠীগুলো সিনথেটিক ড্রাগকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, কারণ, এগুলো উৎপাদন করা সহজ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি তেমন প্রভাব ফেলে না।

তালেবান সরকার ২০২২ সালে আফগানিস্তানে আফিম চাষের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর পর থেকে দেশটিতে আফিমের চাষ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধসংক্রান্ত অফিস (ইউএনওডিসি) একটি জরিপে বলেছে, আফিম চাষের জন্য ব্যবহৃত মোট জমির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ কমেছে এবং একই সময়ে আফিমের চাষ কমেছে ৩২ শতাংশ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগে আফগানিস্তান বিশ্বের ৮০ শতাংশের বেশি আফিম উৎপাদন করত এবং আফগান আফিম থেকে তৈরি হেরোইন ইউরোপের বাজারের ৯৫ শতাংশ পূরণ করত। তবে ২০২২ সালের এপ্রিলে তালেবান সরকার ক্ষমতা দখলের পর আফিমকে ক্ষতিকারক ও ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিপন্থী আখ্যা দিয়ে এর চাষ নিষিদ্ধ করে। ইউএনওডিসির তথ্য বলছে, ‘গুরুতর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ’ সত্ত্বেও বেশির ভাগ কৃষক এ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলছেন।
ইউএনওডিসি জানিয়েছে, আফগান কৃষকেরা এখন শস্য চাষ করছেন, তবে পপি—যা থেকে হেরোইনের প্রধান উপাদান আফিম পাওয়া যায়, সেটি এখনো বৈধ ফসলের চেয়ে ‘অনেক বেশি লাভজনক’। সংস্থাটি আরও উল্লেখ করেছে, লাভজনক বিকল্পের অভাব, সীমিত কৃষি উৎপাদন ও প্রতিকূল জলবায়ু পরিস্থিতির কারণে ৪০ শতাংশের বেশি আবাদযোগ্য জমি পতিত থেকে গেছে।
আফগানিস্তানের বৃহত্তম হেলমান্দ প্রদেশের একজন কৃষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসি পশতুকে বলেন, ‘আমরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে আমাদের জেল হয়। মেনে চললে আমরা দারিদ্র্যের শিকার হই। কিন্তু আমার কাছে যদি টাকা না থাকে, তাহলে আমি আবার পপি চাষ করব।’
অন্য একজন কৃষক তাঁর বাড়ির সামনের একটি ছোট পপিখেত দেখিয়ে বলেন, ‘আমি কী করব? আমি এটা করতে বাধ্য—আমার আর কিছুই করার নেই। আমি আমার পরিবারের জন্য খাবারও জোগাড় করতে পারি না।’
চলতি বছর আফগানিস্তানে আফিম চাষের জমির পরিমাণ ছিল আনুমানিক ১০ হাজার ২০০ হেক্টর, যার বেশির ভাগ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের। এর মধ্যে বাদাখশান প্রদেশে সবচেয়ে বেশি আফিম চাষ হয়েছে। ২০২২ সালে নিষেধাজ্ঞার আগে আফগানিস্তানে ২ লাখ হেক্টরের বেশি জমিতে আফিম চাষ হতো।
ইউএনওডিসি জানিয়েছে, ২০২৪ সালে আফিম চাষ হওয়া চারটি প্রদেশকে (বাল্খ, ফারাহ, লাগমান ও উরুজগান) ২০২৫ সালে আফিমমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। জরিপে বলা হয়েছে, ঐতিহ্যবাহী শক্ত ঘাঁটিগুলো থেকে আফিম চাষ নির্মূল হওয়া নিষেধাজ্ঞার মাত্রা ও স্থায়িত্ব তুলে ধরে।
তবে ইউএনওডিসি জানিয়েছে, তালেবানের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গার কৃষকেরা সহিংস প্রতিরোধ তৈরি করেছেন, বিশেষ করে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। বাদাখশানের কয়েকটি জেলায় সংঘর্ষের সময় হতাহতের খবরও পাওয়া গেছে। তা সত্ত্বেও বেশির ভাগ আফগান কৃষক তালেবানের সর্বোচ্চ নেতার জারি করা এ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলছেন।
ইউএনওডিসি জানিয়েছে, আফিমের চাষ কমলেও নিষেধাজ্ঞার পর থেকে মেথামফেটামিনের মতো সিনথেটিক ড্রাগের পাচার বেড়েছে। ২০২৪ সালের শেষের দিকে ও এর আশপাশে এ ধরনের মাদক জব্দের হার গত বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি ছিল। ইউএনওডিসি বলছে, সংঘবদ্ধ অপরাধী গোষ্ঠীগুলো সিনথেটিক ড্রাগকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, কারণ, এগুলো উৎপাদন করা সহজ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি তেমন প্রভাব ফেলে না।

সৌদি আরব সম্প্রতি বিদেশি কর্মী নিয়োগে একটি নতুন ওয়ার্ক পারমিট শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি চালু করেছে। এটির লক্ষ্য হলো, দেশটির শ্রমবাজারে নমনীয়তা আনা এবং উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন আন্তর্জাতিক জনশক্তিকে আকৃষ্ট করা।
০৯ জুলাই ২০২৫
২০২০ সালে স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ডায়াসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন স্পিকারের আসনে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারী শক্ত মুখে সেই ভাষণের কপি ছিঁড়ে ফেলেন। দৃশ্যত এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ঘটনাটি রাজনৈতিক ইতিহাসে এক প্রতীকী মুহূর্ত হিসেবে জায়গা করে নেয়।
১ ঘণ্টা আগেএই টাইফুনের কারণে ভিয়েতনাম সরকার ইতিমধ্যে ছয়টি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে এবং গিয়া লাই প্রদেশে ২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে। এটি চলতি বছরে ভিয়েতনামে আঘাত হানা ১৩তম টাইফুন এবং সবচেয়ে শক্তিশালীগুলোর একটি।
২ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জিহাদ মাশামউন এ যুদ্ধকে ‘পাল্টাপাল্টি দখল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলুকে বলেন, এটা কোনো একতরফা অভিযান নয়, বরং একধরনের দেওয়া–নেওয়া পরিস্থিতি। কয়েক মাস ধরে উভয় পক্ষই পালাক্রমে কিছু জায়গা দখল করছে, আবার হারাচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তৃতীয় বছরে পা দেওয়া সুদানের যুদ্ধ এখন বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকটগুলোর একটি। দেশটির সেনাবাহিনী (এসএএফ) ও আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে চলমান এ সংঘাতে ইতিমধ্যে ২০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও ১ কোটি ৫০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘ ও স্থানীয় সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী, দেশটি কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে—একাংশ সেনাদের দখলে, অপরাংশ আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জিহাদ মাশামউন এ যুদ্ধকে ‘পাল্টাপাল্টি দখল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলুকে বলেন, এটা কোনো একতরফা অভিযান নয়, বরং একধরনের দেওয়া–নেওয়া পরিস্থিতি। কয়েক মাস ধরে উভয় পক্ষই পালাক্রমে কিছু জায়গা দখল করছে, আবার হারাচ্ছে।
উদাহরণ হিসেবে তিনি পশ্চিম এল-ওবেইদের উম সুমেইমা শহরের কথা উল্লেখ করেন, যা প্রথমে সেনাদের দখলে ছিল, পরে আরএসএফ দখল নেয় এবং গত সেপ্টেম্বরে আবার সরকার তা পুনর্দখল করে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সুদানস পোস্ট জানায়, বর্তমানে সুদানের পূর্ব, উত্তর ও মধ্যাঞ্চল সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এর মধ্যে খার্তুম, আল-জাজিরা, হোয়াইট নাইল, কাসালা, গেদারেফ, রিভার নাইল, রেড সি ও সেন্নার প্রদেশ অন্তর্ভুক্ত। মাশামউনের হিসাবে, সেনাবাহিনী দেশটির প্রায় ৬০ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে আর আরএসএফ ও তাদের মিত্রদের দখলে ৪০ শতাংশ।
মাশামউন জানান, উত্তর ও পূর্ব সুদান পুরোপুরি সেনাদের হাতে এবং মধ্যাঞ্চল সম্পূর্ণ মুক্ত—সেখানে আরএসএফের কোনো উপস্থিতি নেই। দক্ষিণাঞ্চল, বিশেষ করে, ব্লু নাইল ও হোয়াইট নাইল এলাকার ৯৫ শতাংশ সেনা নিয়ন্ত্রণে।
এ ছাড়া দারফুরে এল-ফাশেরের উত্তরাংশ এখনো সেনাবাহিনীর অনুগত গোষ্ঠীগুলোর হাতে, যারা ২০২৩ সালে নিরপেক্ষতা ত্যাগ করে যুদ্ধে যোগ দেয়।
মাশামউন বলেন, খার্তুম ও এর সংলগ্ন শহর বাহরি ও উমদুরমান গত মে থেকে পুরোপুরি আরএসএফমুক্ত এবং সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা (সশস্ত্র সংঘাতের অবস্থান ও ঘটনার তথ্য) এসি-এলইডির (ACLED) পূর্ব আফ্রিকা বিশ্লেষক জালালে গেতাচেউ বিরু বলেন, রাজধানী খার্তুমে এখন তুলনামূলক স্থিতিশীলতা এসেছে, তবে পরিস্থিতি এখনো নাজুক। সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে স্থানীয় বিমানবন্দরগুলো পুনরায় চালু করার পদক্ষেপ নিচ্ছে।
জালালে গেতাচেউ আরও জানান, ২০২৫ সালের জুন থেকে সুদান–লিবিয়া–মিসরের সীমান্ত আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে। ত্রিভুজ আকৃতির এই অঞ্চলগুলো বাণিজ্য ও প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তপথ।
গত ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী উত্তর কোর্দোফানের রাজধানী এল-ওবেইদ আবার দখল করেছে। তবে এল-ফাশের আরএসএফের হাতে যাওয়ার পর পশ্চিম দিক থেকে সেনাদের ওপর নতুন চাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা।
দারফুর অঞ্চলে আরএসএফ এখন পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে চারটির নিয়ন্ত্রণে। মাশামউন বলেন, আরএসএফের শক্ত ঘাঁটি পূর্ব দারফুর থেকে শুরু হয়ে পশ্চিমে চাদ সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত, যার মধ্যে দক্ষিণ ও উত্তর দারফুরের বড় শহরগুলোও রয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো আরএসএফের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও লুটপাটের অভিযোগ এনেছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তথ্য অনুযায়ী, ওই অঞ্চলের ৬২ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে।
মাশামউন বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে আমরা এখন যে দৃশ্য দেখছি, তা হলো বেসামরিক জনগণের ওপর ইচ্ছাকৃত হামলা। আরএসএফ মনে করে, এই জনগোষ্ঠী সেনাদের সমর্থন করে, তাই তাদের সম্মিলিতভাবে শাস্তি দিচ্ছে। তাদের মধ্যে কোনো শৃঙ্খলা নেই। তারা শুধু হত্যা, লুটপাট ও ধ্বংস করতে জানে।’
মাশামউন আরও বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে আরএসএফ বিদেশি ভাড়াটে যোদ্ধা ও আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। শহরটি পতনের আগে তারা দুই শতাধিক হামলা চালায়। এখন যা ঘটছে, তা সম্পূর্ণ দায়মুক্তির ফল।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, কোর্দোফান অঞ্চল এখন সুদানের পরবর্তী বড় যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। উত্তর ও পশ্চিম কোর্দোফান উভয় পক্ষের মধ্যে বিভক্ত আর কৌশলগত কারণে এই অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নেওয়া উভয়েরই লক্ষ্য।
বিশ্লেষক জালালে গেতাচেউ বলেন, কোর্দোফান এখন আঞ্চলিক দখলযুদ্ধের নতুন ফ্রন্টলাইন।
মাশামউন জানান, সেনারা বর্তমানে বৃহত্তর কোর্দোফান পুনর্দখলের ওপর মনোযোগ দিচ্ছে, এরপর পশ্চিমে দারফুরের দিকে অগ্রসর হবে। সেনাবাহিনীর লক্ষ্য আরএসএফের সরবরাহ লাইন কেটে দেওয়া এবং চাদ সীমান্ত করিডর বন্ধ করা। উত্তর সুদানের মিত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে চাদ সীমান্ত থেকে নতুন সেনা মোতায়েনেরও পরিকল্পনা রয়েছে।
আরএসএফ কোর্দোফান থেকে খার্তুম ও পোর্ট সুদানের দিকে ড্রোন ও আর্টিলারি হামলা চালাচ্ছে বলেও জানান মাশামউন। তিনি বলেন, বারা ও নুহুদ শহর পুনর্দখল করলে এই হামলা বন্ধ করা সম্ভব হবে।
এর আগে অক্টোবরে আরএসএফ দাবি করে, তারা উত্তর কোর্দোফানের বারা শহর দখল করেছে, ফলে ৪ হাজার ৫০০-এর বেশি বাসিন্দা পালিয়ে গেছে এবং সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের খবর পাওয়া গেছে। শহরটি এল-ওবেইদের কাছেই, যা সেনাদের শক্ত ঘাঁটি হলেও ধীরে ধীরে আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে।
উভয় পক্ষ এখন দখল করা এলাকা শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। এদিকে জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, সুদানের অর্ধেক জনগণ (২ কোটি ২৫ লাখের বেশি) প্রয়োজনীয় খাবারের অভাবে ভুগছে। দারফুর, কোর্দোফান ও খার্তুমজুড়ে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে।
মাশামউন বলেন, দেশটি এক ভয়াবহ অচলাবস্থায় আটকে গেছে। আরএসএফের কোনো সুস্পষ্ট কৌশল বা নিয়ন্ত্রণকাঠামো নেই। এখন তাদের মূল কার্যক্রম হচ্ছে, বেসামরিক বাড়িঘর লুট ও মানুষ হত্যা করা।

তৃতীয় বছরে পা দেওয়া সুদানের যুদ্ধ এখন বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকটগুলোর একটি। দেশটির সেনাবাহিনী (এসএএফ) ও আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে চলমান এ সংঘাতে ইতিমধ্যে ২০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও ১ কোটি ৫০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘ ও স্থানীয় সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী, দেশটি কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে—একাংশ সেনাদের দখলে, অপরাংশ আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জিহাদ মাশামউন এ যুদ্ধকে ‘পাল্টাপাল্টি দখল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলুকে বলেন, এটা কোনো একতরফা অভিযান নয়, বরং একধরনের দেওয়া–নেওয়া পরিস্থিতি। কয়েক মাস ধরে উভয় পক্ষই পালাক্রমে কিছু জায়গা দখল করছে, আবার হারাচ্ছে।
উদাহরণ হিসেবে তিনি পশ্চিম এল-ওবেইদের উম সুমেইমা শহরের কথা উল্লেখ করেন, যা প্রথমে সেনাদের দখলে ছিল, পরে আরএসএফ দখল নেয় এবং গত সেপ্টেম্বরে আবার সরকার তা পুনর্দখল করে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সুদানস পোস্ট জানায়, বর্তমানে সুদানের পূর্ব, উত্তর ও মধ্যাঞ্চল সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এর মধ্যে খার্তুম, আল-জাজিরা, হোয়াইট নাইল, কাসালা, গেদারেফ, রিভার নাইল, রেড সি ও সেন্নার প্রদেশ অন্তর্ভুক্ত। মাশামউনের হিসাবে, সেনাবাহিনী দেশটির প্রায় ৬০ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে আর আরএসএফ ও তাদের মিত্রদের দখলে ৪০ শতাংশ।
মাশামউন জানান, উত্তর ও পূর্ব সুদান পুরোপুরি সেনাদের হাতে এবং মধ্যাঞ্চল সম্পূর্ণ মুক্ত—সেখানে আরএসএফের কোনো উপস্থিতি নেই। দক্ষিণাঞ্চল, বিশেষ করে, ব্লু নাইল ও হোয়াইট নাইল এলাকার ৯৫ শতাংশ সেনা নিয়ন্ত্রণে।
এ ছাড়া দারফুরে এল-ফাশেরের উত্তরাংশ এখনো সেনাবাহিনীর অনুগত গোষ্ঠীগুলোর হাতে, যারা ২০২৩ সালে নিরপেক্ষতা ত্যাগ করে যুদ্ধে যোগ দেয়।
মাশামউন বলেন, খার্তুম ও এর সংলগ্ন শহর বাহরি ও উমদুরমান গত মে থেকে পুরোপুরি আরএসএফমুক্ত এবং সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা (সশস্ত্র সংঘাতের অবস্থান ও ঘটনার তথ্য) এসি-এলইডির (ACLED) পূর্ব আফ্রিকা বিশ্লেষক জালালে গেতাচেউ বিরু বলেন, রাজধানী খার্তুমে এখন তুলনামূলক স্থিতিশীলতা এসেছে, তবে পরিস্থিতি এখনো নাজুক। সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে স্থানীয় বিমানবন্দরগুলো পুনরায় চালু করার পদক্ষেপ নিচ্ছে।
জালালে গেতাচেউ আরও জানান, ২০২৫ সালের জুন থেকে সুদান–লিবিয়া–মিসরের সীমান্ত আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে। ত্রিভুজ আকৃতির এই অঞ্চলগুলো বাণিজ্য ও প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তপথ।
গত ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী উত্তর কোর্দোফানের রাজধানী এল-ওবেইদ আবার দখল করেছে। তবে এল-ফাশের আরএসএফের হাতে যাওয়ার পর পশ্চিম দিক থেকে সেনাদের ওপর নতুন চাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা।
দারফুর অঞ্চলে আরএসএফ এখন পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে চারটির নিয়ন্ত্রণে। মাশামউন বলেন, আরএসএফের শক্ত ঘাঁটি পূর্ব দারফুর থেকে শুরু হয়ে পশ্চিমে চাদ সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত, যার মধ্যে দক্ষিণ ও উত্তর দারফুরের বড় শহরগুলোও রয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো আরএসএফের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও লুটপাটের অভিযোগ এনেছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তথ্য অনুযায়ী, ওই অঞ্চলের ৬২ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে।
মাশামউন বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে আমরা এখন যে দৃশ্য দেখছি, তা হলো বেসামরিক জনগণের ওপর ইচ্ছাকৃত হামলা। আরএসএফ মনে করে, এই জনগোষ্ঠী সেনাদের সমর্থন করে, তাই তাদের সম্মিলিতভাবে শাস্তি দিচ্ছে। তাদের মধ্যে কোনো শৃঙ্খলা নেই। তারা শুধু হত্যা, লুটপাট ও ধ্বংস করতে জানে।’
মাশামউন আরও বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে আরএসএফ বিদেশি ভাড়াটে যোদ্ধা ও আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। শহরটি পতনের আগে তারা দুই শতাধিক হামলা চালায়। এখন যা ঘটছে, তা সম্পূর্ণ দায়মুক্তির ফল।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, কোর্দোফান অঞ্চল এখন সুদানের পরবর্তী বড় যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। উত্তর ও পশ্চিম কোর্দোফান উভয় পক্ষের মধ্যে বিভক্ত আর কৌশলগত কারণে এই অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নেওয়া উভয়েরই লক্ষ্য।
বিশ্লেষক জালালে গেতাচেউ বলেন, কোর্দোফান এখন আঞ্চলিক দখলযুদ্ধের নতুন ফ্রন্টলাইন।
মাশামউন জানান, সেনারা বর্তমানে বৃহত্তর কোর্দোফান পুনর্দখলের ওপর মনোযোগ দিচ্ছে, এরপর পশ্চিমে দারফুরের দিকে অগ্রসর হবে। সেনাবাহিনীর লক্ষ্য আরএসএফের সরবরাহ লাইন কেটে দেওয়া এবং চাদ সীমান্ত করিডর বন্ধ করা। উত্তর সুদানের মিত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে চাদ সীমান্ত থেকে নতুন সেনা মোতায়েনেরও পরিকল্পনা রয়েছে।
আরএসএফ কোর্দোফান থেকে খার্তুম ও পোর্ট সুদানের দিকে ড্রোন ও আর্টিলারি হামলা চালাচ্ছে বলেও জানান মাশামউন। তিনি বলেন, বারা ও নুহুদ শহর পুনর্দখল করলে এই হামলা বন্ধ করা সম্ভব হবে।
এর আগে অক্টোবরে আরএসএফ দাবি করে, তারা উত্তর কোর্দোফানের বারা শহর দখল করেছে, ফলে ৪ হাজার ৫০০-এর বেশি বাসিন্দা পালিয়ে গেছে এবং সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের খবর পাওয়া গেছে। শহরটি এল-ওবেইদের কাছেই, যা সেনাদের শক্ত ঘাঁটি হলেও ধীরে ধীরে আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে।
উভয় পক্ষ এখন দখল করা এলাকা শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। এদিকে জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, সুদানের অর্ধেক জনগণ (২ কোটি ২৫ লাখের বেশি) প্রয়োজনীয় খাবারের অভাবে ভুগছে। দারফুর, কোর্দোফান ও খার্তুমজুড়ে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে।
মাশামউন বলেন, দেশটি এক ভয়াবহ অচলাবস্থায় আটকে গেছে। আরএসএফের কোনো সুস্পষ্ট কৌশল বা নিয়ন্ত্রণকাঠামো নেই। এখন তাদের মূল কার্যক্রম হচ্ছে, বেসামরিক বাড়িঘর লুট ও মানুষ হত্যা করা।

সৌদি আরব সম্প্রতি বিদেশি কর্মী নিয়োগে একটি নতুন ওয়ার্ক পারমিট শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি চালু করেছে। এটির লক্ষ্য হলো, দেশটির শ্রমবাজারে নমনীয়তা আনা এবং উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন আন্তর্জাতিক জনশক্তিকে আকৃষ্ট করা।
০৯ জুলাই ২০২৫
২০২০ সালে স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ডায়াসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন স্পিকারের আসনে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারী শক্ত মুখে সেই ভাষণের কপি ছিঁড়ে ফেলেন। দৃশ্যত এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ঘটনাটি রাজনৈতিক ইতিহাসে এক প্রতীকী মুহূর্ত হিসেবে জায়গা করে নেয়।
১ ঘণ্টা আগেএই টাইফুনের কারণে ভিয়েতনাম সরকার ইতিমধ্যে ছয়টি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে এবং গিয়া লাই প্রদেশে ২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে। এটি চলতি বছরে ভিয়েতনামে আঘাত হানা ১৩তম টাইফুন এবং সবচেয়ে শক্তিশালীগুলোর একটি।
২ ঘণ্টা আগে
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধসংক্রান্ত অফিস (ইউএনওডিসি) একটি জরিপে বলেছে, আফিম চাষের জন্য ব্যবহৃত মোট জমির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ কমেছে এবং একই সময়ে আফিমের চাষ কমেছে ৩২ শতাংশ।
৩ ঘণ্টা আগে